আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
হাদীস নং: ৩৬৪০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৪
২১৫৫. নবী কারীম (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদীনায় শুভাগমন
৩৬৪০। আবুল ওয়ালিদ (রাহঃ) .... বারা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সর্বপ্রথম আমাদের মধ্যে (মদীনায়) আগমন করেন মুস‘আব ইবনে উমায়ের ও ইবনে উম্মে মাকতুম (রাযিঃ)। তারপর আমাদের কাছে আসেন আম্মার ইবনে ইয়াসির ও বিলাল (রাযিঃ)।
باب مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ الى الْمَدِينَة
3924 - حَدَّثَنَا أَبُو الوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: أَنْبَأَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، سَمِعَ البَرَاءَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «أَوَّلُ مَنْ قَدِمَ عَلَيْنَا مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ، وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ، ثُمَّ قَدِمَ عَلَيْنَا عَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ، وَبِلاَلٌ [ص:66] رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৪১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৫
২১৫৫. নবী কারীম (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদীনায় শুভাগমন
৩৬৪১। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সর্বপ্রথম আমাদের মধ্যে (মদীনায়) আগমন করলেন মুস‘আব ইবনে উমায়ের ও ইবনে উম্মে মাকতুম। তারা লোকদের কুরআন পড়াতেন। তারপর আসলেন, বিলাল, সা‘দ ও আম্মার ইবনে ইয়াসির, এরপর উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ)- এর বিশজন সাহাবীসহ মদীনায় আসলেন। তারপর নবী কারীম (ﷺ) আগমন করলেন। তাঁর আগমনে মদীনাবাসী যে পরিমাণ আনন্দিত হয়েছিল সে পরিমাণ আনন্দ হতে কখনো দেখিনি। এমনকি দাসীগণও বলছিল নবী কারীম (ﷺ) শুভাগমন করেছেন। বারা (রাযিঃ) বলেন, তাঁর আগমনের আগেই মুফাসসালের কয়েকটি সূরাসহ আমি سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى সূরা পর্যন্ত পড়ে ফেলেছিলাম।
باب مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ الى الْمَدِينَة
3925 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: سَمِعْتُ البَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: أَوَّلُ مَنْ قَدِمَ عَلَيْنَا مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ، وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ وَكَانَا يُقْرِئَانِ النَّاسَ، فَقَدِمَ بِلاَلٌ وَسَعْدٌ وَعَمَّارُ بْنُ يَاسِرٍ، ثُمَّ قَدِمَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ فِي عِشْرِينَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ " قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا رَأَيْتُ أَهْلَ المَدِينَةِ فَرِحُوا بِشَيْءٍ فَرَحَهُمْ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى جَعَلَ الإِمَاءُ يَقُلْنَ: قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَا قَدِمَ حَتَّى قَرَأْتُ: سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى فِي سُوَرٍ مِنَ المُفَصَّلِ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৪২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৬
২১৫৫. নবী কারীম (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদীনায় শুভাগমন
৩৬৪২। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মদীনায় আগমন করলেন, তখন আবু বকর ও বিলাল (রাযিঃ) ভীষণ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। আমি তাদেরকে দেখতে গেলাম এবং বললাম, আব্বাজান কেমন আছেন? হে বিলাল, আপনি কেমন আছেন? আবু বকর (রাযিঃ) জ্বরাক্রান্ত হলেই এ পংক্তিগুলু আবৃত্তি করতেন। “প্রতিটি ব্যক্তিকে নিজ পরিবারে সুপ্রভাত বলা হয় অথচ মৃত্যু তার জুতার ফিতার চাইতেও অধিক নিকটবর্তী।”
আর বিলাল (রাযিঃ)- এর অবস্থা ছিল এই যখন তাঁর জ্বর ছেড়ে যেত তখন কণ্ঠস্বর উঁচু করে এ কবিতাটি আবৃত্তি করতেনঃ “হায়, আমি যদি জানতাম আমি ঐ মক্কা উপত্যকায় পুনরায় রাত্রি যাপন করতে পারব কিনা যেখানে ইযখির ও জলীল ঘাস আমার চারপাশে বিরাজমান থাকত। হায়, আর কি আমার ভাগ্যে জুটবে যে, আমি মজান্না নামক কূপের পানি পান করতে পারব! এবং শামা ও তাফিল পাহাড় কি আর আমার দৃষ্টিগোচর হবে!”
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট গিয়ে এ সংবাদ জানালাম। তখন তিনি এ দুআ করলেন, হে আল্লাহ! মদীনাকে আমাদের প্রিয় করে দাও যেমন প্রিয় ছিল আমাদের মক্কা বরং তার চেয়েও অধিক প্রিয় করে দাও। আমাদের জন্য মদীনাকে স্বাস্থ্যকর বানিয়ে দাও। মদীনার সা’ ও মুদ এর মধ্যে বরকত দান কর। আর এখানকার জ্বর রোগকে স্থানান্তর করে জুহফায় নিয়ে যাও।
আর বিলাল (রাযিঃ)- এর অবস্থা ছিল এই যখন তাঁর জ্বর ছেড়ে যেত তখন কণ্ঠস্বর উঁচু করে এ কবিতাটি আবৃত্তি করতেনঃ “হায়, আমি যদি জানতাম আমি ঐ মক্কা উপত্যকায় পুনরায় রাত্রি যাপন করতে পারব কিনা যেখানে ইযখির ও জলীল ঘাস আমার চারপাশে বিরাজমান থাকত। হায়, আর কি আমার ভাগ্যে জুটবে যে, আমি মজান্না নামক কূপের পানি পান করতে পারব! এবং শামা ও তাফিল পাহাড় কি আর আমার দৃষ্টিগোচর হবে!”
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট গিয়ে এ সংবাদ জানালাম। তখন তিনি এ দুআ করলেন, হে আল্লাহ! মদীনাকে আমাদের প্রিয় করে দাও যেমন প্রিয় ছিল আমাদের মক্কা বরং তার চেয়েও অধিক প্রিয় করে দাও। আমাদের জন্য মদীনাকে স্বাস্থ্যকর বানিয়ে দাও। মদীনার সা’ ও মুদ এর মধ্যে বরকত দান কর। আর এখানকার জ্বর রোগকে স্থানান্তর করে জুহফায় নিয়ে যাও।
باب مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ الى الْمَدِينَة
3926 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا قَالَتْ: لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ، وُعِكَ أَبُو بَكْرٍ، وَبِلاَلٌ، قَالَتْ: فَدَخَلْتُ عَلَيْهِمَا، فَقُلْتُ: يَا أَبَتِ كَيْفَ تَجِدُكَ؟ وَيَا بِلاَلُ كَيْفَ تَجِدُكَ؟ قَالَتْ: فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا أَخَذَتْهُ الحُمَّى يَقُولُ:
كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ ... وَالمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
وَكَانَ بِلاَلٌ إِذَا أَقْلَعَ عَنْهُ الحُمَّى يَرْفَعُ عَقِيرَتَهُ وَيَقُولُ:
أَلاَ لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً ... بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجَنَّةٍ ... وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ
قَالَتْ عَائِشَةُ: فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا المَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ، أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا، وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ»
كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ ... وَالمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
وَكَانَ بِلاَلٌ إِذَا أَقْلَعَ عَنْهُ الحُمَّى يَرْفَعُ عَقِيرَتَهُ وَيَقُولُ:
أَلاَ لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً ... بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجَنَّةٍ ... وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ
قَالَتْ عَائِشَةُ: فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا المَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ، أَوْ أَشَدَّ وَصَحِّحْهَا وَبَارِكْ لَنَا فِي صَاعِهَا وَمُدِّهَا، وَانْقُلْ حُمَّاهَا فَاجْعَلْهَا بِالْجُحْفَةِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৭
২১৫৫. নবী কারীম (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদীনায় শুভাগমন
৩৬৪৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... উবাইদুল্লাহ ইবনে আদী (রাহঃ) বলেন, আমি উসমান (রাযিঃ)- এর ঘরে প্রবেশ করলাম। তিনি আমার বক্তব্য শুনার পর তাশাহহুদ পাঠের পর বললেন, আম্মা বা‘দু। আল্লাহ তাআলা মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর আহবানে সাড়া দিয়েছিলেন, মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে যে সত্যসহ প্রেরণ করা হয়েছিল তৎপ্রতি ঈমান এনেছিলেন আমিও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। উভয় হিজরতের (হাবশায় ও মদীনায়) অংশ গ্রহণ করেছি। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর জামাতা হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছি। আমি তাঁর হাতে বায়‘আত করেছি, আল্লাহর কসম আমি কখনো তাঁর নাফরমানী করিনি তাঁর সাথে প্রতারণামূলক কোন কিছু করিনি। এমতাবস্থায় তাঁর ওফাত হয়েছে। ইসহাক কালবী শু‘য়ায়বের অনুসরণ করতঃ যুহরী সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ الى الْمَدِينَة
3927 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ الخِيَارِ، أَخْبَرَهُ: دَخَلْتُ عَلَى عُثْمَانَ، وَقَالَ: بِشْرُ بْنُ شُعَيْبٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ خِيَارٍ، أَخْبَرَهُ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى عُثْمَانَ فَتَشَهَّدَ ثُمَّ قَالَ: «أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالحَقِّ، وَكُنْتُ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ، وَآمَنَ بِمَا بُعِثَ بِهِ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ هَاجَرْتُ هِجْرَتَيْنِ، وَنِلْتُ صِهْرَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَايَعْتُهُ، فَوَاللَّهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلاَ غَشَشْتُهُ، حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ» تَابَعَهُ إِسْحَاقُ الكَلْبِيُّ، حَدَّثَنِي [ص:67] الزُّهْرِيُّ مِثْلَهُ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৮
২১৫৫. নবী কারীম (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদীনায় শুভাগমন
৩৬৪৪। ইয়াহয়া ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যে বছর উমর (রাযিঃ) শেষ হজ্জ আদায় করেন সে বছর আব্দুর রহমান ইবনে আউফ (রাযিঃ) মিনায় তাঁর পরিবারের কাছে ফিরে আসেন এবং সেখানে আমার সাথে তাঁর সাক্ষাত ঘটে। (উমর (রাযিঃ) লোকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে চাইলে) আব্দুল রহমান (রাযিঃ) বললেন, হে আমীরুল মু'মিনীন হজ্জ মওসুমে বুদ্ধিমান ও নির্বোধ সব রকমের মানুষ একত্রিত হয়। তাই আমার বিবেচনায় আপনি ভাষণ দান থেকে বিরত থাকুন। এবং মদীনা গমন করে ভাষণ দান করুন। মদীনা হল দারুল হিজরত, (হিজরতের স্থান) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সুন্নাতের পবিত্র ভূমি। সেখানে আপনি অনেক জ্ঞানী, গুণী ও বুদ্ধিমান লোককে একান্তে পাবেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, মদীনায় গিয়েই সর্বপ্রথম আমার ভাষণটি অবশ্যই প্রদান করব।
باب مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ الى الْمَدِينَة
3928 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، وَأَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ: أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَوْفٍ رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ وَهُوَ بِمِنًى، فِي آخِرِ حَجَّةٍ حَجَّهَا عُمَرُ فَوَجَدَنِي، فَقَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: فَقُلْتُ: يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ، إِنَّ المَوْسِمَ يَجْمَعُ رَعَاعَ النَّاسِ وَغَوْغَاءَهُمْ، وَإِنِّي أَرَى أَنْ تُمْهِلَ حَتَّى تَقْدَمَ المَدِينَةَ، فَإِنَّهَا دَارُ الهِجْرَةِ وَالسُّنَّةِ وَالسَّلاَمَةِ، وَتَخْلُصَ لِأَهْلِ الفِقْهِ وَأَشْرَافِ النَّاسِ وَذَوِي رَأْيِهِمْ، قَالَ عُمَرُ: «لَأَقُومَنَّ فِي أَوَّلِ مَقَامٍ أَقُومُهُ بِالْمَدِينَةِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯২৯
২১৫৫. নবী কারীম (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদীনায় শুভাগমন
৩৬৪৫। মুসা ইবনে ইসমা‘ঈল (রাহঃ) .... খারিজা ইবনে যায়দ ইবনে সাবিত (রাহঃ) বলেন, উম্মুল ‘আলা’ (রাযিঃ) নামক জনৈক আনসারী মহিলা নবী কারীম (ﷺ)- এর হাতে বায়‘আত করেন। তিনি বর্ণনা করেন, যখন মুহাজিরদের অবস্থানের ব্যাপারে আনসারদের মধ্যে লটারী অনুষ্ঠিত হল তখন উসমান ইবনে মাযউনের বসবাস আমাদের ভাগে পড়ল। উম্মুল ‘আলা’ (রাযিঃ) বলেন, এরপর তিনি আমাদের এখানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমি তার সেবা শুশ্রূষা করলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর ওফাত হয়ে গেল। আমরা কাফনের কাফড় পরিয়ে দিলাম। তারপর নবী কারীম (ﷺ) আমাদের এখানে তাশরীফ আনলেন। ঐ সময় আমি উসমান (রাযিঃ)-কে লক্ষ্য করে বলছিলাম। হে আবু সায়িব! তোমার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। তোমার ব্যাপারে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ নিশ্চয়ই তোমাকে সম্মানিত করেছেন।
তখন নবী কারীম (ﷺ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কেমন করে জানলে যে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছেন? আমি বললাম, আমার মাতা-পিতা আপনার উপর কুরবান হোক। ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি তো জানি না। (তবে তাকে যদি সম্মানিত করা না হয়) তবে কাকে আল্লাহ সম্মানিত করবেন? নবী কারীম (ﷺ) বললেন, আল্লাহর কসম! উসমানের মৃত্যু হয়ে গেছে। আল্লাহর কসম! আমি তার সম্বন্ধে কল্যাণের আশা পোষণ করছি। আল্লাহর কসম, আমি আল্লাহর রাসূল হওয়া সত্তেও জানি না আল্লাহ তাঁর সাথে কি ব্যবহার করবেন।
উম্মুল ‘আলা’ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, আমি এ কথা শুনার পর আর কাউকে (দৃঢ়তার সহিত) পূত-পবিত্র বলব না। উম্মুল ‘আলা’ (রাযিঃ) বলেন, নবী কারীম (ﷺ)- এর এ কথা আমাকে চিন্তিত করল। এরপর আমি স্বপ্নে দেখতে পেলাম যে, উসমান ইবনে মাযউন (রাযিঃ)- এর জন্য একটি নহর প্রবাহিত রয়েছে। আমি রাসূল (ﷺ)- এর নিকট গিয়ে আমার স্বপ্নটি ব্যক্ত করলে তিনি বললেন, এ হচ্ছে তার (নেক) আমল।
তখন নবী কারীম (ﷺ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কেমন করে জানলে যে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছেন? আমি বললাম, আমার মাতা-পিতা আপনার উপর কুরবান হোক। ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি তো জানি না। (তবে তাকে যদি সম্মানিত করা না হয়) তবে কাকে আল্লাহ সম্মানিত করবেন? নবী কারীম (ﷺ) বললেন, আল্লাহর কসম! উসমানের মৃত্যু হয়ে গেছে। আল্লাহর কসম! আমি তার সম্বন্ধে কল্যাণের আশা পোষণ করছি। আল্লাহর কসম, আমি আল্লাহর রাসূল হওয়া সত্তেও জানি না আল্লাহ তাঁর সাথে কি ব্যবহার করবেন।
উম্মুল ‘আলা’ (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর কসম, আমি এ কথা শুনার পর আর কাউকে (দৃঢ়তার সহিত) পূত-পবিত্র বলব না। উম্মুল ‘আলা’ (রাযিঃ) বলেন, নবী কারীম (ﷺ)- এর এ কথা আমাকে চিন্তিত করল। এরপর আমি স্বপ্নে দেখতে পেলাম যে, উসমান ইবনে মাযউন (রাযিঃ)- এর জন্য একটি নহর প্রবাহিত রয়েছে। আমি রাসূল (ﷺ)- এর নিকট গিয়ে আমার স্বপ্নটি ব্যক্ত করলে তিনি বললেন, এ হচ্ছে তার (নেক) আমল।
باب مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ الى الْمَدِينَة
3929 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ خَارِجَةَ بْنِ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّ أُمَّ العَلاَءِ، امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِمْ، بَايَعَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَخْبَرَتْهُ: أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ مَظْعُونٍ طَارَ لَهُمْ فِي السُّكْنَى، حِينَ اقْتَرَعَتِ الأَنْصَارُ عَلَى سُكْنَى المُهَاجِرِينَ، قَالَتْ أُمُّ العَلاَءِ: فَاشْتَكَى عُثْمَانُ عِنْدَنَا فَمَرَّضْتُهُ حَتَّى تُوُفِّيَ، وَجَعَلْنَاهُ فِي أَثْوَابِهِ، فَدَخَلَ عَلَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقُلْتُ: رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْكَ أَبَا السَّائِبِ، شَهَادَتِي عَلَيْكَ لَقَدْ أَكْرَمَكَ اللَّهُ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَمَا يُدْرِيكِ أَنَّ اللَّهَ أَكْرَمَهُ» ، قَالَتْ: قُلْتُ: لاَ أَدْرِي، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَمَنْ؟ قَالَ: «أَمَّا هُوَ فَقَدْ جَاءَهُ وَاللَّهِ اليَقِينُ، وَاللَّهِ إِنِّي لَأَرْجُو لَهُ الخَيْرَ، وَمَا أَدْرِي وَاللَّهِ وَأَنَا رَسُولُ اللَّهِ مَا يُفْعَلُ بِي» ، قَالَتْ: فَوَاللَّهِ لاَ أُزَكِّي أَحَدًا بَعْدَهُ، قَالَتْ: فَأَحْزَنَنِي ذَلِكَ، فَنِمْتُ، وفَرِيتُ لِعُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ عَيْنًا تَجْرِي، فَجِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: «ذَلِكِ عَمَلُهُ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৬৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৩০
২১৫৫. নবী কারীম (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদীনায় শুভাগমন
৩৬৪৬। উবাইদুল্লাহ ইবনে সা‘ঈদ (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বু‘আস যুদ্ধ এমন একটি যুদ্ধ ছিল যা আল্লাহ তাঁর রাসূল (ﷺ)-এর অনুকূলে তাঁর হিজরতের পূর্বেই সংঘটিত করিয়েছিলেন, যা তাদের (মদীনাবাসীদের) ইসলাম গ্রহণের পক্ষে সহায়ক হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মদীনায় আগমন করলেন তখন তাদের গোত্রগুলো ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে নানা দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল এবং তাদের অনেক নেতৃবৃন্দ নিহত হয়েছিল।
باب مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ الى الْمَدِينَة
3930 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «كَانَ يَوْمُ بُعَاثٍ يَوْمًا قَدَّمَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِرَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ، وَقَدِ افْتَرَقَ مَلَؤُهُمْ، وَقُتِلَتْ سَرَاتُهُمْ، فِي دُخُولِهِمْ فِي الإِسْلاَمِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৩১
২১৫৫. নবী কারীম (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদীনায় শুভাগমন
৩৬৪৭। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবু বকর (রাযিঃ) ঈদুল ফিতর অথবা ঈদুল আযহার দিনে তাঁকে দেখতে এলেন। তখন নবী কারীম (ﷺ) আয়েশা (রাযিঃ)- এর গৃহে অবস্থান করছিলেন। ঐ সময় দু‘জন অল্প বয়সী বালিকা এ কবিতাটি উচ্চঃস্বরে আবৃত্তি করছিল যা আনসারগণ বু‘আস যুদ্ধে আবৃত্তি করেছিল। তখন আবু বকর (রাযিঃ) দু‘বার বললেন, এ হল শয়তানের বাদ্যযন্ত্র। নবী কারীম
(ﷺ) বললেন, হে আবু বকর, তাদেরকে ছেড়ে দাও। কেননা প্রত্যেক সম্প্রদায়েরই ‘ঈদ’ রয়েছে আর আজকের দিন হল আমাদের ঈদের দিন।
(ﷺ) বললেন, হে আবু বকর, তাদেরকে ছেড়ে দাও। কেননা প্রত্যেক সম্প্রদায়েরই ‘ঈদ’ রয়েছে আর আজকের দিন হল আমাদের ঈদের দিন।
باب مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ الى الْمَدِينَة
3931 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ، دَخَلَ عَلَيْهَا وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَهَا يَوْمَ فِطْرٍ أَوْ أَضْحًى، وَعِنْدَهَا قَيْنَتَانِ تُغَنِّيَانِ بِمَا تَقَاذَفَتْ الأَنْصَارُ يَوْمَ بُعَاثٍ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: مِزْمَارُ الشَّيْطَانِ؟ مَرَّتَيْنِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعْهُمَا يَا أَبَا بَكْرٍ، إِنَّ لِكُلِّ قَوْمٍ عِيدًا، وَإِنَّ عِيدَنَا هَذَا اليَوْمُ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৩২
২১৫৫. নবী কারীম (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদীনায় শুভাগমন
৩৬৪৮। মুসাদ্দাদ ও ইসহাক ইবনে মানসুর (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মদীনায় আগমন করেন তখন মদীনার উঁচু এলাকার আমর ইবনে আউফ গোত্রে অবস্থান করলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন, সেখানে তিনি চৌদ্দ দিন অবস্থান করেন। এরপর তিনি বানু নাজ্জারের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নিকট সংবাদ পাঠালেন। তারা সকলেই তরবারী ঝুলিয়ে উপস্থিত হলেন। আনাস (রাযিঃ) বলেন সেই দৃশ্য এখনো যেন আমি দেখতে পাচ্ছি।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর পিছনে উপবিষ্ট রয়েছেন, আর বনু নাজ্জারের প্রধানগণ রয়েছেন তাদের পার্শ্বে। অবশেষে আবু আইয়ুব (রাযিঃ)- এর বাড়ীর চত্বরে উটটি বসে পড়ল। রাবী বলেন, ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেখানেই নামাযের সময় হত সেখানেই নামায আদায় করে নিতেন। এবং তিনি কোন কোন সময় ছাগল-ভেড়ার খোয়াড়েও নামায আদায় করতেন।
রাবী বলেন, তারপর তিনি মসজিদ নির্মাণের আদেশ দিলেন। তিনি বনী নাজ্জারের নেতাদের ডাকলেন এবং তারা এলে তিনি বললেন, তোমাদের এ বাগানটি আমার নিকট বিক্রি করে দাও। তারা বলল, আল্লাহর কসম, আমরা বিক্রি করব না। আল্লাহর কসম-এর বিনিময় আল্লাহর নিকটই চাই। রাবী বলেন এই স্থানে তখন ছিল মুশরিকদের পুরাতন কবর, বাড়ী ঘরের কিছু ভগ্নাবশেষ কয়েকটি খেজুরের গাছ।
রাসূল (ﷺ)- এর আদেশে মুশরিকদের কবরগুলি নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হল। ভগ্নাবশেষ সমতল করা হল, খেজুর গাছগুলি কেটে ফেলা হল। রাবী বলেন, কর্তিত খেজুর গাছের কান্ডগুলি মসজিদের কিবলার দিকে এর খুঁটি হিসেবে এক লাইনে স্থাপন করা হল এবং খুঁটির ফাঁকা স্থানে রাখা হল পাথর। তখন সাহাবায়ে কেরাম পাথর বহন করে আনছিলেন এবং ছন্দ যুক্ত কবিতাটি আবৃত্তি করছিলেনঃ আর রাসূল (ﷺ) তখন তাদের সঙ্গে ছিলেন এবং বলছেন, হে আল্লাহ! প্রকৃত কল্যাণ একমাত্র আখিরাতের কল্যাণই। হে আল্লাহ! তুমি মুহাজির ও আনসারদের সাহায্য কর।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এবং আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর পিছনে উপবিষ্ট রয়েছেন, আর বনু নাজ্জারের প্রধানগণ রয়েছেন তাদের পার্শ্বে। অবশেষে আবু আইয়ুব (রাযিঃ)- এর বাড়ীর চত্বরে উটটি বসে পড়ল। রাবী বলেন, ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেখানেই নামাযের সময় হত সেখানেই নামায আদায় করে নিতেন। এবং তিনি কোন কোন সময় ছাগল-ভেড়ার খোয়াড়েও নামায আদায় করতেন।
রাবী বলেন, তারপর তিনি মসজিদ নির্মাণের আদেশ দিলেন। তিনি বনী নাজ্জারের নেতাদের ডাকলেন এবং তারা এলে তিনি বললেন, তোমাদের এ বাগানটি আমার নিকট বিক্রি করে দাও। তারা বলল, আল্লাহর কসম, আমরা বিক্রি করব না। আল্লাহর কসম-এর বিনিময় আল্লাহর নিকটই চাই। রাবী বলেন এই স্থানে তখন ছিল মুশরিকদের পুরাতন কবর, বাড়ী ঘরের কিছু ভগ্নাবশেষ কয়েকটি খেজুরের গাছ।
রাসূল (ﷺ)- এর আদেশে মুশরিকদের কবরগুলি নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হল। ভগ্নাবশেষ সমতল করা হল, খেজুর গাছগুলি কেটে ফেলা হল। রাবী বলেন, কর্তিত খেজুর গাছের কান্ডগুলি মসজিদের কিবলার দিকে এর খুঁটি হিসেবে এক লাইনে স্থাপন করা হল এবং খুঁটির ফাঁকা স্থানে রাখা হল পাথর। তখন সাহাবায়ে কেরাম পাথর বহন করে আনছিলেন এবং ছন্দ যুক্ত কবিতাটি আবৃত্তি করছিলেনঃ আর রাসূল (ﷺ) তখন তাদের সঙ্গে ছিলেন এবং বলছেন, হে আল্লাহ! প্রকৃত কল্যাণ একমাত্র আখিরাতের কল্যাণই। হে আল্লাহ! তুমি মুহাজির ও আনসারদের সাহায্য কর।
باب مَقْدَمِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ الى الْمَدِينَة
3932 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، ح وحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ، حَدَّثَنَا أَبُو التَّيَّاحِ يَزِيدُ بْنُ حُمَيْدٍ الضُّبَعِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ [ص:68] رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ، نَزَلَ فِي عُلْوِ المَدِينَةِ، فِي حَيٍّ يُقَالُ لَهُمْ بَنُو عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، قَالَ: فَأَقَامَ فِيهِمْ أَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى مَلَإِ بَنِي النَّجَّارِ، قَالَ: فَجَاءُوا مُتَقَلِّدِي سُيُوفِهِمْ، قَالَ: وَكَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَاحِلَتِهِ وَأَبُو بَكْرٍ رِدْفَهُ، وَمَلَأُ بَنِي النَّجَّارِ حَوْلَهُ، حَتَّى أَلْقَى بِفِنَاءِ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ: فَكَانَ يُصَلِّي حَيْثُ أَدْرَكَتْهُ الصَّلاَةُ، وَيُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الغَنَمِ، قَالَ: ثُمَّ إِنَّهُ أَمَرَ بِبِنَاءِ المَسْجِدِ، فَأَرْسَلَ إِلَى مَلَإِ بَنِي النَّجَّارِ فَجَاءُوا، فَقَالَ: «يَا بَنِي النَّجَّارِ ثَامِنُونِي حَائِطَكُمْ هَذَا» فَقَالُوا لاَ وَاللَّهِ، لاَ نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلَّا إِلَى اللَّهِ، قَالَ: فَكَانَ فِيهِ مَا أَقُولُ لَكُمْ، كَانَتْ فِيهِ قُبُورُ المُشْرِكِينَ، وَكَانَتْ فِيهِ خِرَبٌ، وَكَانَ فِيهِ نَخْلٌ، فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقُبُورِ المُشْرِكِينَ فَنُبِشَتْ، وَبِالخِرَبِ فَسُوِّيَتْ، وَبِالنَّخْلِ فَقُطِعَ، قَالَ " فَصَفُّوا النَّخْلَ قِبْلَةَ المَسْجِدِ، قَالَ: وَجَعَلُوا عِضَادَتَيْهِ حِجَارَةً، قَالَ: قَالَ جَعَلُوا يَنْقُلُونَ ذَاكَ الصَّخْرَ وَهُمْ يَرْتَجِزُونَ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهُمْ، يَقُولُونَ: «اللَّهُمَّ إِنَّهُ لاَ خَيْرَ إِلَّا خَيْرُ الآخِرَهْ، فَانْصُرِ الأَنْصَارَ وَالمُهَاجِرَهْ»