আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ২৮৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩০৬৪
১৯২৫. সাহায্যকারী দল প্রেরণ করা
২৮৪৮। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ)- এর নিকট রি-ল, যাকওয়ান, উসাইয়া ও বনু লাহইয়ান গোত্রের কিছু লোক এসে বলল, আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি। এবং তারা তাঁর নিকট তাদের সম্প্রদায়ের মোকাবেলায় সাহায্য প্রার্থনা করলো। তখন নবী (ﷺ) সত্তর জন আনসার পাঠিয়ে তাদের সাহায্য করলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমরা তাদের ক্বারী নামে আখ্যায়িত করতাম তারা দিনের বেলায় লাকড়ী সংগ্রহ করতেন, আর রাত্রিকালে নামাযে মগ্ন থাকতেন। তারা তাঁদের নিয়ে রওয়ানা হয়ে গেল।
যখন তাঁরা বীরে মাউনা নামক স্থানে পৌঁছালো, তখন তারা বিশ্বাসঘাতকতা করল এবং তাঁদের হত্যা করে ফেলল। এ সংবাদ শোনার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রিল, যাকওয়ান ও বনু লাহইয়ান গোত্রের বিরুদ্ধে বদ-দুআ করে একমাস যাবত কুনূতে নাযিলা পাঠ করেন। কাতাদা (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তারা তাঁদের সম্পর্কে কিছুকাল যাবৎ কুরআনের এ আয়াতটি পড়তে থাকেনঃ “আমাদের সংবাদ আমাদের কওমের নিকট পৌঁছিয়ে দাও যে, আমরা আমাদের প্রতিপালকের সাক্ষাত পেয়েছি। তিনি আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তিনি আমাদের সন্তুষ্ট করেছেন।” এরপর এ আয়াত পাঠ করা বন্ধ করে দেওয়া হয় অর্থাৎ মানসূখ হয়ে যায়।
যখন তাঁরা বীরে মাউনা নামক স্থানে পৌঁছালো, তখন তারা বিশ্বাসঘাতকতা করল এবং তাঁদের হত্যা করে ফেলল। এ সংবাদ শোনার পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রিল, যাকওয়ান ও বনু লাহইয়ান গোত্রের বিরুদ্ধে বদ-দুআ করে একমাস যাবত কুনূতে নাযিলা পাঠ করেন। কাতাদা (রাহঃ) বলেন, আনাস (রাযিঃ) আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তারা তাঁদের সম্পর্কে কিছুকাল যাবৎ কুরআনের এ আয়াতটি পড়তে থাকেনঃ “আমাদের সংবাদ আমাদের কওমের নিকট পৌঁছিয়ে দাও যে, আমরা আমাদের প্রতিপালকের সাক্ষাত পেয়েছি। তিনি আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তিনি আমাদের সন্তুষ্ট করেছেন।” এরপর এ আয়াত পাঠ করা বন্ধ করে দেওয়া হয় অর্থাৎ মানসূখ হয়ে যায়।
باب الْعَوْنِ بِالْمَدَدِ
3064 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَسَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَتَاهُ رِعْلٌ، وَذَكْوَانُ، وَعُصَيَّةُ، وَبَنُو لَحْيَانَ، فَزَعَمُوا أَنَّهُمْ قَدْ أَسْلَمُوا، وَاسْتَمَدُّوهُ عَلَى قَوْمِهِمْ، «فَأَمَدَّهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَبْعِينَ مِنَ الأَنْصَارِ» ، قَالَ أَنَسٌ: كُنَّا نُسَمِّيهِمُ القُرَّاءَ، يَحْطِبُونَ بِالنَّهَارِ وَيُصَلُّونَ بِاللَّيْلِ، فَانْطَلَقُوا بِهِمْ، حَتَّى بَلَغُوا بِئْرَ مَعُونَةَ، غَدَرُوا بِهِمْ وَقَتَلُوهُمْ، فَقَنَتَ شَهْرًا يَدْعُو عَلَى رِعْلٍ، وَذَكْوَانَ، وَبَنِي لَحْيَانَ، قَالَ قَتَادَةُ: وَحَدَّثَنَا أَنَسٌ: أَنَّهُمْ قَرَءُوا بِهِمْ قُرْآنًا: أَلاَ بَلِّغُوا عَنَّا قَوْمَنَا، بِأَنَّا قَدْ لَقِيَنَا رَبَّنَا، فَرَضِيَ عَنَّا وَأَرْضَانَا، ثُمَّ رُفِعَ ذَلِكَ بَعْدُ

তাহকীক: