আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৩৪৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৩০
২০৯৬. নবী কারীম (ﷺ)- এর মাওলা (আযাদকৃত গোলাম) যায়দ ইবনে হারিসা (রাযিঃ)- এর মর্যাদা। বারা (রাযিঃ) বলেন নবী কারীম (ﷺ) তাকে বলেছেন, তুমি আমাদের ভাই ও আমাদের বন্ধু
৩৪৬২। খালিদ ইবনে মাখলাদ (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ) (মৃত্যু রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর) একটি সেনাবাহিনী প্রেরণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন, এবং উসামা ইবনে যায়দ (রাযিঃ)- কে উক্ত বাহিনীর অধিনায়ক মনোনীত করেন। কিছু সংখ্যক লোক তাঁর অধিনায়কত্বের উপর মন্তব্য প্রকাশ করতে লাগলো। (ইহা শুনে) নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তার নেতৃত্বের প্রতি তোমাদের সমালোচনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কেননা, এরপূর্বে তার পিতার (যায়েদের) নেতৃত্বের প্রতিও তোমরা সমালোচনা করেছ। আল্লাহর কসম, নিশ্চয় সে (যায়দ) নেতৃত্বের জন্য যোগ্যতম ব্যক্তি ছিল এবং আমার প্রিয়জনদের মধ্যে একজন ছিল। তারপর তার পুত্র (উসামা) আমার প্রিয়তম ব্যক্তিদের অন্যতম।
باب مَنَاقِبُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ الْبَرَاءُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ‘أَنْتَ أَخُونَا وَمَوْلاَنَا
3730 - حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَعْثًا، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَطَعَنَ بَعْضُ النَّاسِ فِي إِمَارَتِهِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنْ تَطْعُنُوا فِي إِمَارَتِهِ، فَقَدْ كُنْتُمْ تَطْعُنُونَ فِي إِمَارَةِ أَبِيهِ مِنْ قَبْلُ، وَايْمُ اللَّهِ إِنْ كَانَ لَخَلِيقًا لِلْإِمَارَةِ، وَإِنْ كَانَ لَمِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ، وَإِنَّ هَذَا لَمِنْ أَحَبِّ النَّاسِ إِلَيَّ بَعْدَهُ»
হাদীস নং: ৩৪৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৭৩১
২০৯৬. নবী কারীম (ﷺ)- এর মাওলা (আযাদকৃত গোলাম) যায়দ ইবনে হারিসা (রাযিঃ)- এর মর্যাদা।
৩৪৬৩। ইয়াহয়া ইবনে কাযা‘আ (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা জনৈক কায়িফ (রেখা চিহ্ন বিশেষজ্ঞ) আসে, সে সময় নবী কারীম (ﷺ) উপস্থিত ছিলেন। উসামা (রাযিঃ) ও তাঁর পিতা (পা বাইরে রেখে উভয়ই একটি চাঁদরে শরীর আবৃত করে) শুয়ে ছিলেন। কায়িফ (তাদের শুধু পা দেখে বলে উঠলেন, এ পাগুলো একটি অন্যটির অংশ। রাবী বলেন নবী কারীম (ﷺ) অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে (কায়িফের মন্তব্যটি) আয়েশা (রাযিঃ)- কেও অবহিত করলেন।
*ব্যাপার ছিল এই যে, জাহেলী যুগে উসামা (রাযিঃ)- এর পিতৃত্ব সম্পর্কে কেউ কেউ সন্দেহ পোষণ করত, যেহেতু উসামা (রাযিঃ) ছিলেন কালো এবং তাঁর পিতা যায়েদ (রাযিঃ) ছিলেন গৌরবর্ণ। নবী কারীম (ﷺ) আনন্দিত হলেন একারণে যে, যেহেতু তারা কায়িফের মন্তব্যে বিশ্বাসী ছিল। সেহেতু তার বক্তব্যে তাদের সন্দেহ ও ভ্রান্ত ধারণা দূরীভূত হয়ে গেল।
باب مَنَاقِبُ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
3731 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ قَزَعَةَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: دَخَلَ عَلَيَّ قَائِفٌ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاهِدٌ، وَأُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ مُضْطَجِعَانِ، فَقَالَ: إِنَّ هَذِهِ الأَقْدَامَ بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ. قَالَ: «فَسُرَّ بِذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَعْجَبَهُ، فَأَخْبَرَ بِهِ عَائِشَةَ»