আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১২ টি
হাদীস নং: ৩৩৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৩৬
২০৭৭.মুশরিকরা মুজিযা দেখানোর জন্য নবী করীম (ﷺ)- এর নিকট আহবান জানালে তিনি চাঁদ দু’টুকরা করে দেখালেন
৩৩৭৫। সাদাকা ইবনে ফযল (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম (ﷺ)- এর যুগে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল। তখন নবী কারীম (ﷺ) বললেন, তোমরা সাক্ষী থাক।
بَابُ سُؤَالِ الْمُشْرِكِينَ أَنْ يُرِيَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آيَةً فَأَرَاهُمُ انْشِقَاقَ الْقَمَرِ
3636 - حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الفَضْلِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أَبِي مَعْمَرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: انْشَقَّ القَمَرُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شِقَّتَيْنِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اشْهَدُوا»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৩৭
২০৭৭.মুশরিকরা মুজিযা দেখানোর জন্য নবী করীম (ﷺ)- এর নিকট আহবান জানালে তিনি চাঁদ দু’টুকরা করে দেখালেন
৩৩৭৬। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ও খালিফা (রাহঃ) .... আনাস (ইবনে মালিক) (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, মক্কাবাসী কাফিররা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট মুজিযা দেখানোর জন্য দাবী জানালেন তিনি তাদেরকে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করে দেখালেন।
بَابُ سُؤَالِ الْمُشْرِكِينَ أَنْ يُرِيَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آيَةً فَأَرَاهُمُ انْشِقَاقَ الْقَمَرِ
3637 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ [ص:207]، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، ح وقَالَ لِي خَلِيفَةُ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّهُ حَدَّثَهُمْ: أَنَّ أَهْلَ مَكَّةَ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُرِيَهُمْ آيَةً «فَأَرَاهُمُ انْشِقَاقَ القَمَرِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৩৮
২০৭৭.মুশরিকরা মুজিযা দেখানোর জন্য নবী করীম (ﷺ)- এর নিকট আহবান জানালে তিনি চাঁদ দু’টুকরা করে দেখালেন
৩৩৭৭। খালাফ ইবনে খালিদ আল-কুরাইশী (রাহঃ) .... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম (ﷺ)- এর যামানায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল।
بَابُ سُؤَالِ الْمُشْرِكِينَ أَنْ يُرِيَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آيَةً فَأَرَاهُمُ انْشِقَاقَ الْقَمَرِ
3638 - حَدَّثَنِي خَلَفُ بْنُ خَالِدٍ القُرَشِيُّ، حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ مُضَرَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عِرَاكِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، «أَنَّ القَمَرَ انْشَقَّ فِي زَمَانِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৩৯
২০৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৩৭৮। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী কারীম (ﷺ)- এর দু’জন সাহাবী (আব্বাদ ইবনে বিশর ও উসাইদ ইবনে হুযাইর (রাযিঃ)) অন্ধকার রাতে নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট হতে বের হলেন, তখন তাদের সাথে দু’টি বাতির ন্যায় কিছু তাদের সম্মুখভাগ আলোকিত করে চলল। যখন তারা পৃথক হয়ে গেলেন তখন প্রত্যেকের সাথে এক একটি বাতি চলতে লাগল। অবশেষে তাঁরা নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে গেলেন।
باب
3639 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، حَدَّثَنَا أَنَسٌ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، «أَنَّ رَجُلَيْنِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، خَرَجَا مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ، وَمَعَهُمَا مِثْلُ المِصْبَاحَيْنِ يُضِيئَانِ بَيْنَ أَيْدِيهِمَا، فَلَمَّا افْتَرَقَا صَارَ مَعَ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا وَاحِدٌ حَتَّى أَتَى أَهْلَهُ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৪০
২০৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৩৭৯। আব্দুল্লাহ ইবনে আবুল আসওয়াদ (রাহঃ) .... মুগীরা ইবনে শু‘বা থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (ﷺ) বলেন, আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা বিজয়ী থাকবে। এমনকি কিয়ামত আসবে তখনোও তারা বিজয়ী থাকবে।
باب
3640 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا قَيْسٌ، سَمِعْتُ المُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «لاَ يَزَالُ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ حَتَّى يَأْتِيَهُمْ أَمْرُ اللَّهِ وَهُمْ ظَاهِرُونَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৪১
২০৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৩৮০। হুমায়দী (রাহঃ) .... মু‘আবিয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, আমার উম্মতের একটি দল সর্বদা আল্লাহর দ্বীনের উপর অটল থাকবে। তাদেরকে যারা সাহায্য না করবে অথবা তাদের বিরোধীতা করবে, তারা তাদের কোন প্রকার ক্ষতি করতে পারবে না। এমনকি কিয়ামত আসা পর্যন্ত তাঁরা তাদের অবস্থার উপর মজবুত থাকবে। উমাইর ইবনে হানী (রাহঃ) মালিক ইবনে ইউখামির (রাহঃ)- এর বরাত দিয়ে বলেন, মু‘আয (রাযিঃ) বলেছেন, ঐ দলটি সিরিয়ায় অবস্থান করবে। মু‘আবিয়া (রাহঃ) বলেন, মালিক (রাহঃ)- এর ধারণা যে, ঐ দলটি সিরিয়ায় অবস্থান করবে বলে মু‘আয (রাযিঃ) বলেছেন।
باب
3641 - حَدَّثَنَا الحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا الوَلِيدُ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ جَابِرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَيْرُ بْنُ هَانِئٍ، أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «لاَ يَزَالُ مِنْ أُمَّتِي أُمَّةٌ قَائِمَةٌ بِأَمْرِ اللَّهِ، لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ، وَلاَ مَنْ خَالَفَهُمْ، حَتَّى يَأْتِيَهُمْ أَمْرُ اللَّهِ وَهُمْ عَلَى ذَلِكَ» قَالَ عُمَيْرٌ: فَقَالَ مَالِكُ بْنُ يُخَامِرَ: قَالَ مُعَاذٌ: وَهُمْ بِالشَّأْمِ، فَقَالَ مُعَاوِيَةُ: هَذَا مَالِكٌ يَزْعُمُ أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاذًا يَقُولُ: وَهُمْ بِالشَّأْمِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৮১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৪২ - ৩৬৪৩
২০৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৩৮১। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... উরওয়া বারিকী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী কারীম (ﷺ) একটি বকরী ক্রয় করে দেয়ার জন্য তাঁকে একটি দিনার (স্বর্ণ মুদ্রা) দিলেন। তিনি ঐ দীনার দিয়ে দুটি বকরী ক্রয় করলেন। তারপর এক দীনার মূল্যে একটি বকরী বিক্রি করে দিলেন এবং নবী কারীম (ﷺ)- এর খেদমতে একটি বকরী ও একটি দীনার নিয়ে হাযির হলেন। তা দেখে তিনি তার ব্যবসা বাণিজ্যে বরকত হওয়ার জন্য দুআ করে দিলেন। এরপর তার অবস্থা এমন হল যে, ব্যবসার জন্য যদি মাটিও তিনি খরীদ করতেন তাতেও তিনি লাভবান হতেন।
সুফিয়ান (রাহঃ) শাবীব (রাহঃ) (একজন রাবী) বলেন, আমি উরওয়া (রাযিঃ)- কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, ঘোড়ার কপালের কেশগুচ্ছে বরকত ও কল্যাণ নিহিত রয়েছে কিয়ামত পর্যন্ত। রাবী বলেন, আমি তাঁর গৃহে সত্তরটি ঘোড়া দেখেছি। সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, নবী কারীম (ﷺ)- এর জন্য যে বকরীটি ক্রয় করা হয়েছিল, তা ছিল কুরবানীর উদ্দেশ্যে।
সুফিয়ান (রাহঃ) শাবীব (রাহঃ) (একজন রাবী) বলেন, আমি উরওয়া (রাযিঃ)- কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে বলতে শুনেছি, ঘোড়ার কপালের কেশগুচ্ছে বরকত ও কল্যাণ নিহিত রয়েছে কিয়ামত পর্যন্ত। রাবী বলেন, আমি তাঁর গৃহে সত্তরটি ঘোড়া দেখেছি। সুফিয়ান (রাহঃ) বলেন, নবী কারীম (ﷺ)- এর জন্য যে বকরীটি ক্রয় করা হয়েছিল, তা ছিল কুরবানীর উদ্দেশ্যে।
باب
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا شَبِيبُ بْنُ غَرْقَدَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَىَّ، يُحَدِّثُونَ عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَعْطَاهُ دِينَارًا يَشْتَرِي بِهِ شَاةً، فَاشْتَرَى لَهُ بِهِ شَاتَيْنِ، فَبَاعَ إِحْدَاهُمَا بِدِينَارٍ وَجَاءَهُ بِدِينَارٍ وَشَاةٍ، فَدَعَا لَهُ بِالْبَرَكَةِ فِي بَيْعِهِ، وَكَانَ لَوِ اشْتَرَى التُّرَابَ لَرَبِحَ فِيهِ. قَالَ سُفْيَانُ كَانَ الْحَسَنُ بْنُ عُمَارَةَ جَاءَنَا بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنْهُ، قَالَ سَمِعَهُ شَبِيبٌ مِنْ عُرْوَةَ، فَأَتَيْتُهُ فَقَالَ شَبِيبٌ إِنِّي لَمْ أَسْمَعْهُ مِنْ عُرْوَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الْحَىَّ يُخْبِرُونَهُ عَنْهُ. وَلَكِنْ سَمِعْتُهُ يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْخَيْرُ مَعْقُودٌ بِنَوَاصِي الْخَيْلِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ ". قَالَ وَقَدْ رَأَيْتُ فِي دَارِهِ سَبْعِينَ فَرَسًا. قَالَ سُفْيَانُ يَشْتَرِي لَهُ شَاةً كَأَنَّهَا أُضْحِيَّةٌ.

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ৩৩৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৪৪
২০৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৩৮২। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, ঘোড়ার কপালের কেশগুচ্ছে কিয়ামত পর্যন্ত কল্যাণ ও বরকত নিহিত রয়েছে।
باب
3644 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ: أَخْبَرَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ [ص:208] عَنْهُمَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الخَيْلُ فِي نَوَاصِيهَا الخَيْرُ إِلَى يَوْمِ القِيَامَةِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৪৫
২০৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৩৮৩। কায়স ইবনে হাফস (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (ﷺ) বলেন, ঘোড়ার কপালে কল্যাণ ও বরকত নিহিত রয়েছে।
باب
3645 - حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، قَالَ: سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «الخَيْلُ مَعْقُودٌ فِي نَوَاصِيهَا الخَيْرُ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৪৬
২০৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৩৮৪। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিন বলেন, নবী কারীম (ﷺ) বলেছেন, ঘোড়া তিন প্রকার। (ঘোড়া পালন) একজনের জন্য পুন্য, আর একজনের জন্য (দারিদ্র ঢেকে রাখার) আবরণ ও অন্য আর একজনের জন্য পাপের কারণ। সে ব্যক্তির জন্য পুণ্য, যে আল্লাহর রাস্তায় (জিহাদ করার উদ্দেশ্যে) ঘোড়াকে সদা প্রস্তুত রাখে এবং সে ব্যক্তি যখন লম্বা দড়ি দিয়ে ঘোড়াটি কোন চারণভূমি বা বাগানে বেঁধে রাখে তখন ঐ লম্বা দড়ির মধ্যে চারণভূমি অথবা বাগানের যে অংশ পড়বে তত পরিমাণ সাওয়াব সে পাবে। যদি ঘোড়াটি দড়ি ছিড়ে ফেলে এবং দুই একটি টিলা পার হয়ে কোথাও চলে যায় তার পরে তার লেদাগুলিও নেকী বলে গণ্য হবে। যদি কোন নদী-নালায় গিয়ে পানি পান করে, মালিক যদিও পানি পান করানোর ইচ্ছা করে নাই তাও তার নেক আমলে গণ্য হবে।
আর যে ব্যক্তি নিজের স্বচ্ছলতা দারিদ্রের গ্লানি ও পরমুখাপেক্ষীতা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ঘোড়া পালন করে এবং তার পর্দান ও পিঠে আল্লাহর যে হক রয়েছে তা ভুলে না যায়। (অর্থাৎ তার যাকাত আদায় করে) তবে এই ঘোড়া তার জন্য আযাব থেকে আবরণ স্বরূপ।
অপর এক ব্যক্তি যে অহংকার, লোক দেখানো এবং আহলে ইসলামের সাথে শত্রুতার কারণে ঘোড়া লালন-পালন করে এ ঘোড়া তার জন্য পাপের বোঝা হবে। নবী কারীম (ﷺ)- কে গাধা (পালন) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বললেন, এ সম্বন্ধে নির্দিষ্ট কোন আয়াত আমার নিকট অবতীর্ণ হয়নি। তবে ব্যাপক অর্থবোধক অনুপম আয়াতটি আমার নিকট নাযিল হয়েছেঃ যে ব্যক্তি অনু পরিমাণ নেক আমল করবে সে তার প্রতিফল অবশ্যই দেখতে পাবে। আর যে ব্যক্তি অনু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে সেও তার প্রতিফল দেখতে পাবে। (৯৯ঃ ৭৮)
আর যে ব্যক্তি নিজের স্বচ্ছলতা দারিদ্রের গ্লানি ও পরমুখাপেক্ষীতা থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ঘোড়া পালন করে এবং তার পর্দান ও পিঠে আল্লাহর যে হক রয়েছে তা ভুলে না যায়। (অর্থাৎ তার যাকাত আদায় করে) তবে এই ঘোড়া তার জন্য আযাব থেকে আবরণ স্বরূপ।
অপর এক ব্যক্তি যে অহংকার, লোক দেখানো এবং আহলে ইসলামের সাথে শত্রুতার কারণে ঘোড়া লালন-পালন করে এ ঘোড়া তার জন্য পাপের বোঝা হবে। নবী কারীম (ﷺ)- কে গাধা (পালন) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বললেন, এ সম্বন্ধে নির্দিষ্ট কোন আয়াত আমার নিকট অবতীর্ণ হয়নি। তবে ব্যাপক অর্থবোধক অনুপম আয়াতটি আমার নিকট নাযিল হয়েছেঃ যে ব্যক্তি অনু পরিমাণ নেক আমল করবে সে তার প্রতিফল অবশ্যই দেখতে পাবে। আর যে ব্যক্তি অনু পরিমাণ মন্দ কাজ করবে সেও তার প্রতিফল দেখতে পাবে। (৯৯ঃ ৭৮)
باب
3646 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " الخَيْلُ لِثَلاَثَةٍ: لِرَجُلٍ أَجْرٌ، وَلِرَجُلٍ سِتْرٌ، وَعَلَى رَجُلٍ وِزْرٌ، فَأَمَّا الَّذِي لَهُ أَجْرٌ فَرَجُلٌ رَبَطَهَا فِي سَبِيلِ اللَّهِ، فَأَطَالَ لَهَا فِي مَرْجٍ أَوْ رَوْضَةٍ، وَمَا أَصَابَتْ فِي طِيَلِهَا مِنَ المَرْجِ أَوِ الرَّوْضَةِ كَانَتْ لَهُ حَسَنَاتٍ، وَلَوْ أَنَّهَا قَطَعَتْ طِيَلَهَا فَاسْتَنَّتْ شَرَفًا أَوْ شَرَفَيْنِ، كَانَتْ أَرْوَاثُهَا حَسَنَاتٍ لَهُ، وَلَوْ أَنَّهَا مَرَّتْ بِنَهَرٍ فَشَرِبَتْ وَلَمْ يُرِدْ أَنْ يَسْقِيَهَا، كَانَ ذَلِكَ لَهُ حَسَنَاتٍ، وَرَجُلٌ رَبَطَهَا تَغَنِّيًا وَسِتْرًا وَتَعَفُّفًا، وَلَمْ يَنْسَ حَقَّ اللَّهِ فِي رِقَابِهَا وَظُهُورِهَا فَهِيَ لَهُ كَذَلِكَ سِتْرٌ، وَرَجُلٌ رَبَطَهَا فَخْرًا وَرِيَاءً وَنِوَاءً لِأَهْلِ الإِسْلاَمِ فَهِيَ وِزْرٌ "
وَسُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الحُمُرِ فَقَالَ: " مَا أُنْزِلَ عَلَيَّ فِيهَا إِلَّا هَذِهِ الآيَةُ الجَامِعَةُ الفَاذَّةُ: {فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ، وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ} [الزلزلة: 8] "
وَسُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الحُمُرِ فَقَالَ: " مَا أُنْزِلَ عَلَيَّ فِيهَا إِلَّا هَذِهِ الآيَةُ الجَامِعَةُ الفَاذَّةُ: {فَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ، وَمَنْ يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ} [الزلزلة: 8] "

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৪৭
২০৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৩৮৫। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খুব ভোরে খায়বারে পৌছালেন। তখন খায়বারবাসী কোদাল নিয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছিল। তাঁকে (রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে) দেখে তাঁরা বলতে লাগল, মুহাম্মাদ পুরা সৈন্য বাহিনী নিয়ে এসে পড়েছে। (এ বলে) তাঁরা দৌড়াদৌড়ি করে তাদের সুরক্ষিত কিল্লায় ঢুকে পড়ল। নবী কারীম (ﷺ) দু’হাত উপরে উঠিয়ে বললেন, “আল্লাহু আকবার” খায়বার ধ্বংস হোক, আমরা যখন কোন জাতির (বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে), তাদের আঙ্গিনায় অবতরণ করি তখন এসব আতঙ্কগ্রস্ত লোকদের প্রভাতটি অত্যন্ত অশুভ হয়।
আবু আব্দুল্লাহ (বুখারী) (রাহঃ) বলেন, فرفع يديه শব্দটি বর্জন করুন। কেননা আমার ধারণা যে, এ শব্দটি বিশুদ্ধ বর্ণনায় পাওয়া যায় না। যদিও পাওয়াও যায় তবে তা নিশ্চয়ই অপ্রসিদ্ধ হবে।
আবু আব্দুল্লাহ (বুখারী) (রাহঃ) বলেন, فرفع يديه শব্দটি বর্জন করুন। কেননা আমার ধারণা যে, এ শব্দটি বিশুদ্ধ বর্ণনায় পাওয়া যায় না। যদিও পাওয়াও যায় তবে তা নিশ্চয়ই অপ্রসিদ্ধ হবে।
باب
3647 - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: صَبَّحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ بُكْرَةً، وَقَدْ خَرَجُوا بِالْمَسَاحِي، فَلَمَّا رَأَوْهُ قَالُوا: مُحَمَّدٌ وَالخَمِيسُ، وَأَحَالُوا إِلَى الحِصْنِ يَسْعَوْنَ، فَرَفَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ وَقَالَ: «اللَّهُ أَكْبَرُ، خَرِبَتْ خَيْبَرُ، إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ المُنْذَرِينَ قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ دَعْ فَرْفَعَ يَدَيْهِ فَإِنِّي أَخْتَى أَنْ لَا تَكُونَ مَحْفُوظًا وَإِنْ كَانَ فِيهِ فَرْفَعَ يَدَيْهِ فَإِنَّهُ عَرِيبٍ جدًّا -»

তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৩৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬৪৮
২০৭৮. শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
৩৩৮৬। ইবরাহীম ইবনে মুনযির (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার থেকে অনেক হাদীস আমি শুনেছি, তবে তা আমি ভুলে যাই। তিনি (নবী কারীম (ﷺ)) বললেন, তোমার চাদরটি বিছাও। আমি চাঁদরটি বিছিয়ে দিলাম। তিনি তার হাত দিয়ে চাঁদরের মধ্যে কি যেন রাখলেন এবং বললেন, চাঁদরটি (গুঁটিয়ে তোমার বুকে) চেপে ধর। আমি (বুকের সাথে) চেপে ধরলাম, তারপর আমি আর কোন হাদীস ভুলি নাই।
باب
3648 - حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ المُنْذِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي الفُدَيْكِ، عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ المَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنِّي سَمِعْتُ مِنْكَ حَدِيثًا كَثِيرًا فَأَنْسَاهُ، قَالَ: «ابْسُطْ رِدَاءَكَ» فَبَسَطْتُ، فَغَرَفَ بِيَدِهِ فِيهِ، ثُمَّ قَالَ: «ضُمَّهُ» فَضَمَمْتُهُ، فَمَا نَسِيتُ حَدِيثًا بَعْدُ

তাহকীক: