আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৪০৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৮৩
২২৩৭. ওমান ও বাহরাইনের ঘটনা
৪০৪১। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ
(ﷺ) আমাকে বললেন, বাহরাইনের অর্থ সম্পদ (জিযিয়া) আসলে তোমাকে এতো পরিমাণ, এতো পরিমাণ, এতো পরিমাণ দেবো। (এতো পরিমাণ শব্দটি) তিনি তিনবার বললেন। এরপর বাহরাইন থেকে আর কোন অর্থ সম্পদ আসেনি। অবশেষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ওফাত হয়ে গেল। এরপর আবু বকর (রাযিঃ)- এর যুগে যখন সেই অর্থ সম্পদ আসলো, তখন তিনি একজন ঘোষণাকারীকে নির্দেশ দিলেন। সে ঘোষণা করলঃ নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে যার ঋণ প্রাপ্য রয়েছে কিংবা কোন ওয়াদা অপূর্ণ রয়ে গেছে সে যেন আমার কাছে আসে (এবং তা নিয়ে নেয়)।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি আবু বকর (রাযিঃ)- এর কাছে এসে তাঁকে জানালাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেছিলেন, যদি বাহরাইন থেকে অর্থ-সম্পদ আসে তা হলে তোমাকে আমি এতো পরিমাণ এতো পরিমাণ দেবো। (এতো পরিমাণ কথাটি) তিনবার বললেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে অর্থ সম্পদ দিলেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, এর কিছুদিন পর আমি আবু বকর (রাযিঃ)- এর সাথে সাক্ষাত করলাম। এবং তার কাছে মাল চাইলাম। কিন্তু তিনি আমাকে কিছুই দিলেন না। এরপর আমি তাঁর কাছে দ্বিতীয়বার আসি, তিনি আমাকে কিছুই দেননি। এরপর আমি তাঁর কাছে তৃতীয়বার এলাম। তখনো তিনি আমাকে কিছুই দিলেন না। কাজেই আমি তাঁকে বললাম, আমি আপনার কাছে এসেছিলাম, কিন্তু আপনি আমাকে দেননি। তারপর (আবার) এসেছিলাম, তখনো দেননি। এরপরেও এসেছিলাম তখনো আমাকে আপনি দেননি। কাজেই এখন হয়তো আপনি আমাকে সম্পদ দিবেন নয়তো আমি মনে করব, আপনি আমার ব্যাপারে কৃপনতা অবলম্বন করেছেন।
তখন তিনি বললেন, এ কি বলছ তুমি আমার ব্যাপারে কৃপনতা করছেন’। (তিনি বললেন) কৃপনতা থেকে মারাত্নক ব্যাধি আর কি হতে পারে। কথাটি তিনি তিনবার বললেন। (এরপর তিনি বললেন) যতবারই আমি তোমাকে সম্পদ দেয়া থেকে বিরত হয়েছি, ততবারই আমার ইচ্ছা ছিলো যে, (অন্য কোথাও থেকে) তোমাকে দেবো। আমর [ইবনে দীনার (রাহঃ)] মুহাম্মাদ ইবনে আলী (রাহঃ)- এর মাধ্যমে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু বকর (রাযিঃ)- এর কাছে আসলে তিনি আমাকে বললেন, এ (আশরাফী) গুলো গুণো। আমি ঐগুলো গুণে দেখলাম এখানে পাঁচশ’ (আশরাফী) রয়েছে। তিনি বললেন, (ওখান থেকে) এ পরিমাণ আরো দু’বার তুলে নাও।
(ﷺ) আমাকে বললেন, বাহরাইনের অর্থ সম্পদ (জিযিয়া) আসলে তোমাকে এতো পরিমাণ, এতো পরিমাণ, এতো পরিমাণ দেবো। (এতো পরিমাণ শব্দটি) তিনি তিনবার বললেন। এরপর বাহরাইন থেকে আর কোন অর্থ সম্পদ আসেনি। অবশেষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ওফাত হয়ে গেল। এরপর আবু বকর (রাযিঃ)- এর যুগে যখন সেই অর্থ সম্পদ আসলো, তখন তিনি একজন ঘোষণাকারীকে নির্দেশ দিলেন। সে ঘোষণা করলঃ নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে যার ঋণ প্রাপ্য রয়েছে কিংবা কোন ওয়াদা অপূর্ণ রয়ে গেছে সে যেন আমার কাছে আসে (এবং তা নিয়ে নেয়)।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি আবু বকর (রাযিঃ)- এর কাছে এসে তাঁকে জানালাম যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেছিলেন, যদি বাহরাইন থেকে অর্থ-সম্পদ আসে তা হলে তোমাকে আমি এতো পরিমাণ এতো পরিমাণ দেবো। (এতো পরিমাণ কথাটি) তিনবার বললেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, তখন আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে অর্থ সম্পদ দিলেন। জাবির (রাযিঃ) বলেন, এর কিছুদিন পর আমি আবু বকর (রাযিঃ)- এর সাথে সাক্ষাত করলাম। এবং তার কাছে মাল চাইলাম। কিন্তু তিনি আমাকে কিছুই দিলেন না। এরপর আমি তাঁর কাছে দ্বিতীয়বার আসি, তিনি আমাকে কিছুই দেননি। এরপর আমি তাঁর কাছে তৃতীয়বার এলাম। তখনো তিনি আমাকে কিছুই দিলেন না। কাজেই আমি তাঁকে বললাম, আমি আপনার কাছে এসেছিলাম, কিন্তু আপনি আমাকে দেননি। তারপর (আবার) এসেছিলাম, তখনো দেননি। এরপরেও এসেছিলাম তখনো আমাকে আপনি দেননি। কাজেই এখন হয়তো আপনি আমাকে সম্পদ দিবেন নয়তো আমি মনে করব, আপনি আমার ব্যাপারে কৃপনতা অবলম্বন করেছেন।
তখন তিনি বললেন, এ কি বলছ তুমি আমার ব্যাপারে কৃপনতা করছেন’। (তিনি বললেন) কৃপনতা থেকে মারাত্নক ব্যাধি আর কি হতে পারে। কথাটি তিনি তিনবার বললেন। (এরপর তিনি বললেন) যতবারই আমি তোমাকে সম্পদ দেয়া থেকে বিরত হয়েছি, ততবারই আমার ইচ্ছা ছিলো যে, (অন্য কোথাও থেকে) তোমাকে দেবো। আমর [ইবনে দীনার (রাহঃ)] মুহাম্মাদ ইবনে আলী (রাহঃ)- এর মাধ্যমে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু বকর (রাযিঃ)- এর কাছে আসলে তিনি আমাকে বললেন, এ (আশরাফী) গুলো গুণো। আমি ঐগুলো গুণে দেখলাম এখানে পাঁচশ’ (আশরাফী) রয়েছে। তিনি বললেন, (ওখান থেকে) এ পরিমাণ আরো দু’বার তুলে নাও।
بَابُ قِصَّةُ عُمَانَ وَالْبَحْرَيْنِ
4383 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، سَمِعَ ابْنُ المُنْكَدِرِ، جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، يَقُولُ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ قَدْ جَاءَ مَالُ البَحْرَيْنِ لَقَدْ أَعْطَيْتُكَ هَكَذَا، وَهَكَذَا» . ثَلاَثًا، فَلَمْ يَقْدَمْ مَالُ البَحْرَيْنِ حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قَدِمَ عَلَى أَبِي بَكْرٍ أَمَرَ مُنَادِيًا فَنَادَى: مَنْ كَانَ لَهُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَيْنٌ أَوْ عِدَةٌ فَلْيَأْتِنِي، قَالَ: جَابِرٌ: فَجِئْتُ أَبَا بَكْرٍ فَأَخْبَرْتُهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْ جَاءَ مَالُ البَحْرَيْنِ أَعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا» ثَلاَثًا، قَالَ: فَأَعْطَانِي، قَالَ جَابِرٌ: فَلَقِيتُ أَبَا بَكْرٍ بَعْدَ ذَلِكَ فَسَأَلْتُهُ فَلَمْ يُعْطِنِي، ثُمَّ أَتَيْتُهُ، فَلَمْ يُعْطِنِي، ثُمَّ أَتَيْتُهُ الثَّالِثَةَ فَلَمْ يُعْطِنِي، فَقُلْتُ لَهُ: قَدْ أَتَيْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِي، ثُمَّ أَتَيْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِي، ثُمَّ أَتَيْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِي، فَإِمَّا أَنْ تُعْطِيَنِي وَإِمَّا أَنْ تَبْخَلَ عَنِّي، فَقَالَ: أَقُلْتَ تَبْخَلُ عَنِّي؟ وَأَيُّ دَاءٍ أَدْوَأُ مِنَ البُخْلِ، قَالَهَا ثَلاَثًا، مَا مَنَعْتُكَ مِنْ مَرَّةٍ إِلَّا وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُعْطِيَكَ، وَعَنْ عَمْرٍو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ يَقُولُ: " جِئْتُهُ، فَقَالَ لِي أَبُو بَكْرٍ: عُدَّهَا، فَعَدَدْتُهَا، فَوَجَدْتُهَا خَمْسَ مِائَةٍ، فَقَالَ: خُذْ مِثْلَهَا مَرَّتَيْنِ "