আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪২- সাক্ষ্যপ্রদানের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৪৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৪০
১৬৪৫. এক বা একাধিক ব্যক্তি কোন বিষয়ে সাক্ষ্য দিলে আর অন্যরা বলে যে, আমরা এ বিষয়ে জানি না সেক্ষেত্রে সাক্ষ্যদাতার বক্তব্য মুতাবিক ফায়সালা করা হবে। হুমায়দী (রাহঃ) বলেন, এটা ঠিক। যেমন বিলাল (রাযিঃ) খবর দিয়েছিলেন যে, (মক্কা বিজয়ের দিন) নবী (ﷺ) কাবার অভ্যন্তরে নামায আদায় করেছেন। পক্ষান্তরে ফযল (রাযিঃ) বলেছেন, তিনি (কা’বা অভ্যন্তরে) নামায আদায় করেননি। বিলালের সাক্ষ্যকেই লোকেরা গ্রহণ করেছে। তদ্রূপ দু’জন সাক্ষী যদি অমুক অমুকের নিকট এক হাজার দিরহাম পাবে বলে সাক্ষ্য দেয় আর অন্য দু’জন দেড় হাজার পাবে বলে সাক্ষ্য দেয়, তাহলে অধিক পরিমাণের পক্ষেই ফায়সালা দেয়া হবে।
২৪৬৪। হিব্বান (রাহঃ) .... উকবা ইবনে হারিছ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি আবু ইহাব ইবনে আযীযের কন্যাকে বিয়ে করলেন। পরে জনৈক মহিলা এসে বলল, আমি তো উকবা এবং যাকে সে বিয়ে করেছে দু’জনকেই দুধ পান করিয়েছি। উকবা (রাযিঃ) তাকে বললেন, এটা তো আমার জানা নেই যে, আপনি আমাকে দুধ পান করিয়েছেন আর আপনিও এ বিষয়ে আমাকে অবহিত করেন নি। এরপর আবু ইহাব পরিবারের কাছে লোক পাঠিয়ে তিনি তাদের কাছে (এ সম্পর্কে) জানতে চাইলেন। তারা বলল, সে আমাদের মেয়েকে দুধ পান করিয়েছে বলে তো আমাদের জানা নেই। তখন তিনি মদীনার উদ্দ্যেশ্যে সওয়ার হলেন এবং নবী(ﷺ) কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যখন এরূপ বলা হয়েছে তখন এটা (আবু ইহাবের কন্যাকে বিয়ে করা) কিভাবে সম্ভব? তখন উকবা (রাযিঃ) তাকে ত্যাগ করলেন। আর সে অন্য জনকে বিয়ে করল।
بَابُ إِذَا شَهِدَ شَاهِدٌ أَوْ شُهُودٌ بِشَيْءٍ فَقَالَ آخَرُونَ مَا عَلِمْنَا ذَلِكَ. يُحْكَمُ بِقَوْلِ مَنْ شَهِدَ قَالَ الْحُمَيْدِيُّ هَذَا كَمَا أَخْبَرَ بِلاَلٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى فِي الْكَعْبَةِ. وَقَالَ الْفَضْلُ لَمْ يُصَلِّ. فَأَخَذَ النَّاسُ بِشَهَادَةِ بِلاَلٍ. كَذَلِكَ إِنْ شَهِدَ شَاهِدَانِ أَنَّ لِفُلاَنٍ عَلَى فُلاَنٍ أَلْفَ دِرْهَمٍ وَشَهِدَ آخَرَانِ بِأَلْفٍ وَخَمْسِمِائَةٍ يُقْضَى بِالزِّيَادِةَ
2640 - حَدَّثَنَا حِبَّانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ أَبِي حُسَيْنٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ الحَارِثِ، أَنَّهُ تَزَوَّجَ ابْنَةً لِأَبِي إِهَابِ بْنِ عُزَيْزٍ، فَأَتَتْهُ امْرَأَةٌ فَقَالَتْ: قَدْ أَرْضَعْتُ عُقْبَةَ، وَالَّتِي تَزَوَّجَ، فَقَالَ لَهَا عُقْبَةُ: مَا أَعْلَمُ أَنَّكِ أَرْضَعْتِنِي، وَلاَ أَخْبَرْتِنِي، فَأَرْسَلَ إِلَى آلِ أَبِي إِهَابٍ يَسْأَلُهُمْ، فَقَالُوا: مَا عَلِمْنَا أَرْضَعَتْ صَاحِبَتَنَا، فَرَكِبَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ، فَسَأَلَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَيْفَ وَقَدْ قِيلَ» ، فَفَارَقَهَا وَنَكَحَتْ زَوْجًا غَيْرَهُ