আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৮৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৯৪
২২০১. যাতুল কারাদের যুদ্ধ। খায়বার যুদ্ধের তিনদিন পূর্বে মুশরিকরা নবী কারীম (ﷺ)- এর দুগ্ধবতী উটগুলো লুট করে নেয়ার সময়ে এ যুদ্ধটি সংগঠিত হয়েছে
৩৮৮০। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... সালামা ইবনে আকওয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একদা) আমি ফজরের নামাযের আযানের পূর্বে (মদীনার বাইরে মাঠের দিকে) বের হলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর দুগ্ধবতী উটগুলোকে যি-কারাদ নামক স্থানে চরানো হতো। সালামা (রাযিঃ) বলেন, তখন আমার সাথে আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ)- এর গোলামের সাক্ষাত হল। সে বলল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর দুগ্ধবতী উটগুলো লুণ্ঠিত হয়েছে।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কে ওগুলো লুণ্ঠন করেছে? সে বলল, গাতফানের লোকজন। তিনি বলেন, তখন আমি ইয়া সাবাহা বলে তিনবার উচ্চস্বরে চিৎকার দিলাম। আর মদীনার উভয় পর্বতের মধ্যবর্তী সকল অধিবাসীর কানে আমার এ চিৎকার শুনিয়ে দিলাম। তারপর দ্রুতপদে সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে তাদের (শত্রুদের) কাছে পৌঁছে গেলাম। এ সময় তাঁরা উটগুলোকে পানি পান করাতে আরম্ভ করেছিল।
আমি ছিলাম একজন দক্ষ তীরন্দাজ, তাই তখন তাদের দিকে তীর নিক্ষেপ করছিলাম আর বলছিলাম, আমি হলাম আকওয়া এর পুত্র, আজকের দিনটি তোদের সবচেয়ে নিকৃষ্ট। এভাবে শেষ পর্যন্ত আমি তাদের কাছ থেকে উটগুলোকে কেড়ে নিলাম এবং সে সঙ্গে তাদের ত্রিশখানা চাঁদরও কেড়ে নিলাম। তিনি বলেন, এরপর নবী কারীম (ﷺ) ও অন্যান্য লোক সেখানে পৌঁছলে আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! কাফেলাটি পিপাসার্ত ছিলো, আমি তাদেরকে পানি পান করতেও দেইনি।
আপনি এখনই এদের পিছু ধাওয়া করার জন্য সৈন্য প্রেরণ করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে ইবনুল আকওয়া! তুমি (তাদেরকে তাড়িয়ে দিতে) সক্ষম হয়েছ, এখন একটু শান্ত হও। সালামা (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমরা (মদীনার দিকে) ফিরে আসলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে তাঁর উটনীর পেছনে বসালেন এবং এ অবস্থায় আমরা মদীনায় প্রবেশ করলাম।
باب غَزْوَةُ ذَاتِ الْقَرَدِ وَهِيَ الغَزْوَةُ الَّتِي أَغَارُوا عَلَى لِقَاحِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ خَيْبَرَ بِثَلاَثٍ
4194 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ سَلَمَةَ بْنَ الأَكْوَعِ، يَقُولُ: خَرَجْتُ قَبْلَ أَنْ يُؤَذَّنَ بِالأُولَى، وَكَانَتْ لِقَاحُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَرْعَى بِذِي قَرَدَ، قَالَ: فَلَقِيَنِي غُلاَمٌ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، فَقَالَ: أُخِذَتْ لِقَاحُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قُلْتُ: مَنْ أَخَذَهَا؟ قَالَ: غَطَفَانُ، قَالَ: فَصَرَخْتُ ثَلاَثَ صَرَخَاتٍ يَا صَبَاحَاهْ، قَالَ فَأَسْمَعْتُ مَا بَيْنَ لاَبَتَيِ المَدِينَةِ، ثُمَّ انْدَفَعْتُ عَلَى وَجْهِي حَتَّى أَدْرَكْتُهُمْ، وَقَدْ أَخَذُوا يَسْتَقُونَ مِنَ المَاءِ، فَجَعَلْتُ أَرْمِيهِمْ بِنَبْلِي، وَكُنْتُ رَامِيًا، وَأَقُولُ
أَنَا ابْنُ الأَكْوَعْ ... وَاليَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ
وَأَرْتَجِزُ، حَتَّى اسْتَنْقَذْتُ اللِّقَاحَ مِنْهُمْ، وَاسْتَلَبْتُ مِنْهُمْ ثَلاَثِينَ بُرْدَةً، قَالَ: وَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالنَّاسُ، فَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، قَدْ حَمَيْتُ القَوْمَ المَاءَ وَهُمْ عِطَاشٌ، فَابْعَثْ إِلَيْهِمُ السَّاعَةَ، فَقَالَ: «يَا ابْنَ الأَكْوَعِ، مَلَكْتَ فَأَسْجِحْ» قَالَ: ثُمَّ رَجَعْنَا وَيُرْدِفُنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى نَاقَتِهِ حَتَّى دَخَلْنَا المَدِينَةَ