আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৭- সৃষ্টি জগতের সূচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৯৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৯৫
১৯৮৪. সাত যমীন। মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ সেই সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং যমীনও, ওদের অনুরূপভাবে (৬৫ঃ ১২) وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ আকাশ। سَمْكَهَا এর ভিত্তি। الْحُبُكُ তার সমতা — সৌন্দর্য أَذِنَتْ সে শুনল ও মান্য করল। وَأَلْقَتْ সে (যমীন) তার সকল মৃতকে বের করে দিবে এবং তা খালি হয়ে যাবে ওদের থেকে। طَحَاهَا তাকে সকল দিক থেকে বিছিয়ে দিয়েছে। الساهرة ভূপৃষ্ঠ যা সকল প্রাণীর নিদ্রা ও জাগরনের স্থান
২৯৬৮। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, (তিনি বলেন), কয়েকজন লোকের সাথে একটি জমি নিয়ে তার বিবাদ ছিল। আয়িশা (রাযিঃ)- এর নিকট এসে তা ব্যক্ত করল। তিনি বললেন, হে আবু সালামা! জায়গা-জমির ঝামেলা থেকে দূরে থাক। কেননা, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমাণ অন্যের জমি যুলুম করে আত্মসাৎ করেছে, কিয়ামতের দিন সাত তবক যমীনের হার তার গলায় পরানো হবে।*
*আল্লাহ তাকে মাটিতে পুঁতে দেবেন। এরপর আত্মসাৎকৃত জমি তার গলায় বেড়ী বা হাসুলীর মত বানিয়ে পরিয়ে দেয়া হবে। (কিরমানী শরহে বুখারী।)
باب مَا جَاءَ فِي سَبْعِ أَرَضِينَ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَوَاتٍ وَمِنَ الأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا}، {وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ} السَّمَاءُ. {سَمْكَهَا} بِنَاءَهَا، كَانَ فِيهَا حَيَوَانٌ. الْحُبُكُ اسْتِوَاؤُهَا وَحُسْنُهَا {وَأَذِنَتْ} سَمِعَتْ وَأَطَاعَتْ. {وَأَلْقَتْ} أَخْرَجَتْ مَا فِيهَا مِنَ الْمَوْتَى، {وَتَخَلَّتْ} عَنْهُمْ. {طَحَاهَا} دَحَاهَا. السَّاهِرَةُ وَجْهُ الأَرْضِ، كَانَ فِيهَا الْحَيَوَانُ نَوْمُهُمْ وَسَهَرُهُمْ
3195 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ المُبَارَكِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ الحَارِثِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَكَانَتْ، بَيْنَهُ وَبَيْنَ أُنَاسٍ خُصُومَةٌ فِي أَرْضٍ، فَدَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ فَذَكَرَ لَهَا ذَلِكَ، فَقَالَتْ: يَا أَبَا سَلَمَةَ، اجْتَنِبِ الأَرْضَ، فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ ظَلَمَ قِيدَ شِبْرٍ طُوِّقَهُ مِنْ سَبْعِ أَرَضِينَ»
হাদীস নং: ২৯৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৯৬
১৯৮৪. সাত যমীন।
২৯৬৯। বিশর ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... সালিম (রাহঃ)- এর পিতা ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে কারো জমির সামান্যতম অংশও আত্মসাৎ করে, কিয়ামতের দিন সাত তবক যমীনের নীচে তাকে ধ্বসিয়ে দেওয়া হবে।
باب مَا جَاءَ فِي سَبْعِ أَرَضِينَ
3196 - حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَخَذَ شَيْئًا مِنَ [ص:107] الأَرْضِ بِغَيْرِ حَقِّهِ، خُسِفَ بِهِ يَوْمَ القِيَامَةِ إِلَى سَبْعِ أَرَضِينَ»
হাদীস নং: ২৯৭০
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৯৭
১৯৮৪. সাত যমীন।
২৯৭০। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) .... আবু বাকরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, আল্লাহ যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন, সে দিন থেকে সময় যেরূপে আবর্তিত হচ্ছিল আজও তা সেরূপে আবর্তিত হচ্ছে। বারো মাসে এক বছর। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। যিলকদ , যিলহজ্ব ও মুহাররম তিনটি মাস পরপর রয়েছে। আর এক মাস হল রজব-ই-মুযার* যা জুমাদা ও শাবান মাসের মধ্যে অবস্থিত।
*মুযার একটি সম্প্রদায়ের নাম। আরবের অন্যান্য সম্প্রদায় থেকে এ সম্প্রদায়টি রজব মাসের সম্মান প্রদর্শনে অতি কঠোর ছিল। তাই এ মাসটিকে তাদের দিকে সম্বন্ধ করে হাদীসে “রজব-মুযার” বলা হয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي سَبْعِ أَرَضِينَ
3197 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " الزَّمَانُ قَدْ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا، مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ، ثَلاَثَةٌ مُتَوَالِيَاتٌ: ذُو القَعْدَةِ وَذُو الحِجَّةِ وَالمُحَرَّمُ، وَرَجَبُ مُضَرَ، الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ "
হাদীস নং: ২৯৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৯৮
১৯৮৪. সাত যমীন।
২৯৭১। উবাইদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... সাঈদ ইবনে যায়দ ইবনে আমর ইবনে নুফাইল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, ‘আরওয়া’ নামক জনৈকা মহিলা এক সাহাবীর (সাঈদের) বিরুদ্ধে মারওয়ানের নিকট (জমি সংক্রান্ত বিষয়ে) তার ঐ পাওনা সম্পর্কে মামলা দায়ের করল, যা তার (মহিলাটির) ধারণায় তিনি (সাঈদ) নষ্ট করেছেন। ব্যাপার শুনে সাঈদ (রাযিঃ) বললেন, আমি কি তার (মহিলাটির) সামান্য হকও নষ্ট করতে পারি? আমি তো সাক্ষ্য দিচ্ছি, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি যুলুম করে অন্যের এক বিঘত যমীনও আত্মসাৎ করে, কিয়ামতের দিন সাত তবক যমীনের শৃঙ্খল তার গলায় পরিয়ে দেয়া হবে। ইবনে আবুয যিনাদ (রাহঃ) হিশাম (রাহঃ) থেকে, তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, তিনি (হিশামের পিতা উরওয়া) (রাযিঃ) বলেন, সাঈদ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) আমাকে বলেছেন, আমি নবী (ﷺ)- এর নিকট হাযির হলাম (তখন তিনি এ হাদীস বর্ণনা করেন)
باب مَا جَاءَ فِي سَبْعِ أَرَضِينَ
3198 - حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ، أَنَّهُ خَاصَمَتْهُ أَرْوَى فِي حَقٍّ زَعَمَتْ أَنَّهُ انْتَقَصَهُ لَهَا إِلَى مَرْوَانَ، فَقَالَ سَعِيدٌ: أَنَا أَنْتَقِصُ مِنْ حَقِّهَا شَيْئًا أَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ أَخَذَ شِبْرًا مِنَ الأَرْضِ ظُلْمًا، فَإِنَّهُ يُطَوَّقُهُ يَوْمَ القِيَامَةِ مِنْ سَبْعِ أَرَضِينَ» قَالَ ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ لِي سَعِيدُ بْنُ زَيْدٍ، دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ