আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৮০৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৮
১৮৯১. (বন্দী সম্পর্কে আল্লাহ বলেন) এর পর হয় অনুকম্পা নয় মুক্তিপণ। যতক্ষণ না যুদ্ধ তার অস্ত্র নামিয়ে ফেলে (৪৭ঃ ৪) প্রসঙ্গে ছুমামা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি রয়েছে আর আল্লাহ তাআলার বাণীঃ কোন নবীর জন্য সঙ্গত নয় যে, তার নিকট বন্দি থাকবে দেশে ব্যাপক ভাবে শত্রুপরাভূত না করা পর্যন্ত অর্থাৎ দেশে বিজয় লাভ না করা পর্যন্ত। তোমরা কামনা কর পার্থিব সম্পদ। (৮ঃ ৬৭)
১৮৯২. পরিচ্ছেদঃ কোন মুসলমান কাফিরদের হাতে বন্দি হলে সে বন্দিকারীকে হত্যা করবে কি? অথবা যারা বন্দি করেছে, তাদের সাথে কৌশল করত তাদের থেকে নিজেকে মুক্ত করবে কি? এ প্রসঙ্গে মিসওয়ার (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে।
পরিচ্ছেদঃ ১৮৯৩. মুশরিক যদি কোন মুসলিমকে আগুনে জ্বালিয়ে দেয় তবে তাকে কি জ্বালিয়ে দেওয়া হবে?
২৮০৯। মুআল্লা ইবনে আসাদ (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, উকল নামক গোত্রের আট ব্যক্তির একটি দল নবী (ﷺ)- এর নিকট এল। মদীনার আবহাওয়া তারা উপযোগী মনে করেনি। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের জন্য দুগ্ধবতী উটনীর ব্যবস্থা করুন। রাসূল (ﷺ) বললেন তোমরা বরং সাদ্‌কার উটের পালের কাছে যাও। তখন তারা সেখানে গিয়ে সেগুলোর পেশাব ও দুধ পান করে সুস্থ এবং মোটাতাজা হয়ে গেল। তারপর তারা উটের রাখালকে হত্যা করে উটের পাল হাকিয়ে নিয়ে গেল এবং মুসলমান হওয়ার পর তারা মুরতাদ হয়ে গেল। তখন জনৈক সংবাদদাতা নবী (ﷺ)- এর নিকট উপস্থিত হল। নবী (ﷺ) অশ্বারোহীদেরকে তাদের সন্ধানে পাঠালেন। তখন পর্যন্ত দিনের আলো পূর্ণতা লাভ করেনি।
ইতোমধ্যেই তাদেরকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাদের হাত পা কেটে ফেললেন। তারপর তাঁর নির্দেশে লৌহশলাকা উতপ্ত করে তাদের চোখে প্রবেশ করানো হয় এবং তাদেরকে প্রস্তরময় উতপ্ত ভূমিতে ফেলে রাখা হয়। তারা পানি চেয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে পানি দেওয়া হয়নি। অবশেষে তারা মারা যায়। আবু কিলাবা (রাযিঃ) বলেন, (তাদের এরূপ শাস্তি এ জন্য দেওয়া হয়েছে যে,) তারা হত্যা করেছে, চুরি করেছে, আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল (ﷺ)- এর সঙ্গে (ধর্ম ত্যাগী হয়ে) যুদ্ধ করেছে এবং পৃথিবীতে বিশৃংখলা ছড়াতে চেষ্টা করেছে।
بَابُ {فَإِمَّا مَنًّا بَعْدُ وَإِمَّا فِدَاءً} [محمد: 4] فِيهِ حَدِيثُ ثُمَامَةَ وَقَوْلُهُ عَزَّ وَجَلَّ: (مَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ تَكُونَ لَهُ أَسْرَى حَتَّى يُثْخِنَ فِي الأَرْضِ) " يَعْنِي: يَغْلِبَ فِي الأَرْضِ "، {تُرِيدُونَ عَرَضَ الدُّنْيَا} [الأنفال: 67] الآيَةَ
بَابٌ: هَلْ لِلْأَسِيرِ أَنْ يَقْتُلَ وَيَخْدَعَ الَّذِينَ أَسَرُوهُ حَتَّى يَنْجُوَ مِنَ الكَفَرَةِ فِيهِ المِسْوَرُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
بَابٌ: إِذَا حَرَّقَ المُشْرِكُ المُسْلِمَ هَلْ يُحَرَّقُ
3018 - حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَهْطًا مِنْ عُكْلٍ، ثَمَانِيَةً، قَدِمُوا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَاجْتَوَوْا المَدِينَةَ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ ابْغِنَا رِسْلًا، قَالَ: «مَا أَجِدُ لَكُمْ إِلَّا أَنْ تَلْحَقُوا بِالذَّوْدِ» ، فَانْطَلَقُوا، فَشَرِبُوا مِنْ أَبْوَالِهَا وَأَلْبَانِهَا، حَتَّى صَحُّوا وَسَمِنُوا، وَقَتَلُوا الرَّاعِيَ وَاسْتَاقُوا الذَّوْدَ، وَكَفَرُوا بَعْدَ إِسْلاَمِهِمْ، فَأَتَى الصَّرِيخُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَعَثَ الطَّلَبَ، فَمَا تَرَجَّلَ النَّهَارُ حَتَّى أُتِيَ بِهِمْ، فَقَطَّعَ أَيْدِيَهُمْ وَأَرْجُلَهُمْ، ثُمَّ أَمَرَ بِمَسَامِيرَ فَأُحْمِيَتْ فَكَحَلَهُمْ بِهَا، وَطَرَحَهُمْ بِالحَرَّةِ، يَسْتَسْقُونَ فَمَا يُسْقَوْنَ، حَتَّى مَاتُوا، قَالَ أَبُو قِلاَبَةَ: قَتَلُوا وَسَرَقُوا وَحَارَبُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَسَعَوْا فِي الأَرْضِ فَسَادًا
হাদীস নং: ২৮১০
আন্তর্জাতিক নং: ৩০১৯
১৮৯৪. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
২৮১০। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি যে, কোন একজন নবীকে পিপিলীকা কামড় দেয়। তিনি পিপিলীকার সমস্ত আবাসটি জ্বালিয়ে দেয়ার আদেশ করেন এবং তা জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আল্লাহ তালা তার প্রতি ওহী অবতীর্ণ করেন, তোমাকে একটি পিপিলীকা কামড় দিয়েছে আর তুমি আল্লাহর তাসবীহ পাঠকারী জাতিকে জ্বালিয়ে দিয়েছ।
بَابٌ خال عن الترجمة
3019 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ المُسَيِّبِ، وَأَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: " قَرَصَتْ نَمْلَةٌ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ، فَأَمَرَ بِقَرْيَةِ النَّمْلِ، فَأُحْرِقَتْ، فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَيْهِ: أَنْ قَرَصَتْكَ نَمْلَةٌ أَحْرَقْتَ أُمَّةً مِنَ الأُمَمِ تُسَبِّحُ اللَّهِ "