আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৪১৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫২০
২২৮৮. আল্লাহর বাণীঃ এরপর অন্যান্য লোক যেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে তোমরাও সে স্থান থেকে প্রত্যাবর্তন করবে (২ঃ ১৯৯)
৪১৬৬। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুরাইশ এবং যারা তাদের দ্বীনের অনুসারী ছিল তারা (হজ্জের সময়) মুযদালিফায় অবস্থান করত। আর কুরাইশগণ নিজেদের সাহসী ধর্মে অটল বলে অভিহিত করত এবং অপরাপর আরবগণ আরাফাতে অবস্থান করত। এরপর যখন ইসলামের আগমন হল, তখন আল্লাহ তাআলা তাঁর নবী (ﷺ) কে আরাফাতে উকুফের এবং এরপর সেখান থেকে প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ দিলেন। ......ثُمَّ أَفِيضُوا আয়াতে সেদিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
باب ثم أفيضوا من حيث أفاض الناس
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَازِمٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ كَانَتْ قُرَيْشٌ وَمَنْ دَانَ دِينَهَا يَقِفُونَ بِالْمُزْدَلِفَةِ، وَكَانُوا يُسَمَّوْنَ الْحُمْسَ، وَكَانَ سَائِرُ الْعَرَبِ يَقِفُونَ بِعَرَفَاتٍ، فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ أَمَرَ اللَّهُ نَبِيَّهُ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَأْتِيَ عَرَفَاتٍ، ثُمَّ يَقِفَ بِهَا ثُمَّ يُفِيضَ مِنْهَا، فَذَلِكَ قَوْلُهُ تَعَالَى (ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ)

তাহকীক:
হাদীস নং: ৪১৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪৫২১
২২৮৮. আল্লাহর বাণীঃ এরপর অন্যান্য লোক যেখান থেকে প্রত্যাবর্তন করে তোমরাও সে স্থান থেকে প্রত্যাবর্তন করবে (২ঃ ১৯৯)
৪১৬৭। মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তামাত্তু আদায়কারী ব্যক্তি উমরা আদায়ের পরে যতদিন হালাল অবস্থায় থাকবে, ততদিন বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করবে। তারপর হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধবে। এরপর যখন আরাফাতে যাবে তখন উট, গরু, ছাগল প্রভৃতি যা মুহারিমের জন্য সহজলভ্য হয় তা মিনাতে কুরবানী করবে। আর যে কুরবানীর সঙ্গতি রাখে না সে হজ্জের দিনসমূহের মধ্যে তিনটি রোযা পালন করবে। আর তা আরাফার দিবসের পূর্বে হতে হবে। আর তিন দিনের শেষ দিন যদি আরাফার দিন হয়, তবে তাতে কোন দোষ নেই। তারপর আরাফার ময়দানে যাবে এবং সেখানে নামাযে আসর হতে সূর্যাস্তের অন্ধকার পর্যন্ত উকুফ (অবস্থান) করবে।
এরপর আরাফা হতে প্রত্যাবর্তন করে মুযদালিফায় পৌঁছে সেখানে নেকী হাসিলের কাজ করতে থাকবে এবং অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিক্র করবে। সেখানে ফজর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাকবীর ও তাহলীল পাঠ করবে। এরপর (মিনার দিকে) প্রত্যাবর্তন করবে যেভাবে অন্যান্য লোক প্রর্ত্যাবর্তন করে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ″এরপর প্রত্যাবর্তন কর সেখান হতে, যেখান হতে লোকজন প্রত্যাবর্তন করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল, দয়াময়।″ তারপর জমরাতুল আকাবাতে প্রস্তর নিক্ষেপ করবে।
এরপর আরাফা হতে প্রত্যাবর্তন করে মুযদালিফায় পৌঁছে সেখানে নেকী হাসিলের কাজ করতে থাকবে এবং অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিক্র করবে। সেখানে ফজর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাকবীর ও তাহলীল পাঠ করবে। এরপর (মিনার দিকে) প্রত্যাবর্তন করবে যেভাবে অন্যান্য লোক প্রর্ত্যাবর্তন করে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন, ″এরপর প্রত্যাবর্তন কর সেখান হতে, যেখান হতে লোকজন প্রত্যাবর্তন করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল, দয়াময়।″ তারপর জমরাতুল আকাবাতে প্রস্তর নিক্ষেপ করবে।
باب ثم أفيضوا من حيث أفاض الناس
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ يَطَوَّفُ الرَّجُلُ بِالْبَيْتِ مَا كَانَ حَلاَلاً حَتَّى يُهِلَّ بِالْحَجِّ، فَإِذَا رَكِبَ إِلَى عَرَفَةَ فَمَنْ تَيَسَّرَ لَهُ هَدِيَّةٌ مِنَ الإِبِلِ أَوِ الْبَقَرِ أَوِ الْغَنَمِ، مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ ذَلِكَ أَىَّ ذَلِكَ شَاءَ، غَيْرَ إِنْ لَمْ يَتَيَسَّرْ لَهُ فَعَلَيْهِ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ، وَذَلِكَ قَبْلَ يَوْمِ عَرَفَةَ، فَإِنْ كَانَ آخِرُ يَوْمٍ مِنَ الأَيَّامِ الثَّلاَثَةِ يَوْمَ عَرَفَةَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ، ثُمَّ لِيَنْطَلِقْ حَتَّى يَقِفَ بِعَرَفَاتٍ مِنْ صَلاَةِ الْعَصْرِ إِلَى أَنْ يَكُونَ الظَّلاَمُ، ثُمَّ لِيَدْفَعُوا مِنْ عَرَفَاتٍ إِذَا أَفَاضُوا مِنْهَا حَتَّى يَبْلُغُوا جَمْعًا الَّذِي يُتَبَرَّرُ فِيهِ، ثُمَّ لِيَذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا، أَوْ أَكْثِرُوا التَّكْبِيرَ وَالتَّهْلِيلَ قَبْلَ أَنْ تُصْبِحُوا ثُمَّ أَفِيضُوا، فَإِنَّ النَّاسَ كَانُوا يُفِيضُونَ، وَقَالَ اللَّهُ تَعَالَى (ثُمَّ أَفِيضُوا مِنْ حَيْثُ أَفَاضَ النَّاسُ وَاسْتَغْفِرُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَحِيمٌ) حَتَّى تَرْمُوا الْجَمْرَةَ.

তাহকীক: