আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
হাদীস নং: ৩৬৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৮২
২১৭১. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মর্যাদা
৩৬৯৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলতেন, হারিসা (রাযিঃ) একজন নওজোয়ান লোক ছিলেন। বদর যুদ্ধে তিনি শাহাদত বরণ করার পর তার আম্মা নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! হারিসা আমার কত আদরের আপনি তো তা অবশ্যই জানেন। (বলুন) সে যদি জান্নাতী হয় তাহলে আমি ধৈর্য ধারণ করব এবং আল্লাহর নিকট সাওয়াবের আশা পোষণ করব। আর যদি এর অন্যথায় হয় তাহলে আপনি তো দেখতেই পাচ্ছেন, আমি (তার জন্য) যা করছি। তখন তিনি বললেন, তোমার কি হল, তুমি কি জ্ঞানশূন্য হয়ে গেলে? বেহেশত কি একটি? (না .... না) বেহেশত অনেকগুলি, সে তো জান্নাতুল ফিরদাউসে অবস্থান করছে।
باب فَضْلُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا
3982 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ حُمَيْدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: أُصِيبَ حَارِثَةُ يَوْمَ بَدْرٍ وَهُوَ غُلاَمٌ، فَجَاءَتْ أُمُّهُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ عَرَفْتَ مَنْزِلَةَ حَارِثَةَ مِنِّي، فَإِنْ يَكُنْ فِي الجَنَّةِ أَصْبِرْ وَأَحْتَسِبْ، وَإِنْ تَكُ الأُخْرَى تَرَى مَا أَصْنَعُ، فَقَالَ: «وَيْحَكِ، أَوَهَبِلْتِ، أَوَجَنَّةٌ وَاحِدَةٌ هِيَ، إِنَّهَا جِنَانٌ كَثِيرَةٌ، وَإِنَّهُ فِي جَنَّةِ الفِرْدَوْسِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৮৩
২১৭১. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মর্যাদা
৩৬৯৪। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু মারসাদ, যুবাইর ও আমাকে কোথাও পাঠিয়েছিলেন এবং আমরা সকলেই অশ্বারোহী। তিনি আমাদেরকে বললেন, তোমরা যাও। যেতে যেতে তোমরা ‘রাওযা খাখ’ নামক স্থানে পৌঁছে তথায় একজন স্ত্রীলোক দেখতে পাবে। তার নিকট (মক্কায়) মুরশিকদের কাছে লিখিত হাতিব ইবনে আবু বালতার একখানা পত্র আছে। (সে পত্রখানা ছিনিয়ে আনবে।) আলী (রাযিঃ) বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নির্দেশিত স্থানে গিয়ে তাকে ধরে ফেললাম। সে তখন স্বীয় একটি উটের উপর আরোহণ করে পথ অতিক্রম করছিল। আমরা তাকে বললাম, পত্রখানা আমাদের নিকট অর্পণ কর। সে বলল, আমার নিকট কোন পত্র নেই।
আমরা তখন তার উটটিকে বসিয়ে তার তল্লাশী নিলাম। কিন্তু পত্রখানা উদ্ধার করতে পারলাম না। আমরা বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিথ্যা বলেন নি। তোমাকে পত্রখানা বের করতেই হবে। নতুবা আমরা তোমাকে উলঙ্গ করে ছাড়ব। যখন (আমাদের) কঠোর মনোভাব লক্ষ্য করল তখন স্ত্রীলোকটি তার কোমরের পরিধেয় বস্ত্রের গিঁটে কাপড়ের পুঁটুলির মধ্য থেকে পত্রখানা বের করে দিল। আমরা তা নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকটে উপস্থিত হলাম (সব দেখে শুনে) উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং মু’মিনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকথা করেছে। আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দিই।
তখন নবী কারীম (ﷺ) (হাতিব ইবনে আবু বালতা (রাযিঃ)- কে ডেকে) বললেন, তোমাকে একাজ করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করল? হাতিব (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আল্লাহ ও তার রাসূল (ﷺ)- এর বিশ্বাসী নই, আমি এরূপ নই। বরং (এ কাজ করার পেছনে) আমার মূল উদ্দেশ্য হল (মক্কার শত্রু) কওমের প্রতি কিছু অনুগ্রহ করা যাতে আল্লাহ এ উসীলায় (তাদের অনিষ্ট থেকে) আমার মাল এবং পরিবার ও পরিজনকে রক্ষা করেন। আর আপনার সাহাবীদের সকলেরই কোন না কোন আত্মীয় সেখানে রয়েছে, যার দ্বারা আল্লাহ তার ধন-সম্পদ ও পরিবারবর্গকে রক্ষা করেছেন (এ কথা শুনে) নবী কারীম (ﷺ) বললেন, সে সত্যই বলেছে।
সুতরাং তোমরা তার ব্যাপারে ভাল ব্যতীত আর কিছু বলো না। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, সে তো আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকথা করেছে। সুতরাং আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দিই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে কি বদরী সাহাবী নয়? নিশ্চয়ই বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদেরকে দেখে শুনেই আল্লাহ বলেছেনঃ “তোমাদের যা ইচ্ছা কর” তোমাদের জন্য জান্নাত অবধারিত অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি। (এ কথা শুনে) উমর (রাযিঃ)- এর দু’চোখ তখন অশ্রু সজল হয়ে উঠল। তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সর্বাধিক জ্ঞাত।
আমরা তখন তার উটটিকে বসিয়ে তার তল্লাশী নিলাম। কিন্তু পত্রখানা উদ্ধার করতে পারলাম না। আমরা বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিথ্যা বলেন নি। তোমাকে পত্রখানা বের করতেই হবে। নতুবা আমরা তোমাকে উলঙ্গ করে ছাড়ব। যখন (আমাদের) কঠোর মনোভাব লক্ষ্য করল তখন স্ত্রীলোকটি তার কোমরের পরিধেয় বস্ত্রের গিঁটে কাপড়ের পুঁটুলির মধ্য থেকে পত্রখানা বের করে দিল। আমরা তা নিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকটে উপস্থিত হলাম (সব দেখে শুনে) উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে তো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং মু’মিনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকথা করেছে। আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দিই।
তখন নবী কারীম (ﷺ) (হাতিব ইবনে আবু বালতা (রাযিঃ)- কে ডেকে) বললেন, তোমাকে একাজ করতে কিসে উদ্বুদ্ধ করল? হাতিব (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আল্লাহ ও তার রাসূল (ﷺ)- এর বিশ্বাসী নই, আমি এরূপ নই। বরং (এ কাজ করার পেছনে) আমার মূল উদ্দেশ্য হল (মক্কার শত্রু) কওমের প্রতি কিছু অনুগ্রহ করা যাতে আল্লাহ এ উসীলায় (তাদের অনিষ্ট থেকে) আমার মাল এবং পরিবার ও পরিজনকে রক্ষা করেন। আর আপনার সাহাবীদের সকলেরই কোন না কোন আত্মীয় সেখানে রয়েছে, যার দ্বারা আল্লাহ তার ধন-সম্পদ ও পরিবারবর্গকে রক্ষা করেছেন (এ কথা শুনে) নবী কারীম (ﷺ) বললেন, সে সত্যই বলেছে।
সুতরাং তোমরা তার ব্যাপারে ভাল ব্যতীত আর কিছু বলো না। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, সে তো আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকথা করেছে। সুতরাং আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দিই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সে কি বদরী সাহাবী নয়? নিশ্চয়ই বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদেরকে দেখে শুনেই আল্লাহ বলেছেনঃ “তোমাদের যা ইচ্ছা কর” তোমাদের জন্য জান্নাত অবধারিত অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি। (এ কথা শুনে) উমর (রাযিঃ)- এর দু’চোখ তখন অশ্রু সজল হয়ে উঠল। তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সর্বাধিক জ্ঞাত।
باب فَضْلُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا
3983 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ: سَمِعْتُ حُصَيْنَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبَا مَرْثَدٍ الغَنَوِيَّ، وَالزُّبَيْرَ بْنَ العَوَّامِ، وَكُلُّنَا فَارِسٌ، قَالَ: «انْطَلِقُوا حَتَّى تَأْتُوا رَوْضَةَ خَاخٍ، فَإِنَّ بِهَا امْرَأَةً مِنَ المُشْرِكِينَ، مَعَهَا كِتَابٌ مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى المُشْرِكِينَ» فَأَدْرَكْنَاهَا تَسِيرُ عَلَى بَعِيرٍ لَهَا، حَيْثُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْنَا: الكِتَابُ، فَقَالَتْ: مَا مَعَنَا كِتَابٌ، فَأَنَخْنَاهَا فَالْتَمَسْنَا فَلَمْ نَرَ كِتَابًا، فَقُلْنَا: مَا كَذَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَتُخْرِجِنَّ الكِتَابَ أَوْ لَنُجَرِّدَنَّكِ، فَلَمَّا رَأَتِ الجِدَّ أَهْوَتِ الى حُجْزَتِهَا، وَهِيَ مُحْتَجِزَةٌ بِكِسَاءٍ، فَأَخْرَجَتْهُ، فَانْطَلَقْنَا بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَدْ خَانَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالمُؤْمِنِينَ، فَدَعْنِي [ص:78] فَلِأَضْرِبَ عُنُقَهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا حَمَلَكَ عَلَى مَا صَنَعْتَ» قَالَ حَاطِبٌ: وَاللَّهِ مَا بِي أَنْ لاَ أَكُونَ مُؤْمِنًا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَرَدْتُ أَنْ يَكُونَ لِي عِنْدَ القَوْمِ يَدٌ يَدْفَعُ اللَّهُ بِهَا عَنْ أَهْلِي وَمَالِي، وَلَيْسَ أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِكَ إِلَّا لَهُ هُنَاكَ مِنْ عَشِيرَتِهِ مَنْ يَدْفَعُ اللَّهُ بِهِ عَنْ أَهْلِهِ وَمَالِهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَدَقَ وَلاَ تَقُولُوا لَهُ إِلَّا خَيْرًا» فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّهُ قَدْ خَانَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالمُؤْمِنِينَ، فَدَعْنِي فَلِأَضْرِبَ عُنُقَهُ، فَقَالَ: «أَلَيْسَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ؟» فَقَالَ: " لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ إِلَى أَهْلِ بَدْرٍ؟ فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ، فَقَدْ وَجَبَتْ لَكُمُ الجَنَّةُ، أَوْ: فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ " فَدَمَعَتْ عَيْنَا عُمَرَ، وَقَالَ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৮৪
২১৭১. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মর্যাদা
৩৬৯৫। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ আল জু‘ফী (রাহঃ) .... আবু উসাইদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন নবী কারীম (ﷺ) আমাদেরকে বলেছিলেন, শত্রু তোমাদের নিকটবর্তী হলে তোমরা তীর নিক্ষেপ করবে এবং তীর ব্যবহারে সংযমী হবে।
باب فَضْلُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا
3984 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الجُعْفِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الغَسِيلِ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ، وَالزُّبَيْرِ بْنِ المُنْذِرِ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ، عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ: «إِذَا أَكْثَبُوكُمْ فَارْمُوهُمْ، وَاسْتَبْقُوا نَبْلَكُمْ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৮৫
২১৭১. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মর্যাদা
৩৬৯৬। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহীম (রাহঃ) .... আবু উসাইদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, তারা (শত্রুরা) তোমাদের নিকটবর্তী হলে তোমরা তাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করবে এবং তীর ব্যবহারে সংযমী হবে।
باب فَضْلُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا
3985 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحِيمِ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الغَسِيلِ، عَنْ حَمْزَةَ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ، وَالمُنْذِرِ بْنِ أَبِي أُسَيْدٍ، عَنْ أَبِي أُسَيْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ بَدْرٍ: «إِذَا أَكْثَبُوكُمْ - يَعْنِي كَثَرُوكُمْ - فَارْمُوهُمْ، وَاسْتَبْقُوا نَبْلَكُمْ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৮৬
২১৭১. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মর্যাদা
৩৬৯৭। আমর ইবনে খালীদ (রাহঃ) .... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ওহুদ যুদ্ধের দিন নবী কারীম (ﷺ) আব্দুল্লাহ ইবনে জুবাইরকে তীরন্দাজ বাহিনীর অধিনায়ক নিযুক্ত করেছিলেন। (এ যুদ্ধে) তারা (মুশরিক বাহিনী) আমাদের সত্তর জনকে শহীদ করে দেয়। বদর যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ মুশরিকদের একশ চল্লিশ জনকে নিহত ও গ্রেফতার করে ফেলেছিলেন। এর মধ্যে সত্তর জন বন্দী হয়েছিল এবং সত্তর জন নিহত হয়েছিল। (ওহুদ যুদ্ধের দিন যুদ্ধ সমাপান্তে কুফরী অবস্থায়) আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) বললেন, আজকের দিন হল বদরের বদলা (বিজয়)। যুদ্ধ কূপের বালতির ন্যায় হাত বদল হয়।
باب فَضْلُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا
3986 - حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ: سَمِعْتُ البَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: " جَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الرُّمَاةِ يَوْمَ أُحُدٍ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ جُبَيْرٍ، فَأَصَابُوا مِنَّا سَبْعِينَ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ أَصَابُوا مِنَ المُشْرِكِينَ يَوْمَ بَدْرٍ أَرْبَعِينَ وَمِائَةً، سَبْعِينَ أَسِيرًا، وَسَبْعِينَ قَتِيلًا قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: يَوْمٌ بِيَوْمِ بَدْرٍ وَالحَرْبُ سِجَالٌ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৮৭
২১৭১. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মর্যাদা
৩৬৯৮। মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) .... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন, আমি স্বপ্নে* যে কল্যাণ দেখতে পেয়েছিলাম সে তো ঐ কল্যাণ যা পরবর্তী সময়ে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দান করেছেন। আর উত্তম প্রতিদান সম্বন্ধে যা দেখেছিলাম তা তো আল্লাহ আমাদেরকে দান করেছেন বদর যুদ্ধের পর।
* একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বপ্নে কতকগুলো গরু কুরবানী করতে দেখলেন এবং ইংগিত পেলেন কতকগুলো কল্যাণকর বিষয়ের। তিনি গরু কুরবানী করাকে ওহোদ যুদ্ধে মুসলমানদের শাহাদাত বরণ করার দ্বারা ব্যাখ্যা করলেন এবং দ্বিতীয় বদরের পর মুসলমানগণ যে ঈমানী বল লাভ করেছিলেন সেটিকে তিনি স্বপ্নে দেখা কল্যাণ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। কেননা বদরের পূর্বে ভীতি সৃষ্টি করে মুসলমানদেরকে অবদমিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে তাদের ঈমান আরো মযবুত হয়ে যায় এবং মনোবল আরো দৃঢ় হয়ে যায়। আল-কুরআনে এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
* একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বপ্নে কতকগুলো গরু কুরবানী করতে দেখলেন এবং ইংগিত পেলেন কতকগুলো কল্যাণকর বিষয়ের। তিনি গরু কুরবানী করাকে ওহোদ যুদ্ধে মুসলমানদের শাহাদাত বরণ করার দ্বারা ব্যাখ্যা করলেন এবং দ্বিতীয় বদরের পর মুসলমানগণ যে ঈমানী বল লাভ করেছিলেন সেটিকে তিনি স্বপ্নে দেখা কল্যাণ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন। কেননা বদরের পূর্বে ভীতি সৃষ্টি করে মুসলমানদেরকে অবদমিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে তাদের ঈমান আরো মযবুত হয়ে যায় এবং মনোবল আরো দৃঢ় হয়ে যায়। আল-কুরআনে এর বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে।
باب فَضْلُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا
3987 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ العَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، أُرَاهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «وَإِذَا الخَيْرُ مَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنَ الخَيْرِ بَعْدُ، وَثَوَابُ الصِّدْقِ الَّذِي آتَانَا بَعْدَ يَوْمِ بَدْرٍ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৮৮
২১৭১. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মর্যাদা
৩৬৯৯। ইয়াকুব (রাহঃ) .... আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, বদরের রণাঙ্গণে সৈন্যদের সারিতে দাঁড়িয়ে আমি এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখলাম, আমার ডানে ও বামে অল্প বয়স্ক দু’জন যুবক দাঁড়িয়ে আছে। পাশে তাদের মত অল্প বয়স্ক দু’জন যুবক দাঁড়িয়ে থাকার ফলে আমি নিজেকে নিরাপদ মনে করছিলাম না। এমতাবস্থায় তাদের একজন অপরজন থেকে গোপন করে আমাকে জিজ্ঞাসা করল চাচাজান, আবু জাহল কোন লোকটি আমাকে তা দেখিয়ে দিন? আমি বললাম, ভাতিজা, তাকে চিনে তুমি কি করবে? সে বলল, আমি আল্লাহর সাথে অঙ্গীকার করেছি, তার দেখা পেলে আমি তাকে হত্যা করব না হয় (এ চেষ্টায়) নিজেই শহীদ হয়ে যাব।
এরপর দ্বিতীয় যুবকটিও তাঁর সঙ্গীকে গোপন করে আমাকে অনুরূপ জিজ্ঞাসা করল। আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) বলেন, (তাদের কথা শুনে) আমি এত অধিক সন্তুষ্ট হলাম যে, দু’জন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের মধ্যস্থলে অবস্থানেও আমি ততটুকু সন্তুষ্ট হতাম না।এরপর আমি তাদের দু’জনকে ইশারা করে আবু জাহলকে দেখিয়ে দিলাম। তৎক্ষণাৎ তাঁরা বাজ পাখির ন্যায় ক্ষিপ্রতার সাথে তাঁর উপর ঝাপিয়ে পড়ল এবং ভীষণভাবে তাকে আঘাত করল। এরা দু’জন ছিল আফরার দু‘পুত্র।
এরপর দ্বিতীয় যুবকটিও তাঁর সঙ্গীকে গোপন করে আমাকে অনুরূপ জিজ্ঞাসা করল। আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) বলেন, (তাদের কথা শুনে) আমি এত অধিক সন্তুষ্ট হলাম যে, দু’জন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের মধ্যস্থলে অবস্থানেও আমি ততটুকু সন্তুষ্ট হতাম না।এরপর আমি তাদের দু’জনকে ইশারা করে আবু জাহলকে দেখিয়ে দিলাম। তৎক্ষণাৎ তাঁরা বাজ পাখির ন্যায় ক্ষিপ্রতার সাথে তাঁর উপর ঝাপিয়ে পড়ল এবং ভীষণভাবে তাকে আঘাত করল। এরা দু’জন ছিল আফরার দু‘পুত্র।
باب فَضْلُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا
3988 - حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ: " إِنِّي لَفِي الصَّفِّ يَوْمَ بَدْرٍ إِذِ التَفَتُّ فَإِذَا عَنْ يَمِينِي وَعَنْ يَسَارِي فَتَيَانِ حَدِيثَا السِّنِّ، فَكَأَنِّي لَمْ آمَنْ بِمَكَانِهِمَا، إِذْ قَالَ لِي أَحَدُهُمَا سِرًّا مِنْ صَاحِبِهِ: يَا عَمِّ أَرِنِي أَبَا جَهْلٍ، فَقُلْتُ: يَا ابْنَ أَخِي، وَمَا تَصْنَعُ بِهِ؟ قَالَ: عَاهَدْتُ اللَّهَ إِنْ رَأَيْتُهُ أَنْ أَقْتُلَهُ أَوْ أَمُوتَ دُونَهُ، فَقَالَ لِي الآخَرُ سِرًّا مِنْ صَاحِبِهِ مِثْلَهُ، قَالَ: فَمَا سَرَّنِي أَنِّي بَيْنَ رَجُلَيْنِ مَكَانَهُمَا، فَأَشَرْتُ لَهُمَا إِلَيْهِ، فَشَدَّا عَلَيْهِ مِثْلَ الصَّقْرَيْنِ حَتَّى ضَرَبَاهُ، وَهُمَا ابْنَا عَفْرَاءَ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭০০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৮৯
২১৭১. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মর্যাদা
৩৭০০। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আসিম ইবনে উমর ইবনে খাত্তাবের নানা আসিম ইবনে সাবিত আনসারীর নেতৃত্বে দশজন সাহাবীর একটি দল গোয়েন্দাগিরির জন্য পাঠালেন। তাঁরা উসফান ও মক্কার মধ্যবর্তী স্থান হান্দায় পৌছলে হুযাইল গোত্রের একটি শাখা বনু লিহয়ানকে তাদের আগমন সম্বন্ধে অবগত করা হয়। (এ সংবাদ শুনে) তারা প্রায় একশ’ জন তীরন্দাজ তৈরী হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে পথ চলতে আরম্ভ করে। যেতে যেতে তারা এমন স্থানে পৌছে যায় যেখানে অবস্থান করে তাঁরা (সাহাবীগণ) খেজুর খেয়েছিলেন। এতদৃষ্টে তারা (বনু লিহয়ানের লোকেরা) ইয়াসরিবের খেজুর (এর আটি) বলে তাদের পদচিহ্ন অনুসরণ করে তাদের খুঁজতে লাগল।
আসিম ও তাঁর সঙ্গীগণ তাদের (আগমন) সম্বন্ধে অনুভব করতে পেরে একটি (পাহাড়ি) স্থানে গিয়ে আশ্রয় নেন। (লিহয়ান) কওমের লোকেরা তাদের বেষ্টন করে ফেলে। তারপর তারা মুসলমানদের নীচে অবতরণ করে আত্মসমর্পণের আহবান জানিয়ে বলল, তোমাদেরকে ওয়াদা দিচ্ছি, আমরা তোমাদের কাউকে হত্যা করব না। তখন আসিম ইবনে সাবিত (রাযিঃ) বললেন, হে আমার সাথী ভাইয়েরা, কাফিরের নিরাপত্তায় আশ্বস্ত হয়ে আমি কখনো নীচে অবতরণ করব না।
তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আমাদের খবর আপনার নবী (ﷺ)- কে জানিয়ে দিন। এরপর তারা মুসলমানদের প্রতি তীর নিক্ষেপ আরম্ভ করল এবং আসিমকে (আরো ছয়জনসহ) শহীদ করে ফেলল। অবশিষ্ট তিনজন, খুবাইব, যায়দ ইবনে দাসিনা এবং অপর একজন (আব্দুল্লাহ ইবনে তারিক) তাদের ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে নীচে নেমে আসলেন। তারা (শত্রুগণ) তাঁদেরকে কাবু করে নিয়ে নিজেদের ধনুকের তার খুলে তা দিয়ে বেঁধে ফেলল। এ দেখে তৃতীয়জন বললেন, এটাই প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা। আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের সাথে যাব না, আমার জন্য তো এদের (শহীদ সাথীদের) আদর্শই অনুসরণীয়। অর্থাৎ আমিও শহীদ হয়ে যাব। তারা তাকে বহু টানা হেচড়া করল। কিন্তু তিনি তাদের সাথে যেতে অস্বীকার করলেন। (অবশেষে তারা তাঁকে শহীদ করে দিল) এরপর খুবাইব এবং যায়দ ইবনে দাসিনাকে (বন্দী করে) নিয়ে গিয়ে তাদেরকে (মক্কার বাজারে) বিক্রি করে দিল। এটা ছিল বদর যুদ্ধের পরবর্তী ঘটনা।
বদর যুদ্ধে খুবাইব যেহেতু হারিস ইবনে আমিরকে হত্যা করেছিলেন। তাই (প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে) হারিস ইবনে আমির ইবনে নাওফিলের পুত্রগণ তাঁকে খরীদ করে নিল। খুবাইব তাদের নিকট বন্দী অবস্থায় কাটাতে লাগলেন। এরপর তারা সবাই তাকে হত্যা করার দৃঢ় সংকল্প করল। তিনি হারিসের কোন এক কন্যার নিকট থেকে ক্ষৌরকর্মের জন্য একটি ক্ষুর চেয়ে নিলেন। তার (হারিসের কন্যার) অসতর্ক অবস্থায় তার একটি ছোট বাচ্চা খুবাইবের কাছে গিয়ে পৌঁছল। সে (হারিসের কন্যা) দেখতে পেল তিনি (খুবাইব) তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে রানের উপর বসিয়ে ক্ষুরখানা হাতে ধরে আছেন। সে (হারিসের কন্যা) বর্ণনা করেছে, (এ দেখে) আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম, খুবাইব তা বুঝতে পারলেন, তিনি বললেন, আমি তাকে (শিশুটিকে) হত্যা করে ফেলব বলে তুমি কি ভয় পেয়েছ? আমি কখনো এ কাজ করব না। সে আরো বলেছে, আল্লাহর কসম! আমি খুবাইবের মত উত্তম বন্দী আর কখনো দেখেনি।
আল্লাহর কসম একদিন আমি তাকে আঙ্গুরের গুচ্ছ হাতে নিয়ে আঙ্গুর খেতে দেখেছি। অথচ সে লোহার শিকলে বাঁধা ছিল এবং সে সময় মক্কায় কোন ফলও ছিল না। সে (হারিসের কন্যা) বলত, ঐ আঙ্গুর গুলো আল্লাহ তাআলা খুবাইবকে রিযকস্বরূপ দান করেছিলেন। অবশেষে একদিন তারা খুবাইবকে হত্যা করার জন্য যখন হারামের সীমানার বাইরে নিয়ে গেল। তখন খুবাইব (রাযিঃ) তাদেরকে বললেন, আমাকে দু’রাকআত নামায আদায় করার সুযোগ দাও, তারা সুযোগ করে দিলে তিনি দু ‘রাকআত নামায আদায় করে বললেন, আল্লাহর কসম! আমি (মৃত্যুর ভয়ে) ভীত হয়ে পড়েছি, তোমরা এ কথা না ভাবলে আমি নামায আরো দীর্ঘায়িত করতাম।
এরপর তিনি এ বলে দুআ করলেন, হে আল্লাহ! তাদেরকে এক এক করে গুণে রাখ, তাদেরকে বিক্ষিপ্তভাবে হত্যা কর এবং তাদের একজনকেও অবশিষ্ট রেখ না। তারপর তিনি আবৃত্তি করলেনঃ “আমি যখন মুসলমান হিসাবে মৃত্যু বরণ করার সৌভাগ্য লাভ করেছি, তাই আমার কোনই ভয় নেই। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে যে কোন অবস্থাতেই আমার মৃত্যু হউক। আর তা যেহেতু একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই, তিনি ইচ্ছা করলে আমার প্রতিটি কর্তিত অঙ্গে বরকত প্রদান করতে পারেন। ”এরপর (হারিসের পুত্র) আবু সারুআ উকবা (উকবা ইবনে হারিস) তাঁর দিকে দাঁড়াল এবং তাঁকে শহীদ করে দিল। এভাবেই খুবাইব (রাযিঃ) সে সব মুসলমানদের জন্য দু’রাকআত নামাযের নিয়ম (সুন্নত) চালু করে গেলেন যারা ধৈর্যের সাথে শাহাদত বরণ করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐদিনই সাহাবীদেরকে অবহিত করেছিলেন যে দিন তাঁরা শত্রু কবলিত হয়ে শাহাদাত বরণ করেছিলেন।
কুরাইশদের নিকট তাঁর (আসিম (রাযিঃ)- এর) নিহত হওয়ার খবর পৌঁছলে তারা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আসিমের শরীরের কোন অঙ্গ কেটে আনার উদ্দেশ্যে কতিপয় কুরাইশ কাফিরকে প্রেরণ করল। যেহেতু (বদর যুদ্ধের দিন) আসিম ইবনে সাবিত তাদের (কুরাইশদের) একজন বড় নেতাকে হত্যা করেছিল। এদিকে আল্লাহ আসিমের লাশকে হিফাযত করার জন্য মেঘখণ্ডের ন্যায় এক ঝাঁক মৌমাছি পাঠিয়ে দিলেন। মৌমাছিগুলো আসিম (রাযিঃ)- এর লাশকে শত্রু সেনাদের হাত থেকে রক্ষা করল। ফলে তাঁর দেহের কোন অঙ্গ কেটে নিতে সক্ষম হল না। কা‘ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, মুরারা ইবনে রাবী আল উমরী এবং হিলাল ইবনে উমাইয়া আল ওয়াকিফী সম্বন্ধে লোকেরা বলেছেন যে, তারা উভয়ই আল্লাহর নেক বান্দা ছিলেন এবং দু’জনই বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আসিম ও তাঁর সঙ্গীগণ তাদের (আগমন) সম্বন্ধে অনুভব করতে পেরে একটি (পাহাড়ি) স্থানে গিয়ে আশ্রয় নেন। (লিহয়ান) কওমের লোকেরা তাদের বেষ্টন করে ফেলে। তারপর তারা মুসলমানদের নীচে অবতরণ করে আত্মসমর্পণের আহবান জানিয়ে বলল, তোমাদেরকে ওয়াদা দিচ্ছি, আমরা তোমাদের কাউকে হত্যা করব না। তখন আসিম ইবনে সাবিত (রাযিঃ) বললেন, হে আমার সাথী ভাইয়েরা, কাফিরের নিরাপত্তায় আশ্বস্ত হয়ে আমি কখনো নীচে অবতরণ করব না।
তারপর তিনি বললেন, হে আল্লাহ! আমাদের খবর আপনার নবী (ﷺ)- কে জানিয়ে দিন। এরপর তারা মুসলমানদের প্রতি তীর নিক্ষেপ আরম্ভ করল এবং আসিমকে (আরো ছয়জনসহ) শহীদ করে ফেলল। অবশিষ্ট তিনজন, খুবাইব, যায়দ ইবনে দাসিনা এবং অপর একজন (আব্দুল্লাহ ইবনে তারিক) তাদের ওয়াদা ও প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে নীচে নেমে আসলেন। তারা (শত্রুগণ) তাঁদেরকে কাবু করে নিয়ে নিজেদের ধনুকের তার খুলে তা দিয়ে বেঁধে ফেলল। এ দেখে তৃতীয়জন বললেন, এটাই প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা। আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের সাথে যাব না, আমার জন্য তো এদের (শহীদ সাথীদের) আদর্শই অনুসরণীয়। অর্থাৎ আমিও শহীদ হয়ে যাব। তারা তাকে বহু টানা হেচড়া করল। কিন্তু তিনি তাদের সাথে যেতে অস্বীকার করলেন। (অবশেষে তারা তাঁকে শহীদ করে দিল) এরপর খুবাইব এবং যায়দ ইবনে দাসিনাকে (বন্দী করে) নিয়ে গিয়ে তাদেরকে (মক্কার বাজারে) বিক্রি করে দিল। এটা ছিল বদর যুদ্ধের পরবর্তী ঘটনা।
বদর যুদ্ধে খুবাইব যেহেতু হারিস ইবনে আমিরকে হত্যা করেছিলেন। তাই (প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে) হারিস ইবনে আমির ইবনে নাওফিলের পুত্রগণ তাঁকে খরীদ করে নিল। খুবাইব তাদের নিকট বন্দী অবস্থায় কাটাতে লাগলেন। এরপর তারা সবাই তাকে হত্যা করার দৃঢ় সংকল্প করল। তিনি হারিসের কোন এক কন্যার নিকট থেকে ক্ষৌরকর্মের জন্য একটি ক্ষুর চেয়ে নিলেন। তার (হারিসের কন্যার) অসতর্ক অবস্থায় তার একটি ছোট বাচ্চা খুবাইবের কাছে গিয়ে পৌঁছল। সে (হারিসের কন্যা) দেখতে পেল তিনি (খুবাইব) তার বাচ্চাকে কোলে নিয়ে রানের উপর বসিয়ে ক্ষুরখানা হাতে ধরে আছেন। সে (হারিসের কন্যা) বর্ণনা করেছে, (এ দেখে) আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়লাম, খুবাইব তা বুঝতে পারলেন, তিনি বললেন, আমি তাকে (শিশুটিকে) হত্যা করে ফেলব বলে তুমি কি ভয় পেয়েছ? আমি কখনো এ কাজ করব না। সে আরো বলেছে, আল্লাহর কসম! আমি খুবাইবের মত উত্তম বন্দী আর কখনো দেখেনি।
আল্লাহর কসম একদিন আমি তাকে আঙ্গুরের গুচ্ছ হাতে নিয়ে আঙ্গুর খেতে দেখেছি। অথচ সে লোহার শিকলে বাঁধা ছিল এবং সে সময় মক্কায় কোন ফলও ছিল না। সে (হারিসের কন্যা) বলত, ঐ আঙ্গুর গুলো আল্লাহ তাআলা খুবাইবকে রিযকস্বরূপ দান করেছিলেন। অবশেষে একদিন তারা খুবাইবকে হত্যা করার জন্য যখন হারামের সীমানার বাইরে নিয়ে গেল। তখন খুবাইব (রাযিঃ) তাদেরকে বললেন, আমাকে দু’রাকআত নামায আদায় করার সুযোগ দাও, তারা সুযোগ করে দিলে তিনি দু ‘রাকআত নামায আদায় করে বললেন, আল্লাহর কসম! আমি (মৃত্যুর ভয়ে) ভীত হয়ে পড়েছি, তোমরা এ কথা না ভাবলে আমি নামায আরো দীর্ঘায়িত করতাম।
এরপর তিনি এ বলে দুআ করলেন, হে আল্লাহ! তাদেরকে এক এক করে গুণে রাখ, তাদেরকে বিক্ষিপ্তভাবে হত্যা কর এবং তাদের একজনকেও অবশিষ্ট রেখ না। তারপর তিনি আবৃত্তি করলেনঃ “আমি যখন মুসলমান হিসাবে মৃত্যু বরণ করার সৌভাগ্য লাভ করেছি, তাই আমার কোনই ভয় নেই। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে যে কোন অবস্থাতেই আমার মৃত্যু হউক। আর তা যেহেতু একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই, তিনি ইচ্ছা করলে আমার প্রতিটি কর্তিত অঙ্গে বরকত প্রদান করতে পারেন। ”এরপর (হারিসের পুত্র) আবু সারুআ উকবা (উকবা ইবনে হারিস) তাঁর দিকে দাঁড়াল এবং তাঁকে শহীদ করে দিল। এভাবেই খুবাইব (রাযিঃ) সে সব মুসলমানদের জন্য দু’রাকআত নামাযের নিয়ম (সুন্নত) চালু করে গেলেন যারা ধৈর্যের সাথে শাহাদত বরণ করেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐদিনই সাহাবীদেরকে অবহিত করেছিলেন যে দিন তাঁরা শত্রু কবলিত হয়ে শাহাদাত বরণ করেছিলেন।
কুরাইশদের নিকট তাঁর (আসিম (রাযিঃ)- এর) নিহত হওয়ার খবর পৌঁছলে তারা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আসিমের শরীরের কোন অঙ্গ কেটে আনার উদ্দেশ্যে কতিপয় কুরাইশ কাফিরকে প্রেরণ করল। যেহেতু (বদর যুদ্ধের দিন) আসিম ইবনে সাবিত তাদের (কুরাইশদের) একজন বড় নেতাকে হত্যা করেছিল। এদিকে আল্লাহ আসিমের লাশকে হিফাযত করার জন্য মেঘখণ্ডের ন্যায় এক ঝাঁক মৌমাছি পাঠিয়ে দিলেন। মৌমাছিগুলো আসিম (রাযিঃ)- এর লাশকে শত্রু সেনাদের হাত থেকে রক্ষা করল। ফলে তাঁর দেহের কোন অঙ্গ কেটে নিতে সক্ষম হল না। কা‘ব ইবনে মালিক (রাযিঃ) বলেন, মুরারা ইবনে রাবী আল উমরী এবং হিলাল ইবনে উমাইয়া আল ওয়াকিফী সম্বন্ধে লোকেরা বলেছেন যে, তারা উভয়ই আল্লাহর নেক বান্দা ছিলেন এবং দু’জনই বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
باب فَضْلُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا
3989 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، أَخْبَرَنَا ابْنُ [ص:79] شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُمَرُ بْنُ أَسِيدِ بْنِ جَارِيَةَ الثَّقَفِيُّ، حَلِيفُ بَنِي زُهْرَةَ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشَرَةً عَيْنًا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ عَاصِمَ بْنَ ثَابِتٍ الأَنْصَارِيَّ جَدَّ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ» حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالهَدَةِ بَيْنَ عَسْفَانَ، وَمَكَّةَ ذُكِرُوا لِحَيٍّ مِنْ هُذَيْلٍ يُقَالُ لَهُمْ بَنُو لِحْيَانَ، فَنَفَرُوا لَهُمْ بِقَرِيبٍ مِنْ مِائَةِ رَجُلٍ رَامٍ، فَاقْتَصُّوا آثَارَهُمْ حَتَّى وَجَدُوا مَأْكَلَهُمُ التَّمْرَ فِي مَنْزِلٍ نَزَلُوهُ، فَقَالُوا: تَمْرُ يَثْرِبَ، فَاتَّبَعُوا آثَارَهُمْ، فَلَمَّا حَسَّ بِهِمْ عَاصِمٌ وَأَصْحَابُهُ لَجَئُوا إِلَى مَوْضِعٍ فَأَحَاطَ بِهِمُ القَوْمُ، فَقَالُوا لَهُمْ: انْزِلُوا فَأَعْطُوا بِأَيْدِيكُمْ، وَلَكُمُ العَهْدُ وَالمِيثَاقُ: أَنْ لاَ نَقْتُلَ مِنْكُمْ أَحَدًا، فَقَالَ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتٍ: أَيُّهَا القَوْمُ: أَمَّا أَنَا فَلاَ أَنْزِلُ فِي ذِمَّةِ كَافِرٍ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ أَخْبِرْ عَنَّا نَبِيَّكَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَمَوْهُمْ بِالنَّبْلِ فَقَتَلُوا عَاصِمًا، وَنَزَلَ إِلَيْهِمْ ثَلاَثَةُ نَفَرٍ عَلَى العَهْدِ وَالمِيثَاقِ، مِنْهُمْ خُبَيْبٌ، وَزَيْدُ بْنُ الدَّثِنَةِ، وَرَجُلٌ آخَرُ، فَلَمَّا اسْتَمْكَنُوا مِنْهُمْ أَطْلَقُوا أَوْتَارَ قِسِيِّهِمْ، فَرَبَطُوهُمْ بِهَا، قَالَ الرَّجُلُ الثَّالِثُ: هَذَا أَوَّلُ الغَدْرِ، وَاللَّهِ لاَ أَصْحَبُكُمْ، إِنَّ لِي بِهَؤُلاَءِ أُسْوَةً، يُرِيدُ القَتْلَى، فَجَرَّرُوهُ وَعَالَجُوهُ فَأَبَى أَنْ يَصْحَبَهُمْ، فَانْطُلِقَ بِخُبَيْبٍ، وَزَيْدِ بْنِ الدَّثِنَةِ حَتَّى بَاعُوهُمَا بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ، فَابْتَاعَ بَنُو الحَارِثِ بْنِ عَامِرِ بْنِ نَوْفَلٍ خُبَيْبًا، وَكَانَ خُبَيْبٌ هُوَ قَتَلَ الحَارِثَ بْنَ عَامِرٍ يَوْمَ بَدْرٍ، فَلَبِثَ خُبَيْبٌ عِنْدَهُمْ أَسِيرًا حَتَّى أَجْمَعُوا قَتْلَهُ، فَاسْتَعَارَ مِنْ بَعْضِ بَنَاتِ الحَارِثِ مُوسًى يَسْتَحِدُّ بِهَا فَأَعَارَتْهُ، فَدَرَجَ بُنَيٌّ لَهَا وَهِيَ غَافِلَةٌ حَتَّى أَتَاهُ، فَوَجَدَتْهُ مُجْلِسَهُ عَلَى فَخِذِهِ وَالمُوسَى بِيَدِهِ، قَالَتْ: فَفَزِعْتُ فَزْعَةً عَرَفَهَا خُبَيْبٌ، فَقَالَ: أَتَخْشَيْنَ أَنْ أَقْتُلَهُ؟ مَا كُنْتُ لِأَفْعَلَ ذَلِكَ، قَالَتْ: وَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ أَسِيرًا قَطُّ خَيْرًا مِنْ خُبَيْبٍ، وَاللَّهِ لَقَدْ وَجَدْتُهُ يَوْمًا يَأْكُلُ قِطْفًا مِنْ عِنَبٍ فِي يَدِهِ، وَإِنَّهُ لَمُوثَقٌ بِالحَدِيدِ، وَمَا بِمَكَّةَ مِنْ ثَمَرَةٍ، وَكَانَتْ تَقُولُ: إِنَّهُ لَرِزْقٌ رَزَقَهُ اللَّهُ خُبَيْبًا، فَلَمَّا خَرَجُوا بِهِ مِنَ الحَرَمِ لِيَقْتُلُوهُ فِي الحِلِّ، قَالَ لَهُمْ خُبَيْبٌ: دَعُونِي أُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ، فَتَرَكُوهُ فَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ، فَقَالَ: وَاللَّهِ لَوْلاَ أَنْ تَحْسِبُوا أَنَّ مَا بِي جَزَعٌ لَزِدْتُ، ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ أَحْصِهِمْ عَدَدًا، وَاقْتُلْهُمْ بَدَدًا، وَلاَ تُبْقِ مِنْهُمْ أَحَدًا، ثُمَّ أَنْشَأَ يَقُولُ
[البحر الطويل]
فَلَسْتُ أُبَالِي حِينَ أُقْتَلُ مُسْلِمًا ... عَلَى أَيِّ جَنْبٍ كَانَ لِلَّهِ مَصْرَعِي
وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الإِلَهِ وَإِنْ يَشَأْ ... يُبَارِكْ عَلَى أَوْصَالِ شِلْوٍ مُمَزَّعِ
[ص:80]
ثُمَّ قَامَ إِلَيْهِ أَبُو سِرْوَعَةَ عُقْبَةُ بْنُ الحَارِثِ فَقَتَلَهُ، وَكَانَ خُبَيْبٌ هُوَ سَنَّ لِكُلِّ مُسْلِمٍ قُتِلَ صَبْرًا الصَّلاَةَ، وَأَخْبَرَ أَصْحَابَهُ يَوْمَ أُصِيبُوا خَبَرَهُمْ، وَبَعَثَ نَاسٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى عَاصِمِ بْنِ ثَابِتٍ - حِينَ حُدِّثُوا أَنَّهُ قُتِلَ - أَنْ يُؤْتَوْا بِشَيْءٍ مِنْهُ يُعْرَفُ، وَكَانَ قَتَلَ رَجُلًا عَظِيمًا مِنْ عُظَمَائِهِمْ، فَبَعَثَ اللَّهُ لِعَاصِمٍ مِثْلَ الظُّلَّةِ مِنَ الدَّبْرِ، فَحَمَتْهُ مِنْ رُسُلِهِمْ، فَلَمْ يَقْدِرُوا أَنْ يَقْطَعُوا مِنْهُ شَيْئًا
وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ: «ذَكَرُوا مَرَارَةَ بْنَ الرَّبِيعِ العَمْرِيَّ، وَهِلاَلَ بْنَ أُمَيَّةَ الوَاقِفِيَّ، رَجُلَيْنِ صَالِحَيْنِ قَدْ شَهِدَا بَدْرًا»
[البحر الطويل]
فَلَسْتُ أُبَالِي حِينَ أُقْتَلُ مُسْلِمًا ... عَلَى أَيِّ جَنْبٍ كَانَ لِلَّهِ مَصْرَعِي
وَذَلِكَ فِي ذَاتِ الإِلَهِ وَإِنْ يَشَأْ ... يُبَارِكْ عَلَى أَوْصَالِ شِلْوٍ مُمَزَّعِ
[ص:80]
ثُمَّ قَامَ إِلَيْهِ أَبُو سِرْوَعَةَ عُقْبَةُ بْنُ الحَارِثِ فَقَتَلَهُ، وَكَانَ خُبَيْبٌ هُوَ سَنَّ لِكُلِّ مُسْلِمٍ قُتِلَ صَبْرًا الصَّلاَةَ، وَأَخْبَرَ أَصْحَابَهُ يَوْمَ أُصِيبُوا خَبَرَهُمْ، وَبَعَثَ نَاسٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِلَى عَاصِمِ بْنِ ثَابِتٍ - حِينَ حُدِّثُوا أَنَّهُ قُتِلَ - أَنْ يُؤْتَوْا بِشَيْءٍ مِنْهُ يُعْرَفُ، وَكَانَ قَتَلَ رَجُلًا عَظِيمًا مِنْ عُظَمَائِهِمْ، فَبَعَثَ اللَّهُ لِعَاصِمٍ مِثْلَ الظُّلَّةِ مِنَ الدَّبْرِ، فَحَمَتْهُ مِنْ رُسُلِهِمْ، فَلَمْ يَقْدِرُوا أَنْ يَقْطَعُوا مِنْهُ شَيْئًا
وَقَالَ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ: «ذَكَرُوا مَرَارَةَ بْنَ الرَّبِيعِ العَمْرِيَّ، وَهِلاَلَ بْنَ أُمَيَّةَ الوَاقِفِيَّ، رَجُلَيْنِ صَالِحَيْنِ قَدْ شَهِدَا بَدْرًا»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৭০১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯০ - ৩৯৯১
২১৭১. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মর্যাদা
৩৭০১। কুতায়বা (রাহঃ) .... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, সাঈদ ইবনে যায়দ ইবনে আমর ইবনে নুফায়ল (রাযিঃ) ছিলেন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন সাহাবী। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, ইবনে উমরের নিকট জুমআর দিন এ সুংবাদ পৌঁছলে তিনি সওয়ারী পিঠে আরোহণ করে তাঁকে দেখতে গেলেন। তখন বেলা হয়ে গিয়েছে এবং জুমআর নামাযের সময়ও ঘনিয়ে আসছে দেখে তিনি জুমআর নামায আদায় করতে পারলেন না।
(আর এক সনদে) লাঈস (রাহঃ) .... উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা উমর ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আরকাম আয যুহরী সুবায়া বিনতে হারিস আসলামিয়্যা (রাযিঃ)- এর কাছে গিয়ে তার ঘটনা ও (গর্ভবতী মহিলার ইদ্দত সম্বন্ধে) তার প্রশ্নের উত্তরে রাসূল (ﷺ) তাকে যা বলেছিলেন সে সম্পর্কে পত্র মারফত জিজ্ঞাসা করে জানতে আদেশ করলেন।
এরপর উমর ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উতবাকে লিখে জানালেন যে, সুবাই‘আ বিনতুল হারিস তাকে জানিয়েছেন যে, তিনি বনু আমির ইবনে লুয়াই গোত্রের সা‘দ ইবনে খাওলার স্ত্রী ছিলেন, সা‘দ (রাযিঃ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তিনি বিদায় হজ্জের বছর ইন্তিকাল করেন। তখন তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। তার ইন্তিকালের কিছুদিন পরেই তিনি সন্তান প্রসব করলেন। এরপর নিফাস থেকে পবিত্র হয়েই তিনি বিবাহের পয়গাম দাতাদের উদ্দেশ্যে সাজসজ্জা আরম্ভ করলেন। এ সময় আব্দুদ্দার গোত্রের আবুস সানাবিল ইবনে বা’কাক নামক এক ব্যক্তি তাকে গিয়ে বললেন কি হয়েছে, আমি তোমাকে দেখতে পাচ্ছি যে, তুমি বিবাহের আশায় পয়গাম দাতাদের উদ্দেশ্যে সাজসজ্জা আরম্ভ করে দিয়েছ? আল্লাহর কসম চার মাস দশদিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে তুমি বিবাহ করতে পারবে না।
সুবাই‘আ (রাযিঃ) বলেন, (আবুস সানাবিল আমাকে) এ কথা বলার পর আমি ঠিকঠাক মত কাপড় চোপড় পরিধান করে বিকেল বেলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট গেলাম এবং এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন, যখন আমি বাচ্চা প্রসব করেছি তখন থেকেই আমি হালাল হয়ে গিয়েছি। এরপর তিনি আমাকে বিয়ে করার নির্দেশ দিলেন যদি আমার ইচ্ছা হয়।
(ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন,) আসবাগ (রাহঃ) .... ইউনুসের সূত্রে লাঈসের মতই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। লাঈস (রাহঃ) বলেছেন, ইউনুস ইবনে শিহাব থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, বনু আমির ইবনে লুয়াই গোত্রের আযাদকৃত গোলাম মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে সাওবান আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াস ইবনে বুকায়য়ের পিতা তাকে জানিয়েছেন।
(আর এক সনদে) লাঈস (রাহঃ) .... উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা উমর ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আরকাম আয যুহরী সুবায়া বিনতে হারিস আসলামিয়্যা (রাযিঃ)- এর কাছে গিয়ে তার ঘটনা ও (গর্ভবতী মহিলার ইদ্দত সম্বন্ধে) তার প্রশ্নের উত্তরে রাসূল (ﷺ) তাকে যা বলেছিলেন সে সম্পর্কে পত্র মারফত জিজ্ঞাসা করে জানতে আদেশ করলেন।
এরপর উমর ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উতবাকে লিখে জানালেন যে, সুবাই‘আ বিনতুল হারিস তাকে জানিয়েছেন যে, তিনি বনু আমির ইবনে লুয়াই গোত্রের সা‘দ ইবনে খাওলার স্ত্রী ছিলেন, সা‘দ (রাযিঃ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তিনি বিদায় হজ্জের বছর ইন্তিকাল করেন। তখন তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। তার ইন্তিকালের কিছুদিন পরেই তিনি সন্তান প্রসব করলেন। এরপর নিফাস থেকে পবিত্র হয়েই তিনি বিবাহের পয়গাম দাতাদের উদ্দেশ্যে সাজসজ্জা আরম্ভ করলেন। এ সময় আব্দুদ্দার গোত্রের আবুস সানাবিল ইবনে বা’কাক নামক এক ব্যক্তি তাকে গিয়ে বললেন কি হয়েছে, আমি তোমাকে দেখতে পাচ্ছি যে, তুমি বিবাহের আশায় পয়গাম দাতাদের উদ্দেশ্যে সাজসজ্জা আরম্ভ করে দিয়েছ? আল্লাহর কসম চার মাস দশদিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে তুমি বিবাহ করতে পারবে না।
সুবাই‘আ (রাযিঃ) বলেন, (আবুস সানাবিল আমাকে) এ কথা বলার পর আমি ঠিকঠাক মত কাপড় চোপড় পরিধান করে বিকেল বেলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট গেলাম এবং এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন, যখন আমি বাচ্চা প্রসব করেছি তখন থেকেই আমি হালাল হয়ে গিয়েছি। এরপর তিনি আমাকে বিয়ে করার নির্দেশ দিলেন যদি আমার ইচ্ছা হয়।
(ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন,) আসবাগ (রাহঃ) .... ইউনুসের সূত্রে লাঈসের মতই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। লাঈস (রাহঃ) বলেছেন, ইউনুস ইবনে শিহাব থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, বনু আমির ইবনে লুয়াই গোত্রের আযাদকৃত গোলাম মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে সাওবান আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াস ইবনে বুকায়য়ের পিতা তাকে জানিয়েছেন।
باب فَضْلُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ ذُكِرَ لَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ ـ وَكَانَ بَدْرِيًّا ـ مَرِضَ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ فَرَكِبَ إِلَيْهِ بَعْدَ أَنْ تَعَالَى النَّهَارُ وَاقْتَرَبَتِ الْجُمُعَةُ، وَتَرَكَ الْجُمُعَةَ
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، كَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ الزُّهْرِيِّ، يَأْمُرُهُ أَنْ يَدْخُلَ، عَلَى سُبَيْعَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الأَسْلَمِيَّةِ، فَيَسْأَلَهَا عَنْ حَدِيثِهَا وَعَنْ مَا قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ اسْتَفْتَتْهُ، فَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ يُخْبِرُهُ أَنَّ سُبَيْعَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ سَعْدِ ابْنِ خَوْلَةَ، وَهْوَ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ، وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا، فَتُوُفِّيَ عَنْهَا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهْىَ حَامِلٌ، فَلَمْ تَنْشَبْ أَنْ وَضَعَتْ حَمْلَهَا بَعْدَ وَفَاتِهِ، فَلَمَّا تَعَلَّتْ مِنْ نِفَاسِهَا تَجَمَّلَتْ لِلْخُطَّابِ، فَدَخَلَ عَلَيْهَا أَبُو السَّنَابِلِ بْنُ بَعْكَكٍ ـ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ ـ فَقَالَ لَهَا مَا لِي أَرَاكِ تَجَمَّلْتِ لِلْخُطَّابِ تُرَجِّينَ النِّكَاحَ فَإِنَّكِ وَاللَّهِ مَا أَنْتِ بِنَاكِحٍ حَتَّى تَمُرَّ عَلَيْكِ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ. قَالَتْ سُبَيْعَةُ فَلَمَّا قَالَ لِي ذَلِكَ جَمَعْتُ عَلَىَّ ثِيَابِي حِينَ أَمْسَيْتُ، وَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَأَفْتَانِي بِأَنِّي قَدْ حَلَلْتُ حِينَ وَضَعْتُ حَمْلِي، وَأَمَرَنِي بِالتَّزَوُّجِ إِنْ بَدَا لِي. تَابَعَهُ أَصْبَغُ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ. وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، وَسَأَلْنَاهُ، فَقَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، مَوْلَى بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِيَاسِ بْنِ الْبُكَيْرِ، وَكَانَ، أَبُوهُ شَهِدَ بَدْرًا أَخْبَرَهُ.
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، كَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ الزُّهْرِيِّ، يَأْمُرُهُ أَنْ يَدْخُلَ، عَلَى سُبَيْعَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الأَسْلَمِيَّةِ، فَيَسْأَلَهَا عَنْ حَدِيثِهَا وَعَنْ مَا قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ اسْتَفْتَتْهُ، فَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ يُخْبِرُهُ أَنَّ سُبَيْعَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ سَعْدِ ابْنِ خَوْلَةَ، وَهْوَ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ، وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا، فَتُوُفِّيَ عَنْهَا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهْىَ حَامِلٌ، فَلَمْ تَنْشَبْ أَنْ وَضَعَتْ حَمْلَهَا بَعْدَ وَفَاتِهِ، فَلَمَّا تَعَلَّتْ مِنْ نِفَاسِهَا تَجَمَّلَتْ لِلْخُطَّابِ، فَدَخَلَ عَلَيْهَا أَبُو السَّنَابِلِ بْنُ بَعْكَكٍ ـ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ ـ فَقَالَ لَهَا مَا لِي أَرَاكِ تَجَمَّلْتِ لِلْخُطَّابِ تُرَجِّينَ النِّكَاحَ فَإِنَّكِ وَاللَّهِ مَا أَنْتِ بِنَاكِحٍ حَتَّى تَمُرَّ عَلَيْكِ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ. قَالَتْ سُبَيْعَةُ فَلَمَّا قَالَ لِي ذَلِكَ جَمَعْتُ عَلَىَّ ثِيَابِي حِينَ أَمْسَيْتُ، وَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَأَفْتَانِي بِأَنِّي قَدْ حَلَلْتُ حِينَ وَضَعْتُ حَمْلِي، وَأَمَرَنِي بِالتَّزَوُّجِ إِنْ بَدَا لِي. تَابَعَهُ أَصْبَغُ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ. وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، وَسَأَلْنَاهُ، فَقَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، مَوْلَى بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِيَاسِ بْنِ الْبُكَيْرِ، وَكَانَ، أَبُوهُ شَهِدَ بَدْرًا أَخْبَرَهُ.