আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৩৮- বন্ধক রাখার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২৩৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৫১৪
১৫৮১. বন্ধকদাতা ও বন্ধক গ্রহীতার মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে বা অনুরূপ কোন কিছু হলে বাদীর দায়িত্ব সাক্ষী পেশ করা আর বিবাদীর দায়িত্ব কসম করা
২৩৪৯। খাল্লাদ ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) এই ফায়সালা দিয়েছেন যে, (বাদী সাক্ষী পেশ করতে ব্যর্থ হলে) কসম করা বিবাদীর কর্তব্য।
بَابُ إِذَا اخْتَلَفَ الرَّاهِنُ وَالْمُرْتَهِنُ وَنَحْوُهُ فَالْبَيِّنَةُ عَلَى الْمُدَّعِي وَالْيَمِينُ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ
2514 - حَدَّثَنَا خَلَّادُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا نَافِعُ بْنُ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ: كَتَبْتُ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَكَتَبَ إِلَيَّ: «إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَضَى أَنَّ اليَمِينَ عَلَى المُدَّعَى عَلَيْهِ»
হাদীস নং: ২৩৫০
আন্তর্জাতিক নং: ২৫১৫
১৫৮১. বন্ধকদাতা ও বন্ধক গ্রহীতার মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে বা অনুরূপ কোন কিছু হলে বাদীর দায়িত্ব সাক্ষী পেশ করা আর বিবাদীর দায়িত্ব কসম করা
২৩৫০। কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ (ইবনে মাসউদ) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিথ্যা কসম করে যে ব্যক্তি অর্থ-সম্পদ হস্তগত করে সে (কিয়ামতের দিন) আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে এ অবস্থায় যে, আল্লাহ তার প্রতি রাগান্বিত থাকবেন। তারপর আল্লাহ তাআলা (নবী (ﷺ) এর) উক্ত বাণী সমর্থন করে আয়াত নাযিল করলেন: “নিশ্চয় যারা আল্লাহর সাতে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের প্রতিশ্রুতি তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে ......... মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে। (৩ঃ ৭৭) (রাবী বলেন) পরে আশ’আস ইবনে কায়স (রাযিঃ) আমাদের কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, আবু আব্দুর রহমান (ইবনে মাসউ’দ) তোমাদের কি হাদীস শোনালেন (রাবী বলেন), আমরা তাকে হাদীসটি শোনালে তিনি বললেন, তিনি নির্ভুল হাদীস শুনিয়েছেন। আমাকে কেন্দ্র করেই তো আয়াতটি নাযিল হয়েছিলো। কুয়া (এর মালিকানা) নিয়ে আমার সাথে এক লোকের ঝগড়া চলছিলো। পরে আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর খিদমতে বিরোধটি উত্থাপন করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)(আমাকে) বললেন, তুমি দু'জন সাক্ষী উপস্থিত করবে, নতুবা সে হলফ করবে। আমি বললাম, তবে তো সে নির্দ্বিধায় হলফ করে বসবে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা হলফ করে অর্থ-সম্পদ হস্তগত করবে, সে (কিয়ামতের দিন) আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে এ অবস্থায় যে, আল্লাহ তার প্রতি রাগান্বিত থাকবেন। তিনি (আশআস) বলেন, তখন আল্লাহ তাআলা এর সমর্থনে আয়াত নাযিল করলেন। অতঃপর তিনি (আশআস) এই আয়াত إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً إِلَى وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ তিলাওয়াত করলেন।
بَابُ إِذَا اخْتَلَفَ الرَّاهِنُ وَالْمُرْتَهِنُ وَنَحْوُهُ فَالْبَيِّنَةُ عَلَى الْمُدَّعِي وَالْيَمِينُ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ
2515 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ يَسْتَحِقُّ بِهَا مَالًا وَهُوَ فِيهَا فَاجِرٌ، لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَصْدِيقَ ذَلِكَ: {إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلًا} [آل عمران: 77] فَقَرَأَ إِلَى {عَذَابٌ أَلِيمٌ} [آل عمران: 77] ، ثُمَّ إِنَّ الأَشْعَثَ بْنَ قَيْسٍ خَرَجَ إِلَيْنَا، فَقَالَ مَا يُحَدِّثُكُمْ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ؟ قَالَ: فَحَدَّثْنَاهُ، قَالَ: فَقَالَ: صَدَقَ، لَفِيَّ وَاللَّهِ أُنْزِلَتْ، كَانَتْ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ خُصُومَةٌ فِي بِئْرٍ، فَاخْتَصَمْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ: «شَاهِدَاكَ أَوْ يَمِينُهُ» ، قُلْتُ: إِنَّهُ إِذًا يَحْلِفُ وَلاَ يُبَالِي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ يَسْتَحِقُّ بِهَا مَالًا، وَهُوَ فِيهَا فَاجِرٌ، لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ» فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَصْدِيقَ ذَلِكَ، ثُمَّ اقْتَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ: {إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلًا} [آل عمران: 77] إِلَى {وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ} [آل عمران: 77]