আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ৩৮৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩৮
২১৯৬. বনু মুসতালিকের যুদ্ধ। বনু মুসতালিক খুযা‘আর একটি শাখা গোত্র। এ যুদ্ধ কে মুরায়সীর যুদ্ধও বলা হয়। ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বলেছেন, এ যুদ্ধ ৬ষ্ঠ হিজরী সনে সংঘটিত হয়েছে। মুসা ইবনে উকবা (রাহঃ) বলেছেন, ৪র্থ হিজরী সনে। নুমান ইবনে রাশিদ (রাহঃ) যুহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইফকের ঘটনা মুরায়সীর যুদ্ধে সংঘটিত হয়েছিল।
৩৮৩২। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... ইবনে মুহায়রীয (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি মসজিদে প্রবেশ করে আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ)- কে দেখতে পেয়ে তার কাছে গিয়ে বসলাম এবং তাকে আযল* সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে বনু মুসতালিকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। এ যুদ্ধে আরবের বহু বন্দী আমাদের হস্তগত হয়। মহিলাদের প্রতি আমাদের মনে খায়েশ হল এবং বিবাহ-শাদী ব্যতীত এবং স্ত্রীহীন আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ালো। তাই আমরা আযল করা পছন্দ করলাম এবং তা করার মনস্থ করলাম। তখন আমরা বলাবলি করতে লাগলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মাঝে বিদ্যমান। এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা না করেই আমরা আযল করতে যাচ্ছি। আমরা তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এরূপ না করলে তোমাদের ক্ষতি কি? জেনে রাখ, কিয়ামত পর্যন্ত যতগুলো প্রাণের আগমন ঘটবার আছে, ততগুলোর আগমন ঘটবেই।
*আযল হল স্ত্রী সঙ্গমকালে বীর্যপাতের ঠিক পূর্বমুহূর্তে স্ত্রীর যোনি থেকে পুরুষাঙ্গ বের করে এনে বাইরে বীর্যপাত ঘটানো। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে বাঁদী-দাসী-এর সাথে তার অনুমতি ব্যতিরেকেই এ কাজ জায়েয। তবে আযাদ স্ত্রীর সাথে এ কাজ করতে হলে তার অনুমতি প্রয়োজন। অনুমতি ব্যতীত বৈধ নয়।
*আযল হল স্ত্রী সঙ্গমকালে বীর্যপাতের ঠিক পূর্বমুহূর্তে স্ত্রীর যোনি থেকে পুরুষাঙ্গ বের করে এনে বাইরে বীর্যপাত ঘটানো। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ)-এর মতে বাঁদী-দাসী-এর সাথে তার অনুমতি ব্যতিরেকেই এ কাজ জায়েয। তবে আযাদ স্ত্রীর সাথে এ কাজ করতে হলে তার অনুমতি প্রয়োজন। অনুমতি ব্যতীত বৈধ নয়।
باب غَزْوَةُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ مِنْ خُزَاعَةَ وَهْىَ غَزْوَةُ الْمُرَيْسِيعِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَذَلِكَ سَنَةَ سِتٍّ. وَقَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: سَنَةَ أَرْبَعٍ. وَقَالَ النُّعْمَانُ بْنُ رَاشِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ: كَانَ حَدِيثُ الإِفْكِ فِي غَزْوَةِ الْمُرَيْسِيعِ
4138 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، أَنَّهُ قَالَ: دَخَلْتُ المَسْجِدَ، فَرَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ الخُدْرِيَّ فَجَلَسْتُ إِلَيْهِ، فَسَأَلْتُهُ عَنِ العَزْلِ، قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ بَنِي المُصْطَلِقِ، فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ العَرَبِ، فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ، وَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا العُزْبَةُ وَأَحْبَبْنَا العَزْلَ، فَأَرَدْنَا أَنْ نَعْزِلَ، وَقُلْنَا نَعْزِلُ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ أَظْهُرِنَا قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ [ص:116]، فَسَأَلْنَاهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: «مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا، مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ القِيَامَةِ إِلَّا وَهِيَ كَائِنَةٌ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৮৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৩৯
২১৯৬. বনু মুসতালিকের যুদ্ধ।
৩৮৩৩। মাহমুদ (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাজদের যুদ্ধে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছি। কাঁটা গাছে ভরা উপত্যকায় প্রচণ্ড গরম লাগলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি গাছের নীচে অবতরণ করে তার ছায়ায় আশ্রয় নিলেন এবং তরবারিখানা (গাছের সাথে) ঝুলিয়ে রাখলেন। সাহাবীগণ সকলেই গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লেন। আমরা এ অবস্থায় ছিলাম, হঠাৎ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে ডাকলেন।
আমরা তাঁর নিকটে গিয়ে দেখলাম, এক বেদুঈন তাঁর সামনে বসে আছে। তিনি বললেন, আমি ঘুমিয়েছিলাম। এমন সময় সে আমার কাছে এসে আমার তরবারিখানা নিয়ে উঁচিয়ে ধরল। ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমি দেখলাম, সে মুক্ত কৃপাণ হস্তে আমার মাথার কাছে দাঁড়িয়ে বলছে, এখন তোমাকে আমার থেকে কে রক্ষা করবে? আমি বললাম, আল্লাহ। ফলে সে তরবারিখানা খাপে ঢুকিয়ে বসে যায়। সে তো এ-ই ব্যক্তি। বর্ণনাকারী জাবির (রাযিঃ) বলেন, (এ ধরণের অপরাধ করা সত্ত্বেও) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে কোনো প্রকার শাস্তি প্রদান করেননি।
আমরা তাঁর নিকটে গিয়ে দেখলাম, এক বেদুঈন তাঁর সামনে বসে আছে। তিনি বললেন, আমি ঘুমিয়েছিলাম। এমন সময় সে আমার কাছে এসে আমার তরবারিখানা নিয়ে উঁচিয়ে ধরল। ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমি দেখলাম, সে মুক্ত কৃপাণ হস্তে আমার মাথার কাছে দাঁড়িয়ে বলছে, এখন তোমাকে আমার থেকে কে রক্ষা করবে? আমি বললাম, আল্লাহ। ফলে সে তরবারিখানা খাপে ঢুকিয়ে বসে যায়। সে তো এ-ই ব্যক্তি। বর্ণনাকারী জাবির (রাযিঃ) বলেন, (এ ধরণের অপরাধ করা সত্ত্বেও) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে কোনো প্রকার শাস্তি প্রদান করেননি।
باب غَزْوَةُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ
4139 - حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: غَزَوْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ نَجْدٍ، فَلَمَّا أَدْرَكَتْهُ القَائِلَةُ، وَهُوَ فِي وَادٍ كَثِيرِ العِضَاهِ، فَنَزَلَ تَحْتَ شَجَرَةٍ وَاسْتَظَلَّ بِهَا وَعَلَّقَ سَيْفَهُ، فَتَفَرَّقَ النَّاسُ فِي الشَّجَرِ يَسْتَظِلُّونَ، وَبَيْنَا نَحْنُ كَذَلِكَ إِذْ دَعَانَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَجِئْنَا، فَإِذَا أَعْرَابِيٌّ قَاعِدٌ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: " إِنَّ هَذَا أَتَانِي وَأَنَا نَائِمٌ، فَاخْتَرَطَ سَيْفِي، فَاسْتَيْقَظْتُ وَهُوَ قَائِمٌ عَلَى رَأْسِي، مُخْتَرِطٌ صَلْتًا، قَالَ: مَنْ يَمْنَعُكَ مِنِّي؟ قُلْتُ: اللَّهُ، فَشَامَهُ ثُمَّ قَعَدَ، فَهُوَ هَذَا " قَالَ: وَلَمْ يُعَاقِبْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ