আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৯৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭৮
১৯৭৭. যারা অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করে তাদের গুনাহ এবং আল্লাহ তাআলার বাণীঃ আপনি যাদের সঙ্গে অঙ্গীকার করেছেন, তারপর তারা প্রতিবার তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে .... (শেষ পর্যন্ত) (সূরা আনফালঃ ৫৬)
২৯৫৪। কুতাইবা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে পাওয়া যাবে, সে খালিস মুনাফিক গণ্য হবে। যে ব্যক্তি কথা বলার সময় মিথ্যা বলে, আর যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করে, যখন ঝগড়া করে গালমন্দ করে। যার মধ্যে এগুলোর কোন একটি স্বভাব পাওয়া যাবে, তার মধ্যে নিফাকের একটি স্বভাব পাওয়া গেল, যে পর্যন্ত না সে তা পরিত্যাগ করে।
بَابُ إِثْمِ مَنْ عَاهَدَ ثُمَّ غَدَرَ وَقَوْلِهِ: {الَّذِينَ عَاهَدْتَ مِنْهُمْ ثُمَّ يَنْقُضُونَ عَهْدَهُمْ فِي كُلِّ مَرَّةٍ وَهُمْ لاَ يَتَّقُونَ
3178 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَرْبَعُ خِلاَلٍ مَنْ كُنَّ فِيهِ كَانَ مُنَافِقًا خَالِصًا: مَنْ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ، وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ، وَإِذَا عَاهَدَ غَدَرَ، وَإِذَا خَاصَمَ فَجَرَ، وَمَنْ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنْهُنَّ كَانَتْ فِيهِ خَصْلَةٌ مِنَ النِّفَاقِ حَتَّى يَدَعَهَا "
হাদীস নং: ২৯৫৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭৯ - ৩১৮০
১৯৭৭. যারা অঙ্গীকার করে তা ভঙ্গ করে তাদের গুনাহ
২৯৫৫। মুহাম্মাদ ইবনে কাসীর (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে কুরআন এবং এ কাগজে যা লিখা আছে তা ছাড়া কোন কিছু লিপিবদ্ধ করিনি। (উক্ত লিপিতে রয়েছে) নবী (ﷺ) বলেছেন, আয়ির পর্বত থেকে এ পর্যন্ত মদীনার হারাম এলাকা। যে কেউ দ্বীনের ব্যাপারে বিদআত উদ্ভাবন করে কিংবা কোন বিদআতীকে আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ তা‘আলা ফিরিশতা ও সকল মানুষের লা‘নত। তার কোন ফরয কিংবা নফল ইবাদত কবুল হবে না। আর সকল মুসলমানের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা একই পর্যায়ের। সাধারণ মুসলিম নিরাপত্তা দিলে সকলকে তা রক্ষা করতে হবে। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দেওয়া নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে তার উপর আল্লাহ তাআলার লা‘নত এবং ফিরিশতাগণ ও সকল মানুষের। তার কোন নফল কিংবা ফরয ইবাদত কবুল হবে না। আর যে স্বীয় মনীবের অনুমতি ব্যতীত অন্যদের সাথে বন্ধুত্বের চুক্তি করে, তার উপর আল্লাহ তা‘আলার লা‘নত এবং ফিরিশতাগণ ও সকল মানুষের। তার কোন নফল কিংবা ফরয ইবাদত কবুল হবে না।
আবু মুসা (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অমুসলিমদের কাছ থেকে (জিযিয়া স্বরূপ) একটি দীনার বা দিরহামও তোমরা পাবে না, তখন তোমাদের কি অবস্থা হবে? তাকে বলা হল, হে আবু হুরায়রা (রাযিঃ) আপনি কিভাবে মনে করেন যে, এমন অবস্থা দেখা দিবে, তিনি বললেন, হ্যাঁ, কসম সে মহান সত্তার যাঁর হাতে আবু হুরায়রার প্রাণ, যিনি সত্যবাদী ও সত্যবাদী বলে স্বীকৃত (অর্থাৎ মুহাম্মাদ ﷺ)- এর উক্তি থেকে আমি বলছি। লোকেরা বলল, কি কারণে এমন হবে? তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূল (ﷺ)- এর প্রদত্ত নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ করা হবে। ফলে আল্লাহ তাআলা জিম্মীদের অন্তরকে কঠোর করে দিবেন; তারা তাদের হাতে সম্পদ দিবে না।
بَابُ إِثْمِ مَنْ عَاهَدَ ثُمَّ غَدَرَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ مَا كَتَبْنَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ الْقُرْآنَ، وَمَا فِي هَذِهِ الصَّحِيفَةِ، قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " الْمَدِينَةُ حَرَامٌ مَا بَيْنَ عَائِرٍ إِلَى كَذَا، فَمَنْ أَحْدَثَ حَدَثًا، أَوْ آوَى مُحْدِثًا، فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ عَدْلٌ وَلاَ صَرْفٌ، وَذِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ يَسْعَى بِهَا أَدْنَاهُمْ. فَمَنْ أَخْفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلاَ عَدْلٌ، وَمَنْ وَالَى قَوْمًا بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلاَ عَدْلٌ ".
قَالَ أَبُو مُوسَى حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَيْفَ أَنْتُمْ إِذَا لَمْ تَجْتَبُوا دِينَارًا وَلاَ دِرْهَمًا فَقِيلَ لَهُ وَكَيْفَ تَرَى ذَلِكَ كَائِنًا يَا أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ إِيْ وَالَّذِي نَفْسُ أَبِي هُرَيْرَةَ بِيَدِهِ عَنْ قَوْلِ الصَّادِقِ الْمَصْدُوقِ. قَالُوا عَمَّ ذَاكَ قَالَ تُنْتَهَكُ ذِمَّةُ اللَّهِ وَذِمَّةُ رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم، فَيَشُدُّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ قُلُوبَ أَهْلِ الذِّمَّةِ، فَيَمْنَعُونَ مَا فِي أَيْدِيهِمْ.
হাদীস নং: ২৯৫৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৮১
১৯৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
২৯৫৬। আবদান (রাহঃ) .... আ‘মাশ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু ওয়াইল (রাযিঃ)- কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি সিফ্ফী‌নের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি সাহল ইবনে হুনাইফ (রাযিঃ)- কে বলতে শুনেছি, তোমরা নিজ মতামতকে নির্ভুল মনে করো না। আমি নিজেকে আবু জান্দালের দিন (হুদায়বিয়ার দিন) দেখেছি। আমি যদি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর আদেশ প্রত্যাখান করতে পারতাম, তবে তা নিশ্চয়ই প্রত্যাখান করতাম। বস্তুত আমরা যখনই কোন ভয়াবহ অবস্থায় আমাদের কাঁধে তলোয়ার তুলে নিয়েছি, তখন তা আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছে এমনভাবে যা আমরা উপলব্ধি করেছি। কিন্তু বর্তমান অবস্থা তার ব্যতিক্রম।
(بَابٌ (خال عن الترجمة
3181 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا أَبُو حَمْزَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ الأَعْمَشَ، قَالَ: سَأَلْتُ أَبَا وَائِلٍ - شَهِدْتَ صِفِّينَ؟ قَالَ: نَعَمْ - فَسَمِعْتُ سَهْلَ بْنَ حُنَيْفٍ، يَقُولُ: «اتَّهِمُوا رَأْيَكُمْ، رَأَيْتُنِي يَوْمَ أَبِي جَنْدَلٍ، وَلَوْ أَسْتَطِيعُ أَنْ أَرُدَّ أَمْرَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَرَدَدْتُهُ، وَمَا وَضَعْنَا أَسْيَافَنَا عَلَى عَوَاتِقِنَا لِأَمْرٍ يُفْظِعُنَا، إِلَّا أَسْهَلْنَ بِنَا إِلَى أَمْرٍ نَعْرِفُهُ غَيْرِ أَمْرِنَا هَذَا»
হাদীস নং: ২৯৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৮২
১৯৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
২৯৫৭। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু ওয়ায়েল (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমরা সিফফীন যুদ্ধে শরীক ছিলাম। সে সময় সাহল ইবনে হুনাইফ (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, হে লোক সকল! তোমরা নিজ মতামতকে নির্ভুল মনে করো না। আমরা হুদায়বিয়ার দিন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে ছিলাম। যদি আমরা যুদ্ধ করা যথোচিত মনে করতাম, তবে আমরা যুদ্ধ করতাম। পরে উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এসে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি হকের উপর নই এবং তারা (মুশরিকরা) বাতিলের উপর? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। তারপর তিনি বললেন, আমাদের নিহত ব্যক্তিগণ কি জান্নাতী নন এবং তাদের নিহত ব্যক্তিরা কি জাহান্নামী নয়? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ, আমাদের নিহতগণ অবশ্যই জান্নাতী।
উমর (রাযিঃ) বললেন, তবে কি কারণে আমরা আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে হীনতা স্বীকার করব? আমরা কি ফিরে যাব? অথচ আল্লাহ তাআলা আমাদের ও তাদের মধ্যে কোন ফয়সালা করেননি? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে ইবনে খাত্তাব! আমি নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ আমাকে কখনো হেয় করবেন না। তারপর উমর (রাযিঃ) আবু বকর (রাযিঃ)- এর নিকট গেলেন এবং নবী (ﷺ)- এর কাছে যা বলেছিলেন, তা তার নিকট বললেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, তিনি আল্লাহর রাসুল, আল্লাহ তাআলা কখনও তাকে হেয় করবেন না। তারপর সূরা ফাতহ নাযিল হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা শেষ পর্যন্ত উমর (রাযিঃ)- কে পাঠ করে শোনান। উমর (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এটা কি বিজয়? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ।
(بَابٌ (خال عن الترجمة
3182 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ العَزِيزِ، عَنْ أَبِيهِ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو وَائِلٍ، قَالَ: كُنَّا بِصِفِّينَ، فَقَامَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ اتَّهِمُوا أَنْفُسَكُمْ، فَإِنَّا كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الحُدَيْبِيَةِ، وَلَوْ نَرَى قِتَالًا لَقَاتَلْنَا، فَجَاءَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَلَسْنَا عَلَى الحَقِّ وَهُمْ عَلَى البَاطِلِ؟ فَقَالَ: «بَلَى» . فَقَالَ: أَلَيْسَ قَتْلاَنَا فِي الجَنَّةِ وَقَتْلاَهُمْ فِي النَّارِ؟ قَالَ: «بَلَى» ، قَالَ: فَعَلاَمَ نُعْطِي الدَّنِيَّةَ فِي دِينِنَا، أَنَرْجِعُ وَلَمَّا يَحْكُمِ اللَّهُ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُمْ؟ فَقَالَ: «يَا ابْنَ الخَطَّابِ، إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَلَنْ يُضَيِّعَنِي اللَّهُ أَبَدًا» ، فَانْطَلَقَ عُمَرُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ مَا قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: إِنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ، وَلَنْ يُضَيِّعَهُ اللَّهُ أَبَدًا، فَنَزَلَتْ سُورَةُ الفَتْحِ فَقَرَأَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عُمَرَ إِلَى آخِرِهَا، فَقَالَ عُمَرُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَوَفَتْحٌ هُوَ؟ قَالَ: «نَعَمْ»
হাদীস নং: ২৯৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৮৩
১৯৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
২৯৫৮। কুতাইবা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... আসমা বিনতে আবু বকর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার মা যিনি মুশরিক ছিলেন, তাঁর পিতার সাথে আমার নিকট এলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে কুরাইশরা চুক্তি করেছিলেন তখন আসমা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে এ বলে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার মা আমার নিকট এসেছেন। তিনি ইসলামের প্রতি আগ্রহী নন। আমি কি তাঁর সঙ্গে সদ্ব্যবহার করব?’ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ‘হ্যাঁ, তাঁর সঙ্গে সদাচরণ কর।’
(بَابٌ (خال عن الترجمة
3183 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَتْ: قَدِمَتْ عَلَيَّ أُمِّي وَهِيَ مُشْرِكَةٌ فِي عَهْدِ قُرَيْشٍ، إِذْ عَاهَدُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمُدَّتِهِمْ مَعَ أَبِيهَا، فَاسْتَفْتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أُمِّي قَدِمَتْ عَلَيَّ وَهِيَ رَاغِبَةٌ أَفَأَصِلُهَا؟ قَالَ: «نَعَمْ صِلِيهَا»