আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ২৯৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৬৩
১৯৬৪. নবী (ﷺ) বাহরাইনের ভূমি থেকে যা বন্দোবস্ত দেন এবং বাহরাইনের সম্পদ ও জিযিয়া থেকে যা দেওয়ার ওয়াদা করেন। আর ফায় ও জিযিয়া কাদের মধ্যে বন্টিত হবে?
২৯৪০। আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাহরাইনের ভূমি লিখে দেওয়ার জন্য আনসারদের ডাকলেন। তখন তারা বললেন, না, আল্লাহর কসম! আমরা সে পর্যন্ত গ্রহণ করব না, যে পর্যন্ত আপনি আমাদের ভাই কুরাইশদের জন্যও অনুরূপ লিখে না দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এ সম্পদ তো তাদের জন্য যতক্ষণ আল্লাহ তাআলা চাইবেন। কিন্তু তারা সেই কথাই পুনরাবৃত্তি করতে থাকলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমার পরে দেখতে পাবে যে, অন্যকে তোমাদের উপর অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তখন তোমরা (হাউযে কাউসারে) আমার সঙ্গে মিলিত হওয়া পর্যন্ত সবর করবে।
بَابُ مَا أَقْطَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْبَحْرَيْنِ، وَمَا وَعَدَ مِنْ مَالِ الْبَحْرَيْنِ وَالْجِزْيَةِ، وَلِمَنْ يُقْسَمُ الْفَيْءُ وَالْجِزْيَةُ؟
3163 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: دَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الأَنْصَارَ لِيَكْتُبَ لَهُمْ بِالْبَحْرَيْنِ، فَقَالُوا: لاَ وَاللَّهِ حَتَّى تَكْتُبَ لِإِخْوَانِنَا مِنْ قُرَيْشٍ بِمِثْلِهَا، فَقَالَ: «ذَاكَ لَهُمْ مَا شَاءَ اللَّهُ عَلَى ذَلِكَ» ، يَقُولُونَ لَهُ، قَالَ: «فَإِنَّكُمْ سَتَرَوْنَ بَعْدِي أَثَرَةً، فَاصْبِرُوا حَتَّى تَلْقَوْنِي عَلَى الحَوْضِ»
হাদীস নং: ২৯৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৬৪ - ৩১৬৫
১৯৬৪. নবী (ﷺ) বাহরাইনের ভূমি থেকে যা বন্দোবস্ত দেন এবং বাহরাইনের সম্পদ ও জিযিয়া থেকে যা দেওয়ার ওয়াদা করেন। আর ফায় ও জিযিয়া কাদের মধ্যে বন্টিত হবে?
২৯৪১। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেছিলেন, যদি আমার নিকট বাহরাইনের মাল আসে তবে আমি তোমাকে এ পরিমাণ, এ পরিমাণ, এ পরিমাণ দিব। পরে যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তিকাল করেন আর বাহরাইনের মাল এসে যায় তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট যে ব্যক্তির কোন প্রতিশ্রুতি থাকে, সে যেন আমার কাছে আসে। তখন আমি তাঁর নিকট গেলাম এবং বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেছিলেন, যদি আমার নিকট বাহরাইনের মাল আসে, তবে আমি তোমাকে এ পরিমাণ, এ পরিমাণ ও এ পরিমাণ দিব। আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে বললেন, তুমি অঞ্জলি ভরে নাও। আমি এক অঞ্জলি উঠালাম। তিনি আমাকে বললেন, এগুলো গুণে দেখ। আমি গুণে দেখলাম যে, তাতে পাঁচশ রয়েছে। তখন তিনি আমাকে এক হাজার পাঁচশ দিলেন।
আর ইবরাহীম ইবনে তাহমান (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ)- এর নিকট বাহরাইনের মাল এল। তখন তিনি বললেন, তোমরা এগুলো মসজিদে ঢেলে দাও আর এ মাল এর আগে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট আগত মালের চাইতে অনেক বেশী ছিল। এ সময় আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে দান করুন। আমি আমার এবং আকিলের মুক্তিপণ দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আচ্ছা নাও। তিনি তার কাপড়ে অঞ্জলি ভরে নিতে লাগলেন। তারপর তা উঠাতে চাইলেন কিন্তু উঠাতে পারলেন না। তখন তিনি বললেন, কাউকে আমার উপর এ বোঝা উঠিয়ে দিতে বলুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না। তখন তিনি বললেন, আচ্ছা আপনিই আমার উপর উঠিয়ে দিন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না। তিনি তা থেকে কিছু কমিয়ে ফেললেন এবং উঠাতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু উঠাতে পারলেন না। তারপর বললেন, কাউকে আমার উপর বোঝাটি উঠিয়ে দিতে বলুন। তিনি বললেন, না। তখন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আপনিই একটু আমার উপর উঠিয়ে দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না। তারপর তিনি আবার তা থেকে কমালেন, এরপর কাঁধের উপর উঠিয়ে রওয়ানা হলেন। তাঁর এ আগ্রহ দেখে বিস্ময়ের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকিয়ে থাকলেন, ---যতক্ষণ না তিনি আমাদের দৃষ্টির আড়ালে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে স্থানে একটি দিরহাম থাকা পর্যন্ত সেখান থেকে উঠে দাঁড়াননি।
আর ইবরাহীম ইবনে তাহমান (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ)- এর নিকট বাহরাইনের মাল এল। তখন তিনি বললেন, তোমরা এগুলো মসজিদে ঢেলে দাও আর এ মাল এর আগে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট আগত মালের চাইতে অনেক বেশী ছিল। এ সময় আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে দান করুন। আমি আমার এবং আকিলের মুক্তিপণ দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আচ্ছা নাও। তিনি তার কাপড়ে অঞ্জলি ভরে নিতে লাগলেন। তারপর তা উঠাতে চাইলেন কিন্তু উঠাতে পারলেন না। তখন তিনি বললেন, কাউকে আমার উপর এ বোঝা উঠিয়ে দিতে বলুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না। তখন তিনি বললেন, আচ্ছা আপনিই আমার উপর উঠিয়ে দিন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না। তিনি তা থেকে কিছু কমিয়ে ফেললেন এবং উঠাতে চেষ্টা করলেন, কিন্তু উঠাতে পারলেন না। তারপর বললেন, কাউকে আমার উপর বোঝাটি উঠিয়ে দিতে বলুন। তিনি বললেন, না। তখন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, আপনিই একটু আমার উপর উঠিয়ে দিন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, না। তারপর তিনি আবার তা থেকে কমালেন, এরপর কাঁধের উপর উঠিয়ে রওয়ানা হলেন। তাঁর এ আগ্রহ দেখে বিস্ময়ের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকিয়ে থাকলেন, ---যতক্ষণ না তিনি আমাদের দৃষ্টির আড়ালে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে স্থানে একটি দিরহাম থাকা পর্যন্ত সেখান থেকে উঠে দাঁড়াননি।
بَابُ مَا أَقْطَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْبَحْرَيْنِ، وَمَا وَعَدَ مِنْ مَالِ الْبَحْرَيْنِ وَالْجِزْيَةِ، وَلِمَنْ يُقْسَمُ الْفَيْءُ وَالْجِزْيَةُ؟
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَخْبَرَنِي رَوْحُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِي " لَوْ قَدْ جَاءَنَا مَالُ الْبَحْرَيْنِ قَدْ أَعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ". فَلَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَجَاءَ مَالُ الْبَحْرَيْنِ قَالَ أَبُو بَكْرٍ مَنْ كَانَتْ لَهُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِدَةٌ فَلْيَأْتِنِي. فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ كَانَ قَالَ لِي " لَوْ قَدْ جَاءَنَا مَالُ الْبَحْرَيْنِ لأَعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا ". فَقَالَ لِي احْثُهْ. فَحَثَوْتُ حَثْيَةً فَقَالَ لِي عُدَّهَا. فَعَدَدْتُهَا فَإِذَا هِيَ خَمْسُمِائَةٍ، فَأَعْطَانِي أَلْفًا وَخَمْسَمِائَةٍ. وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ طَهْمَانَ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، أُتِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ فَقَالَ " انْثُرُوهُ فِي الْمَسْجِدِ " فَكَانَ أَكْثَرَ مَالٍ أُتِيَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ جَاءَهُ الْعَبَّاسُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَعْطِنِي إِنِّي فَادَيْتُ نَفْسِي وَفَادَيْتُ عَقِيلاً. قَالَ " خُذْ ". فَحَثَا فِي ثَوْبِهِ، ثُمَّ ذَهَبَ يُقِلُّهُ، فَلَمْ يَسْتَطِعْ. فَقَالَ أْمُرْ بَعْضَهُمْ يَرْفَعْهُ إِلَىَّ. قَالَ " لاَ ". قَالَ فَارْفَعْهُ أَنْتَ عَلَىَّ. قَالَ " لاَ ". فَنَثَرَ مِنْهُ، ثُمَّ ذَهَبَ يُقِلُّهُ فَلَمْ يَرْفَعْهُ. فَقَالَ أْمُرْ بَعْضَهُمْ يَرْفَعْهُ عَلَىَّ. قَالَ " لاَ ". قَالَ فَارْفَعْهُ أَنْتَ عَلَىَّ. قَالَ " لاَ ". فَنَثَرَ ثُمَّ احْتَمَلَهُ عَلَى كَاهِلِهِ ثُمَّ انْطَلَقَ، فَمَا زَالَ يُتْبِعُهُ بَصَرَهُ حَتَّى خَفِيَ عَلَيْنَا عَجَبًا مِنْ حِرْصِهِ، فَمَا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَثَمَّ مِنْهَا دِرْهَمٌ.