আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৩৯- দাসমুক্তির অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ২৩৭২
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৩৯
১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ? আল্লাহ তাআলার ইরশাদ: আল্লাহ উপমা দিচ্ছেন অপরের অধিকার ভুক্ত এক গোলামের, যে কোন কিছুর উপর শক্তি রাখে না এবং এমন এক ব্যক্তির, যাকে তিনি নিজ থেকে উত্তম রিযিক দান করেছেন এবং সে তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে। তারা কি একে অপরের সমান? সকল প্রশংসা আল্লাহর প্রাপ্য, অথচ তাদের অধিকাংশই তা জানে না। (১৬:৭৫)
২৩৭২। ইবনে আবু মারয়াম (রাহঃ) .... মারওয়ান ও মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল নবী (ﷺ) এর খিদমতে হাযির হলে নবী (ﷺ) দাঁড়ালেন (অভ্যর্থনার জন্য) এরপর তারা অর্থ-সম্পদ ও বন্দীদের ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানালো। তখন তিনি বললেন, তোমরা দেখছো, আমার সাথে আরো সাহাবী আছেন। আর সত্য ভাষণই আমার নিকট প্রিয়।কাজেই অর্থ-সম্পদ ও বন্দী এ দু’টির যে কোন একটি তোমরা বেছে নাও। বন্দীদের বণ্টনের ব্যাপারে আমি বিলম্বও করেছিলাম। (রাবী বলেন) নবী (ﷺ) তায়েফ থেকে ফিরে প্রায় দশ রাত তাদেরকে সুযোগ দিয়েছিলেন। যখন প্রতিনিধি দলের কাছে সুষ্পষ্ট হয় যে, নবী (ﷺ) তাদেরকে দু’টির যে কোন একটি ফেরত দিবেন, তখন তারা বলল, তবে আমরা আমাদের বন্দীদেরই পছন্দ করছি।
তখন নবী (ﷺ) সবার সামনে দাঁড়িয়ে আল্লাহ পাকের যথাযোগ্য প্রশংসা করার পর বললেন, তোমাদের ভাইয়েরা তাওবা করে আামদের কাছে এসেছে। এমতাবস্থায় আমি তাদেরকে তাদের বন্দীদের ফেরত দিতে মনস্থ করেছি। কাজেই, তোমাদের মধ্যে যারা সন্তুষ্টচিত্তে তা পছন্দ করে, তারা যেন তাই করে। আর যারা তাদের নিজেদের হিসসা পেতে পছন্দ করে। তা এভাবে যে, প্রথম যে ফায় আল্লাহপাক আমাকে দান করবেন, সেখান থেকে আমি তাদের সে হিসসা আদায় করে দিবো। সে যেন তা করে। তখন সবাই বললো, আমরা আপনার জন্য সন্তুষ্টচিত্তে তা করতে রাযি আছি।
তিনি বললেন, আমি বুঝতে পারছি না, তোমাদের মধ্যে কারা সম্মত আর কারা সম্মত নও। কাজেই তোমরা ফিরে যাও।আর তোমাদের মুখপাত্ররা তোমাদের মতামত আমার কাছে উত্থাপন করুক। তারপর সবাই ফিরে গেলো আর তাদের মুখপাত্ররা তাদের সাথে আলোচনা সেরে নবী (ﷺ) কে ফিরে এসে জানালেন যে তারা সকলেই সন্তুষ্টচিত্তে সম্মতি প্রকাশ করেছে। (ইবনে শিহাব যুহরী (রাহঃ) বলেন) হাওয়াযিন গোত্রের যুদ্ধ বন্দী সম্পর্কে এতটুকুই আমাদের কাছে পৌছেছে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আব্বাস (রাযিঃ) নবী (ﷺ)কে বললেন (বদর যুদ্ধে) আমি (একাই) নিজের ও আকীলের মুক্তিপণ আদায় করেছি।
তখন নবী (ﷺ) সবার সামনে দাঁড়িয়ে আল্লাহ পাকের যথাযোগ্য প্রশংসা করার পর বললেন, তোমাদের ভাইয়েরা তাওবা করে আামদের কাছে এসেছে। এমতাবস্থায় আমি তাদেরকে তাদের বন্দীদের ফেরত দিতে মনস্থ করেছি। কাজেই, তোমাদের মধ্যে যারা সন্তুষ্টচিত্তে তা পছন্দ করে, তারা যেন তাই করে। আর যারা তাদের নিজেদের হিসসা পেতে পছন্দ করে। তা এভাবে যে, প্রথম যে ফায় আল্লাহপাক আমাকে দান করবেন, সেখান থেকে আমি তাদের সে হিসসা আদায় করে দিবো। সে যেন তা করে। তখন সবাই বললো, আমরা আপনার জন্য সন্তুষ্টচিত্তে তা করতে রাযি আছি।
তিনি বললেন, আমি বুঝতে পারছি না, তোমাদের মধ্যে কারা সম্মত আর কারা সম্মত নও। কাজেই তোমরা ফিরে যাও।আর তোমাদের মুখপাত্ররা তোমাদের মতামত আমার কাছে উত্থাপন করুক। তারপর সবাই ফিরে গেলো আর তাদের মুখপাত্ররা তাদের সাথে আলোচনা সেরে নবী (ﷺ) কে ফিরে এসে জানালেন যে তারা সকলেই সন্তুষ্টচিত্তে সম্মতি প্রকাশ করেছে। (ইবনে শিহাব যুহরী (রাহঃ) বলেন) হাওয়াযিন গোত্রের যুদ্ধ বন্দী সম্পর্কে এতটুকুই আমাদের কাছে পৌছেছে। আনাস (রাযিঃ) বলেন, আব্বাস (রাযিঃ) নবী (ﷺ)কে বললেন (বদর যুদ্ধে) আমি (একাই) নিজের ও আকীলের মুক্তিপণ আদায় করেছি।
باب مَنْ مَلَكَ مِنَ الْعَرَبِ رَقِيقًا فَوَهَبَ وَبَاعَ وَجَامَعَ وَفَدَى وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلاً عَبْدًا مَمْلُوكًا لاَ يَقْدِرُ عَلَى شَيْءٍ وَمَنْ رَزَقْنَاهُ مِنَّا رِزْقًا حَسَنًا فَهُوَ يُنْفِقُ مِنْهُ سِرًّا وَجَهْرًا هَلْ يَسْتَوُونَ الْحَمْدُ لِلَّهِ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ}
2539 - حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ: أَخْبَرَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، ذَكَرَ عُرْوَةُ أَنَّ مَرْوَانَ، وَالمِسْوَرَ بْنَ [ص:148] مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَاهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَامَ حِينَ جَاءَهُ وَفْدُ هَوَازِنَ، فَسَأَلُوهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْهِمْ أَمْوَالَهُمْ وَسَبْيَهُمْ، فَقَالَ: " إِنَّ مَعِي مَنْ تَرَوْنَ، وَأَحَبُّ الحَدِيثِ إِلَيَّ أَصْدَقُهُ، فَاخْتَارُوا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ: إِمَّا المَالَ وَإِمَّا السَّبْيَ، وَقَدْ كُنْتُ اسْتَأْنَيْتُ بِهِمْ "، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ انْتَظَرَهُمْ بِضْعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً حِينَ قَفَلَ مِنَ الطَّائِفِ، فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَيْرُ رَادٍّ إِلَيْهِمْ إِلَّا إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ، قَالُوا: فَإِنَّا نَخْتَارُ سَبْيَنَا، فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّاسِ، فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ، ثُمَّ قَالَ: «أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ إِخْوَانَكُمْ قَدْ جَاءُونَا تَائِبِينَ، وَإِنِّي رَأَيْتُ أَنْ أَرُدَّ إِلَيْهِمْ سَبْيَهُمْ، فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يُطَيِّبَ ذَلِكَ فَلْيَفْعَلْ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَكُونَ عَلَى حَظِّهِ حَتَّى نُعْطِيَهُ إِيَّاهُ مِنْ أَوَّلِ مَا يُفِيءُ اللَّهُ عَلَيْنَا فَلْيَفْعَلْ» ، فَقَالَ النَّاسُ: طَيَّبْنَا لَكَ ذَلِكَ، قَالَ: «إِنَّا لاَ نَدْرِي مَنْ أَذِنَ مِنْكُمْ مِمَّنْ لَمْ يَأْذَنْ، فَارْجِعُوا حَتَّى يَرْفَعَ إِلَيْنَا عُرَفَاؤُكُمْ أَمْرَكُمْ» فَرَجَعَ النَّاسُ، فَكَلَّمَهُمْ عُرَفَاؤُهُمْ، ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَخْبَرُوهُ: أَنَّهُمْ طَيَّبُوا وَأَذِنُوا، فَهَذَا الَّذِي بَلَغَنَا عَنْ سَبْيِ هَوَازِنَ، وَقَالَ أَنَسٌ: قَالَ عَبَّاسٌ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَادَيْتُ نَفْسِي، وَفَادَيْتُ عَقِيلًا

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৩৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৪১
১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ?
২৩৭৩। আলী ইবনে হাসান ইবনে শাকীক (রাহঃ) .... ইবনে আউন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নাফি’ (রাহঃ)- কে পত্রে লিখলাম, তিনি জওয়াবে আমাকে লিখলেন যে, বনী মুস্তালিক গোত্রেরে উপর অতর্কিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। তাদের গবাদি পশুকে তখন পানি পান করানো হচ্ছিলো। তিনি তাদের যুদ্ধক্ষমদের হত্যা এবং নাবালকদের বন্দী করেন এবং সেদিনই তিনি জুওয়ায়রিয়া (উম্মুল মু’মিনীন)- কে লাভ করেন। (নাফি’ (রাহঃ) বলেন) আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) আমাকে এ সম্পর্কিত হাদীস শুনিয়েছেন। তিনি নিজেও সে সেনাদলে ছিলেন।
باب مَنْ مَلَكَ مِنَ الْعَرَبِ رَقِيقًا فَوَهَبَ وَبَاعَ وَجَامَعَ وَفَدَى وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ
2541 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الحَسَنِ بْنِ شَقِيقٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، قَالَ: كَتَبْتُ إِلَى نَافِعٍ، فَكَتَبَ إِلَيَّ «إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَغَارَ عَلَى بَنِي المُصْطَلِقِ وَهُمْ غَارُّونَ، وَأَنْعَامُهُمْ تُسْقَى عَلَى المَاءِ، فَقَتَلَ مُقَاتِلَتَهُمْ، وَسَبَى ذَرَارِيَّهُمْ، وَأَصَابَ يَوْمَئِذٍ جُوَيْرِيَةَ» ، حَدَّثَنِي بِهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، وَكَانَ فِي ذَلِكَ الجَيْشِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ২৩৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৪২
১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ?
২৩৭৪ আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসূফ (রাহঃ) .... ইবনে মুহায়রিয (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু সাঈদ (রাযিঃ)- কে দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, নবী (ﷺ) এর সাথে আমরা বনী মুস্তালিক যুদ্ধে কিছু আরব যুদ্ধ বন্দী আমাদের হস্তগত হল। তখন আমাদের স্ত্রীদের কথা মনে পড়ে (কেননা) দূর-নিঃসঙ্গ জীবন আমাদের জন্য পীড়াদায়ক হয়ে পড়েছিল। (সে সময়) আমরা আযল করতে চাইলাম (বাঁদী ব্যবহার করে)। এ সম্পর্কে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, এরূপ না করলে তোমাদের কোন ক্ষতি হবে না। কেননা কিয়ামত পর্যন্ত যাদের জন্ম নির্ধারিত রয়েছে, তারা আসবেই।
باب مَنْ مَلَكَ مِنَ الْعَرَبِ رَقِيقًا فَوَهَبَ وَبَاعَ وَجَامَعَ وَفَدَى وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ
2542 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ، قَالَ: رَأَيْتُ أَبَا سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ بَنِي المُصْطَلِقِ، فَأَصَبْنَا سَبْيًا مِنْ سَبْيِ العَرَبِ، فَاشْتَهَيْنَا النِّسَاءَ، فَاشْتَدَّتْ عَلَيْنَا العُزْبَةُ، وَأَحْبَبْنَا العَزْلَ، فَسَأَلْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «مَا عَلَيْكُمْ أَنْ لاَ تَفْعَلُوا مَا مِنْ نَسَمَةٍ كَائِنَةٍ إِلَى يَوْمِ القِيَامَةِ إِلَّا وَهِيَ كَائِنَةٌ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ২৩৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৫৪৩
১৫৯৪. কোন ব্যক্তি আরবী গোলাম-বাঁদীর মালিক হয়ে তা দান করলে বা বিক্রি করলে, বা বাঁদীর সাথে সহবাস করলে বা মুক্তিপণ হিসাবে দিলে এবং সন্তানদের বন্দী করলে, (তার হুকুম কি হবে) ?
২৩৭৫। যুহাইর ইবনে হারব ও ইবনে সালাম (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে তিনটি কথা শুনার পর থেকে বনী তামীম গোত্রকে আমি ভালোবেসে আসছি। আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, দাজ্জালের মুকাবিলায় আমার উম্মতের মধ্যে এরাই হবে অধিকতর কঠোর। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, একবার তাদের পক্ষ থেকে সাদ্কার মাল আসলো। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এ যে আমার কওমের সাদ্কা। আয়িশা (রাযিঃ)-এর হাতে তাদের এক বন্দিনী ছিল। তা দেখে নবী (ﷺ) বললেন, একে আযাদ করে দাও। কেননা সে ইসমাঈলের বংশধর।
باب مَنْ مَلَكَ مِنَ الْعَرَبِ رَقِيقًا فَوَهَبَ وَبَاعَ وَجَامَعَ وَفَدَى وَسَبَى الذُّرِّيَّةَ
2543 - حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ القَعْقَاعِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: لاَ أَزَالُ أُحِبُّ بَنِي تَمِيمٍ، وَحَدَّثَنِي ابْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الحَمِيدِ، عَنِ المُغِيرَةِ، عَنِ الحَارِثِ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، وَعَنْ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: مَا زِلْتُ أُحِبُّ بَنِي تَمِيمٍ مُنْذُ ثَلاَثٍ، سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِيهِمْ، سَمِعْتُهُ يَقُولُ: «هُمْ أَشَدُّ أُمَّتِي، عَلَى الدَّجَّالِ» ، قَالَ: وَجَاءَتْ صَدَقَاتُهُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَذِهِ صَدَقَاتُ قَوْمِنَا» ، وَكَانَتْ سَبِيَّةٌ مِنْهُمْ عِنْدَ عَائِشَةَ، فَقَالَ: «أَعْتِقِيهَا فَإِنَّهَا [ص:149] مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ»

তাহকীক: