আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৫৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮০২
২১২২. সা‘দ ইবনে মু‘আয (রাযিঃ)- এর মর্যাদা
৩৫৩০। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... বারা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ)- কে এক জোড়া রেশমী কাপড় হাদীয়া স্বরূপ দেওয়া হল। সাহাবায়ে কেরাম (রাযিঃ) তা স্পর্শ করে এর কোমলতায় অবাক হয়ে গেলেন। নবী কারীম (ﷺ) বললেন, এর কোমলতায় তোমরা অবাক হচ্ছ? অথচ সা‘দ ইবনে মু‘আয (রাযিঃ)- এর (জান্নাতে প্রদত্ত) রুমাল এর চেয়ে অনেক উত্তম, অথবা বলেছেন অনেক মুলায়েম। হাদীসটি কাতাদা ও যুহরী (রাহঃ) আনাস (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেছেন।
باب مَنَاقِبُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ رضى الله عنه
3802 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ: سَمِعْتُ البَرَاءَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: أُهْدِيَتْ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُلَّةُ حَرِيرٍ، فَجَعَلَ أَصْحَابُهُ يَمَسُّونَهَا وَيَعْجَبُونَ مِنْ لِينِهَا، فَقَالَ: «أَتَعْجَبُونَ مِنْ لِينِ هَذِهِ؟ لَمَنَادِيلُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ خَيْرٌ مِنْهَا، أَوْ أَلْيَنُ» رَوَاهُ قَتَادَةُ، وَالزُّهْرِيُّ، سَمِعَا أَنَسًا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ৩৫৩১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮০৩
২১২২. সা‘দ ইবনে মু‘আয (রাযিঃ)- এর মর্যাদা
৩৫৩১। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি যে, সা‘দ ইবনে মু‘আয (রাযিঃ)- এর মৃত্যুতে আল্লাহ্ তাআলার আরশ কেঁপে উঠে ছিল।
আমাশ (রাহঃ) .... নবী কারীম (ﷺ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে, এক ব্যক্তি জাবির (রাযিঃ)- কে বলল, বারা ইবনে আযিব (রাযিঃ) তো বলেন, জানাযার খাট নড়েছিল। তদুত্তরে জাবির (রাযিঃ) বললেন, সা‘দ ও বারা (রাযিঃ)- এর গোত্রদ্বয়ের মধ্যে কিছুটা বিরোধ ছিল, (কিন্তু এটা ঠিক নয়) কেননা আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে عَرْشُ الرَّحْمَنِ অর্থাৎ আল্লাহর আরশ সা‘দ ইবনে মু‘আযের (মৃত্যুতে) কেঁপে উঠল বলতে শুনেছি।
باب مَنَاقِبُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ رضى الله عنه
3803 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا فَضْلُ بْنُ مُسَاوِرٍ، خَتَنُ أَبِي عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «اهْتَزَّ العَرْشُ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ» ،
وَعَنِ الأَعْمَشِ، حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ، عَنْ جَابِرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مِثْلَهُ، فَقَالَ رَجُلٌ: لِجَابِرٍ، فَإِنَّ البَرَاءَ يَقُولُ: اهْتَزَّ السَّرِيرُ، فَقَالَ: إِنَّهُ كَانَ بَيْنَ هَذَيْنِ الحَيَّيْنِ ضَغَائِنُ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «اهْتَزَّ عَرْشُ الرَّحْمَنِ لِمَوْتِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ»
হাদীস নং: ৩৫৩২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮০৪
২১২২. সা‘দ ইবনে মু‘আয (রাযিঃ)- এর মর্যাদা
৩৫৩২। মুহাম্মাদ ইবনে আর‘আরা (রাহঃ) .... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, কতিপয় লোক (বনী কুরায়যার ইয়াহুদীগণ) সা‘দ ইবনে মু‘আয (রাযিঃ)- কে সালিশ মেনে (দুর্গ থেকে) নেমে আসে (তিনি আহত ছিলেন) তাঁকে নিয়ে আসার জন্য লোক পাঠানো হল। তিনি গাধায় সাওয়ার হয়ে আসলেন। যখন (যুদ্ধকালীন অস্থায়ী) মসজিদের নিকটে আসলেন, তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তোমাদের শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি অথবা (বললেন) তোমাদের সরদার আসছেন তাঁর দিকে দাঁড়াও। তারপর তিনি বললেন, হে সা‘দ! তারা (বনী কুরায়যার ইয়াহুদীগণ) তোমাকে সালিশ মেনে (দুর্গ থেকে) বেরিয়ে এসেছে। সা‘দ (রাযিঃ) বললেন, আমি তাদের সম্পর্কে এ ফয়সালা দিচ্ছি যে, তাদের যোদ্ধাদেরকে হত্যা করা হোক এবং শিশু ও মহিলাদেরকে বন্দী করে রাখা হোক। (তাঁর ফয়সালা শুনে) নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তুমি আল্লাহ্ তাআলার ফায়সালা অনুযায়ী ফায়সালা দিয়েছ অথবা (বলে ছিলেন) তুমি বাদশাহর (আল্লাহর) ফায়সালা অনুযায়ী ফায়সালা করেছ।
باب مَنَاقِبُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ رضى الله عنه
3804 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ أُنَاسًا نَزَلُوا عَلَى حُكْمِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَجَاءَ عَلَى حِمَارٍ، فَلَمَّا بَلَغَ قَرِيبًا مِنَ المَسْجِدِ، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «[ص:36] قُومُوا إِلَى خَيْرِكُمْ، أَوْ سَيِّدِكُمْ» . فَقَالَ: «يَا سَعْدُ إِنَّ هَؤُلاَءِ نَزَلُوا عَلَى حُكْمِكَ» . قَالَ: فَإِنِّي أَحْكُمُ فِيهِمْ أَنْ تُقْتَلَ مُقَاتِلَتُهُمْ وَتُسْبَى ذَرَارِيُّهُمْ، قَالَ: " حَكَمْتَ بِحُكْمِ اللَّهِ، أَوْ: بِحُكْمِ المَلِكِ "