আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৪২৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৫০
২৩৮৮. আল্লাহর বাণীঃ তোমরা তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা (৮ঃ ৩৯)
৪২৯৪। হাসান ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে বলল, হে আবু আব্দুর রহমান! আল্লাহ তাঁর কিতাবে যা উল্লেখ করেছেন আপনি কি তা শোনেন না? وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا মু’মিনদের দু’দল দ্বন্ধে লিপ্ত হলে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংশা করে দেবে.....। সুতরাং আল্লাহর কিতাবের নির্দেশ অনুযায়ী যুদ্ধ করতে কোন বস্তু আপনাকে নিষেধ করছে? এরপর তিনি বললেন, হে ভাতিজা! এই আয়াতের তাবীল বা ব্যাখ্যা করে যুদ্ধ না করা আমার কাছে অধিক প্রিয় وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا) إِلَى آخِرِهَا ‘‘যে স্বেচ্ছায় মু’মিন খুন করে’’ আয়াতে তাবীল করার তুলনায়। সে ব্যক্তি বলল, আল্লাহ বলেছেন وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ ‘‘তোমরা ফিতনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ করবে’’ ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, রাসূল (ﷺ) এর যুগে আমরা তা করেছি যখন ইসলাম দুর্বল ছিল। ফলে লোক তার দ্বীন নিয়ে ফিতনায় পড়ত, হয়ত কাফেররা তাকে হত্যা করত নতুবা বেঁধে রাখত, ক্রমে ক্রমে ইসলামের প্রসার ঘটল এবং ফিতনা থাকল না।
সে লোকটি যখন দেখল যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) তার উদ্দেশ্যের অনুকুল হচ্ছেন না, তখন সে বলল যে, আলী (রাযিঃ) এবং উসমান (রাযিঃ) সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন যে, আলী (রাযিঃ) এবং উসমান (রাযিঃ) সম্পর্কে আমার কোন বক্তব্য নেই, তবে উসমান (রাযিঃ) কে আল্লাহ তাআলা নিজেই ক্ষমা করে দিয়েছেন কিন্তু তোমরা তাঁকে ক্ষমা করতে রাযি নও, আর আলী (রাযিঃ), তিনি রাসূল (ﷺ) এর চাচাতো ভাই এবং জামাতা, তিনি অঙ্গুলী দিয়ে ইশারা করে বললেন, ঐ উনি হচ্ছেন রাসূল (ﷺ) এর কন্যা, যেথায় তোমরা তাঁর ঘর দেখছ, هَذِهِ ابْنَتُهُ বলেছেন কিংবা هَذِهِ بِنْتُهُ বলেছেন।
সে লোকটি যখন দেখল যে, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) তার উদ্দেশ্যের অনুকুল হচ্ছেন না, তখন সে বলল যে, আলী (রাযিঃ) এবং উসমান (রাযিঃ) সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন যে, আলী (রাযিঃ) এবং উসমান (রাযিঃ) সম্পর্কে আমার কোন বক্তব্য নেই, তবে উসমান (রাযিঃ) কে আল্লাহ তাআলা নিজেই ক্ষমা করে দিয়েছেন কিন্তু তোমরা তাঁকে ক্ষমা করতে রাযি নও, আর আলী (রাযিঃ), তিনি রাসূল (ﷺ) এর চাচাতো ভাই এবং জামাতা, তিনি অঙ্গুলী দিয়ে ইশারা করে বললেন, ঐ উনি হচ্ছেন রাসূল (ﷺ) এর কন্যা, যেথায় তোমরা তাঁর ঘর দেখছ, هَذِهِ ابْنَتُهُ বলেছেন কিংবা هَذِهِ بِنْتُهُ বলেছেন।
بَاب قَوْلِهِ تعالى {وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ}
4650 - حَدَّثَنَا الحَسَنُ بْنُ عَبْدِ العَزِيزِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَجُلًا، جَاءَهُ فَقَالَ: يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَلاَ تَسْمَعُ مَا ذَكَرَ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ: {وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ المُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا} [الحجرات: 9] إِلَى آخِرِ الآيَةِ، فَمَا يَمْنَعُكَ أَنْ لاَ تُقَاتِلَ كَمَا ذَكَرَ اللَّهُ فِي كِتَابِهِ؟ فَقَالَ: " يَا ابْنَ أَخِي أَغْتَرُّ بِهَذِهِ الآيَةِ وَلاَ أُقَاتِلُ، أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَغْتَرَّ بِهَذِهِ الآيَةِ، الَّتِي يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: {وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا} [النساء: 93] إِلَى آخِرِهَا "، قَالَ: فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ: {وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ} [الأنفال: 39] ، قَالَ ابْنُ عُمَرَ: «قَدْ فَعَلْنَا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ كَانَ الإِسْلاَمُ قَلِيلًا، فَكَانَ الرَّجُلُ يُفْتَنُ فِي دِينِهِ إِمَّا يَقْتُلُونَهُ وَإِمَّا يُوثِقُونَهُ، حَتَّى كَثُرَ الإِسْلاَمُ فَلَمْ تَكُنْ فِتْنَةٌ» ، فَلَمَّا رَأَى أَنَّهُ لاَ يُوَافِقُهُ فِيمَا يُرِيدُ، قَالَ: «فَمَا قَوْلُكَ فِي عَلِيٍّ، وَعُثْمَانَ؟» قَالَ ابْنُ عُمَرَ: " مَا قَوْلِي فِي عَلِيٍّ، وَعُثْمَانَ؟ أَمَّا عُثْمَانُ: فَكَانَ اللَّهُ قَدْ عَفَا عَنْهُ فَكَرِهْتُمْ أَنْ يَعْفُوَ عَنْهُ، وَأَمَّا عَلِيٌّ: فَابْنُ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَخَتَنُهُ - وَأَشَارَ بِيَدِهِ - وَهَذِهِ ابْنَتُهُ - أَوْ بِنْتُهُ - حَيْثُ تَرَوْنَ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪২৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬৫১
২৩৮৮. আল্লাহর বাণীঃ তোমরা তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে থাকবে, যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা (৮ঃ ৩৯)
৪২৯৫। আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) ......... সা‘ঈদ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) আমাদের কাছে এলেন। বর্ণনাকারী إِلَيْنَا অথবা عَلَيْنَا শব্দ বলেছেন। এরপর এক ব্যক্তি বলল, ফিতনা সম্পর্কিত যুদ্ধের ব্যাপারে আপনার রায় কি? আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, ফিতনা কি তা তুমি জান? মুহাম্মাদ (ﷺ) মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন। সুতরাং তাদের কছে যাওয়া ছিল ফিতনা, তার সঙ্গে গিয়ে যুদ্ধ করা তোমাদের রাজত্বের জন্য যুদ্ধ করার সমতুল্য নয়।
بَاب قَوْلِهِ تعالى {وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ}
4651 - حَدَّثَنَا [ص:63] أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا بَيَانٌ، أَنَّ وَبَرَةَ حَدَّثَهُ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، قَالَ: خَرَجَ عَلَيْنَا - أَوْ إِلَيْنَا - ابْنُ عُمَرَ، فَقَالَ رَجُلٌ: كَيْفَ تَرَى فِي قِتَالِ الفِتْنَةِ؟ فَقَالَ: وَهَلْ تَدْرِي مَا الفِتْنَةُ؟ «كَانَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَاتِلُ المُشْرِكِينَ، وَكَانَ الدُّخُولُ عَلَيْهِمْ فِتْنَةً وَلَيْسَ كَقِتَالِكُمْ عَلَى المُلْكِ»

তাহকীক: