আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪২৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৮৫
২৩৩৭. আল্লাহর বাণীঃ কিন্তু না, আপনার প্রতিপালকের শপথ! তারা মুমিন হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচারভার আপনার উপর অর্পণ না করে; এরপর আপনার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তকরনে তা মেনে না নেয় (৪ঃ ৬৫)
৪২৩০। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, হাররা বা মদীনার কংকরময় ভূমিতে একটি পানির নালা নিয়ে একজন আনসার হযরত যুবাইর (রাযিঃ) এর সাথে ঝগড়া করছিলেন, নবী (ﷺ) বললেন, হে যুবাইর! প্রথমত তুমি তোমার জমিতে পানি দাও, তারপর তুমি প্রতিবেশীর জমিতে পানি ছেড়ে দিবে। আনসারী বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে আপনার ফুফাত ভাই, তাই এই ফয়সালা দিলেন। এতে অসন্তুষ্টিবশত রাসূল (ﷺ) এর চেহারা রক্তিম হয়ে গেল। তারপর তিনি বললেন, হে যুবাইর! তুমি পানি চালাবে তারপর আইল পর্যন্ত ফিরে না আসা পর্যন্ত তা আটকে রাখবে তারপর প্রতিবেশীর জমির দিকে ছাড়বে।
আনসারী যখন রাসূল (ﷺ) কে রাগিয়ে তুললেন তখন তিনি তার হক পুরোপুরি যুবাইর (রাযিঃ) কে প্রদানের জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন। তাদেরকে প্রথমে নবী (ﷺ) এমন একটি নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে উদারতা ছিল।
যুবাইর (রাযিঃ) বলেন, فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ আয়াতটি এই উপলক্ষে নাযিল হয়েছে বলে আমার ধারণা।
আনসারী যখন রাসূল (ﷺ) কে রাগিয়ে তুললেন তখন তিনি তার হক পুরোপুরি যুবাইর (রাযিঃ) কে প্রদানের জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন। তাদেরকে প্রথমে নবী (ﷺ) এমন একটি নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে উদারতা ছিল।
যুবাইর (রাযিঃ) বলেন, فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ আয়াতটি এই উপলক্ষে নাযিল হয়েছে বলে আমার ধারণা।
باب فلا وربك لا يؤمنون حتى يحكموك فيما شجر بينهم
4585 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ: خَاصَمَ الزُّبَيْرُ رَجُلًا مِنَ الأَنْصَارِ فِي شَرِيجٍ مِنَ الحَرَّةِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اسْقِ يَا زُبَيْرُ، ثُمَّ أَرْسِلِ المَاءَ إِلَى جَارِكَ» ، فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ، فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ قَالَ: «اسْقِ يَا زُبَيْرُ، ثُمَّ احْبِسِ المَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الجَدْرِ، ثُمَّ أَرْسِلِ المَاءَ إِلَى جَارِكَ» ، وَاسْتَوْعَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلزُّبَيْرِ حَقَّهُ فِي صَرِيحِ الحُكْمِ حِينَ أَحْفَظَهُ الأَنْصَارِيُّ، كَانَ أَشَارَ عَلَيْهِمَا بِأَمْرٍ لَهُمَا فِيهِ سَعَةٌ، قَالَ الزُّبَيْرُ: فَمَا أَحْسِبُ هَذِهِ الآيَاتِ إِلَّا نَزَلَتْ فِي ذَلِكَ: {فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ} [النساء: 65]

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: