আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৮- নবীগণের আঃ আলোচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ৩১০২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৩৮
২০০২. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’-(হূদ : ১১:২৫) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, بَادِئَ الرَّأْيِ এর অর্থ যা আমাদের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। أَقْلِعِي তুমি থেমে যাও। وَفَارَ التَّنُّورُ পানি সবেগে উৎসারিত হল। আর ইকরিমা (রাহঃ) বলেন, تنور অর্থ ভূপৃষ্ঠ। আর মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, الْجُودِيُّ জাযিরাতুল আরবের একটি পাহাড়। دَأْبٌ অবস্থা। মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি নূহকে তার জাতির কাছে প্রেরণ করেছিলাম’ .… সূরার শেষ পর্যন্ত-(নুহঃ ১)
৩১০২। আবু নুআঈম (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে এমন একটি কথা বলে দেব না, যা কোন নবীই তাঁর সম্প্রদায়কে বলেন নি? তা হল, নিশ্চয়ই সে হবে কানা, সে সাথে করে জান্নাত এবং জাহান্নামের দু’টি কৃত্রিম ছবি নিয়ে আসবে। অতএব যাকে সে বলবে যে এটি জান্নাত প্রকৃতপক্ষে সেটি হবে জাহান্নাম। আর আমি তার সম্পর্কে তোমাদের ঠিক তেমনি সতর্ক করছি, যেমনি নূহ (আলাইহিস সালাম) তার সম্প্রদায়কে সে সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ} قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {بَادِئَ الرَّأْيِ} مَا ظَهَرَ لَنَا {أَقْلِعِي} أَمْسِكِي. {وَفَارَ التَّنُّورُ} نَبَعَ الْمَاءُ. وَقَالَ عِكْرِمَةُ وَجْهُ الأَرْضِ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْجُودِيُّ جَبَلٌ بِالْجَزِيرَةِ. دَأْبٌ مِثْلُ حَالٌ. قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {إِنَّا أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ أَنْ أَنْذِرْ قَوْمَكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ} إِلَى آخِرِ السُّورَةِ
3338 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا عَنِ الدَّجَّالِ، مَا حَدَّثَ بِهِ نَبِيٌّ قَوْمَهُ: إِنَّهُ أَعْوَرُ، وَإِنَّهُ يَجِيءُ مَعَهُ بِمِثَالِ الجَنَّةِ وَالنَّارِ، فَالَّتِي يَقُولُ إِنَّهَا الجَنَّةُ هِيَ النَّارُ، وَإِنِّي أُنْذِرُكُمْ كَمَا أَنْذَرَ بِهِ نُوحٌ قَوْمَهُ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৩৯
২০০২. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’-(হূদ : ১১:২৫) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, بَادِئَ الرَّأْيِ এর অর্থ যা আমাদের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। أَقْلِعِي তুমি থেমে যাও। وَفَارَ التَّنُّورُ পানি সবেগে উৎসারিত হল। আর ইকরিমা (রাহঃ) বলেন, تنور অর্থ ভূপৃষ্ঠ। আর মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, الْجُودِيُّ জাযিরাতুল আরবের একটি পাহাড়। دَأْبٌ অবস্থা। মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি নূহকে তার জাতির কাছে প্রেরণ করেছিলাম’ .… সূরার শেষ পর্যন্ত-(নুহঃ ১)
৩১০৩। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আবু সাঈদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, (হাশরের দিন) নূহ এবং তাঁর উম্মত (আল্লাহর দরবারে) হাযির হবেন। তখন আল্লাহ তাঁকে জিজ্ঞাসা করবেন, তুমি কি (আমার বাণী) পৌছিয়েছ? তিনি বলবেন,হাঁ হে আমার রব! তখন আল্লাহ তার উম্মতকে জিজ্ঞসা করবেন,নূহ কি তোমাদের কাছে আমার বাণী পৌছিয়েছেন। তারা বলবে, না, আমাদের কাছে কোন নবীই আসেননি। তখন আল্লাহ নূহকে বলবেন, তোমার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে কে? তিনি বলবেন, মুহাম্মাদ (ﷺ) এবং তাঁর উম্মত। (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন) তখন আমরা সাক্ষ্য দিব। নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহর বাণী পৌছিয়েছেন। আর এটাই হল আল্লাহর বাণীঃ আর এভাবেই আমি তোমাদেরকে মধ্যমপন্থী উম্মত বানিয়েছি, যেন তোমরা মানব জাতির উপর সাক্ষী হও। (২ঃ ১৪৩) الْوَسَطُ অর্থ ন্যায়বান।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ} قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {بَادِئَ الرَّأْيِ} مَا ظَهَرَ لَنَا {أَقْلِعِي} أَمْسِكِي. {وَفَارَ التَّنُّورُ} نَبَعَ الْمَاءُ. وَقَالَ عِكْرِمَةُ وَجْهُ الأَرْضِ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْجُودِيُّ جَبَلٌ بِالْجَزِيرَةِ. دَأْبٌ مِثْلُ حَالٌ. قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {إِنَّا أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ أَنْ أَنْذِرْ قَوْمَكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ} إِلَى آخِرِ السُّورَةِ
3339 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَجِيءُ نُوحٌ وَأُمَّتُهُ، فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى، هَلْ بَلَّغْتَ؟ فَيَقُولُ نَعَمْ أَيْ رَبِّ، فَيَقُولُ لِأُمَّتِهِ: هَلْ بَلَّغَكُمْ؟ فَيَقُولُونَ لاَ مَا جَاءَنَا مِنْ نَبِيٍّ، فَيَقُولُ لِنُوحٍ: مَنْ يَشْهَدُ لَكَ؟ فَيَقُولُ: مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأُمَّتُهُ، فَنَشْهَدُ أَنَّهُ قَدْ بَلَّغَ، وَهُوَ قَوْلُهُ جَلَّ ذِكْرُهُ: وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَالوَسَطُ العَدْلُ "

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩১০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৪০
২০০২. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’-(হূদ : ১১:২৫) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, بَادِئَ الرَّأْيِ এর অর্থ যা আমাদের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। أَقْلِعِي তুমি থেমে যাও। وَفَارَ التَّنُّورُ পানি সবেগে উৎসারিত হল। আর ইকরিমা (রাহঃ) বলেন, تنور অর্থ ভূপৃষ্ঠ। আর মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, الْجُودِيُّ জাযিরাতুল আরবের একটি পাহাড়। دَأْبٌ অবস্থা। মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি নূহকে তার জাতির কাছে প্রেরণ করেছিলাম’ .… সূরার শেষ পর্যন্ত-(নুহঃ ১)
৩১০৪। ইসহাক ইবনে নাসর (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ)- এর সাথে এক যিয়াফতে উপস্থিত ছিলাম। তাঁর সামনে (রান্না করা) ছাগলের বাহু পেশ করা হল, এটা তাঁর কাছে পছন্দনীয় ছিল। তিনি সেখান থেকে এক টুকরা খেলেন এবং বললেন, আমি কিয়ামতের দিন সমগ্র মানব জাতির সরদার হব। তোমরা কি জান? আল্লাহ কিভাবে (কিয়ামতের দিন) একই সমতলে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল মানুষকে একত্রিত করবেন? যেন একজন দর্শক তাদের সবাইকে দেখতে পায় এবং একজন আহবানকারীর ডাক সবার কাছে পৌঁছায়। সূর্য তাদের অতি নিকটে এসে যাবে। তখন কোন কোন মানুষ বলবে, তোমরা কি লক্ষ্য করনি, তোমরা কি অবস্থায় আছে এবং কি পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছ। তোমরা কি এমন ব্যক্তিকে খুঁজে বের করবে না, যিনি তোমাদের জন্য তোমাদের রবের নিকট সুপারিশ করবেন? তখন কিছু লোক বলবে, তোমাদের আদি পিতা আদম (আলাইহিস সালাম) আছেন। (চল তাঁর কাছে যাই)।
তখন সকলে তাঁর কাছে যাবে এবং বলবে, হে আদম! আপনি সমস্ত মানব জাতির পিতা। আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং তার পক্ষ থেকে রূহ আপনার মধ্যে ফুঁকেছেন। তিনি ফিরিশতাদেরকে (আপনার সম্মানের) নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী সকলে আপনাকে সিজদাও করেছেন এবং তিনি আপনাকে জান্নাতে বসবাস করতে দিয়েছেন। আপনি কি আমাদের জন্য রবের নিকট সুপারিশ করবেন না? আপনি দেখেন না আমরা কি অবস্থায় আছি এবং কি কষ্টের সম্মুখীন হয়েছি? তখন তিনি বলবেন, আমার রব আজ এমন রাগান্বিত হয়েছেন, এর পূর্বে এমন রাগান্বিত হননি আর পরেও এমন রাগান্বিত হবেন না। আর তিনি আমাকে বৃক্ষটি থেকে (ফল খেতে) নিষেধ করেছিলেন। তখন আমি ভুল করেছি। এখন আমি নিজের চিন্তায় ব্যস্ত। তোমরা আমি ব্যতীত অন্যের কাছে যাও। তোমরা নূহের কাছে চলে যাও।
তখন তারা নূহ (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে আসবে এবং বলবে, হে নূহ! পৃথিবীবাসীদের নিকট আপনিই প্রথম রাসূল এবং আল্লাহ আপনার নাম রেখেছেন কৃতজ্ঞ বান্দা। আপনি কি লক্ষ্য করছেন না, আমরা কি ভয়াবহ অবস্থায় পড়ে আছি? আপনি দেখছেন না আমরা কতইনা দুঃখ কষ্টের সম্মুখীন হয়ে আছি? আপনি কি আমাদের জন্য আপনার রবের কাছে সুপারিশ করবেন না? তখন তিনি বলবেন, আমার রব আজ এমন রাগান্বিত হয়ে আছেন, যা ইতিপূর্বে হন নাই এবং এমন রাগান্বিত পরেও হবেন না। এখন আমি নিজের চিন্তাই ব্যস্ত। তোমরা নবী (মুহাম্মাদ (ﷺ))- এর কাছে চলে যাও। তখন তারা আমার কাছে আসবে, আর আমি আরশের নীচে সিজদায় পড়ে যাব। তখন বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! আপনার মাথা উঠান এবং সুপারিশ করুন। আপনার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে, আর আপনি যা চান, আপনাকে তাই দেওয়া হবে। মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ (রাহঃ) বলেন, হাদীসের সকল অংশ আমি মুখস্থ করতে পারি নি।
তখন সকলে তাঁর কাছে যাবে এবং বলবে, হে আদম! আপনি সমস্ত মানব জাতির পিতা। আল্লাহ আপনাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন এবং তার পক্ষ থেকে রূহ আপনার মধ্যে ফুঁকেছেন। তিনি ফিরিশতাদেরকে (আপনার সম্মানের) নির্দেশ দিয়েছেন। সে অনুযায়ী সকলে আপনাকে সিজদাও করেছেন এবং তিনি আপনাকে জান্নাতে বসবাস করতে দিয়েছেন। আপনি কি আমাদের জন্য রবের নিকট সুপারিশ করবেন না? আপনি দেখেন না আমরা কি অবস্থায় আছি এবং কি কষ্টের সম্মুখীন হয়েছি? তখন তিনি বলবেন, আমার রব আজ এমন রাগান্বিত হয়েছেন, এর পূর্বে এমন রাগান্বিত হননি আর পরেও এমন রাগান্বিত হবেন না। আর তিনি আমাকে বৃক্ষটি থেকে (ফল খেতে) নিষেধ করেছিলেন। তখন আমি ভুল করেছি। এখন আমি নিজের চিন্তায় ব্যস্ত। তোমরা আমি ব্যতীত অন্যের কাছে যাও। তোমরা নূহের কাছে চলে যাও।
তখন তারা নূহ (আলাইহিস সালাম)- এর কাছে আসবে এবং বলবে, হে নূহ! পৃথিবীবাসীদের নিকট আপনিই প্রথম রাসূল এবং আল্লাহ আপনার নাম রেখেছেন কৃতজ্ঞ বান্দা। আপনি কি লক্ষ্য করছেন না, আমরা কি ভয়াবহ অবস্থায় পড়ে আছি? আপনি দেখছেন না আমরা কতইনা দুঃখ কষ্টের সম্মুখীন হয়ে আছি? আপনি কি আমাদের জন্য আপনার রবের কাছে সুপারিশ করবেন না? তখন তিনি বলবেন, আমার রব আজ এমন রাগান্বিত হয়ে আছেন, যা ইতিপূর্বে হন নাই এবং এমন রাগান্বিত পরেও হবেন না। এখন আমি নিজের চিন্তাই ব্যস্ত। তোমরা নবী (মুহাম্মাদ (ﷺ))- এর কাছে চলে যাও। তখন তারা আমার কাছে আসবে, আর আমি আরশের নীচে সিজদায় পড়ে যাব। তখন বলা হবে, হে মুহাম্মাদ! আপনার মাথা উঠান এবং সুপারিশ করুন। আপনার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে, আর আপনি যা চান, আপনাকে তাই দেওয়া হবে। মুহাম্মাদ ইবনে উবাইদ (রাহঃ) বলেন, হাদীসের সকল অংশ আমি মুখস্থ করতে পারি নি।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ} قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {بَادِئَ الرَّأْيِ} مَا ظَهَرَ لَنَا {أَقْلِعِي} أَمْسِكِي. {وَفَارَ التَّنُّورُ} نَبَعَ الْمَاءُ. وَقَالَ عِكْرِمَةُ وَجْهُ الأَرْضِ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْجُودِيُّ جَبَلٌ بِالْجَزِيرَةِ. دَأْبٌ مِثْلُ حَالٌ. قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {إِنَّا أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ أَنْ أَنْذِرْ قَوْمَكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ} إِلَى آخِرِ السُّورَةِ
3340 - حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَعْوَةٍ، «فَرُفِعَ إِلَيْهِ الذِّرَاعُ، وَكَانَتْ تُعْجِبُهُ فَنَهَسَ مِنْهَا نَهْسَةً»
وَقَالَ: " أَنَا سَيِّدُ القَوْمِ يَوْمَ القِيَامَةِ، هَلْ تَدْرُونَ بِمَ؟ يَجْمَعُ اللَّهُ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ، فَيُبْصِرُهُمُ النَّاظِرُ وَيُسْمِعُهُمُ [ص:135] الدَّاعِي، وَتَدْنُو مِنْهُمُ الشَّمْسُ، فَيَقُولُ بَعْضُ النَّاسِ: أَلاَ تَرَوْنَ إِلَى مَا أَنْتُمْ فِيهِ، إِلَى مَا بَلَغَكُمْ؟ أَلاَ تَنْظُرُونَ إِلَى مَنْ يَشْفَعُ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ، فَيَقُولُ بَعْضُ النَّاسِ: أَبُوكُمْ آدَمُ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُونَ: يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُو البَشَرِ، خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ، وَأَمَرَ المَلاَئِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ، وَأَسْكَنَكَ الجَنَّةَ، أَلاَ تَشْفَعُ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ وَمَا بَلَغَنَا؟ فَيَقُولُ: رَبِّي غَضِبَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ، وَلاَ يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ، وَنَهَانِي عَنِ الشَّجَرَةِ فَعَصَيْتُهُ، نَفْسِي نَفْسِي، اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي، اذْهَبُوا إِلَى نُوحٍ، فَيَأْتُونَ نُوحًا، فَيَقُولُونَ: يَا نُوحُ، أَنْتَ أَوَّلُ الرُّسُلِ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ، وَسَمَّاكَ اللَّهُ عَبْدًا شَكُورًا، أَمَا تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ، أَلاَ تَرَى إِلَى مَا بَلَغَنَا، أَلاَ تَشْفَعُ لَنَا إِلَى رَبِّكَ؟ فَيَقُولُ: رَبِّي غَضِبَ اليَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ، وَلاَ يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ، نَفْسِي نَفْسِي، ائْتُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَأْتُونِي فَأَسْجُدُ تَحْتَ العَرْشِ، فَيُقَالُ يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، وَسَلْ تُعْطَهْ " قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ: لاَ أَحْفَظُ سَائِرَهُ
وَقَالَ: " أَنَا سَيِّدُ القَوْمِ يَوْمَ القِيَامَةِ، هَلْ تَدْرُونَ بِمَ؟ يَجْمَعُ اللَّهُ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ، فَيُبْصِرُهُمُ النَّاظِرُ وَيُسْمِعُهُمُ [ص:135] الدَّاعِي، وَتَدْنُو مِنْهُمُ الشَّمْسُ، فَيَقُولُ بَعْضُ النَّاسِ: أَلاَ تَرَوْنَ إِلَى مَا أَنْتُمْ فِيهِ، إِلَى مَا بَلَغَكُمْ؟ أَلاَ تَنْظُرُونَ إِلَى مَنْ يَشْفَعُ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ، فَيَقُولُ بَعْضُ النَّاسِ: أَبُوكُمْ آدَمُ فَيَأْتُونَهُ فَيَقُولُونَ: يَا آدَمُ أَنْتَ أَبُو البَشَرِ، خَلَقَكَ اللَّهُ بِيَدِهِ، وَنَفَخَ فِيكَ مِنْ رُوحِهِ، وَأَمَرَ المَلاَئِكَةَ فَسَجَدُوا لَكَ، وَأَسْكَنَكَ الجَنَّةَ، أَلاَ تَشْفَعُ لَنَا إِلَى رَبِّكَ، أَلاَ تَرَى مَا نَحْنُ فِيهِ وَمَا بَلَغَنَا؟ فَيَقُولُ: رَبِّي غَضِبَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ، وَلاَ يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ، وَنَهَانِي عَنِ الشَّجَرَةِ فَعَصَيْتُهُ، نَفْسِي نَفْسِي، اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِي، اذْهَبُوا إِلَى نُوحٍ، فَيَأْتُونَ نُوحًا، فَيَقُولُونَ: يَا نُوحُ، أَنْتَ أَوَّلُ الرُّسُلِ إِلَى أَهْلِ الأَرْضِ، وَسَمَّاكَ اللَّهُ عَبْدًا شَكُورًا، أَمَا تَرَى إِلَى مَا نَحْنُ فِيهِ، أَلاَ تَرَى إِلَى مَا بَلَغَنَا، أَلاَ تَشْفَعُ لَنَا إِلَى رَبِّكَ؟ فَيَقُولُ: رَبِّي غَضِبَ اليَوْمَ غَضَبًا لَمْ يَغْضَبْ قَبْلَهُ مِثْلَهُ، وَلاَ يَغْضَبُ بَعْدَهُ مِثْلَهُ، نَفْسِي نَفْسِي، ائْتُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَيَأْتُونِي فَأَسْجُدُ تَحْتَ العَرْشِ، فَيُقَالُ يَا مُحَمَّدُ ارْفَعْ رَأْسَكَ، وَاشْفَعْ تُشَفَّعْ، وَسَلْ تُعْطَهْ " قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ: لاَ أَحْفَظُ سَائِرَهُ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩১০৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৪১
২০০২. মহান আল্লাহর বাণীঃ আর আমি নূহকে তার জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলাম’-(হূদ : ১১:২৫) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, بَادِئَ الرَّأْيِ এর অর্থ যা আমাদের সামনে প্রকাশ পেয়েছে। أَقْلِعِي তুমি থেমে যাও। وَفَارَ التَّنُّورُ পানি সবেগে উৎসারিত হল। আর ইকরিমা (রাহঃ) বলেন, تنور অর্থ ভূপৃষ্ঠ। আর মুজাহিদ (রাহঃ) বলেন, الْجُودِيُّ জাযিরাতুল আরবের একটি পাহাড়। دَأْبٌ অবস্থা। মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি নূহকে তার জাতির কাছে প্রেরণ করেছিলাম’ .… সূরার শেষ পর্যন্ত-(নুহঃ ১)
৩১০৫। নসর ইবনে আলী (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সকল কারীদের কিরাআতে ন্যায় فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ তিলাওয়াত করেছেন।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ: {وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ} قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {بَادِئَ الرَّأْيِ} مَا ظَهَرَ لَنَا {أَقْلِعِي} أَمْسِكِي. {وَفَارَ التَّنُّورُ} نَبَعَ الْمَاءُ. وَقَالَ عِكْرِمَةُ وَجْهُ الأَرْضِ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْجُودِيُّ جَبَلٌ بِالْجَزِيرَةِ. دَأْبٌ مِثْلُ حَالٌ. قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {إِنَّا أَرْسَلْنَا نُوحًا إِلَى قَوْمِهِ أَنْ أَنْذِرْ قَوْمَكَ مِنْ قَبْلِ أَنْ يَأْتِيَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ} إِلَى آخِرِ السُّورَةِ
3341 - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَرَأَ «فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ» مِثْلَ قِرَاءَةِ العَامَّةِ

তাহকীক: