আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৮- নবীগণের আঃ আলোচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩১৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪২৩
২০৩৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং দাউদকে সুলাইমান দান করলাম (পুত্র হিসাবে) তিনি ছিলেন উত্তম বান্দা এবং অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী (৩৮ঃ ৩০) الأَوَّابٌ অর্থ গুনাহ থেকে ফিরে যে আল্লাহ অভিমুখী হয়। মহান আল্লাহর বাণীঃ “ “(সুলাইমান) (আলাইহিস সালাম) দুআ করলেন) হে আল্লাহ! আমাকে দান করুন এমন রাজ্য যার অধিকারী আমি ছাড়া
আর কেউ না হয়। (৩৮ঃ ৩৫) মহান আল্লাহর বাণীঃ আর ইয়াহুদীরা তারই অনুসরণ করত যা সুলাইমানের রাজত্বকালে শয়তানরা আবৃত্তি করতো (২ঃ ১০২) মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি বায়ুকে সুলাইমানের অধীন করে দিলাম। যা সকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত এবং বিকালে এক মাসের পথ অতিক্রম করত। আর আমি তার জন্য বিগলিত তামার এক প্রস্রবণ প্রবাহিত করেছিলাম। أَسَلْنَا অর্থ বিগলিত করে দিলাম عَيْنَ الْقِطْرِ অর্থ লোহার প্রস্রবণ — আর কতক জ্বিন তার রবের নির্দেশে তার সামনে কাজ করত। তাদের যে কেউ আমার আদেশ অমান্য করে, তাকে জলন্ত আগুনের শাস্তি আস্বাদন করাব। জ্বিনরা সুলাইমানের ইচ্ছানুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ তৈরী করত। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, مَحَارِيبَ অর্থ বড় বড় দালানের তুলনায় ছোট ইমারত ভাস্কর্য শিল্প প্রস্তুত করতো, আর হাউস সদৃশ বৃহদাকার রান্না করার পাত্র তৈরী করত। যেমন উটের জন্য হাওয থাকে। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, যেমন যমীনে গর্ত থাকে। আর তৈরী করত বিশাল বিশাল ডেকচি যা সুদৃঢ়ভাবে স্থাপিত। হে দাউদের পরিবার আমার কৃতজ্ঞতার সাথে তোমরা কাজ কর। আর আমার বান্দাগণের মধ্যে অল্পই শুকুর গুযারী করে (৩৪ঃ ১২-১৩) إِلاَّ دَابَّةُ الأَرْضِ কেবল মাটির পোকা অর্থাৎ উই পোকা যা তার (সুলাইমানের) লাঠি খাচ্ছিল। مِنْسَأَتَهُ তার লাঠি। যখন সে (সুলাইমান) পড়ে গেল .... লাঞ্চনাদায়ক শাস্তিতে। (৩৪ঃ ১৪) মহান আল্লাহর বাণীঃ সম্পদের মোহে আমার রবের স্মরণ থেকে — আয়াতাংশে عَنْ অর্থ فَطَفِقَ مَسْحًا -- مِن - অর্থ তিনি (সুলাইমান) (আলাইহিস সালাম) ঘোড়াগুলোর গর্দানসমূহ ও তাদের হাঁটুর নলাসমূহ কাটতে লাগলেন। الأَصْفَادُ অর্থ শৃঙ্খলসমূহ। মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, الصَّافِنَاتُ অর্থ দৌড়ের জন্য প্রস্তুত ঘোড়াসমূহ। এ অর্থ صَفَنَ الْفَرَسُ থেকে গৃহীত। ঘোড়া যখন দৌড়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এক পা উঠিয়ে অন্য পায়ের খুঁরের উপর দাঁড়িয়ে যায়, তখন এ বাক্য বলা হয়। الْجِيَادُ অর্থ দ্রুতগামী, جَسَدًا শয়তান, رُخَاءً উত্তম, حَيْثُ أَصَابَ যেখানে ইচ্ছা فَامْنُنْ দান করা بِغَيْرِ حِسَابٍ দ্বিধাহীনভাবে (৩৮ঃ ৩১-৩৮)
৩১৮৩। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, একটি অবাধ্য জ্বিন এক রাতে আমার নামাযে বিঘ্ন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার নিকট আসল। আল্লাহ আমাকে তাঁর উপর ক্ষমতা প্রদান করলেন। আমি তাঁকে পাকড়াও করলাম এবং মসজিদের একটি খুটির সঙ্গে বেঁধে রাখার মনস্থ করলাম, যাতে তোমরা সবাই সচক্ষে তাঁকে দেখতে পাও। তখনই আমার ভাই সুলাইমান (আলাইহিস সালাম)- এর দুআটি আমার মনে পড়লো। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুণ এবং আমাকে দান করুন এমন এক রাজ্য যার অধিকারী আমার পরে আমি ছাড়া কেউ না হয়। (৩৮ঃ ৩৫) এরপর আমি জ্বিনটিকে ব্যর্থ এবং অপমানিত করে ছেড়ে দিলাম। জ্বীন অথবা ইনসানের অত্যন্ত পিশাচ ব্যক্তিকে ইফরীত বলা হয়। ইফরীত ও ইফরীয়াতুন যিবনীয়াতুন-এর ন্যায় একবচন, যার বহুবচন যাবানিয়াতুন।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لِدَاوُدَ سُلَيْمَانَ نِعْمَ العَبْدُ إِنَّهُ أَوَّابٌ} الرَّاجِعُ المُنِيبُ "
وَقَوْلِهِ: {هَبْ لِي مُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي} [ص: 35] وَقَوْلِهِ: {وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُوا الشَّيَاطِينُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ} [البقرة: 102] {وَلِسُلَيْمَانَ الرِّيحَ غُدُوُّهَا شَهْرٌ وَرَوَاحُهَا شَهْرٌ وَأَسَلْنَا لَهُ عَيْنَ القِطْرِ} [سبأ: 12] أَذَبْنَا لَهُ عَيْنَ الحَدِيدِ {وَمِنَ الجِنِّ مَنْ يَعْمَلُ بَيْنَ يَدَيْهِ} [سبأ: 12] إِلَى قَوْلِهِ {مِنْ مَحَارِيبَ} [سبأ: 13] " قَالَ مُجَاهِدٌ: بُنْيَانٌ مَا دُونَ القُصُورِ {وَتَمَاثِيلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ} [سبأ: 13]: كَالحِيَاضِ لِلْإِبِلِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: " كَالْجَوْبَةِ مِنَ الأَرْضِ {وَقُدُورٍ رَاسِيَاتٍ اعْمَلُوا آلَ دَاوُدَ شُكْرًا وَقَلِيلٌ مِنْ عِبَادِيَ الشَّكُورُ، فَلَمَّا قَضَيْنَا عَلَيْهِ المَوْتَ مَا دَلَّهُمْ عَلَى مَوْتِهِ إِلَّا دَابَّةُ الأَرْضِ}: الأَرَضَةُ {تَأْكُلُ مِنْسَأَتَهُ} [سبأ: 14]: عَصَاهُ، {فَلَمَّا خَرَّ} [سبأ: 14]- إِلَى قَوْلِهِ - {فِي العَذَابِ المُهِينِ} [سبأ: 14] {حُبَّ الخَيْرِ عَنْ ذِكْرِ رَبِّي} [ص: 32]. . {فَطَفِقَ مَسْحًا بِالسُّوقِ وَالأَعْنَاقِ} [ص: 33]: يَمْسَحُ أَعْرَافَ الخَيْلِ وَعَرَاقِيبَهَا. {الأَصْفَادُ} [إبراهيم: 49]
[ص:162]: الوَثَاقُ " قَالَ مُجَاهِدٌ: " {الصَّافِنَاتُ} [ص: 31] صَفَنَ الفَرَسُ: رَفَعَ إِحْدَى رِجْلَيْهِ حَتَّى تَكُونَ عَلَى طَرَفِ الحَافِرِ، {الجِيَادُ} [ص: 31]: السِّرَاعُ. {جَسَدًا} [الأعراف: 148]: شَيْطَانًا، {رُخَاءً} [ص: 36]: طَيِّبَةً {حَيْثُ أَصَابَ} [ص: 36]: حَيْثُ شَاءَ، {فَامْنُنْ} [ص: 39]: أَعْطِ {بِغَيْرِ حِسَابٍ} [البقرة: 212]: بِغَيْرِ حَرَجٍ "
3423 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الجِنِّ تَفَلَّتَ البَارِحَةَ لِيَقْطَعَ عَلَيَّ صَلاَتِي، فَأَمْكَنَنِي اللَّهُ مِنْهُ فَأَخَذْتُهُ، فَأَرَدْتُ أَنْ أَرْبُطَهُ عَلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي المَسْجِدِ حَتَّى تَنْظُرُوا إِلَيْهِ كُلُّكُمْ، فَذَكَرْتُ دَعْوَةَ أَخِي سُلَيْمَانَ رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي فَرَدَدْتُهُ خَاسِئًا» {عِفْرِيتٌ} [النمل: 39] مُتَمَرِّدٌ مِنْ إِنْسٍ أَوْ جَانٍّ، مِثْلُ زِبْنِيَةٍ جَمَاعَتُهَا الزَّبَانِيَةُ "
হাদীস নং: ৩১৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪২৪
২০৩৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং দাউদকে সুলাইমান দান করলাম (পুত্র হিসাবে) তিনি ছিলেন উত্তম বান্দা এবং অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী (৩৮ঃ ৩০) الأَوَّابٌ অর্থ গুনাহ থেকে ফিরে যে আল্লাহ অভিমুখী হয়।
৩১৮৪। খালিদ ইবনে মাখলাদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, সুলাইমান ইবনে দাউদ (আলাইহিস সালাম) বলেছেন, আজ রাতে আমি আমার সত্তর জন স্ত্রীর নিকট যাব। প্রত্যেক স্ত্রী একজন করে আশ্বারোহী যোদ্ধা গর্ভধারণ করবে। এরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করবে। তখন তাঁর সাথী বললেন, ইনশা-আল্লাহ (বলুন)। কিন্তু তিনি মুখে তা বলেন নি। এরপর একজন স্ত্রী ব্যতীত কেউ গর্ভধারণ করলেন, না। সে যাও এক (পুত্র) সন্তান প্রসব করলেন। তাও তার এক অঙ্গ ছিল না। নবী (ﷺ) বললেন, তিনি যদি ‘ইনশা-আল্লাহ’ মুখে বলতেন, তা হলে (সবগুলো সন্তানই জন্ম নিত এবং) আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতো। শুআয়ব এবং আবু যিনাদ (রাহঃ) এখানে নব্বই জন্য স্ত্রীর কথা উল্লেখ করেছেন আর এটাই সঠিক বর্ণনা।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لِدَاوُدَ سُلَيْمَانَ نِعْمَ العَبْدُ إِنَّهُ أَوَّابٌ} الرَّاجِعُ المُنِيبُ "
3424 - حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: قَالَ: سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ لَأَطُوفَنَّ اللَّيْلَةَ عَلَى سَبْعِينَ امْرَأَةً، تَحْمِلُ كُلُّ امْرَأَةٍ فَارِسًا يُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَقَالَ لَهُ صَاحِبُهُ: إِنْ شَاءَ اللَّهُ، فَلَمْ يَقُلْ، وَلَمْ تَحْمِلْ شَيْئًا إِلَّا وَاحِدًا، سَاقِطًا أَحَدُ شِقَّيْهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَوْ قَالَهَا لَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ " قَالَ شُعَيْبٌ وَابْنُ أَبِي الزِّنَادِ: تِسْعِينَ وَهُوَ أَصَحُّ
হাদীস নং: ৩১৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪২৫
২০৩৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং দাউদকে সুলাইমান দান করলাম (পুত্র হিসাবে) তিনি ছিলেন উত্তম বান্দা এবং অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী (৩৮ঃ ৩০) الأَوَّابٌ অর্থ গুনাহ থেকে ফিরে যে আল্লাহ অভিমুখী হয়।
৩১৮৫। উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) .... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সর্বপ্রথম কোন মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বললেন, মসজিদে হারাম। আমি বললাম, এরপর কোনটি? তিনি বললেন, মসজিদে আকসা। আমি বললাম, এ দু’য়ের নির্মাণের মাঝখানে কত ব্যবধান? তিনি বললেন, চল্লিশ (বছরের)* (তারপর তিনি বললেন,) যেখানেই তোমার নামাযের সময় হবে, সেখানেই তুমি নামায আদায় করে নিবে। কেননা, পৃথিবীটাই তোমার জন্য মসজিদ।
*এ চল্লিশ বছরের ব্যবধান মূল ভিত্তি স্থাপনে; পুনর্নির্মাণে নয়। ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) ও সুলায়মান (আলাইহিস সালাম) যথাক্রমে মসজিদে হারাম ও মসজিদে আকসার পুনর্নির্মাণ করেছেন মাত্র। মূল ভিত্তি স্থাপন করেছেন, আদম (আ)।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لِدَاوُدَ سُلَيْمَانَ نِعْمَ العَبْدُ إِنَّهُ أَوَّابٌ} الرَّاجِعُ المُنِيبُ "
3425 - حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ مَسْجِدٍ وُضِعَ أَوَّلَ؟ قَالَ: «المَسْجِدُ الحَرَامُ» . قُلْتُ: ثُمَّ أَيٌّ؟، قَالَ: «ثُمَّ المَسْجِدُ الأَقْصَى» قُلْتُ: كَمْ كَانَ بَيْنَهُمَا؟ قَالَ: " أَرْبَعُونَ، ثُمَّ قَالَ: حَيْثُمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ فَصَلِّ، وَالأَرْضُ لَكَ مَسْجِدٌ "
হাদীস নং: ৩১৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪২৬ - ৩৪২৭
২০৩৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং দাউদকে সুলাইমান দান করলাম (পুত্র হিসাবে) তিনি ছিলেন উত্তম বান্দা এবং অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী (৩৮ঃ ৩০) الأَوَّابٌ অর্থ গুনাহ থেকে ফিরে যে আল্লাহ অভিমুখী হয়।
৩১৮৬। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছেন যে, আমার ও অন্যান্য মানুষের উপমা হল এমন যেমন কোন এক ব্যক্তি আগুন জ্বালাল এবং তাতে পতঙ্গ এবং কীটগুলো ঝাঁকে ঝাঁকে পড়তে লাগল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, দু’জন মহিলা ছিল। তাদের সঙ্গে দু’টি সন্তানও ছিল। হঠাৎ একটি বাঘ এসে তাদের একজনের ছেলে নিয়ে গেল। সাথের একজন মহিলা বললো,
“তোমার ছেলেটিই বাঘে নিয়ে গেছে।” অপর মহিলাটি বললো, “না, বাঘে তোমার ছেলেটি নিয়ে গেছে।” তারপর উভয় মহিলাই দাউদ (আলাইহিস সালাম)- এর নিকট এ বিরোধ মীমাংসার জন্য বিচারপ্রার্থী হল। তখন তিনি ছেলেটির বিষয়ে বয়স্কা মহিলাটির পক্ষে রায় দিলেন।
তারপর তারা উভয়ে (বিচারালয় থেকে) বেরিয়ে দাউদ (আলাইহিস সালাম)- এর পুত্র সুলাইমান (আলাইহিস সালাম)- এর কাছ দিয়ে যেতে লাগল এবং তারা উভয়ে তাঁকে ঘটনাটি জানালেন। তখন তিনি লোকদেরকে বললেন, তোমরা আমার কাছে একখানা ছোরা আনয়ন কর। আমি ছেলেটিকে দু’ টুকরা করে তাদের উভয়ের মধ্যে ভাগ করে দেই। এ কথা শুনে অল্প বয়স্কা মহিলাটি বলে উঠলো, তা করবেন না, আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন। ছেলেটি তারই। (এটা আমি মেনে নিচ্ছি।) তখন তিনি ছেলেটির ব্যাপারে অল্প বয়স্কা মহিলাটির পক্ষেই রায় দিলেন। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! ছোরা অর্থে سكِّينِ শব্দটি আমি ঐ দিনই শুনেছি। আর না হয় আমরা তো ছোরাকে مُدْيَةُ ই বলতাম।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَوَهَبْنَا لِدَاوُدَ سُلَيْمَانَ نِعْمَ العَبْدُ إِنَّهُ أَوَّابٌ} الرَّاجِعُ المُنِيبُ "
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَثَلِي وَمَثَلُ النَّاسِ كَمَثَلِ رَجُلٍ اسْتَوْقَدَ نَارًا، فَجَعَلَ الْفَرَاشُ وَهَذِهِ الدَّوَابُّ تَقَعُ فِي النَّارِ ". وَقَالَ " كَانَتِ امْرَأَتَانِ مَعَهُمَا ابْنَاهُمَا جَاءَ الذِّئْبُ فَذَهَبَ بِابْنِ إِحْدَاهُمَا، فَقَالَتْ صَاحِبَتُهَا إِنَّمَا ذَهَبَ بِابْنِكِ. وَقَالَتِ الأُخْرَى إِنَّمَا ذَهَبَ بِابْنِكِ. فَتَحَاكَمَتَا إِلَى دَاوُدَ، فَقَضَى بِهِ لِلْكُبْرَى فَخَرَجَتَا عَلَى سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُدَ فَأَخْبَرَتَاهُ. فَقَالَ ائْتُونِي بِالسِّكِّينِ أَشُقُّهُ بَيْنَهُمَا. فَقَالَتِ الصُّغْرَى لاَ تَفْعَلْ يَرْحَمُكَ اللَّهُ، هُوَ ابْنُهَا. فَقَضَى بِهِ لِلصُّغْرَى ". قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَاللَّهِ إِنْ سَمِعْتُ بِالسِّكِّينِ إِلاَّ يَوْمَئِذٍ، وَمَا كُنَّا نَقُولُ إِلاَّ الْمُدْيَةُ.