আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ৩৯৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮০
২২১২. মক্কা বিজয়ের দিন নবী কারীম (ﷺ) কোথায় ঝাণ্ডা স্থাপন করেছিলেন
৩৯৫২। উবাইদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... হিশামের পিতা [উরওয়া ইবনে যুবায়র (রহঃ)] থেকে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) (মক্কা অভিমুখে) রওয়ানা করেছেন। এ সংবাদ কুরাইশদের কাছে পৌঁছলে আবু সুফিয়ান ইবনে হারব, হাকীম ইবনে হিযাম এবং বুদায়ল ইবনে ওয়ারক রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য বেরিয়ে এলো। তারা রাতের বেলা সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে (মক্কার অদুরে) মাররুয জাহরান নামক স্থান পর্যন্ত এসে পৌঁছলে আরাফার ময়দানে প্রজ্বলিত আলোর মত অসংখ্য আগুন দেখতে পেল। আবু সুফিয়ান (আশ্চর্যান্বিত হয়ে) বলে উঠল, এ সব কিসের আলো? ঠিক যেন আরাফার ময়দানে প্রজ্বলিত আলোর মত (অসংখ্য বিস্তৃত)। বুদায়ল ইবনে ওয়ারকা উত্তরে বললেন, এগুলো আমর গোত্রের (চুলার) আলো। আবু সুফিয়ান বলল, আমর গোত্রের লোক সংখ্যা এ অপেক্ষা অনেক কম।
ইত্যবসরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কয়েকজন সামরিক প্রহরী তাদেরকে দেখে ফেলল এবং কাছে গিয়ে তাদেরকে পাকড়াও করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে নিয়ে এলো। এ সময় আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ করল। এরপর তিনি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] যখন (সেনাবাহিনী সহ মক্কা নগরীর দিকে) রওয়ানা হলেন তখন আব্বাস (রাযিঃ)- কে বললেন, আবু সুফিয়ানকে পথের একটি সংকীর্ণ জায়গায় (পাহাড়ের কোণে) দাঁড় করাবে, যেন সে মুসলমানদের সমগ্র সেনাদলটি দেখতে পায়। তাই আব্বাস (রাযিঃ) তাকে যথাস্থানে থামিয়ে রাখলেন। আর নবী কারীম (ﷺ)- এর সাথে আগমনকারী বিভিন্ন গোত্রের লোকজন আলাদা আলাদাভাবে খণ্ডদল হয়ে আবু সুফিয়ানের সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করে যেতে লাগল।
প্রথমে একটি দল অতিক্রম করে গেল। আবু সুফিয়ান বললেন, হে আব্বাস (রাযিঃ), এরা কারা? আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, এরা গিফার গোত্রের লোক। আবু সুফিয়ান বললেন, আমার এবং গিফার গোত্রের মধ্যে কোন যুদ্ধ-বিগ্রহ ছিল না। এরপর জুহায়না গোত্রের লোকেরা অতিক্রম করে গেলেন, আবু সুফিয়ান অনুরূপ বললেন। তারপর সা‘দ ইবনে হুযায়ম গোত্র অতিক্রম করল, তখনো আবু সুফিয়ান অনুরূপ বললেন। তারপর সুলায়ম গোত্র অতিক্রম করলেও আবু সুফিয়ান অনুরূপ বললেন। অবশেষে একটি বিরাট বাহিনী তার সামনে এলো যে, এত বিরাট বাহিনী এ সময় তিনি আর দেখেননি। তাই (আশ্চর্য হয়ে) জিজ্ঞাসা করলেন, এরা কারা? আব্বাস (রাযিঃ) উত্তর দিলেন, এরাই (মদীনার) আনসারবৃন্দ। সা‘দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) তাঁদের দলপতি। তাঁর হাতেই রয়েছে তাঁদের পতাকা। (অতিক্রমকালে) সা‘দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) বললেন, হে আবু সুফিয়ান! আজকের দিন রক্তপাতের দিন, আজকের দিন কা‘বার অভ্যন্তরে রক্তপাত হালাল হওয়ার দিন। আবু সুফিয়ান বললেন, হে আব্বাস! আজ হারাম ও তার অধিবাসীদের প্রতি তোমাদের করুণা প্রদর্শনেরও কত উত্তম দিন।
তারপর আরেকটি সেনাদল আসল। সংখ্যাগত দিক থেকে এটি ছিল সবচেয়ে ছোট দল। আর এদের মধ্যেই ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ। যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাযিঃ)- এর হাতে ছিল নবী কারীম (ﷺ)- এর ঝাণ্ডা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন আবু সুফিয়ানের সামনে দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, তখন আবু সুফিয়ান বললেন, সা‘দ ইবনে উবাদা কি বলছে আপনি তা কি জানেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে কি বলেছে? আবু সুফিয়ান বললেন, সে এ রকম এ রকম বলেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সা‘দ ঠিক বলেনি বরং আজ এমন একটি দিন যে দিন আল্লাহ্ কা‘বাকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। আজকের দিনে কা‘বাকে গিলাফে আচ্ছাদিত করা হবে।
বর্ণনাকারী বলেন, (মক্কা নগরীতে পৌঁছে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাজুন নামক স্থানে তাঁর পতাকা স্থাপনের নির্দেশ দেন। বর্ণনাকারী উরওয়া, নাফি, জুবাইর ইবনে মুতঈম আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ)- কে (মক্কা বিজয়ের পর একদা) বললেন, হে আবু আব্দুল্লাহ? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে এ জায়গায়ই পতাকা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। উরওয়া (রহঃ) আরো বলেন, সে দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খালিদ ইবনে ওয়ালীদকে মক্কার উঁচু এলাকা কাঁধার দিক থেকে প্রবেশ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর নবী কারীম (ﷺ) (নিম্ন এলাকা) কুদার দিক থেকে প্রবেশ করেছিলেন। সেদিন খালিদ ইবনে ওয়ালীদের অশ্বারোহী সৈন্যদের মধ্য থেকে হুবায়শ ইবনুল আশআর এবং করয ইবনে জাবির ফিহরী (রাযিঃ)-এ দু’জন শহীদ হয়েছিলেন।
ইত্যবসরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কয়েকজন সামরিক প্রহরী তাদেরকে দেখে ফেলল এবং কাছে গিয়ে তাদেরকে পাকড়াও করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে নিয়ে এলো। এ সময় আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ করল। এরপর তিনি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] যখন (সেনাবাহিনী সহ মক্কা নগরীর দিকে) রওয়ানা হলেন তখন আব্বাস (রাযিঃ)- কে বললেন, আবু সুফিয়ানকে পথের একটি সংকীর্ণ জায়গায় (পাহাড়ের কোণে) দাঁড় করাবে, যেন সে মুসলমানদের সমগ্র সেনাদলটি দেখতে পায়। তাই আব্বাস (রাযিঃ) তাকে যথাস্থানে থামিয়ে রাখলেন। আর নবী কারীম (ﷺ)- এর সাথে আগমনকারী বিভিন্ন গোত্রের লোকজন আলাদা আলাদাভাবে খণ্ডদল হয়ে আবু সুফিয়ানের সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করে যেতে লাগল।
প্রথমে একটি দল অতিক্রম করে গেল। আবু সুফিয়ান বললেন, হে আব্বাস (রাযিঃ), এরা কারা? আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, এরা গিফার গোত্রের লোক। আবু সুফিয়ান বললেন, আমার এবং গিফার গোত্রের মধ্যে কোন যুদ্ধ-বিগ্রহ ছিল না। এরপর জুহায়না গোত্রের লোকেরা অতিক্রম করে গেলেন, আবু সুফিয়ান অনুরূপ বললেন। তারপর সা‘দ ইবনে হুযায়ম গোত্র অতিক্রম করল, তখনো আবু সুফিয়ান অনুরূপ বললেন। তারপর সুলায়ম গোত্র অতিক্রম করলেও আবু সুফিয়ান অনুরূপ বললেন। অবশেষে একটি বিরাট বাহিনী তার সামনে এলো যে, এত বিরাট বাহিনী এ সময় তিনি আর দেখেননি। তাই (আশ্চর্য হয়ে) জিজ্ঞাসা করলেন, এরা কারা? আব্বাস (রাযিঃ) উত্তর দিলেন, এরাই (মদীনার) আনসারবৃন্দ। সা‘দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) তাঁদের দলপতি। তাঁর হাতেই রয়েছে তাঁদের পতাকা। (অতিক্রমকালে) সা‘দ ইবনে উবাদা (রাযিঃ) বললেন, হে আবু সুফিয়ান! আজকের দিন রক্তপাতের দিন, আজকের দিন কা‘বার অভ্যন্তরে রক্তপাত হালাল হওয়ার দিন। আবু সুফিয়ান বললেন, হে আব্বাস! আজ হারাম ও তার অধিবাসীদের প্রতি তোমাদের করুণা প্রদর্শনেরও কত উত্তম দিন।
তারপর আরেকটি সেনাদল আসল। সংখ্যাগত দিক থেকে এটি ছিল সবচেয়ে ছোট দল। আর এদের মধ্যেই ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ। যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাযিঃ)- এর হাতে ছিল নবী কারীম (ﷺ)- এর ঝাণ্ডা। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন আবু সুফিয়ানের সামনে দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, তখন আবু সুফিয়ান বললেন, সা‘দ ইবনে উবাদা কি বলছে আপনি তা কি জানেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে কি বলেছে? আবু সুফিয়ান বললেন, সে এ রকম এ রকম বলেছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সা‘দ ঠিক বলেনি বরং আজ এমন একটি দিন যে দিন আল্লাহ্ কা‘বাকে মর্যাদায় সমুন্নত করবেন। আজকের দিনে কা‘বাকে গিলাফে আচ্ছাদিত করা হবে।
বর্ণনাকারী বলেন, (মক্কা নগরীতে পৌঁছে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হাজুন নামক স্থানে তাঁর পতাকা স্থাপনের নির্দেশ দেন। বর্ণনাকারী উরওয়া, নাফি, জুবাইর ইবনে মুতঈম আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ)- কে (মক্কা বিজয়ের পর একদা) বললেন, হে আবু আব্দুল্লাহ? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আপনাকে এ জায়গায়ই পতাকা স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। উরওয়া (রহঃ) আরো বলেন, সে দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খালিদ ইবনে ওয়ালীদকে মক্কার উঁচু এলাকা কাঁধার দিক থেকে প্রবেশ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর নবী কারীম (ﷺ) (নিম্ন এলাকা) কুদার দিক থেকে প্রবেশ করেছিলেন। সেদিন খালিদ ইবনে ওয়ালীদের অশ্বারোহী সৈন্যদের মধ্য থেকে হুবায়শ ইবনুল আশআর এবং করয ইবনে জাবির ফিহরী (রাযিঃ)-এ দু’জন শহীদ হয়েছিলেন।
باب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ
4280 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: لَمَّا سَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الفَتْحِ، فَبَلَغَ ذَلِكَ قُرَيْشًا، خَرَجَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، وَحَكِيمُ بْنُ حِزَامٍ، وَبُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ، يَلْتَمِسُونَ الخَبَرَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَقْبَلُوا يَسِيرُونَ حَتَّى أَتَوْا مَرَّ الظَّهْرَانِ، فَإِذَا هُمْ بِنِيرَانٍ كَأَنَّهَا نِيرَانُ عَرَفَةَ، فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: مَا هَذِهِ، لَكَأَنَّهَا نِيرَانُ عَرَفَةَ؟ فَقَالَ بُدَيْلُ بْنُ وَرْقَاءَ: نِيرَانُ بَنِي عَمْرٍو، فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: عَمْرٌو أَقَلُّ مِنْ ذَلِكَ، فَرَآهُمْ نَاسٌ مِنْ حَرَسِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَدْرَكُوهُمْ فَأَخَذُوهُمْ، فَأَتَوْا بِهِمْ [ص:147] رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمَ أَبُو سُفْيَانَ، فَلَمَّا سَارَ قَالَ لِلْعَبَّاسِ: «احْبِسْ أَبَا سُفْيَانَ عِنْدَ حَطْمِ الخَيْلِ، حَتَّى يَنْظُرَ إِلَى المُسْلِمِينَ» . فَحَبَسَهُ العَبَّاسُ، فَجَعَلَتِ القَبَائِلُ تَمُرُّ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَمُرُّ كَتِيبَةً كَتِيبَةً عَلَى أَبِي سُفْيَانَ، فَمَرَّتْ كَتِيبَةٌ، قَالَ: يَا عَبَّاسُ مَنْ هَذِهِ؟ قَالَ: هَذِهِ غِفَارُ، قَالَ: مَا لِي وَلِغِفَارَ، ثُمَّ مَرَّتْ جُهَيْنَةُ، قَالَ مِثْلَ ذَلِكَ، ثُمَّ مَرَّتْ سَعْدُ بْنُ هُذَيْمٍ فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ، وَمَرَّتْ سُلَيْمُ، فَقَالَ مِثْلَ ذَلِكَ، حَتَّى أَقْبَلَتْ كَتِيبَةٌ لَمْ يَرَ مِثْلَهَا، قَالَ: مَنْ هَذِهِ؟ قَالَ: هَؤُلاَءِ الأَنْصَارُ، عَلَيْهِمْ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ مَعَهُ الرَّايَةُ، فَقَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ: يَا أَبَا سُفْيَانَ، اليَوْمَ يَوْمُ المَلْحَمَةِ، اليَوْمَ تُسْتَحَلُّ الكَعْبَةُ، فَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: يَا عَبَّاسُ حَبَّذَا يَوْمُ الذِّمَارِ، ثُمَّ جَاءَتْ كَتِيبَةٌ، وَهِيَ أَقَلُّ الكَتَائِبِ، فِيهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ، وَرَايَةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَ الزُّبَيْرِ بْنِ العَوَّامِ، فَلَمَّا مَرَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَبِي سُفْيَانَ قَالَ: أَلَمْ تَعْلَمْ مَا قَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ؟ قَالَ: «مَا قَالَ؟» قَالَ: كَذَا وَكَذَا، فَقَالَ: «كَذَبَ سَعْدٌ، وَلَكِنْ هَذَا يَوْمٌ يُعَظِّمُ اللَّهُ فِيهِ الكَعْبَةَ، وَيَوْمٌ تُكْسَى فِيهِ الكَعْبَةُ» قَالَ: وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُرْكَزَ رَايَتُهُ بِالحَجُونِ قَالَ عُرْوَةُ، وَأَخْبَرَنِي نَافِعُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، قَالَ: سَمِعْتُ العَبَّاسَ، يَقُولُ لِلزُّبَيْرِ بْنِ العَوَّامِ: يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ هَا هُنَا أَمَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تَرْكُزَ الرَّايَةَ، قَالَ: " وَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ خَالِدَ بْنَ الوَلِيدِ أَنْ يَدْخُلَ مِنْ أَعْلَى مَكَّةَ مِنْ كَدَاءٍ، وَدَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ كُدَا، فَقُتِلَ مِنْ خَيْلِ خَالِدِ بْنِ الوَلِيدِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَوْمَئِذٍ رَجُلاَنِ: حُبَيْشُ بْنُ الأَشْعَرِ، وَكُرْزُ بْنُ جابِرٍ الفِهْرِيُّ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৯৫৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮১
২২১২. মক্কা বিজয়ের দিন নবী কারীম (ﷺ) কোথায় ঝাণ্ডা স্থাপন করেছিলেন
৩৯৫৩। আবুল ওয়ালীদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে তাঁর উটনীর উপর দেখেছি, তিনি ‘তারজী’ করে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করছেন। বর্ণনাকারী মু‘আবিয়া ইবনে কুররা (রাহঃ) বলেন, যদি আমার চতুষ্পার্শ্বে লোকজন জমায়েত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকত, তা হলে আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর তিলাওয়াত বর্ণনা করতে যেভাবে তারজী করেছিলেন আমিও ঠিক সে রকমে তারজী করে তিলাওয়াত করতাম।
باب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ
4281 - حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُغَفَّلٍ، يَقُولُ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ فَتْحِ مَكَّةَ عَلَى نَاقَتِهِ، وَهُوَ يَقْرَأُ سُورَةَ الفَتْحِ يُرَجِّعُ» . وَقَالَ: لَوْلاَ أَنْ يَجْتَمِعَ النَّاسُ حَوْلِي لَرَجَّعْتُ كَمَا رَجَّعَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮২ - ৪২৮৩
২২১২. মক্কা বিজয়ের দিন নবী কারীম (ﷺ) কোথায় ঝাণ্ডা স্থাপন করেছিলেন
৩৯৫৪। সুলাইমান ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) .... উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি মক্কা বিজয়ের কালে [বিজয়ের একদিন পূর্বে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে] বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আগামীকাল আপনি কোথায় অবস্থান করবেন? নবী কারীম (ﷺ) বললেন, আকীল কী আমাদের জন্য কোন বাড়ি অবশিষ্ট রেখে গিয়েছে? এরপর তিনি বললেন, মুমিন ব্যক্তি কাফেরের ওয়ারিশ হয় না, আর কাফেরও মু’মিন ব্যক্তির ওয়ারিশ হয় না।*
(পরবর্তীকালে) যুহরী (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, আবু তালিবের ওয়ারিশ কে হয়েছিল? তিনি বলেছেন, আকীল এবং তালিব তার ওয়ারিশ হয়েছিল। মামার (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আপনি আগামীকাল কোথায় অবস্থান করবেন কথাটি (উসামা ইবনে যায়দ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে তার হজ্জের সফরে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। কিন্তু ইউনূস (রাহঃ) তাঁর হাদীসে মক্কা বিজয়ের সময় বা হজ্জের সফর কোনটিরই উল্লেখ করেননি।*
* আবু তালিবের মৃত্যুকালে তার পুত্র আকীল কাফের অবস্থায় ছিল। এ দিকে আবু তালিবেরও ঈমান গ্রহণের সৌভাগ্য হয়নি। এ জন্য আকীল তার উত্তরাধিকার লাভ করেছিলেন আর আলী এবং জা‘ফর মুসলিম হওয়ার কারণে তাঁরা উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছেন। কিন্তু আকীল পরবর্তীকালে সমুদয় সম্পদ জমি-জমা বিক্রয় করে ফেলে এবং মুসলিম হয়ে যায়। এ জন্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উপরোক্ত উক্তি করেছেন।
(পরবর্তীকালে) যুহরী (রাহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, আবু তালিবের ওয়ারিশ কে হয়েছিল? তিনি বলেছেন, আকীল এবং তালিব তার ওয়ারিশ হয়েছিল। মামার (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, আপনি আগামীকাল কোথায় অবস্থান করবেন কথাটি (উসামা ইবনে যায়দ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে তার হজ্জের সফরে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। কিন্তু ইউনূস (রাহঃ) তাঁর হাদীসে মক্কা বিজয়ের সময় বা হজ্জের সফর কোনটিরই উল্লেখ করেননি।*
* আবু তালিবের মৃত্যুকালে তার পুত্র আকীল কাফের অবস্থায় ছিল। এ দিকে আবু তালিবেরও ঈমান গ্রহণের সৌভাগ্য হয়নি। এ জন্য আকীল তার উত্তরাধিকার লাভ করেছিলেন আর আলী এবং জা‘ফর মুসলিম হওয়ার কারণে তাঁরা উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছেন। কিন্তু আকীল পরবর্তীকালে সমুদয় সম্পদ জমি-জমা বিক্রয় করে ফেলে এবং মুসলিম হয়ে যায়। এ জন্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উপরোক্ত উক্তি করেছেন।
باب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سَعْدَانُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، أَنَّهُ قَالَ زَمَنَ الْفَتْحِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيْنَ تَنْزِلُ غَدًا قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " وَهَلْ تَرَكَ لَنَا عَقِيلٌ مِنْ مَنْزِلٍ ". ثُمَّ قَالَ " لاَ يَرِثُ الْمُؤْمِنُ الْكَافِرَ، وَلاَ يَرِثُ الْكَافِرُ الْمُؤْمِنَ ". قِيلَ لِلزُّهْرِيِّ وَمَنْ وَرِثَ أَبَا طَالِبٍ قَالَ وَرِثَهُ عَقِيلٌ وَطَالِبٌ. قَالَ مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ أَيْنَ تَنْزِلُ غَدًا. فِي حَجَّتِهِ، وَلَمْ يَقُلْ يُونُسُ حَجَّتِهِ وَلاَ زَمَنَ الْفَتْحِ.

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৪
২২১২. মক্কা বিজয়ের দিন নবী কারীম (ﷺ) কোথায় ঝাণ্ডা স্থাপন করেছিলেন
৩৯৫৫। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (মক্কা বিজয়ের পূর্বে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ্ আমাদেরকে বিজয় দান করলে ইনশাআল্লাহ্ ‘খাইফ’ হবে আমাদের অবস্থানস্থল, যেখানে কাফেররা কুফরীর উপর পরস্পরে শপথ গ্রহণ করেছিল।*
* হিজরতের পূর্বে একবার কাফেররা সম্মিলিতভাবে নবী কারীম (ﷺ)-এর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ‘খাইফ’ নামক স্থানে একত্রিত হয়েছিল এবং তারা নবী কারীম (ﷺ), বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিবকে মক্কা থেকে বহিস্কার করে খাইফ এলাকায় নির্বাসন দেয়ার ফয়সালা করেছিল। পরিশেষে সকলে এ ফয়সালা মুতাবিক কাজ করে যাবে এ কথার উপর তারা পরস্পর শপথ করে একটি চুক্তিনামাও স্বাক্ষর করেছিলেন। এটাই খাইফের দস্তাবেজ নামে প্রসিদ্ধ। নবী কারীম (ﷺ) এদিকেই ইশারা করেছিলেন।
* হিজরতের পূর্বে একবার কাফেররা সম্মিলিতভাবে নবী কারীম (ﷺ)-এর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ‘খাইফ’ নামক স্থানে একত্রিত হয়েছিল এবং তারা নবী কারীম (ﷺ), বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিবকে মক্কা থেকে বহিস্কার করে খাইফ এলাকায় নির্বাসন দেয়ার ফয়সালা করেছিল। পরিশেষে সকলে এ ফয়সালা মুতাবিক কাজ করে যাবে এ কথার উপর তারা পরস্পর শপথ করে একটি চুক্তিনামাও স্বাক্ষর করেছিলেন। এটাই খাইফের দস্তাবেজ নামে প্রসিদ্ধ। নবী কারীম (ﷺ) এদিকেই ইশারা করেছিলেন।
باب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ
4284 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، حَدَّثَنَا [ص:148] شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْزِلُنَا - إِنْ شَاءَ اللَّهُ، إِذَا فَتَحَ اللَّهُ - الخَيْفُ حَيْثُ تَقَاسَمُوا عَلَى الكُفْرِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৫
২২১২. মক্কা বিজয়ের দিন নবী কারীম (ﷺ) কোথায় ঝাণ্ডা স্থাপন করেছিলেন
৩৯৫৬। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হুনায়নের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে বললেন, বনী কিনানার খাইফ নামক স্থানেই হবে আমাদের আগামী কালের অবস্থানস্থল, যেখানে কাফেররা কুফরের উপর পরস্পর শপথ গ্রহণ করেছিল।
باب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ
4285 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَرَادَ حُنَيْنًا: «مَنْزِلُنَا غَدًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ، بِخَيْفِ بَنِي كِنَانَةَ، حَيْثُ تَقَاسَمُوا عَلَى الكُفْرِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৬
২২১২. মক্কা বিজয়ের দিন নবী কারীম (ﷺ) কোথায় ঝাণ্ডা স্থাপন করেছিলেন
৩৯৫৭। ইয়াহয়া ইবনে কাযাআ (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের দিন নবী কারীম (ﷺ) মাথায় লোহার টুপি পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেছেন। তিনি সবেমাত্র টুপি খুলেছেন এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলল, ইবনে খাতাল কা‘বার গিলাফ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তাকে হত্যা কর।* ইমাম মালিক (রাহঃ) বলেছেন, আমাদের ধারণামতে সেদিন নবী কারীম (ﷺ) ইহরাম অবস্থায় ছিলেন না। তবে আল্লাহ্ আমাদের চেয়ে ভাল জানেন।
* জাহিলীয়্যাতের যুগে ইবনে খাতালের নাম ছিল আব্দুল উযযা। সে কুফর ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে আবার মুরতাদ হয়ে যায় এবং অন্যায়ভাবে একজন মুসলিমকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তার দু’টি গায়িকা বাদী ছিল, এদের মাধ্যমে সে নবী কারীম (ﷺ) এবং মুসলিমদের কুৎসাজনিত গান শুনিয়ে মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়াত। এ জন্যই নবী কারীম (ﷺ) যখন মক্কা জয় করেন তখন তিনি তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। ফলে যমযম ও মাকামে ইবরাহীমের মধ্যবর্তী স্থানে তাকে হত্যা করা হয়। আর গায়িকা বাদীদ্বয়ের মধ্যে একজনকে নবী কারীম (ﷺ)-এর আদেশে হত্যা করা হয়েছিল। অপরজন ইসলাম গ্রহণের কারণে মুক্তি পেয়েছিল।
* জাহিলীয়্যাতের যুগে ইবনে খাতালের নাম ছিল আব্দুল উযযা। সে কুফর ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে আবার মুরতাদ হয়ে যায় এবং অন্যায়ভাবে একজন মুসলিমকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। তার দু’টি গায়িকা বাদী ছিল, এদের মাধ্যমে সে নবী কারীম (ﷺ) এবং মুসলিমদের কুৎসাজনিত গান শুনিয়ে মানুষের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়াত। এ জন্যই নবী কারীম (ﷺ) যখন মক্কা জয় করেন তখন তিনি তাকে হত্যার নির্দেশ দেন। ফলে যমযম ও মাকামে ইবরাহীমের মধ্যবর্তী স্থানে তাকে হত্যা করা হয়। আর গায়িকা বাদীদ্বয়ের মধ্যে একজনকে নবী কারীম (ﷺ)-এর আদেশে হত্যা করা হয়েছিল। অপরজন ইসলাম গ্রহণের কারণে মুক্তি পেয়েছিল।
باب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ
4286 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " دَخَلَ مَكَّةَ يَوْمَ الفَتْحِ وَعَلَى رَأْسِهِ المِغْفَرُ، فَلَمَّا نَزَعَهُ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ: ابْنُ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الكَعْبَةِ، فَقَالَ: «اقْتُلْهُ» ، قَالَ مَالِكٌ: «وَلَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا نُرَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ يَوْمَئِذٍ مُحْرِمًا»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৭
২২১২. মক্কা বিজয়ের দিন নবী কারীম (ﷺ) কোথায় ঝাণ্ডা স্থাপন করেছিলেন
৩৯৫৮। সাদ্কা ইবনে ফযল (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ [ইবনে মাসউদ (রাযিঃ)] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন নবী কারীম (ﷺ) মক্কায় প্রবেশ করলেন, তখন বায়তুল্লাহর চারপাশ ঘিরে তিনশত ষাটটি প্রতিমা স্থাপিত ছিল। তিনি হাতে একটি লাঠি নিয়ে (বায়তুল্লাহর অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেন এবং) প্রতিমাগুলোকে আঘাত করতে থাকলেন আর (মুখে) বলতে থাকলেন, হক এসেছে, বাতিল অপসৃত হয়েছে। হক এসেছে বাতিলের আর উদ্ভব ও পুনরুদ্ভব ঘটবে না।
باب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ
4287 - حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الفَضْلِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ يَوْمَ الفَتْحِ، وَحَوْلَ البَيْتِ سِتُّونَ وَثَلاَثُ مِائَةِ نُصُبٍ فَجَعَلَ يَطْعُنُهَا بِعُودٍ فِي يَدِهِ، وَيَقُولُ: «جَاءَ الحَقُّ وَزَهَقَ البَاطِلُ، جَاءَ الحَقُّ وَمَا يُبْدِئُ البَاطِلُ وَمَا يُعِيدُ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৯৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৮৮
২২১২. মক্কা বিজয়ের দিন নবী কারীম (ﷺ) কোথায় ঝাণ্ডা স্থাপন করেছিলেন
৩৯৫৯। ইসহাক (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কায় আগমন করার পর তৎক্ষণাৎ বায়তুল্লাহর অভ্যন্তরে প্রবেশ করা থেকে বিরত রইলেন, কারণ সে সময় বায়তুল্লাহর অভ্যন্তরে অনেক প্রতিমা স্থাপিত ছিল। তিনি এগুলোকে বের করে ফেলার জন্য আদেশ দিলেন। প্রতিমাগুলো বের করা হল। তখন (ঐগুলোর সাথে) ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আলাইহিমুস সালাম)- এর মূর্তিও বেরিয়ে আসল। তাদের উভয়ের হাতে ছিল মুশরিকদের ভাগ্য নির্ণয়ের কয়েকটি তীর।
তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, আল্লাহ্ তাদেরকে ধ্বংস করুক। তারা অবশ্যই জানত যে, ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) ও ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) কখনো তীর দিয়ে ভাগ্য নির্ণয়ের কাজ করেননি। এরপর তিনি বায়তুল্লাহর ভিতরে প্রবেশ করলেন। আর প্রত্যেক কোণায় কোণায় গিয়ে আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিলেন এবং বেরিয়ে আসলেন। আর সেখানে নামায আদায় করেননি। মা‘মার (রাহঃ) আইয়্যুব (রাহঃ) সূত্রে এবং ওহায়ব (রাহঃ) আইয়্যুব (রাহঃ)-এর মাধ্যমে ইকরিমা (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, আল্লাহ্ তাদেরকে ধ্বংস করুক। তারা অবশ্যই জানত যে, ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) ও ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম) কখনো তীর দিয়ে ভাগ্য নির্ণয়ের কাজ করেননি। এরপর তিনি বায়তুল্লাহর ভিতরে প্রবেশ করলেন। আর প্রত্যেক কোণায় কোণায় গিয়ে আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিলেন এবং বেরিয়ে আসলেন। আর সেখানে নামায আদায় করেননি। মা‘মার (রাহঃ) আইয়্যুব (রাহঃ) সূত্রে এবং ওহায়ব (রাহঃ) আইয়্যুব (রাহঃ)-এর মাধ্যমে ইকরিমা (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب أَيْنَ رَكَزَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَّايَةَ يَوْمَ الْفَتْحِ
4288 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا قَدِمَ مَكَّةَ، أَبَى أَنْ يَدْخُلَ البَيْتَ وَفِيهِ الآلِهَةُ، فَأَمَرَ بِهَا فَأُخْرِجَتْ، فَأُخْرِجَ صُورَةُ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ فِي أَيْدِيهِمَا مِنَ الأَزْلاَمِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قَاتَلَهُمُ اللَّهُ، لَقَدْ عَلِمُوا: مَا اسْتَقْسَمَا بِهَا قَطُّ "، ثُمَّ دَخَلَ البَيْتَ، فَكَبَّرَ فِي نَوَاحِي البَيْتِ، وَخَرَجَ وَلَمْ يُصَلِّ فِيهِ تَابَعَهُ مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، وَقَالَ: وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

তাহকীক: