আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪১৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫৩৫
২২৯৭. আল্লাহর বাণীঃ "তবে যদি তোমরা আশঙ্কা কর, তবে পদচারী অথবা আরোহী অবস্থায়; যখন তোমরা নিরাপদ বোধ কর, তখন আল্লাহকে স্মরণ করবে, যেভাবে তিনি তোমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যা তোমরা জানতে না।"
ইবনে যুবাইর (রাহঃ) বলেন, كرسيه আল্লাহর কুরসীর অর্থ হলঃ علمه তার জ্ঞান। আর بسطة অর্থ হল অতিরিক্ত ও বেশী। أفرغ অর্থ নাযিল কর। ولا يئوده অর্থ ভারী ও বোঝা বোধ হয় না তার। যেমন آدني অর্থ أثقلني শক্ত ও ভারী করেছে আমাকে। الآد والأيد শব্দের অর্থ হলঃ القوة শক্ত ও শক্তি। السِّنَةُ তন্দ্রা, يَتَسَنَّهْ অর্থাৎ, পরিবর্তন। فبهت শব্দের অর্থ হলঃ তার দলীল-প্রমাণ শেষ হয়ে গেছে। خَاوِيَةٌ যেখানে কোনো খবরদারি নেই, عُرُوْشُهَا প্রাসাদ-অট্টালিকা, نُنْشزُهَا অর্থাৎ বের করে দেব। إِعْصَارٌ অর্থাৎ গরম বায়ু, যা যমীন থেকে উপরের দিকে উর্ধ্বগামী। যেমন খুঁটি। فِيهِ نَارٌ- যার মধ্যে অগ্নি প্রজ্জ্বলিত রয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (র) বলেছেনঃ صَلْدًا - لَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ- যার উপর কোনো ধুলাবালি থাকে না, তাকে সালদা বলে। ইকরামা (রাহঃ) বলেনঃ وَابِلٌ অর্থ হলো মুষলধার বৃষ্টি। الطَّلُّ অর্থাৎ কুয়াশা। এটি হল মুমিনের আমলের উদাহরণ। يَتَسَنَّهْ অর্থাৎ, পরিবর্তন।
৪১৭৯। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... নাফি‘ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে যখন সালাতুল খাওফ (যুদ্ধ ক্ষেত্রে শত্রুভয়ের মধে নামায প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হত তখন তিনি বলতেন, ইমাম সাহেব সামনে যাবেন এবং একদল লোক জামাতে শামিল হবে। তিনি তাদের সঙ্গে এক রাক'আত নামায আদায় করবেন এবং তাদের আর একদল জামাতে শামিল না হয়ে তাদের ও শত্রুর মাঝখানে থেকে পাহারা দিবে। ইমামের সাথে যারা এক রাক'আত নামায আদায় করেছে তারা পেছনে গিয়ে যারা এখনও নামায আদায় করেনি, তাদের স্থানে দাঁড়াবে; কিন্তু সালাম ফিরাবে না। যারা নামায আদায় করেনি, তারা আগে বাড়বে এবং ইমামের সাথে এক রাক'আত আদায় করবে। তারপর ইমাম নামায হতে অবসর গ্রহণ করবে। কেননা তিনি দু’রাক'আত নামায আদায় করেছেন।
এরপর উভয় দল দাঁড়িয়ে নিজে নিজে বাকি এক রাক'আত ইমামের নামাযের শেষে আদায় করে নিবে। তাহলে প্রত্যেক জনেরই দু’রাক'আত নামায আদায় হয়ে যাবে। আর যদি ভয়-ভীতি ভীষণতর হয়, তবে নিজে নিজে দাঁড়িয়ে অথবা যানবাহনে আরোহি অবস্থায় কিবলার দিকে মুখ করে অসুবিধা হলে যেদিকে সম্ভব মুখ করে নামায আদায় করবে। ইমাম মালিক (রাহঃ) বলেন, ইমাম নাফি‘ (রাহঃ) বলেন, আমি অবশ্য মনে করি ইবনে উমর (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে শুনেই এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
بَاب قَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ {فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًا فَإِذَا أَمِنْتُمْ فَاذْكُرُوا اللَّهَ كَمَا عَلَّمَكُمْ مَا لَمْ تَكُونُوا تَعْلَمُونَ}
وَقَالَ ابْنُ جُبَيْرٍ {كُرْسِيُّهُ} عِلْمُهُ يُقَالُ {بَسْطَةً} زِيَادَةً وَفَضْلًا {أَفْرِغْ} أَنْزِلْ {وَلَا يَئُودُهُ} لَا يُثْقِلُهُ آدَنِي أَثْقَلَنِي وَالْآدُ وَالْأَيْدُ الْقُوَّةُ السِّنَةُ نُعَاسٌ {يَتَسَنَّهْ} يَتَغَيَّرْ {فَبُهِتَ} ذَهَبَتْ حُجَّتُهُ {خَاوِيَةٌ} لَا أَنِيسَ فِيهَا عُرُوشُهَا أَبْنِيَتُهَا {نُنْشِرُهَا} نُخْرِجُهَا {إِعْصَارٌ} رِيحٌ عَاصِفٌ تَهُبُّ مِنْ الْأَرْضِ إِلَى السَّمَاءِ كَعَمُودٍ فِيهِ نَارٌ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ {صَلْدًا} لَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ وَقَالَ عِكْرِمَةُ {وَابِلٌ} مَطَرٌ شَدِيدٌ الطَّلُّ النَّدَى وَهَذَا مَثَلُ عَمَلِ الْمُؤْمِنِ {يَتَسَنَّهْ} يَتَغَيَّرْ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ كَانَ إِذَا سُئِلَ عَنْ صَلاَةِ الْخَوْفِ قَالَ يَتَقَدَّمُ الإِمَامُ وَطَائِفَةٌ مِنَ النَّاسِ فَيُصَلِّي بِهِمِ الإِمَامُ رَكْعَةً، وَتَكُونُ طَائِفَةٌ مِنْهُمْ بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْعَدُوِّ لَمْ يُصَلُّوا، فَإِذَا صَلَّوُا الَّذِينَ مَعَهُ رَكْعَةً اسْتَأْخَرُوا مَكَانَ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا وَلاَ يُسَلِّمُونَ، وَيَتَقَدَّمُ الَّذِينَ لَمْ يُصَلُّوا فَيُصَلُّونَ مَعَهُ رَكْعَةً، ثُمَّ يَنْصَرِفُ الإِمَامُ وَقَدْ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، فَيَقُومُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ فَيُصَلُّونَ لأَنْفُسِهِمْ رَكْعَةً بَعْدَ أَنْ يَنْصَرِفَ الإِمَامُ، فَيَكُونُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنَ الطَّائِفَتَيْنِ قَدْ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، فَإِنْ كَانَ خَوْفٌ هُوَ أَشَدَّ مِنْ ذَلِكَ صَلَّوْا رِجَالاً، قِيَامًا عَلَى أَقْدَامِهِمْ، أَوْ رُكْبَانًا مُسْتَقْبِلِي الْقِبْلَةِ أَوْ غَيْرَ مُسْتَقْبِلِيهَا. قَالَ مَالِكٌ قَالَ نَافِعٌ لاَ أُرَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ذَكَرَ ذَلِكَ إِلاَّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.