আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৯৫৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৮৪
১৯৭৯. তিন দিন কিংবা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সন্ধি করা
২৯৫৯। আহমদ ইবনে উসমান ইবনে হাকীম (রাহঃ) .... বারা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) যখন উমরা করার ইচ্ছা করেন, তখন তিনি মক্কায় আসার অনুমতি চেয়ে মক্কার কাফিরদের নিকট দূত পাঠান। তারা শর্তারোপ করে যে, তিনি সেখানে তিন রাতের অধিক থাকবেন না এবং অস্ত্রকে কোষাবদ্ধ না করে প্রবেশ করবেন না। আর মক্কাবাসীদের কাউকে ইসলামের দাওয়াত দিবেন না। বারা (রাযিঃ) বলেন, এ সকল শর্ত আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) লেখা আরম্ভ করলেন এবং সন্ধিপত্রে লিখলেন, ‘‘এটা সে সন্ধিপত্র যার উপর আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ (ﷺ) ফায়সালা করেছেন।’’ তখন কাফিররা বলে উঠল, আমরা যদি এ কথা মেনে নিতাম যে, আপনি আল্লাহর রাসূল, তবে তো আমরা আপনাকে বাঁধাই দিতাম না এবং আপনার হাতে বায়আত করে নিতাম। কাজেই এরূপ লিখুন, এটি সেই সন্ধিপত্র যার উপর মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ফায়সালা করেছেন।’
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহর কসম! আমি মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ এবং আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহর রাসূল। বারা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লিখতেন না। তাই তিনি আলী (রাযিঃ)- কে বললেন, রাসূলুল্লাহ (শব্দটি) মুছে ফেল। আলী (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি কখনো তা মুছব না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তবে আমাকে দেখিয়ে দাও। তখন আলী (রাযিঃ) তাঁকে সে স্থান দেখিয়ে দিলেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা নিজ হাতে তা মুছে ফেললেন। এরপর যখন তিনি মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং সেই দিনগুলি অতিবাহিত হয়ে গেল, তখন তারা আলী (রাযিঃ)-এর নিকট এসে বলল, তোমার সঙ্গীকে বল, যেন তিনি চলে যান। আলী (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে তা বললেন। তিনি বললেন, ঠিক আছে। তারপর তিনি রওয়ানা হলেন।
باب الْمُصَالَحَةِ عَلَى ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ، أَوْ وَقْتٍ مَعْلُومٍ
3184 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ حَكِيمٍ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي البَرَاءُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا أَرَادَ أَنْ يَعْتَمِرَ أَرْسَلَ إِلَى أَهْلِ مَكَّةَ يَسْتَأْذِنُهُمْ لِيَدْخُلَ مَكَّةَ، فَاشْتَرَطُوا عَلَيْهِ أَنْ لاَ يُقِيمَ بِهَا إِلَّا ثَلاَثَ لَيَالٍ، وَلاَ يَدْخُلَهَا إِلَّا بِجُلُبَّانِ السِّلاَحِ، وَلاَ يَدْعُوَ مِنْهُمْ أَحَدًا، قَالَ: فَأَخَذَ يَكْتُبُ الشَّرْطَ [ص:104] بَيْنهُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَكَتَبَ هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ، فَقَالُوا: لَوْ عَلِمْنَا أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ لَمْ نَمْنَعْكَ وَلَبَايَعْنَاكَ، وَلكِنِ اكْتُبْ هَذَا مَا قَاضَى عَلَيْهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، فَقَالَ: «أَنَا وَاللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَأَنَا وَاللَّهِ رَسُولُ اللَّهِ» قَالَ: وَكَانَ لاَ يَكْتُبُ، قَالَ: فَقَالَ لِعَلِيٍّ: «امْحَ رَسُولَ اللَّهِ» فَقَالَ عَلِيٌّ: وَاللَّهِ لاَ أَمْحَاهُ أَبَدًا، قَالَ: «فَأَرِنِيهِ» ، قَالَ: فَأَرَاهُ إِيَّاهُ فَمَحَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ، فَلَمَّا دَخَلَ وَمَضَتِ الأَيَّامُ، أَتَوْا عَلِيًّا، فَقَالُوا: مُرْ صَاحِبَكَ فَلْيَرْتَحِلْ، فَذَكَرَ ذَلِكَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «نَعَمْ» ثُمَّ ارْتَحَلَ