আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫১- কুরআনের তাফসীর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪১২৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৮০
২২৫৯ (খ). আল্লাহর বাণী : “যারা জিবরাঈলের শত্রুতা করবে।” ইকরিমা (রাহঃ) বলেন, জবর, মীক, সরাফ অর্থ আব্দ-বান্দা, ঈল-আল্লাহ। (অর্থ দাঁড়াল আব্দুল্লাহ - আল্লাহর বান্দা)
৪১২৮। আব্দুল্লাহ ইবনে মুনীর (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) রাসূল (ﷺ) এর শুভাগমন বার্তা শুনতে পেলেন। তখন তিনি (আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম) বাগানে ফল আহরণ করছিলেন। তিনি নবী (ﷺ) এর কাছে এসে বললেন, আমি আপনাকে তিনটি বিষয় জিজ্ঞাসা করব যা নবী বতীত অন্য কেউ জানেন না। তা হল কিয়ামতের প্রথম লক্ষণ কি? জান্নাতীদের প্রথম খাদ্য কি হবে? এবং সন্তান কখন পিতার সদৃশ হয় আর কখন মাতার সদৃশ হয়? নবী (ﷺ) বললেন, আমাকে জিবরাঈল(আলাইহিস সালাম) এখনই এসব সম্পর্কে অবহিত করলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম বললেন, জিবরাঈল? নবী (ﷺ) বললে, হ্যাঁ। ইবনে সালাম বললেন, সে তো ফিরিশতাদের মধ্যে ইয়াহুদীদের শত্রু। তখন নবী (ﷺ) এই আয়াত পাঠ করলেন, যে ব্যক্তি জিবরাঈলের শত্রু হবে, এ জন্য যে তিনি তো আপনার অন্তরে, (আল্লাহর হুকুমে) ওহী নাযিল করেন। (২ঃ ৯৭)।
কিয়ামতের প্রথম লক্ষণ হল, এক প্রকার আগুন বের হবে যা মানবকূলকে পূর্ব প্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত একত্রিত করবে। আর জান্নাতীরা প্রথমে যা আহার করবে তা হল মাছের কলিজার পাশের অতিরিক্ত অংশ। আর যখন পুরুষের বীর্য স্ত্রীর উপর প্রাধান্য লাভ করবে তখন সন্তান পিতার সদৃশ হয় এবং যখন স্ত্রীর বীর্য পুরুষের উপর প্রাধান্য লাভ করে তখন সন্তান মাতার সদৃশ হয়।
তখন আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বললেন, আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আরও সাক্ষ্য দেই যে, আপনি নিঃসন্দেহে আল্লাহর রাসূল। ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়াহুদীরা সাংঘাতিক মিথ্যারোপকারী। যদি তারা আপনাকে প্রশ্ন করার পূর্বেই আমার ইসলাম গ্রহণের সংবাদ জেনে যায় তবে তারা আমার প্রতি অপবাদ আনবে। ইতিমধ্যে ইহুদীরা এসে গেল। তখন নবী (ﷺ) ইহুদীদের জিজ্ঞাসা করলেন, আব্দুল্লাহ তোমাদের মধ্যে কেমন লোক? তারা উত্তর দিল, তিনি আমাদের মধ্যে উত্তম এবং আমাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির পুত্র। তিনি আমাদের নেতা এবং আমাদের নেতার ছেলে।
নবী (ﷺ) বললেন, যদি আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম ইসলাম গ্রহণ করেন, তবে তোমরা কেমন মনে করবে। তারা বলল, আল্লাহ তাকে এর থেকে পানাহ দিন। তখন [আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ)] বের হয়ে এসে বললেন, আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ নিঃসন্দেহে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। তখন তারা বলল, সে আমাদের মধ্যে মন্দ ব্যক্তি ও মন্দ ব্যক্তির ছেলে। তারপর তারা ইবনে সালাম (রাযিঃ) কে দোষী সাব্যস্ত করে সমালোচনা করতে লাগল। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটাই আমি ভয় করছিলাম।
কিয়ামতের প্রথম লক্ষণ হল, এক প্রকার আগুন বের হবে যা মানবকূলকে পূর্ব প্রান্ত হতে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত একত্রিত করবে। আর জান্নাতীরা প্রথমে যা আহার করবে তা হল মাছের কলিজার পাশের অতিরিক্ত অংশ। আর যখন পুরুষের বীর্য স্ত্রীর উপর প্রাধান্য লাভ করবে তখন সন্তান পিতার সদৃশ হয় এবং যখন স্ত্রীর বীর্য পুরুষের উপর প্রাধান্য লাভ করে তখন সন্তান মাতার সদৃশ হয়।
তখন আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বললেন, আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আরও সাক্ষ্য দেই যে, আপনি নিঃসন্দেহে আল্লাহর রাসূল। ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়াহুদীরা সাংঘাতিক মিথ্যারোপকারী। যদি তারা আপনাকে প্রশ্ন করার পূর্বেই আমার ইসলাম গ্রহণের সংবাদ জেনে যায় তবে তারা আমার প্রতি অপবাদ আনবে। ইতিমধ্যে ইহুদীরা এসে গেল। তখন নবী (ﷺ) ইহুদীদের জিজ্ঞাসা করলেন, আব্দুল্লাহ তোমাদের মধ্যে কেমন লোক? তারা উত্তর দিল, তিনি আমাদের মধ্যে উত্তম এবং আমাদের মধ্যে সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির পুত্র। তিনি আমাদের নেতা এবং আমাদের নেতার ছেলে।
নবী (ﷺ) বললেন, যদি আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম ইসলাম গ্রহণ করেন, তবে তোমরা কেমন মনে করবে। তারা বলল, আল্লাহ তাকে এর থেকে পানাহ দিন। তখন [আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ)] বের হয়ে এসে বললেন, আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ নিঃসন্দেহে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল। তখন তারা বলল, সে আমাদের মধ্যে মন্দ ব্যক্তি ও মন্দ ব্যক্তির ছেলে। তারপর তারা ইবনে সালাম (রাযিঃ) কে দোষী সাব্যস্ত করে সমালোচনা করতে লাগল। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটাই আমি ভয় করছিলাম।
بَابُ {مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِجِبْرِيلَ} [البقرة: 97] وَقَالَ عِكْرِمَةُ: جَبْرَ وَمِيكَ وَسَرَافِ: عَبْدٌ، إِيلْ: اللَّهُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُنِيرٍ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ سَمِعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ، بِقُدُومِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ فِي أَرْضٍ يَخْتَرِفُ، فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ ثَلاَثٍ لاَ يَعْلَمُهُنَّ إِلاَّ نَبِيٌّ فَمَا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَمَا أَوَّلُ طَعَامِ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَمَا يَنْزِعُ الْوَلَدُ إِلَى أَبِيهِ أَوْ إِلَى أُمِّهِ قَالَ " أَخْبَرَنِي بِهِنَّ جِبْرِيلُ آنِفًا ". قَالَ جِبْرِيلُ قَالَ " نَعَمْ ". قَالَ ذَاكَ عَدُوُّ الْيَهُودِ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ. فَقَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ (مَنْ كَانَ عَدُوًّا لِجِبْرِيلَ فَإِنَّهُ نَزَّلَهُ عَلَى قَلْبِكَ) أَمَّا أَوَّلُ أَشْرَاطِ السَّاعَةِ فَنَارٌ تَحْشُرُ النَّاسَ مِنَ الْمَشْرِقِ إِلَى الْمَغْرِبِ، وَأَمَّا أَوَّلُ طَعَامِ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَزِيَادَةُ كَبِدِ حُوتٍ، وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الرَّجُلِ مَاءَ الْمَرْأَةِ نَزَعَ الْوَلَدَ، وَإِذَا سَبَقَ مَاءُ الْمَرْأَةِ نَزَعَتْ ". قَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ. يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْيَهُودَ قَوْمٌ بُهُتٌ، وَإِنَّهُمْ إِنْ يَعْلَمُوا بِإِسْلاَمِي قَبْلَ أَنْ تَسْأَلَهُمْ يَبْهَتُونِي. فَجَاءَتِ الْيَهُودُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَىُّ رَجُلٍ عَبْدُ اللَّهِ فِيكُمْ ". قَالُوا خَيْرُنَا وَابْنُ خَيْرِنَا، وَسَيِّدُنَا وَابْنُ سَيِّدِنَا. قَالَ " أَرَأَيْتُمْ إِنْ أَسْلَمَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ ". فَقَالُوا أَعَاذَهُ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ. فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ فَقَالَ أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ. فَقَالُوا شَرُّنَا وَابْنُ شَرِّنَا. وَانْتَقَصُوهُ. قَالَ فَهَذَا الَّذِي كُنْتُ أَخَافُ يَا رَسُولَ اللَّهِ.

তাহকীক: