আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৭ টি
হাদীস নং: ২৯১১
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩১ - ৩১৩২
১৯৫৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য। এর প্রমাণঃ হাওয়াযিন, তাদের গোত্রে নবী (ﷺ)- এর দুধ পানের সৌজন্যে তারা যে আবেদন করেছিল তারই প্রেক্ষিতে মুসলিমগণ থেকে তাদের সে দাবী আদায় করে নেন। ‘নবী (ﷺ) লোকদেরকে ফায় ও গনীমত- এর অংশ থেকে খুমুস দানের যে প্রতিশ্রুতি দান করতেন।’ ‘আর যা তিনি আনসারদের প্রদান করেছেন’ এবং ‘যা তিনি খায়বারের খেজুরের থেকে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)- কে দান করেছেন
২৯১১। সাঈদ ইবনে উফাইর (রাহঃ) .... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাঁকে মারওয়ান ইবনে হাকাম ও মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) রেওয়ায়াত করেছেন যে, যখন হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল মুসলমান হয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট এসে বলল যে, তাদের মাল ও বন্দী উভয়ই ফেরত দেওয়া হোক। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের বললেন, আমার নিকট সত্য কথা অধিক প্রিয়। তোমরা দু’য়ের মধ্যে যে কোন একটি গ্রহণ কর। হয় বন্দী, নয় মাল। আর আমি তো তাদের (হাওয়াযিন গোত্রের) প্রতিক্ষা করেছিলাম আর তায়েফ থেকে ফেরার সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দশ দিন থেকে বেশী সময় তাদের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। অবশেষে যখন তাদের কাছে স্পষ্ট হল যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের দু’টোর মধ্যে যে কোন একটিই ফেরত দিবেন, তখন তারা বলল, আমরা আমাদের বন্দীদের ফেরত লাভই পছন্দ করি। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মুসলিমদের সামনে দাঁড়ালেন।
প্রথমে তিনি আল্লাহ তাআলার যথোপযুক্ত প্রশংসা করলেন। তারপর বললেন, তোমাদের এ সকল ভাই তাওবা করে আমার নিকট এসেছে। আর আমি সমীচীন মনে করছি যে, তাদের বন্দীদের ফেরত দিব। যে ব্যক্তি সন্তুষ্টচিত্তে তা করতে চায়, সে যেন তা করে আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি চায় যে, তার অংশ বহাল থাকুক, সে যেন অপেক্ষা করে (কিংবা) আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে প্রথম যে গনীমতের মাল দান করবেন, আমি তাকে তা দিয়ে দিব, তাও করতে পারে। সমবেত লোকেরা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা সন্তুষ্টচিত্তে সেটি গ্রহণ করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি সঠিক জানতে পারিনি, তোমাদের মধ্যে কে এতে সম্মতি দিয়েছে, আর কে দেয়নি। কাজেই, তোমরা ফিরে যাও এবং নিজ নিজ প্রতিনিধির মাধ্যমে আমাকে তোমাদের সিদ্ধান্ত জানাও। লোকেরা চলে গেল। আর তাদের প্রতিনিধিরা নিজেদের লোকের সঙ্গে আলোচনা করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট ফেরত এল এবং তাঁকে জানাল যে, তারা সন্তুষ্টচিত্তে (বন্দী ফেরত দানের ব্যাপারে) সম্মতি দিয়েছে। (ইবনে শিহাব বলেন) হাওয়াযিনের বন্দীগণ সম্পর্কিত বিবরণ আমাদের নিকট এরূপই পৌঁছেছে।
প্রথমে তিনি আল্লাহ তাআলার যথোপযুক্ত প্রশংসা করলেন। তারপর বললেন, তোমাদের এ সকল ভাই তাওবা করে আমার নিকট এসেছে। আর আমি সমীচীন মনে করছি যে, তাদের বন্দীদের ফেরত দিব। যে ব্যক্তি সন্তুষ্টচিত্তে তা করতে চায়, সে যেন তা করে আর তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি চায় যে, তার অংশ বহাল থাকুক, সে যেন অপেক্ষা করে (কিংবা) আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে প্রথম যে গনীমতের মাল দান করবেন, আমি তাকে তা দিয়ে দিব, তাও করতে পারে। সমবেত লোকেরা বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা সন্তুষ্টচিত্তে সেটি গ্রহণ করলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি সঠিক জানতে পারিনি, তোমাদের মধ্যে কে এতে সম্মতি দিয়েছে, আর কে দেয়নি। কাজেই, তোমরা ফিরে যাও এবং নিজ নিজ প্রতিনিধির মাধ্যমে আমাকে তোমাদের সিদ্ধান্ত জানাও। লোকেরা চলে গেল। আর তাদের প্রতিনিধিরা নিজেদের লোকের সঙ্গে আলোচনা করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট ফেরত এল এবং তাঁকে জানাল যে, তারা সন্তুষ্টচিত্তে (বন্দী ফেরত দানের ব্যাপারে) সম্মতি দিয়েছে। (ইবনে শিহাব বলেন) হাওয়াযিনের বন্দীগণ সম্পর্কিত বিবরণ আমাদের নিকট এরূপই পৌঁছেছে।
بَابٌ من قال وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الخُمُسَ لِنَوَائِبِ المُسْلِمِينَ مَا سَأَلَ هَوَازِنُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَضَاعِهِ فِيهِمْ فَتَحَلَّلَ مِنَ المُسْلِمِينَ وَمَا كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعِدُ النَّاسَ أَنْ يُعْطِيَهُمْ مِنَ الفَيْءِ وَالأَنْفَالِ مِنَ الخُمُسِ وَمَا أَعْطَى الأَنْصَارَ وَمَا أَعْطَى جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ من تَمْر خَيْبَرَ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ وَزَعَمَ عُرْوَةُ أَنَّ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ، وَمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ حِينَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ مُسْلِمِينَ، فَسَأَلُوهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ وَسَبْيَهُمْ فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَحَبُّ الْحَدِيثِ إِلَىَّ أَصْدَقُهُ، فَاخْتَارُوا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ إِمَّا السَّبْىَ وَإِمَّا الْمَالَ، وَقَدْ كُنْتُ اسْتَأْنَيْتُ بِهِمْ ". وَقَدْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْتَظَرَ آخِرَهُمْ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، حِينَ قَفَلَ مِنَ الطَّائِفِ، فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَيْرُ رَادٍّ إِلَيْهِمْ إِلاَّ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ. قَالُوا فَإِنَّا نَخْتَارُ سَبْيَنَا، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْمُسْلِمِينَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ هَؤُلاَءِ قَدْ جَاءُونَا تَائِبِينَ، وَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ، مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُطَيِّبَ فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَكُونَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللَّهُ عَلَيْنَا فَلْيَفْعَلْ ". فَقَالَ النَّاسُ قَدْ طَيَّبْنَا ذَلِكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَهُمْ. فَقَالَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّا لاَ نَدْرِي مَنْ أَذِنَ مِنْكُمْ فِي ذَلِكَ مِمَّنْ لَمْ يَأْذَنْ، فَارْجِعُوا حَتَّى يَرْفَعَ إِلَيْنَا عُرَفَاؤُكُمْ أَمْرَكُمْ " فَرَجَعَ النَّاسُ، فَكَلَّمَهُمْ عُرَفَاؤُهُمْ، ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرُوهُ أَنَّهُمْ قَدْ طَيَّبُوا فَأَذِنُوا. فَهَذَا الَّذِي بَلَغَنَا عَنْ سَبْىِ هَوَازِنَ.

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯১২
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৩
১৯৫৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য।
২৯১২। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব (রাহঃ) .... যাহদাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আবু মুসা (রাযিঃ)- এর কাছে ছিলাম, এ সময় মুরগীর (গোশত) সম্বন্ধে আলোচনা উঠল। তথায় তাইমুল্লাহ গোত্রের এমন লাল বর্ণের এক ব্যক্তিও উপস্থিত ছিল, যেন সে মাওয়ালী (রোমক ক্রীতদাস) -দের একজন। তাকে খাওয়ার জন্য ডাকলেন। তখন সে বলে উঠল, আমি মুরগীকে এমন বস্তু খেতে দেখেছি, যাতে আমার ঘৃণা জন্মেছে। তাই আমি শপথ করেছি যে, তা খাব না। আবু মুসা (রাযিঃ) বললেন, আস, আমি তোমাকে এ সম্পর্কে হাদীস শুনাচ্ছি। আমি কয়েকজন আশআরী ব্যক্তির পক্ষে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট সাওয়ারী চাইতে যাই। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের সাওয়ারী দিব না এবং আমার কাছে তোমাদের দেওয়ার মত কোন সাওয়ারীও নেই। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট গনীমতের কয়েকটি উট আনা হল।
তখন তিনি আমাদের খোজ নিলেন এবং বললেন, সেই আশআরী লোকেরা কোথায়? তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উচু সাদা চুলওয়ালা পাঁচটি উট আমাদের দিতে বললেন। যখন আমরা উট নিয়ে রওয়ানা হলাম আর বললাম, আমরা কী করলাম? আমাদের মঙ্গল হবে না। আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট ফিরে এলাম এবং বললাম, আমরা আপনার নিকট সাওয়ারীর জন্য আবেদন করেছিলাম, তখন আপনি শপথ করে বলেছিলেন, আমাদের সাওয়ারী দিবেন না। আপনি তা ভুলে গিয়েছিলেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তোমাদের সাওয়ারী দেইনি বরং আল্লাহ তাআলাই তোমাদের সাওয়ারী দান করেছেন। আল্লাহর কসম, আমার অবস্থা এই যে, ইনশাআল্লাহ কোন বিষয়ে আমি কসম করি এবং তার বিপরীতটি মঙ্গলজনক মনে করি, তখন সেই মঙ্গলজনকটি আমি করি এবং কাফফারা দিয়ে কসম থেকে মুক্ত হই।
তখন তিনি আমাদের খোজ নিলেন এবং বললেন, সেই আশআরী লোকেরা কোথায়? তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উচু সাদা চুলওয়ালা পাঁচটি উট আমাদের দিতে বললেন। যখন আমরা উট নিয়ে রওয়ানা হলাম আর বললাম, আমরা কী করলাম? আমাদের মঙ্গল হবে না। আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট ফিরে এলাম এবং বললাম, আমরা আপনার নিকট সাওয়ারীর জন্য আবেদন করেছিলাম, তখন আপনি শপথ করে বলেছিলেন, আমাদের সাওয়ারী দিবেন না। আপনি তা ভুলে গিয়েছিলেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি তোমাদের সাওয়ারী দেইনি বরং আল্লাহ তাআলাই তোমাদের সাওয়ারী দান করেছেন। আল্লাহর কসম, আমার অবস্থা এই যে, ইনশাআল্লাহ কোন বিষয়ে আমি কসম করি এবং তার বিপরীতটি মঙ্গলজনক মনে করি, তখন সেই মঙ্গলজনকটি আমি করি এবং কাফফারা দিয়ে কসম থেকে মুক্ত হই।
بَابٌ من قال وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الخُمُسَ لِنَوَائِبِ المُسْلِمِينَ
3133 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ: وَحَدَّثَنِي القَاسِمُ بْنُ عَاصِمٍ الكُلَيْبِيُّ، - وَأَنَا لِحَدِيثِ القَاسِمِ أَحْفَظُ - عَنْ زَهْدَمٍ، قَالَ: كُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسَى، فَأُتِيَ - ذَكَرَ دَجَاجَةً -، وَعِنْدَهُ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَيْمِ اللَّهِ أَحْمَرُ كَأَنَّهُ مِنَ المَوَالِي، فَدَعَاهُ لِلطَّعَامِ، فَقَالَ: إِنِّي رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ شَيْئًا فَقَذِرْتُهُ، فَحَلَفْتُ لاَ آكُلُ، فَقَالَ: هَلُمَّ فَلْأُحَدِّثْكُمْ عَنْ ذَاكَ، إِنِّي أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفَرٍ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ نَسْتَحْمِلُهُ، فَقَالَ: «وَاللَّهِ لاَ أَحْمِلُكُمْ، وَمَا عِنْدِي مَا أَحْمِلُكُمْ» ، وَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنَهْبِ إِبِلٍ، فَسَأَلَ عَنَّا فَقَالَ: «أَيْنَ النَّفَرُ الأَشْعَرِيُّونَ؟» ، فَأَمَرَ لَنَا بِخَمْسِ ذَوْدٍ غُرِّ الذُّرَى، فَلَمَّا انْطَلَقْنَا قُلْنَا: مَا صَنَعْنَا؟ لاَ يُبَارَكُ لَنَا، فَرَجَعْنَا إِلَيْهِ، فَقُلْنَا: إِنَّا سَأَلْنَاكَ أَنْ تَحْمِلَنَا، فَحَلَفْتَ أَنْ لاَ تَحْمِلَنَا، أَفَنَسِيتَ؟ [ص:90] قَالَ: «لَسْتُ أَنَا حَمَلْتُكُمْ، وَلَكِنَّ اللَّهَ حَمَلَكُمْ، وَإِنِّي وَاللَّهِ - إِنْ شَاءَ اللَّهُ - لاَ أَحْلِفُ عَلَى يَمِينٍ، فَأَرَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا، إِلَّا أَتَيْتُ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ، وَتَحَلَّلْتُهَا»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৯১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৪
১৯৫৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য।
১৯১৩। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নাজদের দিকে একটি সেনাদল পাঠালেন, যাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ)-ও ছিলেন। এ যুদ্ধে গনীমত স্বরূপ তাঁরা বহু সংখ্যক উট লাভ করেন। তাঁদের প্রত্যেকের ভাগে এগারোটি কিংবা বারোটি করে উট পড়েছিল এবং তাঁদেরকে পুরস্কারস্বরূপ আরো একটি করে উট দেওয়া হয়।
بَابٌ من قال وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الخُمُسَ لِنَوَائِبِ المُسْلِمِينَ
3134 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ سَرِيَّةً فِيهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ قِبَلَ نَجْدٍ، فَغَنِمُوا إِبِلًا كَثِيرَةً، فَكَانَتْ سِهَامُهُمْ اثْنَيْ عَشَرَ بَعِيرًا، أَوْ أَحَدَ عَشَرَ بَعِيرًا وَنُفِّلُوا بَعِيرًا بَعِيرًا»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯১৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৫
১৯৫৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য।
১৯১৪। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্তৃক প্রেরিত কোন কোন সেনা দলে কোন কোন ব্যক্তিকে সাধারণ সেনাদের প্রাপ্য অংশের অতিরিক্ত দান করতেন।
بَابٌ من قال وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الخُمُسَ لِنَوَائِبِ المُسْلِمِينَ
3135 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُنَفِّلُ بَعْضَ مَنْ يَبْعَثُ مِنَ السَّرَايَا لِأَنْفُسِهِمْ خَاصَّةً، سِوَى قِسْمِ عَامَّةِ الجَيْشِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৯১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৬
১৯৫৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য।
১৯১৫। মুহাম্মাদ ইবনে আলা (রাহঃ) .... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা ইয়ামানে থাকতেই আমাদের নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর হিজরত করার সংবাদ পৌঁছে। তখন আমরাও তাঁর নিকট হিজরত করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। আমি এবং আমরা আরো দু’ভাই এর মধ্যে ছিলাম। আমি ছিলাম সর্বকনিষ্ট। তাদের একজন হলেন আবু বুরদাহ, অপরজন আবু রুহম। রাবী হয়ত বলেছেন, আমার গোত্রের আরো কতিপয় লোকের মধ্যে; কিংবা বলেছেন, আমার গোত্রের তিপ্পান্ন অথবা বায়ান্ন জন লোকের মধ্যে। তারপর আমরা একটি নৌযানে আরোহণ করলাম। ঘটনাক্রমে আমাদেরকে নৌযানটি হাবশার নাজ্জাশী বাদশাহর দিকে নিয়ে যায়। সেখানে আমরা জাফর ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ) ও তাঁর সঙ্গীদের সাথে মিলিত হই।
জাফর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের এখানে পাঠিয়েছেন এবং এখানে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আপনারাও আমাদের সঙ্গে এখানে অবস্থান করুন। তখন আমরা তাঁর সঙ্গে থেকে গেলাম। অবশেষে আমরা সকলে একত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট এলাম। এমন সময় আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট পৌঁছলাম, যখন তিনি খায়বার বিজয় করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (খায়বারে লব্ধ গনিমতে) আমাদের জন্য অংশ নির্ধারণ করলেন। (বর্ণনাকারী বলেন), কিংবা তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) আমাদেরও তা থেকে দিয়েছেন। আমাদের ব্যতীত খায়বার বিজয়ে অনুপস্থিত কাউকেই তা থেকে অংশ দেননি, জাফর (রাযিঃ) ও তাঁর সঙ্গীগণের সাথে আমাদের এ নৌযানে আরোহীদের মধ্যে বণ্টন করেছেন।
জাফর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের এখানে পাঠিয়েছেন এবং এখানে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আপনারাও আমাদের সঙ্গে এখানে অবস্থান করুন। তখন আমরা তাঁর সঙ্গে থেকে গেলাম। অবশেষে আমরা সকলে একত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট এলাম। এমন সময় আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট পৌঁছলাম, যখন তিনি খায়বার বিজয় করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (খায়বারে লব্ধ গনিমতে) আমাদের জন্য অংশ নির্ধারণ করলেন। (বর্ণনাকারী বলেন), কিংবা তিনি (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) আমাদেরও তা থেকে দিয়েছেন। আমাদের ব্যতীত খায়বার বিজয়ে অনুপস্থিত কাউকেই তা থেকে অংশ দেননি, জাফর (রাযিঃ) ও তাঁর সঙ্গীগণের সাথে আমাদের এ নৌযানে আরোহীদের মধ্যে বণ্টন করেছেন।
بَابٌ من قال وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الخُمُسَ لِنَوَائِبِ المُسْلِمِينَ
3136 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ العَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: بَلَغَنَا مَخْرَجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ بِاليَمَنِ، فَخَرَجْنَا مُهَاجِرِينَ إِلَيْهِ، أَنَا وَأَخَوَانِ لِي أَنَا أَصْغَرُهُمْ، أَحَدُهُمَا أَبُو بُرْدَةَ، وَالآخَرُ أَبُو رُهْمٍ - إِمَّا قَالَ: فِي بِضْعٍ، وَإِمَّا قَالَ: فِي ثَلاَثَةٍ وَخَمْسِينَ، أَوِ اثْنَيْنِ وَخَمْسِينَ رَجُلًا مِنْ قَوْمِي -، فَرَكِبْنَا سَفِينَةً، فَأَلْقَتْنَا سَفِينَتُنَا إِلَى النَّجَاشِيِّ بِالحَبَشَةِ، وَوَافَقْنَا جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَأَصْحَابَهُ عِنْدَهُ، فَقَالَ جَعْفَرٌ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَنَا هَاهُنَا، وَأَمَرَنَا بِالإِقَامَةِ، فَأَقِيمُوا مَعَنَا، فَأَقَمْنَا مَعَهُ حَتَّى قَدِمْنَا جَمِيعًا، فَوَافَقْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ، فَأَسْهَمَ لَنَا، أَوْ قَالَ: فَأَعْطَانَا مِنْهَا، وَمَا قَسَمَ لِأَحَدٍ غَابَ عَنْ فَتْحِ خَيْبَرَ مِنْهَا شَيْئًا، إِلَّا لِمَنْ شَهِدَ مَعَهُ، إِلَّا أَصْحَابَ سَفِينَتِنَا مَعَ جَعْفَرٍ وَأَصْحَابِهِ، قَسَمَ لَهُمْ مَعَهُمْ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৯১৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৭
১৯৫৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য।
২৯১৬। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) বলেছেন, যদি আমার নিকট বাহরাইনের মাল আসে, তবে আমি তোমাকে (দুই হাত মিলিয়ে) এ পরিমাণ ও এ পরিমাণ দান করব। নবী (ﷺ)- এর ইন্তিকাল অবধি তা এলো না। তারপর যখন বাহরাইনের মাল এল, তখন আবু বকর ঘোষণা দানকারীকে এ ঘোষণা দেয়ার আদেশ করলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট যার কোন ঋণ বা প্রতিশ্রুতি রয়েছে, সে যেন আমার নিকট আসে। এরপর আমি তার নিকট গিয়ে বললাম, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে এত এত ও এত দেয়ার কথা বলেছেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) তিনবার অঞ্জলি ভরে দান করেন। সুফিয়ান (রাহঃ) তার দুই হাত একত্র করে অঞ্জলি করে আমাদের বললেন, ইবনে মুনকাদির এরূপই বলেছেন।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, তারপর আমি (জাবির) আবু বকর (রাযিঃ)- এর নিকট এলাম এবং তার কাছে চাইলাম। তিনি আমাকে দিলেন না। আবার আমি তার কাছে এলাম। তখনও তিনি আমাকে দিলেন না। আবার আমি তার নিকট তৃতীয়বার এসে বললাম, আমি আপনার নিকট চেয়েছি, আপনি আমাকে দেননি। আবার আমি আপনার নিকট চেয়েছি, তখনও আপনি আমাকে দেননি। পুনরায় আমি আপনার নিকট চেয়েছি, আপনি আমাকে দেননি। এখন আমাকে আপনি দেবেন, না হয় আমার সঙ্গে কার্পণ্য করবেন।
আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, তুমি আমাকে বলছ, ‘কার্পণ্য করবেন?’ আমি যতবারই তোমাকে দিতে অস্বীকার করি না কেন, আমার ইচ্ছা ছিল যে, আমি তোমাকে দেই। সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, আমর (রাহঃ) মুহাম্মাদ ইবনে আলী (রাহঃ) সূত্রে জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, (তিনি বলেন) আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে এক অঞ্জলি দিয়ে বললেন, এটা গুণে নাও। আমি গণনা করে দেখলাম, পাঁচ শত। তখন তিনি বললেন, এরূপ আরও দু’বার নিয়ে নাও। আর ইবনুল মুনকাদিরের বর্ণনায় আছে যে, (আবু বকর (রাযিঃ) বলেছেন) ‘কার্পণ্য অপেক্ষা বড় রোগ কি হতে পারে?’
জাবির (রাযিঃ) বলেন, তারপর আমি (জাবির) আবু বকর (রাযিঃ)- এর নিকট এলাম এবং তার কাছে চাইলাম। তিনি আমাকে দিলেন না। আবার আমি তার কাছে এলাম। তখনও তিনি আমাকে দিলেন না। আবার আমি তার নিকট তৃতীয়বার এসে বললাম, আমি আপনার নিকট চেয়েছি, আপনি আমাকে দেননি। আবার আমি আপনার নিকট চেয়েছি, তখনও আপনি আমাকে দেননি। পুনরায় আমি আপনার নিকট চেয়েছি, আপনি আমাকে দেননি। এখন আমাকে আপনি দেবেন, না হয় আমার সঙ্গে কার্পণ্য করবেন।
আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, তুমি আমাকে বলছ, ‘কার্পণ্য করবেন?’ আমি যতবারই তোমাকে দিতে অস্বীকার করি না কেন, আমার ইচ্ছা ছিল যে, আমি তোমাকে দেই। সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, আমর (রাহঃ) মুহাম্মাদ ইবনে আলী (রাহঃ) সূত্রে জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন, (তিনি বলেন) আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে এক অঞ্জলি দিয়ে বললেন, এটা গুণে নাও। আমি গণনা করে দেখলাম, পাঁচ শত। তখন তিনি বললেন, এরূপ আরও দু’বার নিয়ে নাও। আর ইবনুল মুনকাদিরের বর্ণনায় আছে যে, (আবু বকর (রাযিঃ) বলেছেন) ‘কার্পণ্য অপেক্ষা বড় রোগ কি হতে পারে?’
بَابٌ من قال وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الخُمُسَ لِنَوَائِبِ المُسْلِمِينَ
3137 - حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُنْكَدِرِ، سَمِعَ جَابِرًا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ قَدْ جَاءَنِي مَالُ البَحْرَيْنِ لَقَدْ أَعْطَيْتُكَ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا» ، فَلَمْ يَجِئْ حَتَّى قُبِضَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا جَاءَ مَالُ البَحْرَيْنِ، أَمَرَ أَبُو بَكْرٍ مُنَادِيًا فَنَادَى: مَنْ كَانَ لَهُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَيْنٌ أَوْ عِدَةٌ فَلْيَأْتِنَا، فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِي كَذَا وَكَذَا، فَحَثَا لِي ثَلاَثًا، - وَجَعَلَ سُفْيَانُ يَحْثُو بِكَفَّيْهِ جَمِيعًا، ثُمَّ قَالَ لَنَا: هَكَذَا قَالَ لَنَا ابْنُ المُنْكَدِرِ -، وَقَالَ مَرَّةً فَأَتَيْتُ أَبَا بَكْرٍ، فَسَأَلْتُ، فَلَمْ يُعْطِنِي، ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَلَمْ يُعْطِنِي، ثُمَّ أَتَيْتُهُ الثَّالِثَةَ فَقُلْتُ: سَأَلْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِي، ثُمَّ سَأَلْتُكَ فَلَمْ تُعْطِنِي، ثُمَّ سَأَلْتُكَ [ص:91] فَلَمْ تُعْطِنِي، فَإِمَّا أَنْ تُعْطِيَنِي، وَإِمَّا أَنْ تَبْخَلَ عَنِّي قَالَ: قُلْتَ: تَبْخَلُ عَنِّي؟ مَا مَنَعْتُكَ مِنْ مَرَّةٍ إِلَّا وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُعْطِيَكَ، قَالَ سُفْيَانُ، وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ جَابِرٍ، فَحَثَا لِي حَثْيَةً وَقَالَ: عُدَّهَا فَوَجَدْتُهَا خَمْسَ مِائَةٍ، قَالَ: فَخُذْ مِثْلَهَا مَرَّتَيْنِ، وَقَالَ يَعْنِي ابْنَ المُنْكَدِرِ: وَأَيُّ دَاءٍ أَدْوَأُ مِنَ البُخْلِ
হাদীস নং: ২৯১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৩৮
১৯৫৫. যিনি বলেন, এক পঞ্চমাংশ মুসলিমগণের প্রয়োজন মিটানোর জন্য।
২৯১৭। মুসলিম ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জি'রানা নামক স্থানে গনীমতের মাল বণ্টন করেছিলেন, তখন এক ব্যক্তি বলল, (বণ্টন) ইনসাফ করুন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ‘আমি যদি ইনসাফ না করি, তবে তুমি হবে হতভাগ্য।’
بَابٌ من قال وَمِنَ الدَّلِيلِ عَلَى أَنَّ الخُمُسَ لِنَوَائِبِ المُسْلِمِينَ
3138 - حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْسِمُ غَنِيمَةً بِالْجِعْرَانَةِ، إِذْ قَالَ لَهُ رَجُلٌ: اعْدِلْ، فَقَالَ لَهُ: «لَقَدْ شَقِيتُ إِنْ لَمْ أَعْدِلْ»

তাহকীক: