আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৮- নবীগণের আঃ আলোচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১১ টি

হাদীস নং: ৩১১২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৪৯
২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫) মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ইবরাহীম ছিলেন এক উম্মত, আল্লাহর অনুগত (২৬ঃ ১২০) মহান আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ইবরাহীম কোমল হৃদয় ও সহনশীল (৯ঃ ১১৪)। আর আবু মাইসারাহ (রাহঃ) বলেন, হাবশী ভাষায় اواه শব্দটি الرَّحِيمُ অর্থে ব্যবহৃত হয়।
৩১১২। মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, নিশ্চয়ই তোমাদেরকে হাশরের ময়দানে খালি পা, বিবস্ত্র এবং খাতনাবিহীন অবস্থায় উপস্থিত করা হবে। এরপর তিনি (এ কথার সমর্থনে) পবিত্র কুরআনের আয়াতটি তিলাওয়াত করলেনঃ যে ভাবে আমি প্রথমে সৃষ্টির সুচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। এটি আমার প্রতিশ্রুতি। এর বাস্তবায়ন আমি করবই। (২১ঃ ১০৪) আর কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যাকে কাপড় পরানো হবে তিনি হবেন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)। আর (সে দিন) আমার অনুসারীদের মধ্য হতে কয়েকজনকে পাকড়াও করে বাম দিকে অর্থাৎ জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, এরা তো আমার অনুসারী, এরা তো আমার অনুসারী! এ সময় আল্লাহ বলবেন, যখন আপনি এদের থেকে বিদায় নেন, তখন তারা পূর্ব ধর্মে ফিরে যায়। কাজেই তারা আপনার সাহাবী নয়। তখন আল্লাহর নেক বান্দা (ঈসা আলাইহিস সালাম) যেমন বলেছিলেন; তেমন আমি বলব, হে আল্লাহ! আমি যতদিন তাদের মাঝে ছিলাম, ততদিন আমি ছিলাম তাদের অবস্থার পর্যবেক্ষক। আপনি পরক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় (৫ঃ ১১৭-১১৮)।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125]وَقَوْلِهِ: {إِنَّ إِبْرَاهِيمَ كَانَ أُمَّةً قَانِتًا لِلَّهِ} [النحل: 120] : وَقَوْلِهِ: {إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَأَوَّاهٌ حَلِيمٌ} [التوبة: 114] ، وَقَالَ أَبُو مَيْسَرَةَ: الرَّحِيمُ بِلِسَانِ الحَبَشَةِ
3349 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا المُغِيرَةُ بْنُ النُّعْمَانِ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا، ثُمَّ قَرَأَ: {كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فَاعِلِينَ} [الأنبياء: 104] ، وَأَوَّلُ مَنْ يُكْسَى يَوْمَ القِيَامَةِ إِبْرَاهِيمُ، وَإِنَّ أُنَاسًا مِنْ أَصْحَابِي يُؤْخَذُ بِهِمْ ذَاتَ الشِّمَالِ، فَأَقُولُ أَصْحَابِي أَصْحَابِي، فَيَقُولُ: إِنَّهُمْ لَمْ يَزَالُوا مُرْتَدِّينَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ مُنْذُ فَارَقْتَهُمْ، فَأَقُولُ كَمَا قَالَ العَبْدُ الصَّالِحُ ": {وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي} [المائدة: 117]- إِلَى قَوْلِهِ - {العَزِيزُ الحَكِيمُ} [البقرة: 129]
হাদীস নং: ৩১১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৫০
২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫)
৩১১৩। ইসমাঈল ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, কিয়ামতের দিন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাঁর পিতা আযরের দেখা পাবেন। আযরের মুখমণ্ডলে কালিমা এবং ধূলাবালি থাকবে। তখন ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তাকে বলবেন, আমি কি পৃথিবীতে আপনাকে বলিনি যে, আমার অবাধ্যতা করবেন না? তখন তাঁর পিতা বলবে, আজ আর তোমার অবাধ্যতা করব না। এরপর ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) (আল্লাহর কাছে) আবেদন করবেন, হে আমার রব! আপনি আমার সাথে ওয়াদা করেছিলেন যে, হাশরের দিন আপনি আমাকে লজ্জিত করবেন না। আমার পিতা রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার চাইতে অধিক অপমান আমার জন্য আর কি হতে পারে? তখন আল্লাহ বলবেন, আমি কাফিরদের জন্য জান্নাত হারাম করে দিয়েছি। পুনরায় বলা হবে, হে ইবরাহীম! তোমার পদতলে কি? তখন তিনি নীচের দিকে তাকাবেন। হঠাৎ দেখতে পাবেন তাঁর পিতার স্থানে সর্বশরীরে রক্তমাখা একটি জানোয়ার পড়ে রয়েছে। এর চার পা বেঁধে জাহান্নামে ছুঁড়ে ফেলা হবে।*
* ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর আবেদনক্রমে তাঁর পিতার আকৃতি বিবর্তন ঘটিয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে । মহান আল্লাহ এভাবে ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-কে অপমান হতে রক্ষা করবেন।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125]
3350 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَخِي عَبْدُ الحَمِيدِ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ سَعِيدٍ المَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " يَلْقَى إِبْرَاهِيمُ أَبَاهُ آزَرَ يَوْمَ القِيَامَةِ، وَعَلَى وَجْهِ آزَرَ قَتَرَةٌ وَغَبَرَةٌ، فَيَقُولُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ: أَلَمْ أَقُلْ لَكَ لاَ تَعْصِنِي، فَيَقُولُ أَبُوهُ: فَاليَوْمَ لاَ أَعْصِيكَ، فَيَقُولُ إِبْرَاهِيمُ: يَا رَبِّ إِنَّكَ وَعَدْتَنِي أَنْ لاَ تُخْزِيَنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ، فَأَيُّ خِزْيٍ أَخْزَى مِنْ أَبِي الأَبْعَدِ؟ فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: " إِنِّي حَرَّمْتُ الجَنَّةَ عَلَى الكَافِرِينَ، ثُمَّ يُقَالُ: يَا إِبْرَاهِيمُ، مَا تَحْتَ رِجْلَيْكَ؟ فَيَنْظُرُ، فَإِذَا هُوَ بِذِيخٍ مُلْتَطِخٍ، فَيُؤْخَذُ بِقَوَائِمِهِ فَيُلْقَى فِي النَّارِ "
হাদীস নং: ৩১১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৫১
২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫)
৩১১৪। ইয়াহয়া ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) একদা কা‘বা ঘরে প্রবেশ করলেন। সেখানে তিনি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) ও মারইয়ামের ছবি দেখতে পেলেন। তখন তিনি বললেন, তাদের (কুরাইশদের) কি হল? অথচ তারা তো শুনতে পেয়েছে, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকবে, সে ঘরে (রহমতের) ফিরিশতাগণ প্রবেশ করেন না। এ যে ইবরাহীমের ছবি বানানো হয়েছে, (ভাগ্য নির্ধারক জুয়ার তীর নিক্ষেপরত অবস্থায়) তিনি কেন ভাগ্য নির্ধারক তীর নিক্ষেপ করবেন!
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125]
3351 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، أَنَّ بُكَيْرًا، حَدَّثَهُ عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: دَخَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ البَيْتَ، فَوَجَدَ فِيهِ صُورَةَ إِبْرَاهِيمَ، وَصُورَةَ مَرْيَمَ، فَقَالَ «أَمَا لَهُمْ، فَقَدْ سَمِعُوا أَنَّ المَلاَئِكَةَ لاَ تَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ صُورَةٌ، هَذَا إِبْرَاهِيمُ مُصَوَّرٌ، فَمَا لَهُ يَسْتَقْسِمُ»
হাদীস নং: ৩১১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৫২
২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫)
৩১১৫। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) যখন কা‘বা ঘরে ছবিসমূহ দেখতে পেলেন, তখন যে পর্যন্ত তাঁর নির্দেশে তা মিটিয়ে ফেলা না হল, সে পর্যন্ত তিনি তাতে প্রবেশ করলেন না। আর তিনি দেখতে পেলেন, ইবরাহীম এবং ইসমাঈল (আলাইহিমুস সালাম)- এর হাতে ভাগ্য নির্ধারণের তীর। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তাদের (কুরাইশদের) উপর লানত বর্ষণ করুক। আল্লাহর কসম, তারা দু’জন কখনও ভাগ্য নির্ধারক তীর নিক্ষেপ করেন নি।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125]
3352 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:140]، لَمَّا رَأَى الصُّوَرَ فِي البَيْتِ لَمْ يَدْخُلْ حَتَّى أَمَرَ بِهَا فَمُحِيَتْ، وَرَأَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ عَلَيْهِمَا السَّلاَمُ بِأَيْدِيهِمَا الأَزْلاَمُ، فَقَالَ «قَاتَلَهُمُ اللَّهُ، وَاللَّهِ إِنِ اسْتَقْسَمَا بِالأَزْلاَمِ قَطُّ»
হাদীস নং: ৩১১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৫৩
২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫)
৩১১৬। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মানুষের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি কে? তিনি বললেন, তাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশী মুত্তাকী। তখন তারা বলল, আমরা তো আপনাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করিনি। তিনি বললেন, তা হলে (সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি) আল্লাহর নবী ইউসুফ (আলাইহিস সালাম), যিনি আল্লাহর নবী (ইয়াকুব আলাইহিস সালাম)- এর পুত্র, আল্লাহর নবী (ইসহাক)-এর পৌত্র, এবং আল্লাহর খলিল (ইবরাহীম)- এর প্রপৌত্র। তারা বলল, আমরা আপনাকে এ সম্বন্ধেও জিজ্ঞাসা করিনি। তিনি বললেন, তাহলে কি তোমরা আরবের মূল্যবান গোত্রসমুহ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করছ? জাহিলী যুগে তাদের মধ্যে যারা সর্বোত্তম ব্যক্তি ছিলেন, ইসলামেও তাঁরা সর্বোত্তম ব্যক্তি যদি তাঁরা ইসলামী জ্ঞানার্জন করেন। আবু উসামা ও মু‘তামির (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125]
3353 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ: مَنْ أَكْرَمُ النَّاسِ؟ قَالَ: «أَتْقَاهُمْ» فَقَالُوا: لَيْسَ عَنْ هَذَا نَسْأَلُكَ، قَالَ: «فَيُوسُفُ نَبِيُّ اللَّهِ، ابْنُ نَبِيِّ اللَّهِ، ابْنِ نَبِيِّ اللَّهِ، ابْنِ خَلِيلِ اللَّهِ» قَالُوا: لَيْسَ عَنْ هَذَا نَسْأَلُكَ، قَالَ: «فَعَنْ مَعَادِنِ العَرَبِ تَسْأَلُونِ؟ خِيَارُهُمْ فِي الجَاهِلِيَّةِ خِيَارُهُمْ فِي الإِسْلاَمِ، إِذَا فَقُهُوا» قَالَ: أَبُو أُسَامَةَ، وَمُعْتَمِرٌ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ৩১১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৫৪
২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫)
৩১১৭। মুআম্মাল ইবনে হিশাম (রাহঃ) .... সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আজ রাতে (স্বপ্নে) আমার কাছে দু’জন লোক আসলেন। তারপর আমরা এক দীর্ঘদেহী লোকের কাছে আসলাম। তার দেহ দীর্ঘ হওয়ার কারণে আমি তাঁর মাথা দেখতে পাচ্ছিলাম না। মুলতঃ তিনি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) ছিলেন।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125]
3354 - حَدَّثَنَا مُؤَمَّلٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، حَدَّثَنَا أَبُو رَجَاءٍ، حَدَّثَنَا سَمُرَةُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَانِي اللَّيْلَةَ آتِيَانِ، فَأَتَيْنَا عَلَى رَجُلٍ طَوِيلٍ، لاَ أَكَادُ أَرَى رَأْسَهُ طُولًا، وَإِنَّهُ إِبْرَاهِيمُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
হাদীস নং: ৩১১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৫৫
২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫)
৩১১৮। বায়ান ইবনে আমর (রাহঃ) .... আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, লোকজন তাঁর সামনে দাজ্জালের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর (দাজ্জালের) দু’ চোখের মাঝখানে অর্থাৎ কপালে লেখা থাকবে কাফির বা কাফ, ফা, রা। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, এটা নবী (ﷺ)- এর কাছে শুনেনি। বরং তিনি বলেছেন, যদি তোমরা ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে দেখতে চাও তবে তোমাদের সাথীর (আমার) দিকে তকাও, আর মুসা (আলাইহিস সালাম) তিনি হলেন কুকড়ানো চুল, তামাটে রং-এর দেহ বিশিষ্ট। তিনি এমন একটি লাল উটের উপর উপবিষ্ট, যার নাকের রশি হবে খেজুর গাছের ছালের তৈরী। আমি যেন তাকে দেখতে পাচ্ছি, তিনি আল্লাহু আকবার ধ্বনি দিতে দিতে উপত্যকায় অবতরণ করছেন।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125]
3355 - حَدَّثَنِي بَيَانُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا النَّضْرُ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا وَذَكَرُوا لَهُ الدَّجَّالَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ مَكْتُوبٌ كَافِرٌ، أَوْ ك ف ر، قَالَ: لَمْ أَسْمَعْهُ، وَلَكِنَّهُ قَالَ: «أَمَّا إِبْرَاهِيمُ فَانْظُرُوا إِلَى صَاحِبِكُمْ، وَأَمَّا مُوسَى فَجَعْدٌ آدَمُ عَلَى جَمَلٍ أَحْمَرَ مَخْطُومٍ بِخُلْبَةٍ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَيْهِ انْحَدَرَ فِي الوَادِي»
হাদীস নং: ৩১১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৫৬
২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫)
৩১১৯। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নবী - ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) সূত্রধরদের অস্ত্র দ্বারা নিজের খাতনা করেছিলেন এবং তখন তাঁর বয়স ছিল আশি বছর।
আব্দুর রহমান ইবনে ইসহাক (রাহঃ) আবু যিনাদ (রাহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় মুগীরা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ)- এর অনুসরণ করেছেন। আজলান (রাহঃ) আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে হাদীস বর্ণনায় আরয (রাহঃ)- এর অনুসরণ করেছেন। আর মুহাম্মাদ ইবনে আমর (রাহঃ) আবু সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125]
3356 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ القُرَشِيُّ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اخْتَتَنَ إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَهُوَ ابْنُ ثَمَانِينَ سَنَةً بِالقَدُّومِ» ، حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الزِّنَادِ، وَقَالَ «بِالقَدُومِ مُخَفَّفَةً» ، تَابَعَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، تَابَعَهُ عَجْلاَنُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَرَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ
হাদীস নং: ৩১২০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৫৭ - ৩৩৫৮
২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫)
৩১২০। সাঈদ ইবনে তালীদ রু‘আইনী ও মুহাম্মাদ ইবনে মাহবুব (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) তিনবার ব্যতীত কখনও কথাকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলেন নি। তন্মধ্যে দু’বার ছিল আল্লাহ প্রসঙ্গে। তার উক্তি “আমি অসুস্থ” (৩৭ঃ ৮৯) এবং তাঁর আবার এক উক্তি “বরং এ কাজ করেছে, এই তো তাদের বড়টি।” (২১ঃ ৬৩) বর্ণনাকারী বলেন, একদা তিনি (ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) এবং (তাঁর পত্নি) সারা অত্যাচারী শাসকগণের কোন এক শাসকের এলাকায় এসে পৌঁছলেন।
(তা-ছিল মিসর) তখন তাকে (শাসককে) সংবাদ দেওয়া হল যে, এ এলাকায় একজন লোক এসেছে। তার সাথে একজন সর্বাপেক্ষা সুন্দরী মহিলা রয়েছে। তখন সে (রাজা) তাঁর (ইবরাহীম)- এর কাছে লোক পাঠাল। সে তাঁকে মহিলাটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল, এ মহিলাটি কে? তিনি উত্তর দিলেন, মহিলাটি আমার বোন। তারপর তিনি সারার কাছে আসলেন এবং বললেন, হে সারা, তুমি আর আমি ছাড়া পৃথিবীর উপর আর কোন মু’মিন নেই। এ লোকটি আমাকে তোমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। তখন আমি তাকে জানিয়েছি যে, তুমি আমার বোন। কাজেই তুমি আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন কর না।
এরপর (অত্যাচারী রাজা) সারাকে আনার জন্য লোক পাঠালো। তিনি (সারা) যখন তার (রাজার) কাছে প্রবেশ করলেন এবং রাজা তাঁর দিকে হাত বাড়ালো তখনই সে (আল্লাহর গযবে) পাকড়াও হল। তখন অত্যাচারী রাজা সারাকে বলল, আমার জন্য আল্লাহর নিকট দু‘আ কর, আমি তোমার কোন ক্ষতি করব না। তখন সারা আল্লাহর নিকট দু‘আ করলেন। ফলে সে মুক্তি পেয়ে গেল। এরপর দ্বিতীয়বার তাকে ধরতে চাইলো। এইবার সে পূর্বের ন্যায় বা তার চেয়ে কঠিনভাবে (আল্লাহর গযবে) পাকড়াও হল। এবারও সে বলল, আল্লাহর কাছে আমার জন্য দু‘আ কর। আমি তোমার কোন ক্ষতি করব না। আবারও তিনি দু‘আ করলেন ফলে সে মুক্তি পেয়ে গেল। তারপর রাজা তার কোন এক দারোয়ানকে ডাকল। সে তাকে বলল, তুমি তো আমার কাছে কোন মানুষ আননি। বরং এনেছ এক শয়তান।
তারপর রাজা সারার খেদমতের জন্য হাযেরাকে দান করল। এরপর তিনি (সারা) তাঁর (ইবরাহীম) কাছে আসলেন, তিনি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন। তখন তিনি (নামায রত অবস্থায়) হাত দ্বারা ইশারা করে সারাকে বললেন, কি ঘটেছে? তখন সারা বললেন, আল্লাহ কাফির বা ফাসিকের চক্রান্ত তারই বক্ষে ফিরিয়ে দিয়েছেন। (অর্থাৎ তাঁর চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়েছেন।) আর সে (রাজা) হাযেরাকে খেদমতের জন্য দান করেছেন।১ আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, “হে আকাশের পানির২ সন্তানগণ! এ হাযেরাই তোমাদের আদি মাতা।”
১. ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)-এর উক্ত তিনটি উক্তি ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলার অর্থ এই- প্রথমটি দ্বারা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল মানসিক অসুস্থতা। আর দ্বিতীয়টির উদ্দেশ্য ছিল মূর্তি-পূজারীদেরকে বোকা সাজানো এবং স্ত্রীকে বোন বলে পরিচয় দেওয়ার উদ্দেশ্য ধর্মীয় সম্পর্ক। ২. আকাশের পানির দ্বারা ইসমাঈল (আলাইহিস সালাম)-এর বংশের পবিত্রতা বুঝানো হয়েছে।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125]
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ تَلِيدٍ الرُّعَيْنِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمْ يَكْذِبْ إِبْرَاهِيمُ إِلاَّ ثَلاَثًا ".
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَمْ يَكْذِبْ إِبْرَاهِيمُ ـ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ـ إِلاَّ ثَلاَثَ كَذَبَاتٍ ثِنْتَيْنِ مِنْهُنَّ فِي ذَاتِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ، قَوْلُهُ (إِنِّي سَقِيمٌ ) وَقَوْلُهُ (بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَذَا)، وَقَالَ بَيْنَا هُوَ ذَاتَ يَوْمٍ وَسَارَةُ إِذْ أَتَى عَلَى جَبَّارٍ مِنَ الْجَبَابِرَةِ فَقِيلَ لَهُ إِنَّ هَا هُنَا رَجُلاً مَعَهُ امْرَأَةٌ مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ، فَسَأَلَهُ عَنْهَا. فَقَالَ مَنْ هَذِهِ قَالَ أُخْتِي، فَأَتَى سَارَةَ قَالَ يَا سَارَةُ، لَيْسَ عَلَى وَجْهِ الأَرْضِ مُؤْمِنٌ غَيْرِي وَغَيْرُكِ، وَإِنَّ هَذَا سَأَلَنِي، فَأَخْبَرْتُهُ أَنَّكِ أُخْتِي فَلاَ تُكَذِّبِينِي. فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا، فَلَمَّا دَخَلَتْ عَلَيْهِ ذَهَبَ يَتَنَاوَلُهَا بِيَدِهِ، فَأُخِذَ فَقَالَ ادْعِي اللَّهَ لِي وَلاَ أَضُرُّكِ. فَدَعَتِ اللَّهَ فَأُطْلِقَ، ثُمَّ تَنَاوَلَهَا الثَّانِيَةَ، فَأُخِذَ مِثْلَهَا أَوْ أَشَدَّ فَقَالَ ادْعِي اللَّهَ لِي وَلاَ أَضُرُّكِ. فَدَعَتْ فَأُطْلِقَ. فَدَعَا بَعْضَ حَجَبَتِهِ فَقَالَ إِنَّكُمْ لَمْ تَأْتُونِي بِإِنْسَانٍ، إِنَّمَا أَتَيْتُمُونِي بِشَيْطَانٍ. فَأَخْدَمَهَا هَاجَرَ فَأَتَتْهُ، وَهُوَ قَائِمٌ يُصَلِّي، فَأَوْمَأَ بِيَدِهِ مَهْيَا قَالَتْ رَدَّ اللَّهُ كَيْدَ الْكَافِرِ ـ أَوِ الْفَاجِرِ ـ فِي نَحْرِهِ، وَأَخْدَمَ هَاجَرَ. قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ تِلْكَ أُمُّكُمْ يَا بَنِي مَاءِ السَّمَاءِ.
হাদীস নং: ৩১২১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৫৯
২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫)
৩১২১। উবাইদুল্লাহ ইবনে মুসা অথবা ইবনে সালাম (রাহঃ) .... উম্মে শারীক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গিরগিট বা কাকলাশ মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি বলেছেন, ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) যে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন তাতে এ গিরগিট ফুঁ দিয়েছিল।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125]
3359 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَوْ ابْنُ سَلاَمٍ عَنْهُ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ عَبْدِ الحَمِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، عَنْ أُمِّ شَرِيكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، " أَمَرَ بِقَتْلِ الوَزَغِ، وَقَالَ: كَانَ يَنْفُخُ عَلَى إِبْرَاهِيمَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ "
tahqiq

তাহকীক:

rabi
বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩১২২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৬০
২০০৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আল্লাহ ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম)- কে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছেন। (সূরা নিসা ৪: ১২৫)
৩১২২। উমর ইবনে হাফস ইবনে গিয়াস (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ যারা ঈমান এনেছে এবং তারা তাদের ঈমানকে যুলুম দ্বারা কলুষিত করেনি। (৬ঃ ৮২) তখন আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের মধ্যে কে এমন আছে, যে নিজের উপর যুলুম করেনি? তিনি বললেন, তোমরা যা বল ব্যাপারটি তা নয়। বরং তাদের ঈমানকে ‘যুলুম’ অর্থাৎ শিরক দ্বারা কলুষিত করেনি। তোমরা কি লোকমানের কথা শুননি? তিনি তাঁর পুত্রকে বলেছিলেন, ‘‘হে বৎস! আল্লাহর সাথে কোনরূপ শিরক করো না। নিশ্চয়ই শিরক একটা চরম যুলুম।’’ (৩১ঃ ১৩)
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَاتَّخَذَ اللَّهُ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا} [النساء: 125]
3360 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، قَالَ: حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ {الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا} [الأنعام: 82] إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ، قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّنَا لاَ يَظْلِمُ نَفْسَهُ؟ قَالَ: " لَيْسَ كَمَا تَقُولُونَ {لَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ} [الأنعام: 82] بِشِرْكٍ، أَوَلَمْ تَسْمَعُوا إِلَى قَوْلِ لُقْمَانَ لِابْنِهِ يَا بُنَيَّ لاَ تُشْرِكْ بِاللَّهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ "
[تعليق مصطفى البغا]