আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৮- নবীগণের আঃ আলোচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩১৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০১
২০২৫. খাযির (আলাইহিস সালাম) ও মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর সম্পর্কিত ঘটনা
৩১৬২। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... সাঈদ ইবনে জুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)- কে বললাম, নাওফল বাকালী ধারণা করছে যে, খিযিরের সঙ্গী মুসা বনী ইসরাঈলের নবী মুসা (আলাইহিস সালাম) নন; নিশ্চয়ই তিনি অপর কোন মুসা। তখন তিনি বললেন, আল্লাহর দুশমন মিথ্যা কথা বলেছে। উবাই ইবনে কা‘ব (রাযিঃ) নবী (ﷺ) থেকে আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, একবার মুসা (আলাইহিস সালাম) বনী ইসরাঈলের এক সমাবেশে ভাষণ দেয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। তখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কোন ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী? তিনি বললেন, আমি। মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর এ উত্তরে আল্লাহ তাঁর প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন। কেননা তিনি জ্ঞানকে আল্লাহর দিকে সম্পর্কিত করেন নি। আল্লাহ তাঁকে বললেন, বরং দুই নদীর সংযোগ স্থলে আমার একজন বান্দা আছে, সে তোমার চেয়ে বেশী জ্ঞানী।
মুসা (আলাইহিস সালাম) আরয করলেন, হে আমার রব! তাঁর কাছে পৌঁছতে কে আমাকে সাহায্য করবে ? কখনো সুফিয়ান এভাবে বর্ণনা করেছেন, হে আমার রব! আমি তাঁর সাথে কিভাবে সাক্ষাৎ করব ? আল্লাহ্ বললেন, তুমি একটি মাছ ধর এবং তা (ভাজা করে) একটি থলের মধ্যে ভরে রাখ। যেখানে গিয়ে তুমি মাছটি হারিয়ে ফেলবে সেখানেই তিনি অবস্থান করছেন। তারপর মুসা (আলাইহিস সালাম) একটি মাছ ধরলেন এবং (তা ভাজা করে) থলের মধ্যে ভরে রাখলেন। এরপর তিনি এবং তাঁর সাথী ইউশা ইবনে নূন চলতে লাগলেন অবশেষে তাঁরা উভয়ে (নদীর তীরে) একটি পাথরের নিকট এসে পৌছে তার উপর উভয়ে মাথা রেখে বিশ্রাম করলেন। এ সময় মুসা (আলাইহিস সালাম) ঘুমিয়ে পড়লেন আর মাছটি (জীবিত হয়ে) নড়াচড়া করতে করতে থলে থেকে বের হয়ে নদীতে নেমে গেল। এরপর সে নদীতে সুড়ঙ্গ আকারে আপন পথ করে নিল আর আল্লাহ মাছটির চলার পথে পানির গতি থামিয়ে দিলেন। ফলে তার গমন পথটি সুড়ঙ্গের ন্যায় হয়ে গেল।
এ সময় নবী (ﷺ) হাতের ইশারা করে বললেন, এভাবে সুড়ঙ্গের মত হয়েছিল। এরপর তাঁরা উভয়ে অবশিষ্ট রাত এবং পুরো দিন পথ চললেন। অবশেষে যখন পরের দিন ভোর হল তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর যুবক সাথীকে বললেন, আমার ভোরের খাবার আন। আমি এ সফরে খুব ক্লান্তি অনুভব করছি। বস্তুতঃ মুসা (আলাইহিস সালাম) যে পর্যন্ত আল্লাহর নির্দেশিত স্থানটি অতিক্রম না করেছেন সে পর্যন্ত তিনি সফরে কোন ক্লান্তিই অনুভব করেন নি।
তখন তাঁর সাথী তাঁকে বললেন, আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আমরা যখন সেই পাথরটির কাছে বিশ্রাম নিয়েছিলাম (তখন মাছটি পানিতে চলে গেছে) মাছটি চলে যাওয়ার কথা বলতে আমি একেবারেই ভুলে গেছি। প্রকৃতপক্ষে আপনার কাছে তা উল্লেখ করতে একমাত্র শয়তানই আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছে। বস্তুতঃ মাছটি নদীতে আশ্চার্যজনকভাবে নিজের পথ করে নিয়েছে। (রাবী বলেন) পথটি মাছের জন্য ছিল একটি সুড়ঙ্গের মত, আর তাঁদের জন্য ছিল একটি আশ্চর্যজনক ব্যাপার। মুসা (আলাইহিস সালাম) তাকে বললেন, সেটাইতো সেই স্থান যা আমার খুঁজে বেড়াচ্ছি। এরপর উভয়ে নিজ নিজ পদচিহ্ন অনুসরণ করতে করতে পিছনের দিকে ফিরে চললেন, শেষ পর্যন্ত তাঁরা উভয়ে সেই পাথরটির কাছে এসে পৌছলেন এবং দেখলেন সেখানে একজন লোক কাপড়ে আবৃত হয়ে আছেন। মুসা (আলাইহিস সালাম) তাঁকে সালাম করলেন। তিনি সালামের জওয়াব দিয়ে বললেন, এখানে সালাম কি করে এলো ? তিনি বললেন, আমি মূসা (আমি এ দেশের লোক ন‍ই।) তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি বনী ইসরাঈলের (নবী) মূসা ? তিনি বললেন, হাঁ, আমি আপনার নিকট এসেছি, সরল সঠিক জ্ঞানের ঐ সব কথাগুলো শিখার জন্য যা আপনাকে শিখানো হয়েছে। তিনি বললেন, হে মুসা! আমার আল্লাহ প্রদত্ত কিছু জ্ঞান আছে যা আল্লাহ আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন, আপনি তা জানেন। আর আপনারও আল্লাহ প্রদত্ত কিছু জ্ঞান আছে, যা আল্লাহ আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন, আমি তা জানি না। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আমি কি আপনার সঙ্গী হতে পারি? খাযির (আলাইহিস সালাম) বললেন, আপনি আমার সাথে থেকে ধৈর্য ধারণ করতে সক্ষম হবেন না, আর আপনি এমন বিষয়ে ধৈর্য রাখবেন কি করে, যার রহস্য অনুধাবন করা আপনার জানা নেই? মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে একজন ধৈর্য ধারণকারী হিসেবে দেখতে পাবেন। আমি আপনার কোন নির্দেশই অমান্য করব না। এরপর তাঁরা উভয়ে রওয়ানা হয়ে নদীর তীর দিয়ে চলতে লাগলেন।
এমন সময় একটি নৌকা তাদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিল। তারা তাদেরকেও নৌকায় উঠিয়ে নিতে অনুরোধ করলেন। তারা খাযির (আলাইহিস সালাম)- কে চিনে ফেললেন এবং তারা তাঁকে তাঁর সঙ্গীসহ পারিশ্রমিক ব্যতিরেকেই নৌকায় তুলে নিল। তাঁরা দু’জন যখন নৌকায় আরোহণ করলেন, তখন একটি চড়ুই পাখি এসে নৌকাটির এক পাশে বসল এবং একবার কি দু’বার নদীর পানিতে সে তার ঠোঁট ডুবাল। খাযির (আলাইহিস সালাম) বললেন, হে মুসা! আমার এবং তোমার জ্ঞানের দ্বারা আল্লাহর জ্ঞান হতে ততটুকুও হ্রাস পায়নি যতটুকু এ পাখিটি তার ঠোঁটের সাহায্যে পানি হ্রাস করেছে। তারপর খাযির (আলাইহিস সালাম) হঠাৎ করে একটি কুঠার নিয়ে নৌকার একটি তক্তা খুলে ফেললেন, মুসা (আলাইহিস সালাম) অকস্মাৎ দৃষ্টি দিতেই দেখতে পেলেন তিনি খুঠার দিয়ে একটি তক্তা খুলে ফেলেন। তখন তাঁকে তিনি বললেন, আপনি এ কি করলেন? লোকেরা আমাদের পারিশ্রমিক ছাড়া নৌকায় তুলে নিল, আর আপনি তাদের নৌকার আরোহীদেরকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য নৌকাটি ছিদ্র করে দিলেন? এত আপনি একটি গুরুতর কাজ করলেন। খাযির (আলাইহিস সালাম) বললেন, আমি কি বলিনি যে, আপনি কখনও আমার সঙ্গে ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারবেন না? মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, আমি সে বিষয়টি ভুলে গেছি, তার জন্য আমাকে দোষারোপ করবেন না। আর আমার এ আচরণে আমার প্রতি কঠোর হবেন না। মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর পক্ষ থেকে প্রথম এই কথাটি ছিল ভুলক্রমে।
এরপর যখন তাঁরা উভয়ে নদী পার হয়ে আসলেন, তখন তাঁরা একটি বালকের পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন সে অন্যান্য বালকদের সাথে খেলছিল। খাযির (আলাইহিস সালাম) তার মাথা ধরলেন এবং নিজ হাতে ছেলেটির ঘাড় পৃথক করে ফেললেন। একথাটি বুঝানোর জন্য সুফিয়ান (রাহঃ) তাঁর হাতের আঙ্গুলগুলোর অগ্রভাগ দ্বারা এমনভাবে ইশারা করলেন যেন তিনি কোন জিনিস ছিড়ে নিচ্ছিলেন। এতে মুসা (আলাইহিস সালাম) তাঁকে বললেন, আপনি কি একটি নিষ্পাপ ছেলেকে বিনা অপরাধে হত্যা করলেন? নিশ্চয়ই আপনি এটা গর্হিত কাজ করলেন। খাযির (আলাইহিস সালাম) বললেন, আমি কি আপনাকে বলিনি যে,আপনি আমার সাথে ধৈর্যধারণ করতে পারবেন না? মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, এরপর যদি আমি আপনাকে আর কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি তাহলে আপনি আমাকে আর আপনার সঙ্গে রাখবেন না। কেননা আপনার ওযর আপত্তি চূড়ান্ত হয়েছে। এরপর তাঁরা চলতে লাগলেন শেষ পর্যন্ত তাঁরা এক লোকালয়ে এসে পৌছলেন।
তাঁরা গ্রামবাসীদের কাছে খাবার চাইলেন। কিন্তু তারা তাঁদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল। তারপর তাঁরা সেখানেই একটি প্রাচীর দেখতে পেলেন যা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। তা একদিকে ঝুঁকে গিয়েছিল। খাযির (আলাইহিস সালাম) তা নিজের হাতে সোজা করে দিলেন। রাবী আপন হাতে এভাবে ইশারা করলেন। আর সুফিয়ান (রাহঃ) এমনিভাবে ইঙ্গিত করলেন যেন তিনি কোন জিনিস উপরের দিকে উচিয়ে দিচ্ছেন। “ঝুকে পড়েছে” একথাটি আমি সুফিয়ানকে মাত্র একবার বলতে শুনেছি। মুসা (আলাইহিস সালাম) বললেন, তারা এমন মানুষ যে, আমরা তাদের কাছে আসলাম, তারা আমাদেরকে না খাবার পরিবেশন করল, না আমাদের মেহমানদারী করল আপনি এদের প্রাচীর সোজা করতে গেলেন। আপনি ইচ্ছা করলে এর বিনিময়ে পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারতেন। খাযির (আলাইহিস সালাম) বললেন, এখানেই আপনার ও আমার মধ্যে বিচ্ছেদ হল। তবে এখনই আমি আপনাকে অবহিত করছি ঐসব কথার গুঢ় রহস্য, যেসব বিষয়ে আপনি ধৈর্যধারণ করতে পারেন নি।
নবী (ﷺ) বলেছেন, আমাদেরতো ইচ্ছা যে, মুসা (আলাইহিস সালাম) ধৈর্যধারণ করলে আমাদের কাছে তাঁদের আরো অনেক বেশী খবর বর্ণিত হতো। সুফিয়ান বর্ণনা করেন নবী (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর উপর রহমত বর্ষন করুন। তিনি যদি ধৈর্যধারণ করতেন, তাহলে তাদের উভয়ের ব্যাপারে আমাদের কাছে আরো অনেক ঘটনা বর্ণিত হতো।
রাবী (সাইদ ইবনে জুবাইর) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এখানে পড়েছেন, তাদের সামনে একজন বাদশাহ ছিল, সে প্রতিটি নিখুঁত নৌকা যবরদস্তিমূলক ছিনিয়ে নিত। আর সে ছেলেটি ছিল কাফির, তার মা-বাবা ছিলেন মুমিন। তারপর সুফিয়ান (রাহঃ) আমাকে বলেছেন, আমি এ হাদীসটি তাঁর (আমর ইবনে দীনার) থেকে দু’বার শুনেছি এবং তাঁর নিকট হতেই মুখস্থ করেছি। সুফিয়ান (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, আপনি কি আমর ইবনে দীনার (রাহঃ) থেকে শোনার আগেই তা মুখস্থ করেছেন না অপর কোন লোকের নিকট শুনে তা মুখস্থ করেছেন? তিনি বললেন, আমি কার নিকট থেকে তা মুখস্থ করতে পারি? আমি ছাড়া আর কেউ কি এ হাদীস আমরের নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন? আমি তাঁর কাছ থেকেই শুনেছি দুইবার কি তিনবার। আর তাঁর থেকেই তা মুখস্থ করেছি। আলী ইবনে খুশরম (রাহঃ) সুফিয়ান (রাহঃ) সূত্রে বর্ণিত দীর্ঘ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
باب حَدِيثِ الْخَضِرِ مَعَ مُوسَى عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ
3401 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عَبَّاسٍ: إِنَّ نَوْفًا البَكَالِيَّ يَزْعُمُ: أَنَّ مُوسَى صَاحِبَ الخَضِرِ لَيْسَ هُوَ مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ، إِنَّمَا هُوَ مُوسَى آخَرُ، فَقَالَ: كَذَبَ عَدُوُّ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَنَّ مُوسَى قَامَ خَطِيبًا فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَسُئِلَ أَيُّ النَّاسِ أَعْلَمُ؟ فَقَالَ: أَنَا، فَعَتَبَ اللَّهُ عَلَيْهِ، إِذْ لَمْ يَرُدَّ العِلْمَ إِلَيْهِ، فَقَالَ لَهُ: بَلَى، لِي عَبْدٌ بِمَجْمَعِ البَحْرَيْنِ هُوَ أَعْلَمُ مِنْكَ قَالَ: أَيْ رَبِّ وَمَنْ لِي بِهِ؟ - وَرُبَّمَا قَالَ سُفْيَانُ، أَيْ رَبِّ، وَكَيْفَ لِي بِهِ؟ - قَالَ: تَأْخُذُ حُوتًا، فَتَجْعَلُهُ فِي مِكْتَلٍ، حَيْثُمَا فَقَدْتَ [ص:155] الحُوتَ فَهُوَ ثَمَّ، - وَرُبَّمَا قَالَ: فَهُوَ ثَمَّهْ -، وَأَخَذَ حُوتًا فَجَعَلَهُ فِي مِكْتَلٍ، ثُمَّ انْطَلَقَ هُوَ وَفَتَاهُ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ، حَتَّى إِذَا أَتَيَا الصَّخْرَةَ وَضَعَا رُءُوسَهُمَا، فَرَقَدَ مُوسَى وَاضْطَرَبَ الحُوتُ فَخَرَجَ، فَسَقَطَ فِي البَحْرِ فَاتَّخَذَ سَبِيلَهُ فِي البَحْرِ سَرَبًا، فَأَمْسَكَ اللَّهُ عَنِ الحُوتِ جِرْيَةَ المَاءِ، فَصَارَ مِثْلَ الطَّاقِ، فَقَالَ: هَكَذَا مِثْلُ الطَّاقِ، فَانْطَلَقَا يَمْشِيَانِ بَقِيَّةَ لَيْلَتِهِمَا وَيَوْمَهُمَا، حَتَّى إِذَا كَانَ مِنَ الغَدِ قَالَ لِفَتَاهُ: آتِنَا غَدَاءَنَا، لَقَدْ لَقِينَا مِنْ سَفَرِنَا هَذَا نَصَبًا، وَلَمْ يَجِدْ مُوسَى النَّصَبَ حَتَّى جَاوَزَ حَيْثُ أَمَرَهُ اللَّهُ، قَالَ لَهُ فَتَاهُ: (أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ الحُوتَ وَمَا أَنْسَانِيهِ إِلَّا الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ وَاتَّخَذَ سَبِيلَهُ فِي البَحْرِ عَجَبًا) فَكَانَ لِلْحُوتِ سَرَبًا وَلَهُمَا عَجَبًا، قَالَ لَهُ مُوسَى: (ذَلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِي فَارْتَدَّا عَلَى آثَارِهِمَا قَصَصًا) ، رَجَعَا يَقُصَّانِ آثَارَهُمَا، حَتَّى انْتَهَيَا إِلَى الصَّخْرَةِ، فَإِذَا رَجُلٌ مُسَجًّى بِثَوْبٍ، فَسَلَّمَ مُوسَى فَرَدَّ عَلَيْهِ، فَقَالَ وَأَنَّى بِأَرْضِكَ السَّلاَمُ؟ قَالَ: أَنَا مُوسَى، قَالَ: مُوسَى بَنِي إِسْرَائِيلَ قَالَ: نَعَمْ، أَتَيْتُكَ لِتُعَلِّمَنِي مِمَّا عُلِّمْتَ رُشْدًا، قَالَ: يَا مُوسَى: إِنِّي عَلَى عِلْمٍ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ عَلَّمَنِيهِ اللَّهُ لاَ تَعْلَمُهُ، وَأَنْتَ عَلَى عِلْمٍ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ عَلَّمَكَهُ اللَّهُ لاَ أَعْلَمُهُ، قَالَ: هَلْ أَتَّبِعُكَ؟ قَالَ: {إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا. وَكَيْفَ تَصْبِرُ عَلَى مَا لَمْ تُحِطْ بِهِ خُبْرًا} [الكهف: 68]- إِلَى قَوْلِهِ - {إِمْرًا} [الكهف: 71] فَانْطَلَقَا يَمْشِيَانِ عَلَى سَاحِلِ البَحْرِ، فَمَرَّتْ بِهِمَا سَفِينَةٌ كَلَّمُوهُمْ أَنْ يَحْمِلُوهُمْ، فَعَرَفُوا الخَضِرَ فَحَمَلُوهُ بِغَيْرِ نَوْلٍ، فَلَمَّا رَكِبَا فِي السَّفِينَةِ جَاءَ عُصْفُورٌ، فَوَقَعَ عَلَى حَرْفِ السَّفِينَةِ فَنَقَرَ فِي البَحْرِ نَقْرَةً أَوْ نَقْرَتَيْنِ، قَالَ لَهُ الخَضِرُ يَا مُوسَى مَا نَقَصَ عِلْمِي وَعِلْمُكَ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ إِلَّا مِثْلَ مَا نَقَصَ هَذَا العُصْفُورُ بِمِنْقَارِهِ مِنَ البَحْرِ، إِذْ أَخَذَ الفَأْسَ فَنَزَعَ لَوْحًا، قَالَ: فَلَمْ يَفْجَأْ مُوسَى إِلَّا وَقَدْ قَلَعَ لَوْحًا بِالقَدُّومِ، فَقَالَ لَهُ مُوسَى: مَا صَنَعْتَ؟ قَوْمٌ حَمَلُونَا بِغَيْرِ نَوْلٍ عَمَدْتَ إِلَى سَفِينَتِهِمْ فَخَرَقْتَهَا لِتُغْرِقَ أَهْلَهَا، لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا إِمْرًا، قَالَ: {أَلَمْ أَقُلْ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا، قَالَ: لاَ تُؤَاخِذْنِي بِمَا نَسِيتُ وَلاَ تُرْهِقْنِي مِنْ أَمْرِي عُسْرًا} [الكهف: 72] ، فَكَانَتِ الأُولَى مِنْ مُوسَى نِسْيَانًا، فَلَمَّا خَرَجَا مِنَ البَحْرِ مَرُّوا بِغُلاَمٍ يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ، فَأَخَذَ الخَضِرُ بِرَأْسِهِ فَقَلَعَهُ بِيَدِهِ هَكَذَا، - وَأَوْمَأَ سُفْيَانُ بِأَطْرَافِ أَصَابِعِهِ كَأَنَّهُ يَقْطِفُ شَيْئًا -، فَقَالَ لَهُ مُوسَى: أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً بِغَيْرِ نَفْسٍ، لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا نُكْرًا، قَالَ: أَلَمْ أَقُلْ لَكَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا، قَالَ: إِنْ سَأَلْتُكَ عَنْ شَيْءٍ بَعْدَهَا فَلاَ تُصَاحِبْنِي قَدْ بَلَغْتَ مِنْ لَدُنِّي عُذْرًا، فَانْطَلَقَا، حَتَّى إِذَا أَتَيَا أَهْلَ قَرْيَةٍ اسْتَطْعَمَا أَهْلَهَا، فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمَا، فَوَجَدَا فِيهَا جِدَارًا يُرِيدُ أَنْ يَنْقَضَّ، مَائِلًا [ص:156]، أَوْمَأَ بِيَدِهِ هَكَذَا، - وَأَشَارَ سُفْيَانُ كَأَنَّهُ يَمْسَحُ شَيْئًا إِلَى فَوْقُ، فَلَمْ أَسْمَعْ سُفْيَانَ يَذْكُرُ مَائِلًا إِلَّا مَرَّةً -، قَالَ: قَوْمٌ أَتَيْنَاهُمْ فَلَمْ يُطْعِمُونَا وَلَمْ يُضَيِّفُونَا، عَمَدْتَ إِلَى حَائِطِهِمْ، لَوْ شِئْتَ لاَتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًا، قَالَ: هَذَا فِرَاقُ بَيْنِي وَبَيْنِكَ، سَأُنَبِّئُكَ بِتَأْوِيلِ مَا لَمْ تَسْتَطِعْ عَلَيْهِ صَبْرًا، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَدِدْنَا أَنَّ مُوسَى كَانَ صَبَرَ فَقَصَّ اللَّهُ عَلَيْنَا مِنْ خَبَرِهِمَا، - قَالَ سُفْيَانُ -، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يَرْحَمُ اللَّهُ مُوسَى لَوْ كَانَ صَبَرَ لَقُصَّ عَلَيْنَا مِنْ أَمْرِهِمَا» وَقَرَأَ ابْنُ عَبَّاسٍ: «أَمَامَهُمْ مَلِكٌ يَأْخُذُ كُلَّ سَفِينَةٍ صَالِحَةٍ غَصْبًا» وَأَمَّا الغُلاَمُ فَكَانَ كَافِرًا وَكَانَ أَبَوَاهُ مُؤْمِنَيْنِ " ثُمَّ قَالَ لِي سُفْيَانُ: سَمِعْتُهُ مِنْهُ مَرَّتَيْنِ، وَحَفِظْتُهُ مِنْهُ، قِيلَ لِسُفْيَانَ: حَفِظْتَهُ قَبْلَ أَنْ تَسْمَعَهُ مِنْ عَمْرٍو، أَوْ تَحَفَّظْتَهُ مِنْ إِنْسَانٍ؟، فَقَالَ: مِمَّنْ أَتَحَفَّظُهُ، وَرَوَاهُ أَحَدٌ، عَنْ عَمْرٍو غَيْرِي سَمِعْتُهُ مِنْهُ مَرَّتَيْنِ، أَوْ ثَلاَثًا وَحَفِظْتُهُ مِنْهُ "
হাদীস নং: ৩১৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০২
২০২৫. খাযির (আলাইহিস সালাম) ও মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর সম্পর্কিত ঘটনা
৩১৬৩। মুহাম্মাদ ইবনে সাঈদ ইবনে আসবাহানী (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, খাযির (আলাইহিস সালাম)- কে খাযির নামে অভিহিত করার কারণ হল এই যে, একদা তিনি ঘাস-পাতা বিহীন শুষ্ক সাদা জায়গায় বসেছিলেন। সেখান থেকে তাঁর উঠে যাওয়ার পরই হঠাৎ ঐ স্থানটি সবুজ হয়ে গেল। (এ ঘটনা থেকেই তাঁর নাম খাযির হয়ে যায়।)
باب حَدِيثِ الْخَضِرِ مَعَ مُوسَى عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ
3402 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ ابْنُ الأَصْبِهَانِيِّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ المُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِنَّمَا سُمِّيَ الخَضِرَ أَنَّهُ جَلَسَ عَلَى فَرْوَةٍ بَيْضَاءَ، فَإِذَا هِيَ تَهْتَزُّ مِنْ خَلْفِهِ خَضْرَاءَ»
হাদীস নং: ৩১৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০৩
২০২৬. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
৩১৬৪। ইসহাক ইবনে নাসর (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, বনী ইসরাঈলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, তোমরা দ্বার দিয়ে অবনত মস্তকে প্রবেশ কর আর মুখে বল, ‘হিত্তাতুন’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দাও।) কিন্তু তারা এ শব্দটি পরিবর্তন করে ফেলল এবং প্রবেশ দ্বার দিয়ে যেন জানু নত না করতে হয় সে জন্য তারা নিজ নিজ নিতম্বের উপর ভর দিয়ে শহরে প্রবেশ করল আর মুখে বলল, “হাব্বাতুন ফী শা‘আরাতিন” (অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদেরকে যবের দানা দাও।)
باب
3403 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قِيلَ لِبَنِي إِسْرَائِيلَ: {ادْخُلُوا البَابَ سُجَّدًا وَقُولُوا حِطَّةٌ} [البقرة: 58] فَبَدَّلُوا، فَدَخَلُوا يَزْحَفُونَ عَلَى أَسْتَاهِهِمْ، وَقَالُوا: حَبَّةٌ فِي شَعْرَةٍ "
হাদীস নং: ৩১৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০৪
২০২৬. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
৩১৬৫। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মুসা (আলাইহিস সালাম) অত্যন্ত লজ্জাশীল ছিলেন, সব সময় শরীর আবৃত রাখতেন। তাঁর দেহের কোন অংশ খোলা দেখা যেতনা তা থেকে তিনি লজ্জাবোধ করতেন। বনী ইসরাঈলের কিছু সংখ্যক লোক তাঁকে খুব কষ্ট দিত। তারা বলত, তিনি যে শরীরকে এত বেশী ঢেকে রাখেন, তাঁর একমাত্র কারণ হল, তাঁর শরীরে কোন দোষ আছে। হয়ত শ্বেত রোগ অথবা একশিরা বা অন্য কোন রোগ আছে। আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলেন মুসা (আলাইহিস সালাম) সম্পর্কে তারা যে অপবাদ রটিয়েছে তা থেকে তাঁকে মুক্ত করবেন। এরপর একদিন নির্জন স্থানে গিয়ে তিনি একাকী হলেন এবং তাঁর পরনের কাপড় খুলে একটি পাথরের উপর রাখলেন, তারপর গোসল করলেন, গোসল সেরে যখনই তিনি কাপড় নেয়ার জন্য সেদিকে এগিয়ে গেলেন তাঁর কাপড়সহ পাথরটি ছুটে চলল।
এরপর মুসা (আলাইহিস সালাম) লাঠিটি হাতে নিয়ে পাথরটির পেছনে পেছনে ছুটলেন। তিনি বলতে লাগলেন, আমার কাপড় হে পাথর! হে পাথর! পরিশেষে পাথরটি বনী ইসরাঈলের একটি জন সমাবেশে গিয়ে পৌছল। তখন তারা মুসা (আলাইহিস সালাম)- কে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখল যে, তিনি আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে সৌন্দর্যের পরিপূর্ণ এবং তারা তাঁকে যে অপবাদ দিয়েছিল সে সব দোষ থেকে তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত। আর পাথরটি থামল, তখন মুসা (আলাইহিস সালাম) তাঁর কাপড় নিয়ে পরিধান করলেন এবং তাঁর হাতের লাঠি দিয়ে পাথরটিকে জোরে জোরে আঘাত করতে লাগলেন। আল্লাহর কসম! এতে পাথরটিতে তিন, চার, কিংবা পাঁচটি আঘাতের দাগ পড়ে গেল। আর এটাই হল আল্লাহর এ বাণীর মর্মঃ হে মুমিনগণ! তোমরা তাদের ন্যায় হয়ো না যারা মুসা (আলাইহিস সালাম)- কে কষ্ট দিয়েছিল। এরপর আল্লাহ তাঁকে নির্দোষ প্রমাণিত করেন তা থেকে যা তারা রটনা করেছিল। আর তিনি ছিলেন আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান। (৩৩ঃ ৬৯)
باب
3404 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، عَنِ الحَسَنِ، وَمُحَمَّدٍ، وَخِلاَسٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّ مُوسَى كَانَ رَجُلًا حَيِيًّا سِتِّيرًا، لاَ يُرَى مِنْ جِلْدِهِ شَيْءٌ اسْتِحْيَاءً مِنْهُ، فَآذَاهُ مَنْ آذَاهُ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ فَقَالُوا: مَا يَسْتَتِرُ هَذَا التَّسَتُّرَ، إِلَّا مِنْ عَيْبٍ بِجِلْدِهِ: إِمَّا بَرَصٌ وَإِمَّا أُدْرَةٌ: وَإِمَّا آفَةٌ، وَإِنَّ اللَّهَ أَرَادَ أَنْ يُبَرِّئَهُ مِمَّا قَالُوا لِمُوسَى، فَخَلاَ يَوْمًا وَحْدَهُ، فَوَضَعَ ثِيَابَهُ عَلَى الحَجَرِ، ثُمَّ اغْتَسَلَ، فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ إِلَى ثِيَابِهِ لِيَأْخُذَهَا، وَإِنَّ الحَجَرَ عَدَا بِثَوْبِهِ، فَأَخَذَ مُوسَى عَصَاهُ وَطَلَبَ الحَجَرَ، فَجَعَلَ يَقُولُ: ثَوْبِي حَجَرُ، ثَوْبِي حَجَرُ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى مَلَإٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَرَأَوْهُ عُرْيَانًا أَحْسَنَ مَا خَلَقَ اللَّهُ، وَأَبْرَأَهُ مِمَّا يَقُولُونَ، وَقَامَ الحَجَرُ، فَأَخَذَ ثَوْبَهُ فَلَبِسَهُ، وَطَفِقَ بِالحَجَرِ ضَرْبًا بِعَصَاهُ، فَوَاللَّهِ إِنَّ بِالحَجَرِ لَنَدَبًا مِنْ أَثَرِ ضَرْبِهِ، ثَلاَثًا أَوْ أَرْبَعًا أَوْ خَمْسًا، فَذَلِكَ قَوْلُهُ: يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا [ص:157] لاَ تَكُونُوا كَالَّذِينَ آذَوْا مُوسَى فَبَرَّأَهُ اللَّهُ مِمَّا قَالُوا وَكَانَ عِنْدَ اللَّهِ وَجِيهًا "
হাদীস নং: ৩১৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৪০৫
২০২৬. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
৩১৬৬। আবুল ওয়ালীদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) একদা কিছু জিনিস (লোকদের মধ্যে) বণ্টন করেন। তখন এক ব্যক্তি বলল, এতো এমন ধরনের বণ্টন যা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে করা হয়নি। এরপর আমি নবী (ﷺ)- এর খেদমতে আসলাম এবং তাঁকে বিষয়টি জানালাম। তিনি খুব অসন্তুষ্ট হলেন, এমনকি তাঁর চেহারায় আমি অসন্তুষ্টির ভাব দেখতে পেলাম। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহ মুসা (আলাইহিস সালাম)- এর প্রতি রহম করুন, তাঁকে এর চেয়ে অনেক কষ্ট দেওয়া হয়েছিল, তবুও তিনি ধৈর্যধারণ করেছিলেন।
باب
3405 - حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَسَمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَسْمًا، فَقَالَ رَجُلٌ: إِنَّ هَذِهِ لَقِسْمَةٌ مَا أُرِيدَ بِهَا وَجْهُ اللَّهِ، فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَغَضِبَ حَتَّى رَأَيْتُ الغَضَبَ فِي وَجْهِهِ، ثُمَّ قَالَ: يَرْحَمُ اللَّهَ مُوسَى، قَدْ أُوذِيَ بِأَكْثَرَ مِنْ هَذَا فَصَبَرَ "