আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২৩- মদীনা শরীফের ফযীলত - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ১৭৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৬৭
১১৭০. মদীনার ফযীলতঃ মদীনা হারম হওয়া।
১৭৪৬। আবু’ন নু’মান (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম (ﷺ) বলেছেনঃ মদীনা এখান থেকে ওখান পর্যন্ত হারাম (রূপে গণ্য)। সুতরাং তাঁর গাছ কাঁটা যাবে না এবং কুরআন-সুন্নাহর খেলাফ কোন কাজ মদীনায় করা যাবে না। কেউ যদি কুরআন-সুন্নাহর খেলাফ কোন কাজ করে তাহলে তাঁর প্রতি আল্লাহর লা’নত এবং ফিরিশতাদের ও সকল মানুষের লা'নত।
فضائل المدينة باب حَرَمِ الْمَدِينَةِ
1867 - حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَحْوَلُ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: المَدِينَةُ حَرَمٌ مِنْ كَذَا إِلَى كَذَا، لاَ يُقْطَعُ شَجَرُهَا، وَلاَ يُحْدَثُ فِيهَا حَدَثٌ، مَنْ أَحْدَثَ حَدَثًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৬৮
১১৭০. মদীনার ফযীলতঃ মদীনা হারম হওয়া।
১৭৪৭। আবু মা’মার (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) মদীনায় এসে মসজিদ নির্মাণের আদেশ দেন। তারপর বলেনঃ হে বনু নাজ্জার! আমার নিকট থেকে মূল্য নিয়ে (ভূমি) বিক্রি কর। তাঁরা বললেন। আমরা এর মূল্য কেবল আল্লাহর নিকটই চাই। এরপর নবী (ﷺ) এর নির্দেশে মুশরিকদের কবর খুঁড়ে ফেলা হল এবং ধ্বংসাবশেষ সমতল করা হল, খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলা হল। কেবল মসজিদের কিবলার দিকে কিছু খেজুর গাছ সারিবদ্ধভাবে রাখা হল।
فضائل المدينة باب حَرَمِ الْمَدِينَةِ
1868 - حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ المَدِينَةَ، وَأَمَرَ بِبِنَاءِ المَسْجِدِ، فَقَالَ: «يَا بَنِي النَّجَّارِ ثَامِنُونِي» ، فَقَالُوا: لاَ نَطْلُبُ ثَمَنَهُ، إِلَّا إِلَى اللَّهِ، فَأَمَرَ بِقُبُورِ المُشْرِكِينَ، فَنُبِشَتْ ثُمَّ بِالخِرَبِ، فَسُوِّيَتْ وَبِالنَّخْلِ فَقُطِعَ، فَصَفُّوا النَّخْلَ قِبْلَةَ المَسْجِدِ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৬৯
১১৭০. মদীনার ফযীলতঃ মদীনা হারম হওয়া।
১৭৪৮। ইসমাঈল ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ মদীনার দু’পাথুরে ভুমির মধ্যবর্তী স্থান আমার ঘোষণা মোতাবেক নির্ধারিত করা হয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, নবী (ﷺ) বনু হারিসার নিকট তাশরীফ আনেন এবং বলেনঃ হে বনু হারিসা! আমার ধারণা ছিল যে, তোমরা হারমের বাইরে অবস্থান করছ, তারপর তিনি সেদিকে দৃষ্টিপাত করে বললেনঃ (না,তোমরা হারমের বাইরে নও) বরং তোমরা হারমের ভিতরেই আছ।
فضائل المدينة باب حَرَمِ الْمَدِينَةِ
1869 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ سَعِيدٍ المَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «حُرِّمَ مَا بَيْنَ لاَبَتَيِ المَدِينَةِ عَلَى لِسَانِي» ، قَالَ: وَأَتَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَنِي حَارِثَةَ، فَقَالَ: أَرَاكُمْ يَا بَنِي حَارِثَةَ قَدْ خَرَجْتُمْ مِنَ الحَرَمِ، ثُمَّ التَفَتَ، فَقَالَ: «بَلْ أَنْتُمْ فِيهِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৭৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৭০
১১৭০. মদীনার ফযীলতঃ মদীনা হারম হওয়া।
১৭৪৯। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের নিকট আল্লাহর কিতাব এবং নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত এই সহীফা ছাড়া আর কিছুই নাই। তিনি আরো বলেন, আয়ির নামক স্থান থেকে অমুক স্থান পর্যন্ত মদীনা হল হারাম। যদি কেউ এতে কুরআন-সুন্নাহর খেলাফ অসঙ্গত কোন কাজ করে অথবা কুরআন-সুন্নাহর খেলাফ আচরণকারীকে আশ্রয় দেয়, তাহলে তাঁর উপর আল্লাহর লা’নত এবং সকল ফিরিশতা ও মানুষের। সে ব্যক্তির কোন নফল এবং ফরজ ইবাদত কবুল করা হবে না।
তিনি আরো বলেন, মুসলমান কর্তৃক নিরাপত্তাদানের অধিকার সকলের ক্ষেত্রে সমান। তাই যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দেওয়া নিরাপত্তাকে লঙ্ঘন করবে, তাঁর প্রতি আল্লাহর লা’নত এবং সকল ফিরিশতা ও মানুষের। আর কবুল করা হবে না তাঁর কোন নফল কিংবা ফরজ ইবাদত। যে ব্যক্তি তাঁর মাওলার (মিত্রের) অনুমতি ব্যতীত অন্য অন্য কওমের সাথে বন্ধুত্ব করবে, তাঁর প্রতিও আল্লাহর লা’নত এবং সকল ফিরিশতা ও মানুষের। তার নফল কিংবা ফরজ কোন ইবাদতই কবুল করা হবে না।
আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, ″আদলুন″ অর্থ বিনিময়।
তিনি আরো বলেন, মুসলমান কর্তৃক নিরাপত্তাদানের অধিকার সকলের ক্ষেত্রে সমান। তাই যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দেওয়া নিরাপত্তাকে লঙ্ঘন করবে, তাঁর প্রতি আল্লাহর লা’নত এবং সকল ফিরিশতা ও মানুষের। আর কবুল করা হবে না তাঁর কোন নফল কিংবা ফরজ ইবাদত। যে ব্যক্তি তাঁর মাওলার (মিত্রের) অনুমতি ব্যতীত অন্য অন্য কওমের সাথে বন্ধুত্ব করবে, তাঁর প্রতিও আল্লাহর লা’নত এবং সকল ফিরিশতা ও মানুষের। তার নফল কিংবা ফরজ কোন ইবাদতই কবুল করা হবে না।
আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, ″আদলুন″ অর্থ বিনিময়।
فضائل المدينة باب حَرَمِ الْمَدِينَةِ
1870 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: مَا عِنْدَنَا شَيْءٌ إِلَّا كِتَابُ اللَّهِ، وَهَذِهِ الصَّحِيفَةُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " المَدِينَةُ حَرَمٌ، مَا بَيْنَ عَائِرٍ إِلَى كَذَا، مَنْ أَحْدَثَ فِيهَا حَدَثًا، أَوْ آوَى مُحْدِثًا، فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ وَلاَ عَدْلٌ، وَقَالَ: ذِمَّةُ المُسْلِمِينَ وَاحِدَةٌ، فَمَنْ أَخْفَرَ مُسْلِمًا فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ، وَلاَ عَدْلٌ، وَمَنْ تَوَلَّى قَوْمًا بِغَيْرِ إِذْنِ مَوَالِيهِ، فَعَلَيْهِ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالمَلاَئِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ، لاَ يُقْبَلُ مِنْهُ صَرْفٌ، وَلاَ عَدْلٌ " قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: " عَدْلٌ: فِدَاءٌ "

তাহকীক: