আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৬ টি
হাদীস নং: ৩৭৩৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪০২৯
২১৭৬. দুই ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর বনু নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (রাহঃ) উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনু নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনু নাযীর যুদ্ধের এ ঘটনাকে ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বিরে মাউনার ঘটনা ও উহুদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
৩৭৩৬। হাসান ইবনে মুদরিক (রাহঃ) .... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাসের নিকট সূরা হাশরকে সূরা হাশর বলে উল্লেখ করলে তিনি আমাকে বললেন, বরং তুমি বলবে “সূরা নাযীর”। আবু বিশর থেকে হুশাইমও এ বর্ণনায় তার (আবু আওয়ানা-এর) অনুসরণ করেছেন।
باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ
4029 - حَدَّثَنِي الحَسَنُ بْنُ مُدْرِكٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: سُورَةُ الحَشْرِ، قَالَ: «قُلْ سُورَةُ النَّضِيرِ» تَابَعَهُ هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৭৩৭
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৩০
২১৭৬. দুই ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর বনু নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (রাহঃ) উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনু নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনু নাযীর যুদ্ধের এ ঘটনাকে ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বিরে মাউনার ঘটনা ও উহুদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
৩৭৩৭। আব্দুল্লাহ ইবনে আবুল আসওয়াদ (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনসারগণ কিছু কিছু খেজুর গাছ নবী কারীম (ﷺ)- এর জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন। অবশেষে বনু কুরায়যা ও বনু নাযীর বিজিত হওয়ার পর তিনি ঐ খেজুর গাছগুলো তাদেরকে ফেরত দিয়ে দেন।
باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ
4030 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «كَانَ الرَّجُلُ يَجْعَلُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّخَلاَتِ، حَتَّى افْتَتَحَ قُرَيْظَةَ، وَالنَّضِيرَ، فَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ يَرُدُّ عَلَيْهِمْ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭৩৮
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৩১
২১৭৬. দুই ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর বনু নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (রাহঃ) উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনু নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনু নাযীর যুদ্ধের এ ঘটনাকে ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বিরে মাউনার ঘটনা ও উহুদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
৩৭৩৮। আদম (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বুওয়াইরা নামক স্থানে বনু নাযীর গোত্রের যে খেজুর গাছ ছিল তা কিছু জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন এবং কিছু কেটে ফেলেছিলেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ তোমরা যে খেজুর গাছগুলি কেটে ফেলেছ অথবা যেগুলো কান্ডের উপর স্থির রেখে দিয়েছ, তা তো আল্লাহরই অনুমতিক্রমে (হাশর ৫৯ঃ ৫)।
باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ
4031 - حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «حَرَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَعَ، وَهِيَ البُوَيْرَةُ» فَنَزَلَتْ: {مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ اللَّهِ} [الحشر: 5]

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৩২
২১৭৬. দুই ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর বনু নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (রাহঃ) উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনু নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনু নাযীর যুদ্ধের এ ঘটনাকে ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বিরে মাউনার ঘটনা ও উহুদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
৩৭৩৯ ইসহাক (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (ﷺ) বনু নাযীর গোত্রের খেজুর গাছগুলো জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, এ সম্বন্ধেই হাসসান ইবনে সাবিত (রাযিঃ) বলেছেনঃ “বনু লুওয়াই গোত্রের নেতাদের (কুরাইশদের) জন্য সহজ হয়ে গিয়েছে বুওয়াইরা নামক স্থানের সর্বত্রই অগ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত হওয়া।” বর্ণনাকারী ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, এর উত্তরে আবু সুফিয়ান ইবনে হারিস বলেছিল, “আল্লাহ এ কাজকে স্থায়ী করুন এবং জ্বালিয়ে রাখুন মদীনার আশে পাশে লেলিহান আগুন, অচিরেই জানবে আমাদের মাঝে কারা নিরাপদ থাকবে এবং জানবে দুই নগরীর কোনটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ
4032 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا حَبَّانُ، أَخْبَرَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: حَرَّقَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ " قَالَ: وَلَهَا يَقُولُ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ:
[البحر الوافر]
وَهَانَ عَلَى سَرَاةِ بَنِي لُؤَيٍّ ... حَرِيقٌ بِالْبُوَيْرَةِ مُسْتَطِيرُ
قَالَ: فَأَجَابَهُ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ الحَارِثِ
[البحر الوافر]
أَدَامَ اللَّهُ ذَلِكَ مِنْ صَنِيعٍ ... وَحَرَّقَ فِي نَوَاحِيهَا السَّعِيرُ،
سَتَعْلَمُ أَيُّنَا مِنْهَا بِنُزْهٍ ... وَتَعْلَمُ أَيُّ أَرْضَيْنَا تَضِيرُ
[البحر الوافر]
وَهَانَ عَلَى سَرَاةِ بَنِي لُؤَيٍّ ... حَرِيقٌ بِالْبُوَيْرَةِ مُسْتَطِيرُ
قَالَ: فَأَجَابَهُ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ الحَارِثِ
[البحر الوافر]
أَدَامَ اللَّهُ ذَلِكَ مِنْ صَنِيعٍ ... وَحَرَّقَ فِي نَوَاحِيهَا السَّعِيرُ،
سَتَعْلَمُ أَيُّنَا مِنْهَا بِنُزْهٍ ... وَتَعْلَمُ أَيُّ أَرْضَيْنَا تَضِيرُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৩৩ - ৪০৩৪
২১৭৬. দুই ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর বনু নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (রাহঃ) উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনু নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনু নাযীর যুদ্ধের এ ঘটনাকে ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বিরে মাউনার ঘটনা ও উহুদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
৩৭৪০। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... মালিক ইবনে আওস ইবনে হাদসান নাসিরী (রাহঃ) বর্ণনা করেন যে, (একদা) উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) তাকে ডাকলেন। এসময় তার দ্বাররক্ষী ইয়ারফা এসে বলল, উসমান, আব্দুর রহমান, যুবাইর এবং সা‘দ (রাযিঃ) আপনার নিকট আসার অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ তাঁদেরকে আসতে বল। কিছুক্ষণ পরে এসে বলল, আব্বাস এবং আলী (রাযিঃ) আপনার নিকট অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তাঁরা উভয়েই ভিতরে প্রবেশ করলেন। আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, হে, আমীরুল মু’মিনীন! আমার এবং তাঁর মাঝে (চলমান বিবাদের) মীমাংসা করে দিন। বনু নাযীরের সম্পদ থেকে আল্লাহ তাঁর রাসূল (ﷺ)- কে ফাই (বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ) হিসাবে যা দিয়েছিলেন তা নিয়ে তাদের উভয়ের মাঝে বিবাদ চলছিল। এ নিয়ে তাঁরা তর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন, (এ দেখে আগত) দলের সকলেই বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! তাদের মাঝে একটি ফয়সালা করে তাদের পারস্পরিক এ বিবাদ থেকে অব্যাহতি দিন।
তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, তাড়াহুড়া করবেন না। আমি আপনাদেরকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি, যাঁর আদেশে আসমান ও যমীন স্থির আছে। আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের সম্বন্ধে বলেছেন, আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না। যা রেখে যাই তা সাদ্কা হিসাবেই গণ্য হয়। এর দ্বারা তিনি নিজের কথাই বললেন, উপস্থিত সকলেই বললেন, হ্যাঁ তিনি একথা বলেছেন। উমর (রাযিঃ) আলী এবং আব্বাসের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি আপনাদের উভয়কে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে একথা বলেছেন, আপনারা তা জানেন কি? তাঁরা উভয়েই বললেন, হ্যাঁ, এরপর তিনি (উমর) বললেন, এখন আমি আপনাদেরকে (উত্থাপিত) বিষয়টির প্রকৃত অবস্থা খুলে বলছি।
ফায় (বিনা যুদ্ধ লব্ধ সম্পদ)- এর কিছু অংশ আল্লাহ তাআলা তাঁর রাসূল (ﷺ)- এর জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, যা তিনি আর অন্য কাউকে দেননি। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ আল্লাহ ইয়াহুদীদের নিকট হতে তাঁর রাসূলকে যে ফায় দিয়েছেন, তাঁর জন্য তোমরা অশ্বে কিংবা উটে আরোহণ করে যুদ্ধ করনি; আল্লাহ তো তাঁর রাসূলকে যার উপর ইচ্ছা তার উপর কর্তৃত্ব দান করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (৬ঃ ৫৯) অতএব এ ফায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর জন্যই খাস ছিল। আল্লাহর কসম! এরপর তিনি তোমাদেরকে বাদ দিয়ে নিজের জন্য এ সম্পদকে সংরক্ষিতও রাখেন নি এবং নিজের জন্য নির্ধারিতও করে যান নি। বরং এ অর্থকে তিনি তোমাদের মাঝে বন্টন করে দিয়েছেন। অবশেষে এ মাল উদ্বৃত্ত আছে। এ মাল থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর পরিবার পরিজনের এক বছরের খোরপোশ দিতেন। এ থেকে যা অবশিষ্ট থাকত তা তিনি আল্লাহর পথে খরচ করে দিতেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর জীবদ্দশায় এ রূপই করেছেন। নবী কারীম (ﷺ)- এর ওফাতের পর আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, এখন থেকে আমিই হলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ওলী। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) তা স্বীয় তত্ত্বাবধানে নিয়ে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে নীতি অনুসরণ করেছিলেন তিনিও সে নীতিই অনুসরণ করে চললেন। তিনি আলী ও আব্বাসের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, আজ আপনারা যা বলেছেন এ বিষয়ে আপনারা আবু বকরের সাথেও এ ধরনেরই আলোচনা করেছিলেন। আল্লাহর কসম! তিনি জানেন, এ বিষয়ে আবু বকর (রাযিঃ) ছিলেন সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ এবং হকের অনুসারী এক মহান ব্যক্তিত্ব। এরপর আবু বকরের ইন্তিকাল হলে আমি বললাম, (আজ থেকে) আমিই হলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং আবু বকরের ওলী। এরপর এ সম্পদকে আমি আমার খিলাফতের দুই বছরকাল আমার তত্ত্বাবধানে রাখি এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবু বকরের অনুসৃত নীতিই আনুসরণ করে চলছি। আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন, এ বিষয়ে নিশ্চয়ই আমি সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ ও হকের একনিষ্ঠ অনুসারী।
তা সত্ত্বেও পুনরায় আপনারা দু’জনই আমার নিকট এসেছেন। আপনাদের কথাও এবং আপনাদের ব্যাপারটিও এক। আর আব্বাস আপনিও এখন এসেছেন। আমি আপনাদের উভয়কেই বলেছিলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী করি না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদ্কা হিসাবেই গণ্য হয়। এরপর এ সম্পদটি আপনাদের উভয়ের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার বিষয়টি যখন আমার নিকট স্পষ্ট হল তখন আমি বলেছিলাম, যদি আপনারা চান তাহলে একটি শর্তে তা আমি আপনাদের নিকট অর্পণ করব। শর্তটি হচ্ছে, আপনারা আল্লাহর নির্দেশ ও তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমনভাবে কাজ করবেন যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং আবু বকর করেছেন। আমার তত্ত্বাবধানে আসার পর আমি করেছি। অন্যথায় এ বিষয়ে আমার সাথে আর কোন আলোচনা করবেন না। তখন আপনারা বলেছিলেন, এ শর্তেই আপনি তা আমাদের নিকট অর্পণ করুন। আমি তা আপনাদের হাতে অর্পণ করেছি। এখন আপনারা আমার নিকট অন্য কোন ফয়সালা কামনা করেন কি? আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, যাঁর আদেশে আসমান যমীন স্থির আছে কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত আমি এর বাইরে অন্য কোন ফয়সালা দিতে পারব না। আপনারা যদি এ দায়িত্ব পালনে অক্ষম হয়ে থাকেন তাহলে আমার নিকট ফিরিয়ে দিন। আপনাদের এ দায়িত্ব পালনে আমিই যথেষ্ট।
বর্ণনাকারী (যুহরী) বলেন, আমি হাদীসটি উরওয়া ইবনে যুবাইরের নিকট বর্ণনা করার পর তিনি (আমাকে) বললেন, মালিক ইবনে আওস (রাযিঃ) ঠিকই বর্ণনা করেছেন। আমি নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ)- কে বলতে শুনেছি, (বনু নাযীর গোত্রের সম্পদ থেকে) ফায় হিসাবে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে যে সম্পদ দিয়েছেন তার অষ্টমাংশ আনার জন্য নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিণীগণ উসমানকে আবু বকরের নিকট পাঠালে (পাঠাতে ইচ্ছা করলে) এই বলে আমি তাদেরকে রাবণ করছিলাম যে, আপনারা কি আল্লাহকে ভয় করেন না? আপনারা কি জানেন না যে, নবী কারীম (ﷺ) বলতেন আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদ্কা হিসাবেই থেকে যায়। এ দ্বারা তিনি নিজেকে উদ্দেশ্য করেছেন। এ সম্পদ থেকে মুহাম্মাদ (ﷺ)- এর বংশধরগণ খেতে পারবেন। (তারা এ সম্পদের মালিক হতে পারবেন না।)
আমার এ কথা শুনে নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিণীগণ বিরত হলেন। বর্ণনাকারী (উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ)) বলেন, অবশেষে সাদ্কার এ মাল আলীর তত্ত্বাবধানে ছিল। তিনি আব্বাসকে তা দিতে অস্বীকার করেন এবং পরিশেষে (এ যমীনের ব্যাপারে) তিনি আব্বাসের উপর জয়ী হন। এরপর তা যথাক্রমে হাসান ইবনে আলী এবং হুসাইন ইবনে আলীর হাতে ছিল। পুনরায় তা আলী ইবনে হুসাইন এবং হাসান ইবনে হাসানের হস্তগত হয়। তাঁরা উভয়ই পর্যায়ক্রমে তার দেখা শোনা করতেন। এরপর তা যায়দ ইবনে হাসানের তত্ত্বাবধানে যায়। ইহা অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সদকা।
তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, তাড়াহুড়া করবেন না। আমি আপনাদেরকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি, যাঁর আদেশে আসমান ও যমীন স্থির আছে। আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের সম্বন্ধে বলেছেন, আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না। যা রেখে যাই তা সাদ্কা হিসাবেই গণ্য হয়। এর দ্বারা তিনি নিজের কথাই বললেন, উপস্থিত সকলেই বললেন, হ্যাঁ তিনি একথা বলেছেন। উমর (রাযিঃ) আলী এবং আব্বাসের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি আপনাদের উভয়কে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে একথা বলেছেন, আপনারা তা জানেন কি? তাঁরা উভয়েই বললেন, হ্যাঁ, এরপর তিনি (উমর) বললেন, এখন আমি আপনাদেরকে (উত্থাপিত) বিষয়টির প্রকৃত অবস্থা খুলে বলছি।
ফায় (বিনা যুদ্ধ লব্ধ সম্পদ)- এর কিছু অংশ আল্লাহ তাআলা তাঁর রাসূল (ﷺ)- এর জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, যা তিনি আর অন্য কাউকে দেননি। এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ আল্লাহ ইয়াহুদীদের নিকট হতে তাঁর রাসূলকে যে ফায় দিয়েছেন, তাঁর জন্য তোমরা অশ্বে কিংবা উটে আরোহণ করে যুদ্ধ করনি; আল্লাহ তো তাঁর রাসূলকে যার উপর ইচ্ছা তার উপর কর্তৃত্ব দান করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (৬ঃ ৫৯) অতএব এ ফায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর জন্যই খাস ছিল। আল্লাহর কসম! এরপর তিনি তোমাদেরকে বাদ দিয়ে নিজের জন্য এ সম্পদকে সংরক্ষিতও রাখেন নি এবং নিজের জন্য নির্ধারিতও করে যান নি। বরং এ অর্থকে তিনি তোমাদের মাঝে বন্টন করে দিয়েছেন। অবশেষে এ মাল উদ্বৃত্ত আছে। এ মাল থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর পরিবার পরিজনের এক বছরের খোরপোশ দিতেন। এ থেকে যা অবশিষ্ট থাকত তা তিনি আল্লাহর পথে খরচ করে দিতেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর জীবদ্দশায় এ রূপই করেছেন। নবী কারীম (ﷺ)- এর ওফাতের পর আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, এখন থেকে আমিই হলাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর ওলী। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) তা স্বীয় তত্ত্বাবধানে নিয়ে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যে নীতি অনুসরণ করেছিলেন তিনিও সে নীতিই অনুসরণ করে চললেন। তিনি আলী ও আব্বাসের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, আজ আপনারা যা বলেছেন এ বিষয়ে আপনারা আবু বকরের সাথেও এ ধরনেরই আলোচনা করেছিলেন। আল্লাহর কসম! তিনি জানেন, এ বিষয়ে আবু বকর (রাযিঃ) ছিলেন সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ এবং হকের অনুসারী এক মহান ব্যক্তিত্ব। এরপর আবু বকরের ইন্তিকাল হলে আমি বললাম, (আজ থেকে) আমিই হলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং আবু বকরের ওলী। এরপর এ সম্পদকে আমি আমার খিলাফতের দুই বছরকাল আমার তত্ত্বাবধানে রাখি এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবু বকরের অনুসৃত নীতিই আনুসরণ করে চলছি। আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন, এ বিষয়ে নিশ্চয়ই আমি সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ ও হকের একনিষ্ঠ অনুসারী।
তা সত্ত্বেও পুনরায় আপনারা দু’জনই আমার নিকট এসেছেন। আপনাদের কথাও এবং আপনাদের ব্যাপারটিও এক। আর আব্বাস আপনিও এখন এসেছেন। আমি আপনাদের উভয়কেই বলেছিলাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী করি না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদ্কা হিসাবেই গণ্য হয়। এরপর এ সম্পদটি আপনাদের উভয়ের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার বিষয়টি যখন আমার নিকট স্পষ্ট হল তখন আমি বলেছিলাম, যদি আপনারা চান তাহলে একটি শর্তে তা আমি আপনাদের নিকট অর্পণ করব। শর্তটি হচ্ছে, আপনারা আল্লাহর নির্দেশ ও তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমনভাবে কাজ করবেন যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং আবু বকর করেছেন। আমার তত্ত্বাবধানে আসার পর আমি করেছি। অন্যথায় এ বিষয়ে আমার সাথে আর কোন আলোচনা করবেন না। তখন আপনারা বলেছিলেন, এ শর্তেই আপনি তা আমাদের নিকট অর্পণ করুন। আমি তা আপনাদের হাতে অর্পণ করেছি। এখন আপনারা আমার নিকট অন্য কোন ফয়সালা কামনা করেন কি? আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, যাঁর আদেশে আসমান যমীন স্থির আছে কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত আমি এর বাইরে অন্য কোন ফয়সালা দিতে পারব না। আপনারা যদি এ দায়িত্ব পালনে অক্ষম হয়ে থাকেন তাহলে আমার নিকট ফিরিয়ে দিন। আপনাদের এ দায়িত্ব পালনে আমিই যথেষ্ট।
বর্ণনাকারী (যুহরী) বলেন, আমি হাদীসটি উরওয়া ইবনে যুবাইরের নিকট বর্ণনা করার পর তিনি (আমাকে) বললেন, মালিক ইবনে আওস (রাযিঃ) ঠিকই বর্ণনা করেছেন। আমি নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাযিঃ)- কে বলতে শুনেছি, (বনু নাযীর গোত্রের সম্পদ থেকে) ফায় হিসাবে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে যে সম্পদ দিয়েছেন তার অষ্টমাংশ আনার জন্য নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিণীগণ উসমানকে আবু বকরের নিকট পাঠালে (পাঠাতে ইচ্ছা করলে) এই বলে আমি তাদেরকে রাবণ করছিলাম যে, আপনারা কি আল্লাহকে ভয় করেন না? আপনারা কি জানেন না যে, নবী কারীম (ﷺ) বলতেন আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদ্কা হিসাবেই থেকে যায়। এ দ্বারা তিনি নিজেকে উদ্দেশ্য করেছেন। এ সম্পদ থেকে মুহাম্মাদ (ﷺ)- এর বংশধরগণ খেতে পারবেন। (তারা এ সম্পদের মালিক হতে পারবেন না।)
আমার এ কথা শুনে নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিণীগণ বিরত হলেন। বর্ণনাকারী (উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ)) বলেন, অবশেষে সাদ্কার এ মাল আলীর তত্ত্বাবধানে ছিল। তিনি আব্বাসকে তা দিতে অস্বীকার করেন এবং পরিশেষে (এ যমীনের ব্যাপারে) তিনি আব্বাসের উপর জয়ী হন। এরপর তা যথাক্রমে হাসান ইবনে আলী এবং হুসাইন ইবনে আলীর হাতে ছিল। পুনরায় তা আলী ইবনে হুসাইন এবং হাসান ইবনে হাসানের হস্তগত হয়। তাঁরা উভয়ই পর্যায়ক্রমে তার দেখা শোনা করতেন। এরপর তা যায়দ ইবনে হাসানের তত্ত্বাবধানে যায়। ইহা অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সদকা।
باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ النَّصْرِيُّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ دَعَاهُ إِذْ جَاءَهُ حَاجِبُهُ يَرْفَا فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَالزُّبَيْرِ وَسَعْدٍ يَسْتَأْذِنُونَ فَقَالَ نَعَمْ، فَأَدْخِلْهُمْ. فَلَبِثَ قَلِيلاً، ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عَبَّاسٍ وَعَلِيٍّ يَسْتَأْذِنَانِ قَالَ نَعَمْ. فَلَمَّا دَخَلاَ قَالَ عَبَّاسٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا، وَهُمَا يَخْتَصِمَانِ فِي الَّذِي أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَنِي النَّضِيرِ، فَاسْتَبَّ عَلِيٌّ وَعَبَّاسٌ، فَقَالَ الرَّهْطُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اقْضِ بَيْنَهُمَا وَأَرِحْ أَحَدَهُمَا مِنَ الآخَرِ. فَقَالَ عُمَرُ اتَّئِدُوا، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ، هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ". يُرِيدُ بِذَلِكَ نَفْسَهُ. قَالُوا قَدْ قَالَ ذَلِكَ. فَأَقْبَلَ عُمَرُ عَلَى عَبَّاسٍ وَعَلِيٍّ فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ قَالَ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ. قَالَ فَإِنِّي أُحَدِّثُكُمْ عَنْ هَذَا الأَمْرِ، إِنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ كَانَ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْفَىْءِ بِشَىْءٍ لَمْ يُعْطِهِ أَحَدًا غَيْرَهُ فَقَالَ جَلَّ ذِكْرُهُ (وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ) إِلَى قَوْلِهِ (قَدِيرٌ) فَكَانَتْ هَذِهِ خَالِصَةً لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، ثُمَّ وَاللَّهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ، وَلاَ اسْتَأْثَرَهَا عَلَيْكُمْ، لَقَدْ أَعْطَاكُمُوهَا وَقَسَمَهَا فِيكُمْ، حَتَّى بَقِيَ هَذَا الْمَالُ مِنْهَا، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَتِهِمْ مِنْ هَذَا الْمَالِ، ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ فَيَجْعَلُهُ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ، فَعَمِلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَيَاتَهُ، ثُمَّ تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَأَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم. فَقَبَضَهُ أَبُو بَكْرٍ، فَعَمِلَ فِيهِ بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ. فَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ وَقَالَ تَذْكُرَانِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ عَمِلَ فِيهِ كَمَا تَقُولاَنِ، وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُ فِيهِ لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ فَقُلْتُ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ. فَقَبَضْتُهُ سَنَتَيْنِ مِنْ إِمَارَتِي أَعْمَلُ فِيهِ بِمَا عَمِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ، وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنِّي فِيهِ صَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ، ثُمَّ جِئْتُمَانِي كِلاَكُمَا وَكَلِمَتُكُمَا وَاحِدَةٌ وَأَمْرُكُمَا جَمِيعٌ، فَجِئْتَنِي ـ يَعْنِي عَبَّاسًا ـ فَقُلْتُ لَكُمَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ". فَلَمَّا بَدَا لِي أَنْ أَدْفَعَهُ إِلَيْكُمَا قُلْتُ إِنْ شِئْتُمَا دَفَعْتُهُ إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ وَمِيثَاقَهُ لَتَعْمَلاَنِ فِيهِ بِمَا عَمِلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ، وَمَا عَمِلْتُ فِيهِ مُذْ وَلِيتُ، وَإِلاَّ فَلاَ تُكَلِّمَانِي، فَقُلْتُمَا ادْفَعْهُ إِلَيْنَا بِذَلِكَ. فَدَفَعْتُهُ إِلَيْكُمَا، أَفَتَلْتَمِسَانِ مِنِّي قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ فَوَاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ لاَ أَقْضِي فِيهِ بِقَضَاءٍ غَيْرِ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهُ، فَادْفَعَا إِلَىَّ فَأَنَا أَكْفِيكُمَاهُ. قَالَ فَحَدَّثْتُ هَذَا الْحَدِيثَ، عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ فَقَالَ صَدَقَ مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ، أَنَا سَمِعْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ أَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عُثْمَانَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ يَسْأَلْنَهُ ثُمُنَهُنَّ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم، فَكُنْتُ أَنَا أَرُدُّهُنَّ، فَقُلْتُ لَهُنَّ أَلاَ تَتَّقِينَ اللَّهَ، أَلَمْ تَعْلَمْنَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ " لاَ نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ـ يُرِيدُ بِذَلِكَ نَفْسَهُ ـ إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْمَالِ ". فَانْتَهَى أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى مَا أَخْبَرَتْهُنَّ. قَالَ فَكَانَتْ هَذِهِ الصَّدَقَةُ بِيَدِ عَلِيٍّ، مَنَعَهَا عَلِيٌّ عَبَّاسًا فَغَلَبَهُ عَلَيْهَا، ثُمَّ كَانَ بِيَدِ حَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، ثُمَّ بِيَدِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، ثُمَّ بِيَدِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ وَحَسَنِ بْنِ حَسَنٍ، كِلاَهُمَا كَانَا يَتَدَاوَلاَنِهَا، ثُمَّ بِيَدِ زَيْدِ بْنِ حَسَنٍ، وَهْىَ صَدَقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَقًّا.

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৩৫
২১৭৬. দুই ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর বনু নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (রাহঃ) উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনু নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনু নাযীর যুদ্ধের এ ঘটনাকে ইবনে ইসহাক (রাহঃ) বিরে মাউনার ঘটনা ও উহুদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
৩৭৪১। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, ফাতিমা এবং আব্বাস (রাযিঃ) আবু বকরের কাছে এসে ফাদাক এবং খায়বারের (ভূমির) অংশ দাবী করেন। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, আমরা (নবী-রাসূলগণ আমাদের সম্পদের) কাউকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে যাই না। আমরা যা রেখে যাই সাদ্কা হিসাবেই রেখে যাই। এ মাল থেকে মুহাম্মাদ (ﷺ)- এর পরিবার পরিজন ভোগ করবে। আল্লাহর কসম! আমার আত্মীয় স্বজনের সাথে আত্মীয়তা বন্ধনকে সুদৃঢ় করার চেয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর আত্মীয়তাই আমার নিকট অধিক প্রিয়।
باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ
4035 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ، وَالعَبَّاسَ، أَتَيَا أَبَا بَكْرٍ يَلْتَمِسَانِ مِيرَاثَهُمَا، أَرْضَهُ مِنْ فَدَكٍ، وَسَهْمَهُ مِنْ خَيْبَرَ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لاَ نُورَثُ مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ، إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ فِي هَذَا المَالِ» وَاللَّهِ لَقَرَابَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَبُّ إِلَيَّ أَنْ أَصِلَ مِنْ قَرَابَتِي

তাহকীক: