আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪১- হিবা তথা উপহার প্রদান, এর ফযীলত ও এতে উৎসাহ প্রদান - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ২৪২৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৬০১
১৬২৫. এক ব্যক্তির কাছে প্রাপ্য ঋণ অন্য কে দান করে দেওয়া। শু’বা (রাহঃ) হাকাম (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, তা জায়েয। হাসান ইবনে আলী (রাযিঃ) তার পাওনা টাকা এক ব্যক্তিকে দান করেছিলেন। নবী (ﷺ) বলেছেন, কারো যিম্মায় কোন হক থাকলে তার কর্তব্য সেটা পরিশোধ করে দেওয়া, কিংবা হকদারের নিকট থেকে মাফ করিয়ে নেয়া। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমার পিতা ঋণগ্রস্ত অবস্থায় শহীদ হলেন। তখন নবী (ﷺ) আমার বাগানের খেজুরের বিনিময়ে তার পিতাকে ঋণ থেকে অব্যাহতি দিতে পাওনাদারদেরকে বললেন
২৪২৯। আবদান (রাহঃ) .... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উহুদ যুদ্ধে তার পিতা শহীদ হলেন। পাওনাদাররা তাদের পাওনা আদায়ের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করল। তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে গিয়ে হাযির হয়ে তাকে এ বিষয়ে বললাম। তখন তিনি তাদেরকে আমার বাগানের খেজুর নিয়ে আমার পিতাকে অব্যাহতি দিতে বললেন। কিন্তু তারা অস্বীকার করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার বাগান তাদের দিলেন না এবং তাদের ফল কাটতেও দিলেন না। বরং তিনি বললেন, আগামীকাল ভোরে আমি তোমাদের কাছে যাব।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, পরদিন ভোরে তিনি আমাদের কাছে আগমন করলেন এবং খেজুর বাগানে ঘুরে ঘুরে ফলে বরকতের জন্য দুআ করলেন। এরপর আমি ফল কেটে এনে তাদের পাওনা পরিশোধ করলাম। তারপরও সেই ফলের কিছু অংশ রয়ে গেল। পরে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট হাযির হয়ে তাঁকে সে সম্পর্কে অভহিত করলাম। তখন তিনি বসা ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উমরকে বললেন, শোন হে উমর! তখন তিনিও সেখানে বসা ছিলেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, আমরা কি আগে থেকেই জানি না যে, আপনি আল্লাহর রাসূল? আল্লাহর কসম, নিঃসন্দেহে আপনি আল্লাহর রাসূল।
জাবির (রাযিঃ) বলেন, পরদিন ভোরে তিনি আমাদের কাছে আগমন করলেন এবং খেজুর বাগানে ঘুরে ঘুরে ফলে বরকতের জন্য দুআ করলেন। এরপর আমি ফল কেটে এনে তাদের পাওনা পরিশোধ করলাম। তারপরও সেই ফলের কিছু অংশ রয়ে গেল। পরে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট হাযির হয়ে তাঁকে সে সম্পর্কে অভহিত করলাম। তখন তিনি বসা ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উমরকে বললেন, শোন হে উমর! তখন তিনিও সেখানে বসা ছিলেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, আমরা কি আগে থেকেই জানি না যে, আপনি আল্লাহর রাসূল? আল্লাহর কসম, নিঃসন্দেহে আপনি আল্লাহর রাসূল।
باب إِذَا وَهَبَ دَيْنًا عَلَى رَجُلٍ قَالَ شُعْبَةُ عَنِ الحَكَمِ: «هُوَ جَائِزٌ» وَوَهَبَ الحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ لِرَجُلٍ دَيْنَهُ وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَانَ لَهُ عَلَيْهِ حَقٌّ، فَلْيُعْطِهِ أَوْ لِيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ» فَقَالَ جَابِرٌ: قُتِلَ أَبِي وَعَلَيْهِ دَيْنٌ، «فَسَأَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غُرَمَاءَهُ أَنْ يَقْبَلُوا ثَمَرَ حَائِطِي وَيُحَلِّلُوا أَبِي»
2601 - حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ جَابِرَ بْنَ [ص:161] عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَخْبَرَهُ: أَنَّ أَبَاهُ قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ شَهِيدًا، فَاشْتَدَّ الغُرَمَاءُ فِي حُقُوقِهِمْ، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَكَلَّمْتُهُ، فَسَأَلَهُمْ أَنْ يَقْبَلُوا ثَمَرَ حَائِطِي، وَيُحَلِّلُوا أَبِي، فَأَبَوْا، فَلَمْ يُعْطِهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَائِطِي وَلَمْ يَكْسِرْهُ لَهُمْ، وَلَكِنْ قَالَ: «سَأَغْدُو عَلَيْكَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ» ، فَغَدَا عَلَيْنَا حِينَ أَصْبَحَ، فَطَافَ فِي النَّخْلِ وَدَعَا فِي ثَمَرِهِ بِالْبَرَكَةِ، فَجَدَدْتُهَا فَقَضَيْتُهُمْ حُقُوقَهُمْ، وَبَقِيَ لَنَا مِنْ ثَمَرِهَا بَقِيَّةٌ، ثُمَّ جِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ جَالِسٌ، فَأَخْبَرْتُهُ بِذَلِكَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعُمَرَ: «اسْمَعْ، وَهُوَ جَالِسٌ، يَا عُمَرُ» ، فَقَالَ: أَلَّا يَكُونُ؟ قَدْ عَلِمْنَا أَنَّكَ رَسُولُ اللَّهِ وَاللَّهِ، إِنَّكَ لَرَسُولُ اللَّهِ

তাহকীক: