আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৩৫- কুড়িয়ে পাওয়া বস্তুর অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ২২৭১
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৩৩ - ২৪৩৪
১৫১৮. মক্কাবাসীদের পড়ে থাকা জিনিসের কিভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে।
তাউস (রাহঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মক্কায় পড়ে থাকা জিনিস কেবল সেই ব্যক্তি উঠাবে, যে তার ঘোষণা দিবে। খালিদ (রাহঃ), ইকরিমা (রাযিঃ)- এর মাধ্যমে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মক্কায় পড়ে থাকা জিনিস কেবল সেই ব্যক্তি উঠাবে যে তার ঘোষণা দিবে।
আহমদ ইবনে সাঈদ (রাহঃ).... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সেখানকার গাছ কাটা যাবে না, সেখানকার শিকার তাড়ানো যাবে না এবং সেখানকার পড়ে থাকা জিনিস যে ঘোষণা দিবে, সে ব্যতীত অন্য কারো জন্য তুলে নেয়া হালাল হবে না, সেখানকার ঘাস কাটা যাবে না। তখন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইযখির (এক প্রকার ঘাস) ব্যতীত। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ইযখির ব্যতীত (অর্থাৎ ইযখির ঘাস কাটা যাবে)।
তাউস (রাহঃ) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, মক্কায় পড়ে থাকা জিনিস কেবল সেই ব্যক্তি উঠাবে, যে তার ঘোষণা দিবে। খালিদ (রাহঃ), ইকরিমা (রাযিঃ)- এর মাধ্যমে ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, মক্কায় পড়ে থাকা জিনিস কেবল সেই ব্যক্তি উঠাবে যে তার ঘোষণা দিবে।
আহমদ ইবনে সাঈদ (রাহঃ).... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সেখানকার গাছ কাটা যাবে না, সেখানকার শিকার তাড়ানো যাবে না এবং সেখানকার পড়ে থাকা জিনিস যে ঘোষণা দিবে, সে ব্যতীত অন্য কারো জন্য তুলে নেয়া হালাল হবে না, সেখানকার ঘাস কাটা যাবে না। তখন আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইযখির (এক প্রকার ঘাস) ব্যতীত। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ইযখির ব্যতীত (অর্থাৎ ইযখির ঘাস কাটা যাবে)।
২২৭১। ইয়াহয়া ইবনে মুসা (রাহঃ) ....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আল্লাহ তাআলা যখণ তাঁর রাসূল (ﷺ)- কে মক্কা বিজয় দান করলেন, তখন তিনি (ﷺ) লোকদের মাঝে দাঁড়িয়ে আল্লাহর হামদ ও সানা (প্রশংসা) বর্ণনা করলেন। এরপর বললেন, আল্লাহ তাআলা মক্কায় (আবরাহার) হস্তি বাহিনীকে প্রবেশ করতে দেননি এবং তিনি তাঁর রাসূল ও মু’মিন বান্দাদেরকে মক্কার উপর আধিপত্য দান করেছেন। আমার আগে অন্য কারও জন্য মক্কায় যুদ্ধ করা বৈধ ছিল না, তবে আমার পক্ষে দিনের সামান্য সময়ের জন্য বৈধ করা হয়েছিল, আর তা আমার পরেও কারও জন্য বৈধ হবে না। কাজেই এখানকার শিকার তাড়ানো যাবে না, এখানকার গাছ কাটা ও উপড়ানো যাবে না, ঘোষণাকারী ব্যক্তি ব্যতীত এখানকার পড়ে থাকা জিনিস তুলে নেয়া যাবে না।
যার কোন লোক এখানে নিহত হয় তবে দু’টির মধ্যে তার কাছে যা ভাল বলে বিবেচিত হয়, তা গ্রহণ করবে। ফিদইয়া গ্রহণ অথবা কিসাস। আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, ইযখিরের অনুমতি দিন। কেননা আমরা এগুলো আমাদের কবরের উপর এবং ঘরের কাজে ব্যবহার করে থাকি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ইযখির ব্যতীত (অর্থাৎ তা কাটা ও ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হল)। তখন ইয়ামানবাসী আবু শাহ (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে লিখে দিন। তিনি বললেন, তোমরা আবু শাহকে লিখে দাও। (ওয়ালিদ ইবনে মুসলিম বলেন) আমি আওযায়ীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে লিখে দিন- তাঁর এ উক্তির অর্থ কি? তিনি বলেন, এ ভাষণ যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছ থেকে তিনি শুনেছেন, তা লিখে দিন।
যার কোন লোক এখানে নিহত হয় তবে দু’টির মধ্যে তার কাছে যা ভাল বলে বিবেচিত হয়, তা গ্রহণ করবে। ফিদইয়া গ্রহণ অথবা কিসাস। আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, ইযখিরের অনুমতি দিন। কেননা আমরা এগুলো আমাদের কবরের উপর এবং ঘরের কাজে ব্যবহার করে থাকি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ইযখির ব্যতীত (অর্থাৎ তা কাটা ও ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হল)। তখন ইয়ামানবাসী আবু শাহ (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে লিখে দিন। তিনি বললেন, তোমরা আবু শাহকে লিখে দাও। (ওয়ালিদ ইবনে মুসলিম বলেন) আমি আওযায়ীকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে লিখে দিন- তাঁর এ উক্তির অর্থ কি? তিনি বলেন, এ ভাষণ যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছ থেকে তিনি শুনেছেন, তা লিখে দিন।
بَابُ كَيْفَ تُعَرَّفُ لُقَطَةُ أَهْلِ مَكَّةَ وَقَالَ طَاوُسٌ: عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لاَ يَلْتَقِطُ لُقَطَتَهَا إِلَّا مَنْ عَرَّفَهَا» وَقَالَ خَالِدٌ: عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لاَ تُلْتَقَطُ لُقَطَتُهَا إِلَّا لِمُعَرِّفٍ»
وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا زكَرِيَّاءُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لاَ يُعْضَدُ عِضَاهُهَا، وَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا، وَلاَ تَحِلُّ لُقَطَتُهَا، إِلَّا لِمُنْشِدٍ، وَلاَ يُخْتَلَى خَلاَهَا» فَقَالَ عَبَّاسٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِلَّا الإِذْخِرَ، فَقَالَ: «إِلَّا الإِذْخِرَ»
وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا زكَرِيَّاءُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لاَ يُعْضَدُ عِضَاهُهَا، وَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا، وَلاَ تَحِلُّ لُقَطَتُهَا، إِلَّا لِمُنْشِدٍ، وَلاَ يُخْتَلَى خَلاَهَا» فَقَالَ عَبَّاسٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِلَّا الإِذْخِرَ، فَقَالَ: «إِلَّا الإِذْخِرَ»
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم مَكَّةَ قَامَ فِي النَّاسِ، فَحَمِدَ اللَّهَ، وَأَثْنَى عَلَيْهِ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ اللَّهَ حَبَسَ عَنْ مَكَّةَ الْفِيلَ، وَسَلَّطَ عَلَيْهَا رَسُولَهُ وَالْمُؤْمِنِينَ، فَإِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لأَحَدٍ كَانَ قَبْلِي، وَإِنَّهَا أُحِلَّتْ لِي سَاعَةً مِنْ نَهَارٍ، وَإِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لأَحَدٍ بَعْدِي، فَلاَ يُنَفَّرُ صَيْدُهَا وَلاَ يُخْتَلَى شَوْكُهَا، وَلاَ تَحِلُّ سَاقِطَتُهَا إِلاَّ لِمُنْشِدٍ، وَمَنْ قُتِلَ لَهُ قَتِيلٌ فَهْوَ بِخَيْرِ النَّظَرَيْنِ، إِمَّا أَنْ يُفْدَى، وَإِمَّا أَنْ يُقِيدَ ". فَقَالَ الْعَبَّاسُ إِلاَّ الإِذْخِرَ، فَإِنَّا نَجْعَلُهُ لِقُبُورِنَا وَبُيُوتِنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِلاَّ الإِذْخِرَ ". فَقَامَ أَبُو شَاهٍ ـ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ ـ فَقَالَ اكْتُبُوا لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اكْتُبُوا لأَبِي شَاهٍ ". قُلْتُ لِلأَوْزَاعِيِّ مَا قَوْلُهُ اكْتُبُوا لِي يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ هَذِهِ الْخُطْبَةَ الَّتِي سَمِعَهَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.

তাহকীক: