আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২৩- মদীনা শরীফের ফযীলত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ১৭৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৮৭
১১৮১. মদীনার কোন এলাকা পরিত্যাগ করা বা জনশুন্য করা নবী করীম (ﷺ) অপছন্দ করতেন
১৭৬৬। ইবনে সালাম (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বনু সালিমা গোত্রের লোকেরা মসজিদে নববীর নিকটে চলে যাওয়ার সংকল্প করল। নবী করীম (ﷺ) মদীনাকে জনশূন্য করা অপছন্দ করলেন, তাই তিনি বললেন হে বনু সালিমা! মসজিদে নববীর দিকে তোমাদের হাটার সাওয়াব কি তোমরা হিসাব কর না? এরপর তাঁরা সেখানেই রয়ে গেল।
باب كَرَاهِيَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُعْرَى الْمَدِينَةُ
1887 - حَدَّثَنَا ابْنُ سَلاَمٍ، أَخْبَرَنَا الفَزَارِيُّ، عَنْ حُمَيْدٍ الطَّوِيلِ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: أَرَادَ بَنُو سَلِمَةَ أَنْ يَتَحَوَّلُوا إِلَى قُرْبِ المَسْجِدِ، فَكَرِهَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنْ تُعْرَى المَدِينَةُ وَقَالَ: «يَا بَنِي سَلِمَةَ أَلاَ تَحْتَسِبُونَ آثَارَكُمْ» فَأَقَامُوا

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৮৮
শিরোনামহীন পরিচ্ছেদ
১৭৬৭। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমার ঘর ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানটি হল জান্নাতের বাগানের একটি বাগান, আর আমার মিম্বরটি হল আমার হাউযের উপর অবস্থিত।
باب كَرَاهِيَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُعْرَى الْمَدِينَةُ
1888 - حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ: حَدَّثَنِي خُبَيْبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الجَنَّةِ، وَمِنْبَرِي عَلَى حَوْضِي»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৮৯
পূর্বোক্ত পরিচ্ছেদ
১৭৬৮। উবাইদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... ’আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদীনায় শুভাগমন করলে আবু বকর ও বিলাল (রাযিঃ) জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়লেন। আবু বকর (রাযিঃ) জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়লে তিনি এ কবিতা অংশটি আবৃত্তি করতেনঃ
″প্রত্যেক ব্যক্তিই তাঁর পরিবার ও স্বজনদের মাঝে দিন কাটাচ্ছেন, অথচ মৃত্যু তাঁর জুতোর ফিতার চেয়েও অধিক নিকটবর্তী।″
আর বিলাল (রাযিঃ) জ্বর উপশম হলে উচ্চস্বরে এ কবিতা অংশ আবৃত্তি করতেনঃ
″হায়, আমি যদি মক্কার প্রান্তরে একটি রাত কাটাতে পারতাম এমনভাবে যে, আমার চারদিকে থাকবে ইযখির এবং জালীল নামক ঘাস। মাজান্না ঝর্নার পানি কোন দিন পান করার সুযোগ পাব কি? শামা এবং তাফীল পাহাড় আবার প্রকাশিত হবে কি?″
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ হে আল্লাহ! তুমি শায়বা ইবনে রবী’আ, উতবা ইবনে রবী’আ এবং উমাইয়া ইবনে খালফের প্রতি লা’নত বর্ষণ কর; যেমনিভাবে তাঁরা আমাদেরকে আমাদের মাতৃভূমি থেকে বের করে মহামারীর দেশে ঠেলে দিয়েছে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুআ করলেনঃ হে আল্লাহ! মদীনাকে আমাদের নিকট প্রিয় বানিয়ে দাও যেমন মক্কা আমাদের নিকট প্রিয় বা এর চেয়েও বেশী। হে আল্লাহ! আমাদের সা’ ও মুদে বরকত দান কর এবং মদীনাকে আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর বানিয়ে দাও। স্থানান্তরিত করে দাও জুহফাতে এর জ্বরের প্রকোপ বা মহামারীকে।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমরা যখন মদীনা এসেছিলাম তখন তা ছিল আল্লাহর যমীনে সর্বাপেক্ষা অধিক মহামারীর স্থান। তিনি আরো বলেন, সে সময় মদীনায় বুহতান নামক একটি ঝর্না ছিল যার থেকে বিকৃত বর্ণ ও বিকৃত স্বাদের পানি প্রবাহিত হত।
″প্রত্যেক ব্যক্তিই তাঁর পরিবার ও স্বজনদের মাঝে দিন কাটাচ্ছেন, অথচ মৃত্যু তাঁর জুতোর ফিতার চেয়েও অধিক নিকটবর্তী।″
আর বিলাল (রাযিঃ) জ্বর উপশম হলে উচ্চস্বরে এ কবিতা অংশ আবৃত্তি করতেনঃ
″হায়, আমি যদি মক্কার প্রান্তরে একটি রাত কাটাতে পারতাম এমনভাবে যে, আমার চারদিকে থাকবে ইযখির এবং জালীল নামক ঘাস। মাজান্না ঝর্নার পানি কোন দিন পান করার সুযোগ পাব কি? শামা এবং তাফীল পাহাড় আবার প্রকাশিত হবে কি?″
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ হে আল্লাহ! তুমি শায়বা ইবনে রবী’আ, উতবা ইবনে রবী’আ এবং উমাইয়া ইবনে খালফের প্রতি লা’নত বর্ষণ কর; যেমনিভাবে তাঁরা আমাদেরকে আমাদের মাতৃভূমি থেকে বের করে মহামারীর দেশে ঠেলে দিয়েছে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুআ করলেনঃ হে আল্লাহ! মদীনাকে আমাদের নিকট প্রিয় বানিয়ে দাও যেমন মক্কা আমাদের নিকট প্রিয় বা এর চেয়েও বেশী। হে আল্লাহ! আমাদের সা’ ও মুদে বরকত দান কর এবং মদীনাকে আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর বানিয়ে দাও। স্থানান্তরিত করে দাও জুহফাতে এর জ্বরের প্রকোপ বা মহামারীকে।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমরা যখন মদীনা এসেছিলাম তখন তা ছিল আল্লাহর যমীনে সর্বাপেক্ষা অধিক মহামারীর স্থান। তিনি আরো বলেন, সে সময় মদীনায় বুহতান নামক একটি ঝর্না ছিল যার থেকে বিকৃত বর্ণ ও বিকৃত স্বাদের পানি প্রবাহিত হত।
باب كَرَاهِيَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُعْرَى الْمَدِينَةُ
1889 - حَدَّثَنَا عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ، وُعِكَ أَبُو بَكْرٍ، وَبِلاَلٌ، فَكَانَ أَبُو بَكْرٍ إِذَا أَخَذَتْهُ الحُمَّى يَقُولُ:
كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ ... وَالمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
، وَكَانَ بِلاَلٌ إِذَا أُقْلِعَ عَنْهُ الحُمَّى يَرْفَعُ عَقِيرَتَهُ يَقُولُ:
أَلاَ لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً ... بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ،
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجَنَّةٍ ... وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ،
قَالَ: اللَّهُمَّ العَنْ شَيْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ، وَعُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ، وَأُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ كَمَا أَخْرَجُونَا مِنْ أَرْضِنَا إِلَى أَرْضِ الوَبَاءِ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا المَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ، اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا وَفِي مُدِّنَا، وَصَحِّحْهَا لَنَا، وَانْقُلْ حُمَّاهَا إِلَى الجُحْفَةِ» ، قَالَتْ: وَقَدِمْنَا المَدِينَةَ وَهِيَ أَوْبَأُ أَرْضِ اللَّهِ، قَالَتْ: فَكَانَ بُطْحَانُ يَجْرِي نَجْلًا تَعْنِي مَاءً آجِنًا
كُلُّ امْرِئٍ مُصَبَّحٌ فِي أَهْلِهِ ... وَالمَوْتُ أَدْنَى مِنْ شِرَاكِ نَعْلِهِ
، وَكَانَ بِلاَلٌ إِذَا أُقْلِعَ عَنْهُ الحُمَّى يَرْفَعُ عَقِيرَتَهُ يَقُولُ:
أَلاَ لَيْتَ شِعْرِي هَلْ أَبِيتَنَّ لَيْلَةً ... بِوَادٍ وَحَوْلِي إِذْخِرٌ وَجَلِيلُ،
وَهَلْ أَرِدَنْ يَوْمًا مِيَاهَ مَجَنَّةٍ ... وَهَلْ يَبْدُوَنْ لِي شَامَةٌ وَطَفِيلُ،
قَالَ: اللَّهُمَّ العَنْ شَيْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ، وَعُتْبَةَ بْنَ رَبِيعَةَ، وَأُمَيَّةَ بْنَ خَلَفٍ كَمَا أَخْرَجُونَا مِنْ أَرْضِنَا إِلَى أَرْضِ الوَبَاءِ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا المَدِينَةَ كَحُبِّنَا مَكَّةَ أَوْ أَشَدَّ، اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا وَفِي مُدِّنَا، وَصَحِّحْهَا لَنَا، وَانْقُلْ حُمَّاهَا إِلَى الجُحْفَةِ» ، قَالَتْ: وَقَدِمْنَا المَدِينَةَ وَهِيَ أَوْبَأُ أَرْضِ اللَّهِ، قَالَتْ: فَكَانَ بُطْحَانُ يَجْرِي نَجْلًا تَعْنِي مَاءً آجِنًا

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯০
পূর্বোক্ত পরিচ্ছেদ
১৭৬৯। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি এ বলে দুআ করতেন, হে আল্লাহ! আমাকে তোমার পথে শাহাদাত বরণ করার সুযোগ দান কর এবং আমার মৃত্যু তোমার রাসূলের শহরে দাও।
ইবনে যুরাঈ (রাহঃ) ......... হাফসা বিনতে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) কে অনুরূপ বর্ণনা করতে শুনেছি।
হিশাম (রাহঃ) বলেন, যায়দ তাঁর পিতার সূত্রে হাফসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি।
আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, ‘’রাওহ তাঁর মায়ের সূত্রে এরূপ বলেছেন।‘’
ইবনে যুরাঈ (রাহঃ) ......... হাফসা বিনতে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) কে অনুরূপ বর্ণনা করতে শুনেছি।
হিশাম (রাহঃ) বলেন, যায়দ তাঁর পিতার সূত্রে হাফসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি।
আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, ‘’রাওহ তাঁর মায়ের সূত্রে এরূপ বলেছেন।‘’
باب كَرَاهِيَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُعْرَى الْمَدِينَةُ
1890 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي شَهَادَةً فِي سَبِيلِكَ، وَاجْعَلْ مَوْتِي [ص:24] فِي بَلَدِ رَسُولِكَ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» ، وَقَالَ ابْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ رَوْحِ بْنِ القَاسِمِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَتْ: سَمِعْتُ عُمَرَ نَحْوَهُ وَقَالَ هِشَامٌ، عَنْ زَيْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَفْصَةَ، سَمِعْتُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
(نـ) قَالَ ابو عبد الله: كذا قَالَ روح بن القاسم عن أمه
(نـ) قَالَ ابو عبد الله: كذا قَالَ روح بن القاسم عن أمه

তাহকীক: