আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ৩৪৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৬৮
২১১০. আয়িশা (রাযিঃ)- এর ফযীলত
৩৪৯৭। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একদিন) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আয়েশা, জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) তোমাকে সালাম বলেছেন। আমি উত্তরে বললাম,“ওয়া আলাইহিস্ সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকআতুহ।” আপনি যা দেখতে পান (জিবরাঈলকে) আমি তা দেখতে পাই না। এ কথা দ্বারা তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বুঝিয়েছেন।
باب فَضْلِ عَائِشَةَ رضى الله عنها
3768 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَبُو سَلَمَةَ: إِنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا: «يَا عَائِشَ، هَذَا جِبْرِيلُ يُقْرِئُكِ السَّلاَمَ» فَقُلْتُ: وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، تَرَى مَا لاَ أَرَى «تُرِيدُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»
হাদীস নং: ৩৪৯৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৬৯
২১১০. আয়িশা (রাযিঃ)- এর ফযীলত
৩৪৯৮। আদম ও আমর (রাহঃ) .... আবু মুসা আশআরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, পুরুষদের মধ্যে অনেকেই কামিল হয়েছে, কিন্তু মহিলাদের মধ্যে মারইয়াম বিনতে ইমরান (ঈসা আলাইহিস্ সালামের মাতা) ও ফিরাউনের স্ত্রী আসিয়া (রাহঃ) ব্যতীত অন্য কেউ তাদের মত কামিল হননি। আর আয়েশা (রাযিঃ)- এর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব অন্যান্য মহিলাদের উপর এমন যেমন সারীদ (গোশত এবং রুটি দ্বারা তৈরী খাদ্য বিশেষ)- এর শ্রেষ্ঠত্ব অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর উপর।
باب فَضْلِ عَائِشَةَ رضى الله عنها
3769 - حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، قَالَ: وحَدَّثَنَا عَمْرٌو، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَمَلَ مِنَ الرِّجَالِ كَثِيرٌ، وَلَمْ يَكْمُلْ مِنَ النِّسَاءِ إِلَّا مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ، وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ، وَفَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ»
হাদীস নং: ৩৪৯৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৭০
২১১০. আয়িশা (রাযিঃ)- এর ফযীলত
৩৪৯৯। আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে আমি বলতে শুনেছি, আয়েশা (রাযিঃ)- এর মর্যাদা মহিলাদের উপর এমন যেমন সারীদের মর্যাদা অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর উপর।
باب فَضْلِ عَائِشَةَ رضى الله عنها
3770 - حَدَّثَنَا عَبْدُ العَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «فَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ، كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ»
হাদীস নং: ৩৫০০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৭১
২১১০. আয়িশা (রাযিঃ)- এর ফযীলত
৩৫০০। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, আয়েশা (রাযিঃ) যখন (মৃত্যু) রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লেন। তখণ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এসে বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন, আপনি সত্য পূর্বগামী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ)- এর নিকট যাচ্ছেন।
باب فَضْلِ عَائِشَةَ رضى الله عنها
3771 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ المَجِيدِ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنِ القَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، أَنَّ عَائِشَةَ اشْتَكَتْ، فَجَاءَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ: «يَا أُمَّ المُؤْمِنِينَ تَقْدَمِينَ عَلَى فَرَطِ صِدْقٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى أَبِي بَكْرٍ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫০১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৭২
২১১০. আয়িশা (রাযিঃ)- এর ফযীলত
৩৫০১। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আবু ওয়াইল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলী (রাযিঃ)- এর স্বপক্ষে জিহাদে সাহায্য করার জন্য লোক সংগ্রহের উদ্দেশ্যে আম্মার ও হাসান (রাযিঃ)- কে কুফায় প্রেরণ করেন। আম্মার (রাযিঃ) তাঁর ভাষণে একদিন বললেন, এ কথা আমি ভালভাবেই জানি যে, আয়েশা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর দুনিয়া ও আখিরাতের সম্মানিত সহধর্মিণী। কিন্তু এখন আল্লাহ্ তোমাদেরকে পরীক্ষা করছেন যে, তোমরা কি আলী (রাযিঃ)- এর আনুগত্য করবে না আয়েশা (রাযিঃ) এর আনুগত্য করবে।
باب فَضْلِ عَائِشَةَ رضى الله عنها
3772 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الحَكَمِ، سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ، قَالَ: لَمَّا بَعَثَ عَلِيٌّ، عَمَّارًا، وَالحَسَنَ إِلَى الكُوفَةِ لِيَسْتَنْفِرَهُمْ خَطَبَ عَمَّارٌ فَقَالَ: «إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّهَا زَوْجَتُهُ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، وَلَكِنَّ اللَّهَ ابْتَلاَكُمْ لِتَتَّبِعُوهُ أَوْ إِيَّاهَا»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫০২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৭৩
২১১০. আয়িশা (রাযিঃ)- এর ফযীলত
৩৫০২। উবাইদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি (তাঁর বোন) আসমা (রাযিঃ)- এর নিকট থেকে একটি হার চেয়ে নিয়েছিলেন। পরে হারটি হারিয়ে যায়। এর অনুসন্ধানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছু সংখ্যক সাহাবীকে পাঠালেন। ইতিমধ্যে নামাযের সময় হয়ে গেলে তাঁরা পানির অভাবে উযু ছাড়াই নামায আদায় করলেন। তাঁরা নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে এসে এই বিষয়ে অভিযোগ পেশ করলেন। তখন তায়াইম্মুমের আয়াত নাযিল হল। উসায়দ ইবনে হুযায়র (রাযিঃ) বললেন, (হে আয়েশা) আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম প্রতিদানে পুরষ্কৃত করুন। আল্লাহর কসম! যখনই আপনি কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তখনই আল্লাহ তাআলা এর সমাধান করে দিয়েছেন এবং মুসলমানদের জন্য এর মধ্যে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন।
باب فَضْلِ عَائِشَةَ رضى الله عنها
3773 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ [ص:30] أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّهَا اسْتَعَارَتْ مِنْ أَسْمَاءَ قِلاَدَةً فَهَلَكَتْ " فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَاسًا مِنْ أَصْحَابِهِ فِي طَلَبِهَا، فَأَدْرَكَتْهُمُ الصَّلاَةُ، فَصَلَّوْا بِغَيْرِ وُضُوءٍ، فَلَمَّا أَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَكَوْا ذَلِكَ إِلَيْهِ، فَنَزَلَتْ آيَةُ التَّيَمُّمِ فَقَالَ: أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ: جَزَاكِ اللَّهُ خَيْرًا، فَوَاللَّهِ مَا نَزَلَ بِكِ أَمْرٌ قَطُّ، إِلَّا جَعَلَ اللَّهُ لَكِ مِنْهُ مَخْرَجًا، وَجَعَلَ لِلْمُسْلِمِينَ فِيهِ بَرَكَةً

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৫০৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৭৪
২১১০. আয়িশা (রাযিঃ)- এর ফযীলত
৩৫০৩। উবাইদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মৃত্যু রোগে আক্রান্ত তখন (পূর্বরীতি অনুযায়ী) সহধর্মিণীগণের ঘরে ঘরে ধারাবাহিকভাবে অবস্থান করতে থাকেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আয়েশা (রাযিঃ)- এর ঘরে অবস্থানের আগ্রহে এ কথাটি বলতেন, আগামীকাল আমি কার ঘরে থাকব? আগামীকাল আমি কার ঘরে থাকব? আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমার ঘরে অবস্থানের নির্ধারিত দিনই নবী কারীম (ﷺ) ইন্তিকাল করেন।
باب فَضْلِ عَائِشَةَ رضى الله عنها
3774 - حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَمَّا كَانَ فِي مَرَضِهِ، جَعَلَ يَدُورُ فِي نِسَائِهِ، وَيَقُولُ: «أَيْنَ أَنَا غَدًا؟ أَيْنَ أَنَا غَدًا؟» حِرْصًا عَلَى بَيْتِ عَائِشَةَ قَالَتْ عَائِشَةُ: «فَلَمَّا كَانَ يَوْمِي سَكَنَ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৫০৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৭৫
২১১০. আয়িশা (রাযিঃ)- এর ফযীলত
৩৫০৪। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব (রাহঃ) .... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকেরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে হাদীয়া প্রদানের জন্য আয়েশা (রাযিঃ)- এর গৃহে তাঁর অবস্থানের দিন তালাশ করতেন। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, একদিন আমার সতীনগণ উম্মে সালামা (রাযিঃ)- এর নিকট সমবেত হয়ে বললেন, হে উম্মে সালামা। আল্লাহর কসম, লোকজন তাদের হাদীয়াসমূহ প্রেরণের জন্য আয়েশা (রাযিঃ)- এর গৃহে অবস্থানের দিন তালাশ করেন। আয়েশা (রাযিঃ)- এর ন্যায় আমরাও কল্যাণ আকাঙ্ক্ষা করি। আপনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে বলুন, তিনি যেন লোকদের বলে দেন, তারা যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেদিন যেখানেই অবস্থান করেন সেখানেই তারা হাদীয়া পাঠিয়ে দেন।
উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করলেন। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার কথা শুনে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পরে আমার গৃহে অবস্থানের জন্য পুনরায় আসলে আমি ঐ কথা তাঁকে বলি। এবারও তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তৃতীয়বারেও আমি ঐ কথা তাঁকে বললাম, তিনি বললেন, হে উম্মে সালামা! আয়েশা (রাযিঃ)- এর ব্যাপারে তোমরা আমাকে কষ্ট দিবে না। আল্লাহর কসম, তোমাদের মধ্যে আয়েশা (রাযিঃ) ব্যতীত অন্য কারো শয্যায় শায়িত অবস্থায় আমার উপর ওহী নাযিল হয়নি।
উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করলেন। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার কথা শুনে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পরে আমার গৃহে অবস্থানের জন্য পুনরায় আসলে আমি ঐ কথা তাঁকে বলি। এবারও তিনি মুখ ফিরিয়ে নিলেন। তৃতীয়বারেও আমি ঐ কথা তাঁকে বললাম, তিনি বললেন, হে উম্মে সালামা! আয়েশা (রাযিঃ)- এর ব্যাপারে তোমরা আমাকে কষ্ট দিবে না। আল্লাহর কসম, তোমাদের মধ্যে আয়েশা (রাযিঃ) ব্যতীত অন্য কারো শয্যায় শায়িত অবস্থায় আমার উপর ওহী নাযিল হয়নি।
باب فَضْلِ عَائِشَةَ رضى الله عنها
3775 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ النَّاسُ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، قَالَتْ عَائِشَةُ: فَاجْتَمَعَ صَوَاحِبِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ، فَقُلْنَ: يَا أُمَّ سَلَمَةَ، وَاللَّهِ إِنَّ النَّاسَ يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، وَإِنَّا نُرِيدُ الخَيْرَ كَمَا تُرِيدُهُ عَائِشَةُ، فَمُرِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَأْمُرَ النَّاسَ أَنْ يُهْدُوا إِلَيْهِ حَيْثُ مَا كَانَ، أَوْ حَيْثُ مَا دَارَ، قَالَتْ: فَذَكَرَتْ ذَلِكَ أُمُّ سَلَمَةَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: فَأَعْرَضَ عَنِّي، فَلَمَّا عَادَ إِلَيَّ ذَكَرْتُ لَهُ ذَاكَ فَأَعْرَضَ عَنِّي، فَلَمَّا كَانَ فِي الثَّالِثَةِ ذَكَرْتُ لَهُ فَقَالَ: «يَا أُمَّ سَلَمَةَ لاَ تُؤْذِينِي فِي عَائِشَةَ، فَإِنَّهُ وَاللَّهِ مَا نَزَلَ عَلَيَّ الوَحْيُ وَأَنَا فِي لِحَافِ امْرَأَةٍ مِنْكُنَّ غَيْرِهَا»

তাহকীক: