আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪২- সাক্ষ্যপ্রদানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৪৭২
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৪৮
১৬৪৯. ব্যভিচারের অপবাদ দাতা, চোর ও ব্যভিচারীর সাক্ষ্য। আল্লাহ তাআলার বাণীঃ তাদের সাক্ষ্য কখনো গ্রহণ করবে না। তারাই তো সত্যত্যাগী, তবে যদি এরপর তারা তাওবা করে। (২৪:৪) উমর (রাযিঃ) আবু বাকরাহ, শিবল ইবনে মা‘বাদ ও নাফি’ (রাহঃ) কে মুগীরা এর প্রতি অপবাদ আরোপের দোষে বেত্রাঘাত করেছিলেন। পরে তাদের তাওবা করিয়ে বলেছিলেন, যারা তাওবা করবে, তাদের সাক্ষ্য আমি গ্রহণ করব। আব্দুল্লাহ ইবনে উতবাহ, উমর ইবনে আব্দুল আযীয, সা‘ইদ ইবনে যুবাইর, তাউস, মুজাহিদ, শাবী, ইকরিমাহ, যুহরী, মুহারিব ইবনে দিসার, শুরাইহ ও মুআবিয়া ইবনে কুররা (রাহঃ) বৈধ বলে রায় দিয়েছেন। আবু যিনাদ (রাহঃ) বলেন, মাদীনায় আমাদের সিদ্ধান্ত যে, অপবাদ আরোপকারী নিজের কথা প্রত্যাহার করে আল্লাহর নিকট ইস্তিগফার করলে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। শা'বী ও কাতাদা বলেন,নিজেকে মিথ্যাবাদী বলে স্বীকার করলে তাকে বেত্রাঘাত করা হবে, তবে তার সাক্ষ্যও গ্রহণ করা হবে। সাওরী (রাহঃ) বলেন, (উপরোক্ত অপরাধগুলোর কারণে) কোন গোলামকে বেত্রাঘাতের পর আযাদ করা হলে তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে। হদ্দ (শারীআহ নির্ধারিত শাস্তি) প্রাপ্ত ব্যক্তিকে বিচারক নিয়োগ করা হলে তার সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকর হবে। তবে কোন ফিকাহ্ বিশারদের বক্তব্য হলো, তাওবা করলেও অপবাদকারীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না। অথচ তিনি এ কথাও বলেন যে, দু’জন সাক্ষী ব্যতীত বিয়ে বৈধ নয়। তবে দু’জন হদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তির সাক্ষীতে বিয়ে হলে তা বৈধ হবে। কিন্তু দুজন গোলামের সাক্ষীতে বিয়ে করলে তা বৈধ হবে না। অন্যদিকে রমাযানের চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে হদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তি, গোলাম ও বাঁদীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য বলে রায় দিয়েছেন। তার (হদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তির) তাওবা সম্পর্কে কিভাবে অবহিত হওয়া যাবে। ব্যভিচারীকে নবী (ﷺ) এক বছরের জন্য দেশান্তর করেছেন এবং কিভাবে অবহিত হওয়া যাবে। ব্যভিচারীকে নবী (ﷺ) এক বছরের জন্য দেশান্তর করেছেন এবং নবী (ﷺ) কাব ইবনে মালিক ও তার সাথীদ্বয়ের সঙ্গে কথা বলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। এ অবস্থায় পঞ্চাশ রাত অতিবাহিত হয়েছিল।
২৪৭২। ইসমাঈল (রাহঃ) .... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের সময় জনৈকা মহিলা চুরি করলে তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে হাযির করা হল, তারপর তিনি তার সম্পর্কে নির্দেশ জারি করলে তার হাত কাটা হল। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর সে খাটি তাওবা করল এবং বিয়ে করলো। তারপর সে (মাঝে মাঝে আমার কাছে) আসলে আমি তার প্রয়োজন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর খিদমতে পেশ করতাম।
باب شَهَادَةِ الْقَاذِفِ وَالسَّارِقِ وَالزَّانِي وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَلاَ تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا وَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ إِلاَّ الَّذِينَ تَابُوا} وَجَلَدَ عُمَرُ، أَبَا بَكْرَةَ، وَشِبْلَ بْنَ مَعْبَدٍ، وَنَافِعًا بِقَذْفِ المُغِيرَةِ، ثُمَّ اسْتَتَابَهُمْ، وَقَالَ: «مَنْ تَابَ قَبِلْتُ شَهَادَتَهُ» وَأَجَازَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُتْبَةَ، وَعُمَرُ بْنُ عَبْدِ العَزِيزِ، وَسَعِيدُ بْنُ جُبَيْرٍ، وَطَاوُسٌ، وَمُجَاهِدٌ، وَالشَّعْبِيُّ، وَعِكْرِمَةُ، وَالزُّهْرِيُّ، وَمُحَارِبُ بْنُ دِثَارٍ، وَشُرَيْحٌ، وَمُعَاوِيَةُ بْنُ قُرَّةَ وَقَالَ أَبُو الزِّنَادِ: «الأَمْرُ عِنْدَنَا بِالْمَدِينَةِ إِذَا رَجَعَ القَاذِفُ عَنْ قَوْلِهِ، فَاسْتَغْفَرَ رَبَّهُ، قُبِلَتْ شَهَادَتُهُ» وَقَالَ الشَّعْبِيُّ، وَقَتَادَةُ: «إِذَا أَكْذَبَ نَفْسَهُ جُلِدَ، وَقُبِلَتْ شَهَادَتُهُ» وَقَالَ الثَّوْرِيُّ: " إِذَا جُلِدَ العَبْدُ ثُمَّ أُعْتِقَ جَازَتْ شَهَادَتُهُ، وَإِنِ اسْتُقْضِيَ المَحْدُودُ فَقَضَايَاهُ جَائِزَةٌ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ: " لاَ تَجُوزُ شَهَادَةُ القَاذِفِ وَإِنْ تَابَ، ثُمَّ قَالَ: لاَ يَجُوزُ نِكَاحٌ بِغَيْرِ شَاهِدَيْنِ، فَإِنْ تَزَوَّجَ بِشَهَادَةِ مَحْدُودَيْنِ جَازَ، وَإِنْ تَزَوَّجَ بِشَهَادَةِ عَبْدَيْنِ لَمْ يَجُزْ، وَأَجَازَ شَهَادَةَ المَحْدُودِ وَالعَبْدِ وَالأَمَةِ لِرُؤْيَةِ هِلاَلِ رَمَضَانَ «وَكَيْفَ تُعْرَفُ تَوْبَتُهُ» وَقَدْ نَفَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الزَّانِيَ سَنَةً وَنَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ: كَلاَمِ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ وَصَاحِبَيْهِ حَتَّى مَضَى خَمْسُونَ لَيْلَةً
2648 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، «أَنَّ امْرَأَةً سَرَقَتْ فِي غَزْوَةِ الفَتْحِ، فَأُتِيَ بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ أَمَرَ بِهَا، فَقُطِعَتْ يَدُهَا» ، قَالَتْ عَائِشَةُ: فَحَسُنَتْ تَوْبَتُهَا، وَتَزَوَّجَتْ، وَكَانَتْ تَأْتِي بَعْدَ ذَلِكَ، فَأَرْفَعُ حَاجَتَهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ২৪৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৪৯
১৬৪৯. ব্যভিচারের অপবাদ দাতা, চোর ও ব্যভিচারীর সাক্ষ্য।
২৪৭৩। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) .... যায়দ ইবনে খালিদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অবিবাহিত ব্যভিচারী সম্পর্কে একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের নির্বাসনের নির্দেশ দিয়েছেন।
باب شَهَادَةِ الْقَاذِفِ وَالسَّارِقِ وَالزَّانِي
2649 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَّهُ أَمَرَ فِيمَنْ زَنَى، وَلَمْ يُحْصَنْ بِجَلْدِ مِائَةٍ، وَتَغْرِيبِ عَامٍ»