আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৩- উযূর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৫
১৪২। গামলা, কাঠ ও পাথরের পাত্রে উযু-গোসল করা
১৯৫। আব্দুল্লাহ ইবনে মুনীর (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার নামাযের সময় উপস্থিত হলে যাঁদের বাড়ী নিকটে ছিল তাঁরা (উযু করার জন্য) বাড়ী চলে গেলেন। আর কিছু লোক রয়ে গেলেন (তাঁদের কোন উযুর ব্যবস্থা ছিল না)। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জন্য একটি পাথরের পাত্রে পানি আনা হল। পাত্রটি এত ছোট ছিল যে, তার মধ্যে তাঁর উভয় হাত মেলে দেওয়া সম্ভব ছিল না। তা থেকেই কওমের সকল লোক উযু করলেন। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা কতজন ছিলেন? তিনি বললেন, আশিজন বা আরো বেশী।
باب الْغُسْلِ وَالْوُضُوءِ فِي الْمِخْضَبِ وَالْقَدَحِ وَالْخَشَبِ وَالْحِجَارَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُنِيرٍ، سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ بَكْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ حَضَرَتِ الصَّلاَةُ، فَقَامَ مَنْ كَانَ قَرِيبَ الدَّارِ إِلَى أَهْلِهِ، وَبَقِيَ قَوْمٌ، فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِمِخْضَبٍ مِنْ حِجَارَةٍ فِيهِ مَاءٌ، فَصَغُرَ الْمِخْضَبُ أَنْ يَبْسُطَ فِيهِ كَفَّهُ، فَتَوَضَّأَ الْقَوْمُ كُلُّهُمْ. قُلْنَا كَمْ كُنْتُمْ قَالَ ثَمَانِينَ وَزِيَادَةً.
হাদীস নং: ১৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৬
১৪২। গামলা, কাঠ ও পাথরের পাত্রে উযু-গোসল করা
১৯৬। মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রাহঃ) .... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একবার নবী (ﷺ) একটি পানি ভর্তি পাত্র আনালেন। তাতে তাঁর উভয় হাত ও মুখমণ্ডল ধুলেন এবং কুলি করলেন।
باب الْغُسْلِ وَالْوُضُوءِ فِي الْمِخْضَبِ وَالْقَدَحِ وَالْخَشَبِ وَالْحِجَارَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَعَا بِقَدَحٍ فِيهِ مَاءٌ، فَغَسَلَ يَدَيْهِ وَوَجْهَهُ فِيهِ وَمَجَّ فِيهِ.
হাদীস নং: ১৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৭
১৪২। গামলা, কাঠ ও পাথরের পাত্রে উযু-গোসল করা
১৯৭। আহমদ ইবনে ইউনুস (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে যায়দ (রাযিঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের বাড়ীতে এলেন। আমরা তাঁকে পিতলের একটি পাত্রে পানি দিলাম। তিনি তা দিয়ে উযু করলেন। তাঁর মুখমণ্ডল তিনবার ও উভয় হাত দু’-দু’বার করে ধুলেন এবং তাঁর হাত সামনে ও পেছনে এনে মাথা মাসাহ করলেন আর উভয় পা ধুলেন।
باب الْغُسْلِ وَالْوُضُوءِ فِي الْمِخْضَبِ وَالْقَدَحِ وَالْخَشَبِ وَالْحِجَارَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْرَجْنَا لَهُ مَاءً فِي تَوْرٍ مِنْ صُفْرٍ فَتَوَضَّأَ، فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا وَيَدَيْهِ مَرَّتَيْنِ مَرَّتَيْنِ، وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ فَأَقْبَلَ بِهِ وَأَدْبَرَ، وَغَسَلَ رِجْلَيْهِ.
হাদীস নং: ১৯৮
১৪২। গামলা, কাঠ ও পাথরের পাত্রে উযু-গোসল করা
১৯৮। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, নবী (ﷺ) এর রোগ যন্ত্রণা বেড়ে গেলে তিনি আমার ঘরে শুশ্রূষার জন্য তাঁর পত্নীগণের অনুমতি চাইলেন। তাঁরা অনুমতি দিলে নবী (ﷺ) (আমার ঘরে আসার জন্য) দু’ব্যক্তির ওপর ভর করে বের হলেন। আর তাঁর পা দু’খানি তখন মাটিতে চিহ্ন রেখে যাচ্ছিল। তিনি আব্বাস (রাযিঃ) ও অন্য এক ব্যক্তির মাঝখানে ছিলেন। উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে এ কথা অবহিত করলাম। তিনি বললেন, সে অন্য ব্যক্তিটি কে তা কি তুমি জানো? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, তিনি হলেন আলী ইবনে আবু তালিব (রাযিঃ)। আয়িশা (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, নবী (ﷺ) তাঁর ঘরে আসার পর রোগ আরো বেড়ে গেলে তিনি বললেন, তোমরা আমার উপর মুখের বাঁধন খোলা হয়নি এমন সাতটি মশকের পানি ঢেলে দাও, তাহলে হয়ত আমি মানুষকে কিছু ওসিয়ত করব। তাঁকে তাঁর সহধর্মিণী হাফসা (রাযিঃ) এর একটি বড় পাত্রের মধ্যে বসিয়ে দেওয়া হল। তারপর আমরা তাঁর ওপর সেই সাত মশক পানি ঢালতে শুরু করলাম। এভাবে ঢালার পর এক সময় তিনি আমাদের প্রতি ইশারা করলেন, (এখন থাম) তোমরা তোমাদের কাজ করেছ। এরপর তিনি বের হয়ে জনসমক্ষে গেলেন।
باب الْغُسْلِ وَالْوُضُوءِ فِي الْمِخْضَبِ وَالْقَدَحِ وَالْخَشَبِ وَالْحِجَارَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ، قَالَتْ لَمَّا ثَقُلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَاشْتَدَّ بِهِ وَجَعُهُ، اسْتَأْذَنَ أَزْوَاجَهُ فِي أَنْ يُمَرَّضَ فِي بَيْتِي، فَأَذِنَّ لَهُ، فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بَيْنَ رَجُلَيْنِ تَخُطُّ رِجْلاَهُ فِي الأَرْضِ بَيْنَ عَبَّاسٍ وَرَجُلٍ آخَرَ. قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ فَأَخْبَرْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ أَتَدْرِي مَنِ الرَّجُلُ الآخَرُ قُلْتُ لاَ. قَالَ هُوَ عَلِيٌّ. وَكَانَتْ عَائِشَةُ ـ رضى الله عنها ـ تُحَدِّثُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَعْدَ مَا دَخَلَ بَيْتَهُ وَاشْتَدَّ وَجَعُهُ " هَرِيقُوا عَلَىَّ مِنْ سَبْعِ قِرَبٍ، لَمْ تُحْلَلْ أَوْكِيَتُهُنَّ، لَعَلِّي أَعْهَدُ إِلَى النَّاسِ ". وَأُجْلِسَ فِي مِخْضَبٍ لِحَفْصَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، ثُمَّ طَفِقْنَا نَصُبُّ عَلَيْهِ تِلْكَ حَتَّى طَفِقَ يُشِيرُ إِلَيْنَا أَنْ قَدْ فَعَلْتُنَّ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى النَّاسِ.