আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ২৯৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭৩
১৯৭১. যদি কাফিররা যুদ্ধকালে ভালরূপে “আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি” বলতে না পারে এবং “আমরা দ্বীন পরিবর্তন করেছি” বলে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, খালিদ ইবনে ওয়ালীদ (রাযিঃ) সে সব লোকদের কতল করলেন। (এ সংবাদ পৌছার পর) নবী (ﷺ) বললেন, আয় আল্লাহ! খালিদের একাজে আমি সম্পর্কহীন প্রকাশ করছি। উমর (রাযিঃ) বলেন, কেউ যদি বলে مَترَسْ (মাতারস) ‘ভয় করো না, তবে সে তাকে নিরাপত্তা দান করল। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সকল ভাষা জানেন। উমর (রাযিঃ) (হারমুযান পারসীকে) বললেন, কথা বল, কোন অসুবিধা নেই। (এতে নিরাপত্তা দান করা হল)
২৯৪৯। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... সাহল ইবনে আবু হাসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সাহল ও মুহায়্যিসা ইবনে মাসউদ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) খায়বারের দিকে গেলেন। তখন খায়বারের ইয়াহুদীদের সাথে সন্ধি ছিল। পরে তারা উভয়ে পৃথক হয়ে গেলেন। তারপর মুহায়্যিসা আব্দুল্লাহ ইবনে সাহলের কাছে এসে দেখেন যে, তিনি মৃত্যুর যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। (তাঁর মৃত্যুর পর) তখন মুহায়্যিসা তাকে দাফন করলেন। তারপর মদীনায় এলেন। আব্দুর রহমান ইবনে সাহল ও মাসউদের দুই পুত্র মুহায়্যিসা ও হুওয়ায়্যিসাহ (রাযিঃ) নবী (ﷺ)- এর কাছে গেলেন। আব্দুর রহমান (রাযিঃ) কথা বলতে এগিয়ে এলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, বড়কে আগে বলতে দাও, বড়কে আগে বলতে দাও। আর আব্দুর রহমান ইবনে সাহল (রাযিঃ) ছিলেন সর্বকনিষ্ট। এতে তিনি চুপ রইলেন এবং মুহায়্যিসা ও হুওয়ায়্যিসা উভয়ে কথা বললেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা কি শপথ করে বলবে এবং তোমাদের হত্যাকারীর অথবা বলেছেন, তোমাদের সঙ্গীর রক্ত পানের অধিকারী হবে? তারা বললেন, আমরা কি রূপে শপথ করব? আমরা তো উপস্থিত ছিলাম না এবং স্বচক্ষে দেখিনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তবে ইয়াহুদীরা পঞ্চাশটি শপথের মাধ্যমে তোমাদের থেকে অব্যাহতি লাভ করবে। তারা বললেন, তারা তো কাফির সম্প্রদায়। আমরা কি রূপে তাদের শপথ গ্রহণ করতে পারি? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের পক্ষ থেকে আব্দুর রহমানকে তার ভাইয়ের দীয়াত পরিশোধ করলেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা কি শপথ করে বলবে এবং তোমাদের হত্যাকারীর অথবা বলেছেন, তোমাদের সঙ্গীর রক্ত পানের অধিকারী হবে? তারা বললেন, আমরা কি রূপে শপথ করব? আমরা তো উপস্থিত ছিলাম না এবং স্বচক্ষে দেখিনি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তবে ইয়াহুদীরা পঞ্চাশটি শপথের মাধ্যমে তোমাদের থেকে অব্যাহতি লাভ করবে। তারা বললেন, তারা তো কাফির সম্প্রদায়। আমরা কি রূপে তাদের শপথ গ্রহণ করতে পারি? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজের পক্ষ থেকে আব্দুর রহমানকে তার ভাইয়ের দীয়াত পরিশোধ করলেন।
بَابُ إِذَا قَالُوا صَبَأْنَا وَلَمْ يُحْسِنُوا أَسْلَمْنَا وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: فَجَعَلَ خَالِدٌ يَقْتُلُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَبْرَأُ إِلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ خَالِدٌ» وَقَالَ عُمَرُ: إِذَا قَالَ مَتْرَسْ فَقَدْ آمَنَهُ، إِنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ الأَلْسِنَةَ كُلَّهَا، وَقَالَ: تَكَلَّمْ لاَ بَأْسَ
بَابُ المُوَادَعَةِ وَالمُصَالَحَةِ مَعَ المُشْرِكِينَ بِالْمَالِ وَغَيْرِهِ، وَإِثْمِ مَنْ لَمْ يَفِ بِالعَهْدِ وَقَوْلِهِ: {وَإِنْ جَنَحُوا لِلسَّلْمِ فَاجْنَحْ لَهَا وَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ العَلِيمُ} [الأنفال: 61] الآيَةَ
بَابُ المُوَادَعَةِ وَالمُصَالَحَةِ مَعَ المُشْرِكِينَ بِالْمَالِ وَغَيْرِهِ، وَإِثْمِ مَنْ لَمْ يَفِ بِالعَهْدِ وَقَوْلِهِ: {وَإِنْ جَنَحُوا لِلسَّلْمِ فَاجْنَحْ لَهَا وَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ العَلِيمُ} [الأنفال: 61] الآيَةَ
3173 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرٌ هُوَ ابْنُ المُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ: انْطَلَقَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ، وَمُحَيِّصَةُ بْنُ مَسْعُودِ بْنِ زَيْدٍ، إِلَى خَيْبَرَ وَهِيَ يَوْمَئِذٍ صُلْحٌ، فَتَفَرَّقَا فَأَتَى مُحَيِّصَةُ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَهْلٍ وَهُوَ يَتَشَمَّطُ فِي دَمِهِ قَتِيلًا، فَدَفَنَهُ ثُمَّ قَدِمَ المَدِينَةَ، فَانْطَلَقَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَهْلٍ، وَمُحَيِّصَةُ، وَحُوَيِّصَةُ ابْنَا مَسْعُودٍ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَهَبَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ يَتَكَلَّمُ، فَقَالَ: «كَبِّرْ كَبِّرْ» وَهُوَ أَحْدَثُ القَوْمِ، فَسَكَتَ فَتَكَلَّمَا، فَقَالَ: «تَحْلِفُونَ وَتَسْتَحِقُّونَ قَاتِلَكُمْ، أَوْ صَاحِبَكُمْ» ، قَالُوا: وَكَيْفَ نَحْلِفُ وَلَمْ نَشْهَدْ وَلَمْ نَرَ؟ قَالَ: «فَتُبْرِيكُمْ يَهُودُ بِخَمْسِينَ» ، فَقَالُوا: كَيْفَ نَأْخُذُ أَيْمَانَ قَوْمٍ كُفَّارٍ، فَعَقَلَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ عِنْدِهِ