আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪১১২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৪৬৩
২২৪৮. নবী কারীম (ﷺ) সবশেষে যে কথা বলেছেন
৪১১২। বিশর ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) সুস্থ থাকাকালীন বলতেন, কোন নবীর ওফাত হয়নি যতক্ষণ না তাকে জান্নাতে তাঁর ঠিকানা দেখানো হয়। তারপর তাঁকে ইখতিয়ার প্রদান করা হয় (দুনিয়া বা আখিরাত গ্রহণের), যখন নবী কারীম (ﷺ)- এর রোগ বৃদ্ধি পেল তখন তাঁর মাথা আমার উরুর উপর ছিল এ সময় তিনি মূর্ছা যান। তারপর আবার হুশ ফিরে এলে, ছাদের দিকে তিনি দৃষ্টি উত্তোলন করেন। তারপর বলেন, হে আল্লাহ আমাকে উর্ধ্ব জগতের মহান বন্ধুর (সান্নিধ্য দান করুন)।
তখন আমি বললাম, তাহলে তো তিনি আর আমাদের মাঝে থাকতে চাচ্ছেন না। আমি বুঝতে পারলাম যে, এটা ঐ কথা যা তিনি সুস্থাবস্থায় আমাদের কাছে বর্ণনা করতেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর শেষ কথা যা তিনি উচ্চারণ করেছিলেন তা হল اللَّهُمَّ الرَّفِيقَ الأَعْلَى -হে আল্লাহ্! উর্ধ্বলোকের বন্ধুর সাথে আমাকে মিলিত করুন।
তখন আমি বললাম, তাহলে তো তিনি আর আমাদের মাঝে থাকতে চাচ্ছেন না। আমি বুঝতে পারলাম যে, এটা ঐ কথা যা তিনি সুস্থাবস্থায় আমাদের কাছে বর্ণনা করতেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর শেষ কথা যা তিনি উচ্চারণ করেছিলেন তা হল اللَّهُمَّ الرَّفِيقَ الأَعْلَى -হে আল্লাহ্! উর্ধ্বলোকের বন্ধুর সাথে আমাকে মিলিত করুন।
بَابُ آخِرِ مَا تَكَلَّمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
4463 - حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ يُونُسُ: قَالَ الزُّهْرِيُّ: أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ المُسَيِّبِ، فِي رِجَالٍ مِنْ أَهْلِ العِلْمِ: أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ وَهُوَ صَحِيحٌ: «إِنَّهُ لَمْ يُقْبَضْ نَبِيٌّ حَتَّى يَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الجَنَّةِ، ثُمَّ يُخَيَّرَ» فَلَمَّا نَزَلَ بِهِ، وَرَأْسُهُ عَلَى فَخِذِي غُشِيَ عَلَيْهِ، ثُمَّ أَفَاقَ فَأَشْخَصَ بَصَرَهُ إِلَى سَقْفِ البَيْتِ، ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ الرَّفِيقَ الأَعْلَى» . فَقُلْتُ: إِذًا لاَ يَخْتَارُنَا، وَعَرَفْتُ أَنَّهُ الحَدِيثُ الَّذِي كَانَ يُحَدِّثُنَا وَهُوَ صَحِيحٌ، قَالَتْ: فَكَانَتْ آخِرَ كَلِمَةٍ تَكَلَّمَ بِهَا: «اللَّهُمَّ الرَّفِيقَ الأَعْلَى»