আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ৩৫৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭২
২১৪৬. হাবশায় হিজরত। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন, তোমাদের হিজরতের স্থান আমাকে (স্বপ্নে) দেখান হয়েছে। যেখানে রয়েছে প্রচুর বৃক্ষ আর সে স্থানটি ছিল দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী। তখন হিজরতকারীগণ মদীনায় হিজরত করলেন এবং যারা এর আগে হাবশায় হিজরত করেছিলেন তারাও মদীনায় ফিরে আসলেন। এ সম্পর্কে আবু মুসা ও আসমা (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) হতে হাদীস বর্ণিত আছে।
৩৫৯৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ আল-জু‘ফী (রাহঃ) .... উবাইদুল্লাহ ইবনে আদী ইবনে খিয়ার (রাহঃ) উরওয়া ইবনে যুবায়েরকে বলেন যে, মিসওয়ার ইবনে মাখরামা এবং আব্দুর রহমান ইবনে আসওয়াদ ইবনে আব্দ ইয়াগুস (রাযিঃ) উভয়ই তাকে বললেন, (হে উবাইদুল্লাহ)! তুমি তোমার মামা উসমান (রাযিঃ)- এর সাথে তার (বৈপিত্রেয়) ভাই ওয়ালীদ ইবনে উকবা সম্পর্কে কোন আলাপ-আলোচনা করছ না কেন? জনগণ তার বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করছে। উবাইদুল্লাহ বলেন, উসমান (রাযিঃ) যখন নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদে আসছিলেন তখন আমি তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম এবং তাঁকে উদ্দেশ্য করে বললাম, আপনার সাথে আমার কথা বলার প্রয়োজন আছে এবং তা আপনার মঙ্গলার্থেই। তিনি বললেন, ওহে, আমি তোমার থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি তখন ফিরে আসলাম এবং যখন নামায সমাপ্ত করলাম, তখন মিসওয়ার ও ইবনে আব্দ ইয়াগুস (রাযিঃ)-এর নিকট যেয়ে বললাম, এবং উসমান (রাযিঃ)- কে আমি যা বলেছি এবং তিনি যে উত্তর দিয়েছেন তা উভয়কে শুনালাম।
তাঁরা বললেন, তোমার উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিল তা তুমি আদায় করেছ। আমি তাদের নিকট বসাই আছি এ সময় উসমান (রাযিঃ)- এর পক্ষ থেকে একজন দূত আমাকে ডেকে নেয়ার জন্য আসলেন। তারা দু’জন আমাকে বললেন, আল্লাহ্ তোমাকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। আমি চললাম এবং উসমান (রাযিঃ)- এর নিকট প্রবেশ করলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি উপদেশ যা তুমি কিছুক্ষণ পূর্বে বলতে চেয়েছিলে? তখন আমি কালিমা শাহাদত পাঠ করে (তাঁকে উদ্দেশ্য করে) বললাম, আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে রাসূলরূপে প্রেরণ করেছেন, তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। আর আপনি ঐ দলেরই অন্তর্ভুক্ত যারা আল্লাহ্ ও তার রাসূল (ﷺ)- এর ডাকে সাড়া দিয়েছেন, আপনি তাঁর উপর ঈমান এনেছেন এবং প্রথম দু’হিজরতে (মদীনা ও হাবশা) আপনি অংশ গ্রহণ করেছেন, আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাঁর স্বভাব-চরিত্র স্বচক্ষে দেখেছেন।
জনসাধারণ ওয়ালিদ ইবনে উকবার ব্যাপারে অনেক সমালোচনা করছে, আপনার কর্তব্য তাঁর উপর বিধান দন্ড জারি করা। উসমান (রাযিঃ) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে ভাতিজা, তুমি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে পেয়েছ? আমি বললাম, না, পাইনি। তবে তাঁর বিষয় আমার নিকট এমনভাবে নিরঙ্কুশ পৌঁছেছে যেমনভাবে কুমারী মেয়েদের নিকট পর্দার অন্তরালে সংবাদ পৌঁছে থাকে। উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, উসমান (রাযিঃ) কালিমা শাহাদত পাঠ করলেন, এবং বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আমিও ছিলাম। মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে যা সহ প্রেরণ করা হয়েছিল আমি তার প্রতি ঈমান এনেছি। ইসলামের প্রথম যুগের দু’হিজরতে অংশ গ্রহণ করেছি যেমন তুমি বলছ। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য লাভ করেছি, তাঁর হাতে বায়‘আত করেছি। আল্লাহর কসম, আমি তাঁর নাফরমানী করিনি। তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। এমতাবস্থায় তাঁর ওফাত হয়ে যায়।
তারপর আল্লাহ্ তাআলা আবু বকর (রাযিঃ)-কে খলীফা নিযুক্ত করলেন। আল্লাহর কসম আমি তাঁরও নাফরমানী করিনি, তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। অতঃপর উমর (রাযিঃ) খলীফা মনোনীত হলেন। আল্লাহর কসম, আমি তাঁরও অবাধ্য হইনি, তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। তিনিও ওফাত প্রাপ্ত হলেন এবং তারপর আমাকে খলীফা নিযুক্ত করা হল। আমার উপর তাদের বাধ্য থাকার যেরূপ হক ছিল তোমাদের উপর তাদের ন্যায় আমার প্রতি বাধ্য থাকার কি কোন হক নাই? উবাইদুল্লাহ বললেন, হ্যাঁ। অবশ্যই হক আছে। উসমান (রাযিঃ) বললেন, তাহলে এসব কথাবর্তা কি, তোমাদের পক্ষ থেকে আমার নিকট আসছে? আর ওয়ালীদ ইবনে উকবা সম্পর্কে তুমি যা বললে, সে ব্যাপারে আমি অতিসত্বর সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করব ইন্শাল্লাহ। অতঃপর তিনি ওয়ালীদকে চল্লিশটি বেত্রাঘাত করার রায় প্রদান করলেন এবং ইহা কর্যকরী করার জন্য আলী (রাযিঃ)- কে আদেশ করলেন। তৎকালে অপরাধীদেরকে শাস্তি প্রদানের দায়িত্বে আলী (রাযিঃ) নিযুক্ত ছিলেন। ইউনুস এবং যুহরির ভাতিজা যুহরী সূত্রে যে বর্ণনা করেন তাতে রয়েছে; ‘তোমাদের উপর আমার কি হক নেই যেমনটি হক ছিল তাদের জন্য।’
তাঁরা বললেন, তোমার উপর যে দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিল তা তুমি আদায় করেছ। আমি তাদের নিকট বসাই আছি এ সময় উসমান (রাযিঃ)- এর পক্ষ থেকে একজন দূত আমাকে ডেকে নেয়ার জন্য আসলেন। তারা দু’জন আমাকে বললেন, আল্লাহ্ তোমাকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। আমি চললাম এবং উসমান (রাযিঃ)- এর নিকট প্রবেশ করলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি উপদেশ যা তুমি কিছুক্ষণ পূর্বে বলতে চেয়েছিলে? তখন আমি কালিমা শাহাদত পাঠ করে (তাঁকে উদ্দেশ্য করে) বললাম, আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে রাসূলরূপে প্রেরণ করেছেন, তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। আর আপনি ঐ দলেরই অন্তর্ভুক্ত যারা আল্লাহ্ ও তার রাসূল (ﷺ)- এর ডাকে সাড়া দিয়েছেন, আপনি তাঁর উপর ঈমান এনেছেন এবং প্রথম দু’হিজরতে (মদীনা ও হাবশা) আপনি অংশ গ্রহণ করেছেন, আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য লাভ করেছেন এবং তাঁর স্বভাব-চরিত্র স্বচক্ষে দেখেছেন।
জনসাধারণ ওয়ালিদ ইবনে উকবার ব্যাপারে অনেক সমালোচনা করছে, আপনার কর্তব্য তাঁর উপর বিধান দন্ড জারি করা। উসমান (রাযিঃ) আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে ভাতিজা, তুমি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে পেয়েছ? আমি বললাম, না, পাইনি। তবে তাঁর বিষয় আমার নিকট এমনভাবে নিরঙ্কুশ পৌঁছেছে যেমনভাবে কুমারী মেয়েদের নিকট পর্দার অন্তরালে সংবাদ পৌঁছে থাকে। উবাইদুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, উসমান (রাযিঃ) কালিমা শাহাদত পাঠ করলেন, এবং বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের ডাকে সাড়া দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আমিও ছিলাম। মুহাম্মাদ (ﷺ)- কে যা সহ প্রেরণ করা হয়েছিল আমি তার প্রতি ঈমান এনেছি। ইসলামের প্রথম যুগের দু’হিজরতে অংশ গ্রহণ করেছি যেমন তুমি বলছ। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাহচর্য লাভ করেছি, তাঁর হাতে বায়‘আত করেছি। আল্লাহর কসম, আমি তাঁর নাফরমানী করিনি। তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। এমতাবস্থায় তাঁর ওফাত হয়ে যায়।
তারপর আল্লাহ্ তাআলা আবু বকর (রাযিঃ)-কে খলীফা নিযুক্ত করলেন। আল্লাহর কসম আমি তাঁরও নাফরমানী করিনি, তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। অতঃপর উমর (রাযিঃ) খলীফা মনোনীত হলেন। আল্লাহর কসম, আমি তাঁরও অবাধ্য হইনি, তাঁর সাথে প্রতারণা করিনি। তিনিও ওফাত প্রাপ্ত হলেন এবং তারপর আমাকে খলীফা নিযুক্ত করা হল। আমার উপর তাদের বাধ্য থাকার যেরূপ হক ছিল তোমাদের উপর তাদের ন্যায় আমার প্রতি বাধ্য থাকার কি কোন হক নাই? উবাইদুল্লাহ বললেন, হ্যাঁ। অবশ্যই হক আছে। উসমান (রাযিঃ) বললেন, তাহলে এসব কথাবর্তা কি, তোমাদের পক্ষ থেকে আমার নিকট আসছে? আর ওয়ালীদ ইবনে উকবা সম্পর্কে তুমি যা বললে, সে ব্যাপারে আমি অতিসত্বর সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করব ইন্শাল্লাহ। অতঃপর তিনি ওয়ালীদকে চল্লিশটি বেত্রাঘাত করার রায় প্রদান করলেন এবং ইহা কর্যকরী করার জন্য আলী (রাযিঃ)- কে আদেশ করলেন। তৎকালে অপরাধীদেরকে শাস্তি প্রদানের দায়িত্বে আলী (রাযিঃ) নিযুক্ত ছিলেন। ইউনুস এবং যুহরির ভাতিজা যুহরী সূত্রে যে বর্ণনা করেন তাতে রয়েছে; ‘তোমাদের উপর আমার কি হক নেই যেমনটি হক ছিল তাদের জন্য।’
بَابُ هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ وَقَالَتْ عَائِشَةُ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ‘أُرِيتُ دَارَ هِجْرَتِكُمْ ذَاتَ نَخْلٍ بَيْنَ لاَبَتَيْنِ’. فَهَاجَرَ مَنْ هَاجَرَ قِبَلَ الْمَدِينَةِ، وَرَجَعَ عَامَّةُ مَنْ كَانَ هَاجَرَ بِأَرْضِ الْحَبَشَةِ إِلَى الْمَدِينَةِ. فِيهِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَأَسْمَاءَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
3872 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الجُعْفِيُّ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنَا عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَدِيِّ بْنِ الخِيَارِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ المِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الأَسْوَدِ بْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، قَالاَ لَهُ: مَا يَمْنَعُكَ أَنْ تُكَلِّمَ خَالَكَ عُثْمَانَ فِي أَخِيهِ الوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ، وَكَانَ أَكْثَرَ النَّاسُ فِيمَا فَعَلَ بِهِ، قَالَ عُبَيْدُ اللَّهِ: فَانْتَصَبْتُ لِعُثْمَانَ حِينَ خَرَجَ إِلَى الصَّلاَةِ، فَقُلْتُ لَهُ: إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً، وَهِيَ نَصِيحَةٌ، فَقَالَ: أَيُّهَا المَرْءُ، أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْكَ، فَانْصَرَفْتُ، فَلَمَّا قَضَيْتُ الصَّلاَةَ جَلَسْتُ إِلَى المِسْوَرِ وَإِلَى ابْنِ عَبْدِ يَغُوثَ، فَحَدَّثْتُهُمَا بِالَّذِي قُلْتُ لِعُثْمَانَ، وَقَالَ لِي، فَقَالاَ: قَدْ قَضَيْتَ الَّذِي كَانَ عَلَيْكَ، فَبَيْنَمَا أَنَا جَالِسٌ مَعَهُمَا، إِذْ جَاءَنِي رَسُولُ عُثْمَانَ، فَقَالاَ لِي: قَدِ ابْتَلاَكَ اللَّهُ، فَانْطَلَقْتُ حَتَّى دَخَلْتُ عَلَيْهِ، فَقَالَ [ص:50]: مَا نَصِيحَتُكَ الَّتِي ذَكَرْتَ آنِفًا؟ قَالَ: فَتَشَهَّدْتُ، ثُمَّ قُلْتُ: " إِنَّ اللَّهَ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الكِتَابَ، وَكُنْتَ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَآمَنْتَ بِهِ، وَهَاجَرْتَ الهِجْرَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ، وَصَحِبْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَأَيْتَ هَدْيَهُ، وَقَدْ أَكْثَرَ النَّاسُ فِي شَأْنِ الوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ، فَحَقٌّ عَلَيْكَ أَنْ تُقِيمَ عَلَيْهِ الحَدَّ، فَقَالَ لِي: يَا ابْنَ أَخِي، آدْرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ: قُلْتُ: لاَ، وَلَكِنْ قَدْ خَلَصَ إِلَيَّ مِنْ عِلْمِهِ مَا خَلَصَ إِلَى العَذْرَاءِ فِي سِتْرِهَا، قَالَ: فَتَشَهَّدَ عُثْمَانُ، فَقَالَ: إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالحَقِّ، وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الكِتَابَ، وَكُنْتُ مِمَّنِ اسْتَجَابَ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَآمَنْتُ بِمَا بُعِثَ بِهِ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهَاجَرْتُ الهِجْرَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ، كَمَا قُلْتَ: وَصَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ وَبَايَعْتُهُ، وَاللَّهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلاَ غَشَشْتُهُ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ، ثُمَّ اسْتَخْلَفَ اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ، فَوَاللَّهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلاَ غَشَشْتُهُ، ثُمَّ اسْتُخْلِفَ عُمَرُ، فَوَاللَّهِ مَا عَصَيْتُهُ وَلاَ غَشَشْتُهُ، ثُمَّ اسْتُخْلِفْتُ، أَفَلَيْسَ لِي عَلَيْكُمْ مِثْلُ الَّذِي كَانَ لَهُمْ عَلَيَّ؟ قَالَ: بَلَى، قَالَ: فَمَا هَذِهِ الأَحَادِيثُ الَّتِي تَبْلُغُنِي عَنْكُمْ؟ فَأَمَّا مَا ذَكَرْتَ مِنْ شَأْنِ الوَلِيدِ بْنِ عُقْبَةَ، فَسَنَأْخُذُ فِيهِ إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِالحَقِّ، قَالَ: فَجَلَدَ الوَلِيدَ أَرْبَعِينَ جَلْدَةً، وَأَمَرَ عَلِيًّا أَنْ يَجْلِدَهُ، وَكَانَ هُوَ يَجْلِدُهُ " وَقَالَ يُونُسُ، وَابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ: «أَفَلَيْسَ لِي عَلَيْكُمْ مِنَ الحَقِّ مِثْلُ الَّذِي كَانَ لَهُمْ»
قَالَ: أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: {بَلاَءٌ مِنْ رَبِّكُمْ} [البقرة: 49] مَا ابْتُلِيتُمْ بِهِ مِنْ شِدَّةٍ، وَفِي مَوْضِعٍ: البَلاَءُ الِابْتِلاَءُ وَالتَّمْحِيصُ، مَنْ بَلَوْتُهُ وَمَحَّصْتُهُ، أَيِ اسْتَخْرَجْتُ مَا عِنْدَهُ، يَبْلُو: يَخْتَبِرُ. {مُبْتَلِيكُمْ} [البقرة: 249] : مُخْتَبِرُكُمْ. وَأَمَّا قَوْلُهُ: بَلاَءٌ عَظِيمٌ: النِّعَمُ، وَهِيَ مِنْ أَبْلَيْتُهُ، وَتِلْكَ مِنَ ابْتَلَيْتُهُ
قَالَ: أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: {بَلاَءٌ مِنْ رَبِّكُمْ} [البقرة: 49] مَا ابْتُلِيتُمْ بِهِ مِنْ شِدَّةٍ، وَفِي مَوْضِعٍ: البَلاَءُ الِابْتِلاَءُ وَالتَّمْحِيصُ، مَنْ بَلَوْتُهُ وَمَحَّصْتُهُ، أَيِ اسْتَخْرَجْتُ مَا عِنْدَهُ، يَبْلُو: يَخْتَبِرُ. {مُبْتَلِيكُمْ} [البقرة: 249] : مُخْتَبِرُكُمْ. وَأَمَّا قَوْلُهُ: بَلاَءٌ عَظِيمٌ: النِّعَمُ، وَهِيَ مِنْ أَبْلَيْتُهُ، وَتِلْكَ مِنَ ابْتَلَيْتُهُ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭৩
২১৪৬. হাবশায় হিজরত।
৩৫৯৪। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন উম্মে হাবীবা ও উম্মে সালামা (রাযিঃ) তাঁর সাথে আলোচনা করল যে, তাঁরা হাবশায় (ইথিওপিয়া) খৃষ্টানদের একটি গির্জা দেখে এসেছেন। সে গির্জায় নানা রকমের চিত্র অঙ্কিত রয়েছে। তাঁরা দু’জন এসব কথা নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে এসে উল্লেখ করলেন। তখন তিনি বললেন (এদের অভ্যাস ছিল যে) তাদের কোন নেক্কার লোক মারা গেলে তার কবরের উপর মসজিদ (উপাসনালয়) নির্মাণ করত এবং এসব ছবি অঙ্কিত করে রাখত, এরাই কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সর্বনিকৃষ্ট সৃষ্টি হিসাবে পরিগণিত হবে।
بَابُ هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ
3873 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ، وَأُمَّ سَلَمَةَ ذَكَرَتَا كَنِيسَةً رَأَيْنَهَا بِالحَبَشَةِ فِيهَا تَصَاوِيرُ، فَذَكَرَتَا للنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «إِنَّ أُولَئِكَ إِذَا كَانَ فِيهِمُ الرَّجُلُ الصَّالِحُ فَمَاتَ، بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا، وَصَوَّرُوا فِيهِ تِيكَ الصُّوَرَ، أُولَئِكَ شِرَارُ الخَلْقِ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ القِيَامَةِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭৪
২১৪৬. হাবশায় হিজরত।
৩৫৯৫। হুমাইদী (রাহঃ) .... উম্মে খালিদ (বিনতে খালিদ) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যখন হাবশা থেকে মদীনায় আসলাম তখন আমি ছোট্ট বালিকা ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে একটি চাঁদর পরিয়ে দিলেন যাতে ডোরা কাটা ছিল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ ডোরাগুলির উপর হাত বুলাতে লাগলেন, এবং বলতে ছিলেন সানাহ-সানাহ। হুমায়দী (রাহঃ) বলেন, অর্থাৎ সুন্দর সুন্দর।
بَابُ هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ
3874 - حَدَّثَنَا الحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ سَعِيدٍ السَّعِيدِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّ خَالِدٍ بِنْتِ خَالِدٍ، قَالَتْ: قَدِمْتُ مِنْ أَرْضِ الحَبَشَةِ، وَأَنَا جُوَيْرِيَةٌ، فَكَسَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَمِيصَةً لَهَا أَعْلاَمٌ، فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْسَحُ الأَعْلاَمَ بِيَدِهِ وَيَقُولُ: «سَنَاهْ سَنَاهْ» قَالَ الحُمَيْدِيُّ: «يَعْنِي حَسَنٌ، حَسَنٌ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭৫
২১৪৬. হাবশায় হিজরত।
৩৫৯৬। ইয়াহয়া ইবনে হাম্মাদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (ইসলামের প্রাথমিক যুগে) নামায রত থাকা অবস্থায় নবী কারীম (ﷺ)- কে আমরা সালাম করতাম, তিনিও আমাদের সালামের উত্তর দিতেন। যখন আমরা নাজাশীর (হাবশার) কাছ থেকে ফিরে এলাম, তখন নামাযে রত অবস্থায় তাঁকে সালাম করলাাম, কিন্তু তিনি সালামের জবাব দিলেন না। আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা (নামাযের মধ্যে) আপনাকে সালাম করতাম এবং আপনিও সালামের উত্তর দিতেন। কিন্তু আজ আপনি আমাদের সালামের জবাব দিলেন না? তিনি বললেন, নামাযের মধ্যে আল্লাহর দিকে নিবিষ্টতা থাকা। রাবী বলেন, আমি ইবরাহীম নাখঈকে জিজ্ঞাসা করলাম, (নামাযের মধ্যে কেউ সালাম করলে) আপনি কি করেন? তিনি বললেন, আমি মনে মনে জবাব দিয়ে দেই।
بَابُ هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ
3875 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:51] وَهُوَ يُصَلِّي فَيَرُدُّ عَلَيْنَا، فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِيِّ سَلَّمْنَا عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْنَا، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَيْكَ فَتَرُدُّ عَلَيْنَا؟ قَالَ: «إِنَّ فِي الصَّلاَةِ شُغْلًا» فَقُلْتُ لِإِبْرَاهِيمَ: كَيْفَ تَصْنَعُ أَنْتَ؟ قَالَ: «أَرُدُّ فِي نَفْسِي»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৭৬
২১৪৬. হাবশায় হিজরত।
৩৫৯৭। মুহাম্মাদ ইবনুল আলা (রাহঃ) .... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের নিকট নবী কারীম (ﷺ)- এর আবির্ভাবের সাংবাদ এসে পৌঁছল। তখন আমরা ইয়ামানে অবস্থান করছিলাম। আমরা একটি নৌকায় আরোহণ করলাম। কিন্তু (প্রতিকুল বাতাসের কারণে) আমাদের নৌকা (গন্তব্যস্থানের দিকে না পৌঁছে) হাবশায় নাজাশীর নিকট নিয়ে গেল। সেখানে জাফর ইবনে আবু তালিবের (রাযিঃ) সাথে সাক্ষাত হল। আমরা তাঁর সাথে অবস্থান করতে লাগলাম। কিছুদিন পর আমরা সেখান থেকে রওয়ানা হলাম। এবং নবী কারীম (ﷺ) যখন খায়বার বিজয় করলেন তখন আমরা তাঁর সাথে মিলিত হলাম। আমাদেরকে দেখে তিনি বললেন, হে নৌাকারোহীগণ, তোমাদের জন্য দু’টি হিজরতের মর্যাদা রয়েছে।
بَابُ هِجْرَةِ الْحَبَشَةِ
3876 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ العَلاَءِ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، حَدَّثَنَا بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، بَلَغَنَا مَخْرَجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ بِاليَمَنِ فَرَكِبْنَا سَفِينَةً، فَأَلْقَتْنَا سَفِينَتُنَا إِلَى النَّجَاشِيِّ بِالحَبَشَةِ، فَوَافَقْنَا جَعْفَرَ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، فَأَقَمْنَا مَعَهُ حَتَّى قَدِمْنَا، فَوَافَقْنَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَكُمْ أَنْتُمْ يَا أَهْلَ السَّفِينَةِ هِجْرَتَانِ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: