আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৪০৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৭২
২২৩৪. বনু হানীফার প্রতিনিধি দল এবং ছুমামা ইবনে উসাল (রাযিঃ)- এর ঘটনা
৪০৩৩। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একদল অশ্বারোহী সৈন্য নজদের দিকে পাঠিয়েছিলেন। (সেখানে গিয়ে) তাঁরা ছুমামা ইবনে উসাল নামক বনু হানীফার এক ব্যক্তিকে ধরে আনলেন এবং মসজিদে নববীর একটি খুঁটির সাথে তাকে বেঁধে রাখলেন। তখন নবী কারীম (ﷺ) তার কাছে এসে বললেন, ওহে ছুমামা! তোমার কাছে কেমন মনে হচ্ছে? সে উত্তর দিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কাছে তো ভালই মনে হচ্ছে। (কারণ আপনি মানুষের উপর কখনো যুলুম করেন না বরং অনুগ্রহই করে থাকেন)। যদি আমাকে হত্যা করেন তাহলে আপনি একজন খুনীকে হত্যা করবেন। আর যদি আপনি অনুগ্রহ দান করেন তা হলে একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তিকে অনুগ্রহ দান করবেন। আর যদি আপনি (এর বিনিময়ে) অর্থ সম্পদ চান তা হলে যতটা খুশী দাবি করুন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে সেই অবস্থার উপর রেখে দিলেন। এভাবে পরের দিন আসল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবার তাকে বললেন, ওহে ছুমামা! তোমার কাছে কেমন মনে হচ্ছে? সে বলল, আমার কাছ সেটিই মনে হচ্ছে যা (গতকাল) আমি আপনাকে বলেছিলাম যে, যদি আপনি অনুগ্রহ প্রদর্শন করেন তা হলে একজন কৃতজ্ঞ ব্যক্তির উপর অনুগ্রহ প্রদর্শন করবেন। তিনি তাকে সেই অবস্থায় রেখে দিলেন। এভাবে এর পরের দিনও আসল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, হে ছুমামা! তোমার কাছে কেমন মনে হচ্ছে? সে বলল, আমার কাছে তা-ই মনে হচ্ছে, যা আমি পূর্বেই বলেছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা ছুমামার বন্ধন খুলে দাও।
এবার (মুক্তি পেয়ে) ছুমামা মসজিদে নববীর নিকটস্থ একটি খেজুরের বাগানে গেল এবং গোসল করল। এরপর ফিরে এসে মসজিদে নববীতে প্রবেশ করে বলল, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। (তিনি আরো বললেন) ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর কসম, ইতিপূর্বে আমার কাছে যমীনের বুকে আপনার চেহারার চাইতে অধিক অপছন্দনীয় আর কোন চেহারা ছিলো না। কিন্তু এখন আপনার চেহারাই আমার কাছে সকল চেহারা অপেক্ষা অধিক প্রিয়। আল্লাহর কসম, আমার কাছে আপনার দ্বীন অপেক্ষা অধিক ঘৃণ্য অপর কোন দ্বীন ছিলো না। কিন্তু এখন আপনার দ্বীনই আমার কাছে অধিক সমাদৃত। আল্লাহর কসম, আমার মনে আপনার শহরের চেয়ে বেশী খারাপ শহর অন্য কোনটি ছিলো না। কিন্তু এখন আপনার শহরটিই আমার কাছে সবচেয়ে বেশী প্রিয়।
আপনার অশ্বারোহী সৈনিকগণ আমাকে ধরে এনেছে, সে সময় আমি উমরার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে ছিলাম। তাই এখন আপনি আমাকে কি কাজ করার হুকুম করেন? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে (দুনিয়া ও আখিরাতের) সু-সংবাদ প্রদান করলেন এবং উমরা আদায়ের জন্য নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি যখন মক্কায় আসলেন তখন জনৈক ব্যক্তি তাঁকে বলল, তুমি নাকি নিজের দ্বীন ছেড়ে দিয়ে অন্য দ্বীন গ্রহণ করেছ? তিনি উত্তর করলেন, না, (বেদ্বীন হইনি, কুফর, শিরক তো কোন দ্বীনই নয়) বরং আমি রাসূল (ﷺ) এর কাছে ইসলাম গ্রহণ করেছি। আর আল্লাহর কসম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর বিনা অনুমতিতে তোমাদের কাছে ইয়ামামা থেকে গমের একটি দানাও আসবে না।
بَابُ وَفْدِ بَنِي حَنِيفَةَ، وَحَدِيثِ ثُمَامَةَ بْنِ أُثَالٍ
4372 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْلًا قِبَلَ نَجْدٍ، فَجَاءَتْ بِرَجُلٍ مِنْ بَنِي حَنِيفَةَ يُقَالُ لَهُ ثُمَامَةُ بْنُ أُثَالٍ، فَرَبَطُوهُ بِسَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي المَسْجِدِ، فَخَرَجَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ؟» فَقَالَ: عِنْدِي خَيْرٌ يَا مُحَمَّدُ، إِنْ تَقْتُلْنِي تَقْتُلْ ذَا دَمٍ، وَإِنْ تُنْعِمْ تُنْعِمْ عَلَى شَاكِرٍ، وَإِنْ كُنْتَ تُرِيدُ المَالَ فَسَلْ مِنْهُ مَا شِئْتَ، فَتُرِكَ حَتَّى كَانَ الغَدُ، ثُمَّ قَالَ لَهُ: «مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ؟» قَالَ: مَا قُلْتُ لَكَ: إِنْ تُنْعِمْ تُنْعِمْ عَلَى شَاكِرٍ، فَتَرَكَهُ حَتَّى كَانَ بَعْدَ الغَدِ، فَقَالَ: «مَا عِنْدَكَ يَا ثُمَامَةُ؟» فَقَالَ: عِنْدِي مَا قُلْتُ لَكَ، فَقَالَ: «أَطْلِقُوا ثُمَامَةَ» فَانْطَلَقَ إِلَى نَجْلٍ قَرِيبٍ مِنَ المَسْجِدِ، فَاغْتَسَلَ ثُمَّ دَخَلَ المَسْجِدَ، فَقَالَ: أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، يَا مُحَمَّدُ، وَاللَّهِ مَا كَانَ عَلَى الأَرْضِ وَجْهٌ أَبْغَضَ إِلَيَّ مِنْ وَجْهِكَ، فَقَدْ أَصْبَحَ وَجْهُكَ أَحَبَّ الوُجُوهِ إِلَيَّ، وَاللَّهِ مَا كَانَ مِنْ دِينٍ أَبْغَضَ إِلَيَّ مِنْ دِينِكَ، فَأَصْبَحَ دِينُكَ أَحَبَّ الدِّينِ إِلَيَّ، وَاللَّهِ مَا كَانَ مِنْ بَلَدٍ أَبْغَضُ إِلَيَّ مِنْ بَلَدِكَ، فَأَصْبَحَ بَلَدُكَ أَحَبَّ البِلاَدِ إِلَيَّ، وَإِنَّ خَيْلَكَ أَخَذَتْنِي وَأَنَا أُرِيدُ العُمْرَةَ، فَمَاذَا تَرَى؟ فَبَشَّرَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَمَرَهُ أَنْ يَعْتَمِرَ، فَلَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ قَالَ لَهُ قَائِلٌ: صَبَوْتَ، قَالَ: لاَ، وَلَكِنْ أَسْلَمْتُ مَعَ مُحَمَّدٍ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَلاَ وَاللَّهِ، لاَ يَأْتِيكُمْ مِنَ اليَمَامَةِ حَبَّةُ حِنْطَةٍ، حَتَّى يَأْذَنَ فِيهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ৪০৩৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৭৩
২২৩৪. বনু হানীফার প্রতিনিধি দল এবং ছুমামা ইবনে উসাল (রাযিঃ)- এর ঘটনা
৪০৩৪। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর যুগে একবার মিথ্যুক মুসাইলামা (মদীনায়) এসেছিল। সে বলতে লাগল, মুহাম্মাদ (ﷺ) যদি আমাকে তাঁর পরবর্তীতে (স্থলাভিষিক্ত) নিয়োগ করে যায়, তা হলে আমি তাঁর অনুগত হয়ে যাবো। সে তার গোত্রের বহু লোকজনসহ এসেছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাবিত ইবনে কায়স ইবনে শাম্মাসকে সাথে নিয়ে তার দিকে অগ্রসর হলেন। সে সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর হাতে ছিল একটি খেজুরের ডাল। মুসাইলামা তার সাথীদের মধ্যে ছিল, এমতাবস্থায় তিনি তার কাছে গিয়ে পৌঁছলেন। তিনি বললেন, যদি তুমি আমার কাছে এ তুচ্ছ ডালটিও চাও, তবে এটিও আমি তোমাকে দেব না। তোমার ব্যাপারে আল্লাহর ফায়সালা লংঘিত হতে পারে না। যদি তুমি আমার আনুগত্য থেকে পৃষ্ঠপ্রদর্শন কর, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ্ তোমাকে ধ্বংস করে দিবেন। আমি তোমাকে ঠিক তেমনই দেখতে পাচ্ছি, যেমনটি আমাকে (স্বপ্নযোগে) দেখানো হয়েছে। এই সাবিত আমার পক্ষ থেকে তোমাকে জবাব দেবে।
এরপর তিনি তার কাছ থেকে চলে আসলেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর উক্তি “আমি তোমাকে তেমনই দেখতে পাচ্ছি যেমনটি আমাকে দেখানো হয়েছিল” সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আমাকে জানালেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, একদিন আমি ঘুমাচ্ছিলাম, তখন স্বপ্নে দেখলাম, আমার দু’হাতে স্বর্ণের দু’টি খাড়ু /চুড়ি। খাড়ু / চুড়ি দু’টি আমাকে ঘাবড়িয়ে দিল (পুরুষের জন্য স্বর্ণের খাড়ু অবৈধ) তখন ঘুমের মধ্যেই আমার প্রতি নির্দেশ দেয়া হল, চুড়ি দু’টির উপর ফুঁ দাও। আমি সে দু’টির উপর ফুঁ দিলে তা উড়ে গেল। এরপর আমি এর ব্যাখ্যা করেছি দু’জন মিথ্যাবাদী (নবী) বলে যারা আমার পরে বের হবে। এদের একজন আনসী আর অপরজন মুসাইলামা।
بَابُ وَفْدِ بَنِي حَنِيفَةَ، وَحَدِيثِ ثُمَامَةَ بْنِ أُثَالٍ
4373 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَدِمَ مُسَيْلِمَةُ الكَذَّابُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجَعَلَ يَقُولُ: إِنْ جَعَلَ لِي مُحَمَّدٌ الأَمْرَ مِنْ بَعْدِهِ تَبِعْتُهُ، وَقَدِمَهَا فِي بَشَرٍ كَثِيرٍ مِنْ قَوْمِهِ، فَأَقْبَلَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَهُ ثَابِتُ بْنُ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ، وَفِي يَدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِطْعَةُ جَرِيدٍ، حَتَّى وَقَفَ عَلَى مُسَيْلِمَةَ فِي أَصْحَابِهِ، فَقَالَ: «لَوْ سَأَلْتَنِي هَذِهِ القِطْعَةَ مَا أَعْطَيْتُكَهَا، وَلَنْ تَعْدُوَ أَمْرَ اللَّهِ فِيكَ، وَلَئِنْ أَدْبَرْتَ لَيَعْقِرَنَّكَ اللَّهُ، وَإِنِّي لَأَرَاكَ الَّذِي أُرِيتُ فِيهِ، مَا رَأَيْتُ، وَهَذَا ثَابِتٌ يُجِيبُكَ عَنِّي» ثُمَّ انْصَرَفَ عَنْهُ، قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَسَأَلْتُ عَنْ قَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّكَ أُرَى الَّذِي أُرِيتُ فِيهِ مَا أَرَيْتُ» ، فَأَخْبَرَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ، رَأَيْتُ فِي يَدَيَّ سِوَارَيْنِ مِنْ ذَهَبٍ، فَأَهَمَّنِي شَأْنُهُمَا، فَأُوحِيَ إِلَيَّ فِي المَنَامِ: أَنِ انْفُخْهُمَا، فَنَفَخْتُهُمَا فَطَارَا، فَأَوَّلْتُهُمَا كَذَّابَيْنِ يَخْرُجَانِ بَعْدِي " أَحَدُهُمَا العَنْسِيُّ، وَالآخَرُ مُسَيْلِمَةُ
হাদীস নং: ৪০৩৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৭৪
২২৩৪. বনু হানীফার প্রতিনিধি দল এবং ছুমামা ইবনে উসাল (রাযিঃ)- এর ঘটনা
৪০৩৫। ইসহাক ইবনে নাসর (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি ঘুমাচ্ছিলাম এমতাবস্থায় (স্বপ্নে) আমার নিকট যমীনের সমুদয় সম্পদ উপস্থাপন করা হল এবং আমার হাতে দু’টি সোনার খাড়ু / চুড়ি রাখা হল। ফলে আমার মনে ব্যাপারটি গুরুতর অনুভূত হলে আমাকে ওহীর মাধ্যমে জানানো হল যে, এগুলোর উপর ফুঁ দাও। আমি ফুঁ দিলাম, খাড়ু দু’টি উধাও হয়ে গেল। এরপর আমি এ দু’টির ব্যাখ্যা করলাম যে, এরা সেই দু’ মিথ্যাবাদী (নবী দাবীকারী) যাদের মাঝখানে আমি অবস্থান করছি। অর্থাৎ সানআ শহরের অধিবাসী (আসওয়াদ আনসী) এবং ইয়ামামা শহরের অধিবাসী (মুসাইলামাতুল কাযযাব)।
بَابُ وَفْدِ بَنِي حَنِيفَةَ، وَحَدِيثِ ثُمَامَةَ بْنِ أُثَالٍ
4374 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا [ص:171] عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِخَزَائِنِ الأَرْضِ، فَوُضِعَ فِي كَفِّي سِوَارَانِ مِنْ ذَهَبٍ، فَكَبُرَا عَلَيَّ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيَّ أَنِ انْفُخْهُمَا، فَنَفَخْتُهُمَا فَذَهَبَا، فَأَوَّلْتُهُمَا الكَذَّابَيْنِ اللَّذَيْنِ أَنَا بَيْنَهُمَا، صَاحِبَ صَنْعَاءَ، وَصَاحِبَ اليَمَامَةِ»
হাদীস নং: ৪০৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৭৬ - ৪৩৭৭
২২৩৪. বনু হানীফার প্রতিনিধি দল এবং ছুমামা ইবনে উসাল (রাযিঃ)- এর ঘটনা
৪০৩৬। সালত ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু রাজা উতারিদী (রাহঃ) বলেন যে, (ইসলাম গ্রহণ করার পূর্বে) আমরা একটি পাথরের পূজা করতাম। যখন এ অপেক্ষা উত্তম কোন পাথর পেতাম তখন এটিকে নিক্ষেপ করে দিয়ে অপরটির পূজা আরম্ভ করতাম আর কখনো যদি আমরা কোন পাথর না পেতাম তা হলে কিছু মাটি একত্রিত করে স্তুপ বানিয়ে নিতাম। তারপর একটি বকরী এনে সেই স্তুপের উপর দোহন করতাম (যেনো কৃত্রিমভাবে তা পাথরের মতো দেখায়) তারপর এর চারপাশে তাওয়াফ করতাম। আর রজব মাস আসলে আমরা বলতাম, এটা তীর থেকে ফলা বিচ্ছিন্ন করার মাস। কাজেই আমরা রজব মাসে তীক্ষ্ণতাযুক্ত সব ক’টি তীর ও বর্শা থেকে এর তীক্ষ্ণ অংশ খুলে আলাদা করে দিতাম।
রাবী (মাহদী) (রাহঃ) বলেন, আমি আবু রাজা (রাহঃ)- কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নবুয়ত প্রাপ্তিকালে আমি ছিলাম অল্পবয়স্ক বালক। আমি আমাদের উট চড়াতাম। তারপর যখন আমরা শুনলাম যে, তিনি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] নিজের কওমের উপর অভিযান চালিয়েছেন (এবং মক্কা জয় করে ফেলছেন) তখন আমরা পালিয়ে এলাম জাহান্নামের দিকে অর্থাৎ মিথ্যাবাদী (নবী দাবীকারী) মুসাইলামার দিকে।
بَابُ وَفْدِ بَنِي حَنِيفَةَ، وَحَدِيثِ ثُمَامَةَ بْنِ أُثَالٍ
حَدَّثَنَا الصَّلْتُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ سَمِعْتُ مَهْدِيَّ بْنَ مَيْمُونٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ الْعُطَارِدِيَّ، يَقُولُ كُنَّا نَعْبُدُ الْحَجَرَ، فَإِذَا وَجَدْنَا حَجَرًا هُوَ أَخْيَرُ مِنْهُ أَلْقَيْنَاهُ وَأَخَذْنَا الآخَرَ، فَإِذَا لَمْ نَجِدْ حَجَرًا جَمَعْنَا جُثْوَةً مِنْ تُرَابٍ، ثُمَّ جِئْنَا بِالشَّاةِ فَحَلَبْنَاهُ عَلَيْهِ، ثُمَّ طُفْنَا بِهِ، فَإِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَجَبٍ قُلْنَا مُنَصِّلُ الأَسِنَّةِ. فَلاَ نَدَعُ رُمْحًا فِيهِ حَدِيدَةٌ وَلاَ سَهْمًا فِيهِ حَدِيدَةٌ إِلاَّ نَزَعْنَاهُ وَأَلْقَيْنَاهُ شَهْرَ رَجَبٍ.
وَسَمِعْتُ أَبَا رَجَاءٍ، يَقُولُ كُنْتُ يَوْمَ بُعِثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم غُلاَمًا أَرْعَى الإِبِلَ عَلَى أَهْلِي، فَلَمَّا سَمِعْنَا بِخُرُوجِهِ فَرَرْنَا إِلَى النَّارِ إِلَى مُسَيْلِمَةَ الْكَذَّابِ.
tahqiq

তাহকীক: