আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

২২- ওমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৬৯০
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৬
১১৩২. পথে অবরুদ্ধ ব্যক্তি ও শিকার জন্তুর বিনিময়। আর মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হও, তবে সহজলভ্য কুরবানী করবে। যে পর্যন্ত কুরবানীর জানোয়ার তার স্থানে না পৌছে, তোমরা মাথামুণ্ডন করবে না (২ : ১৯৬)।
আতা (রাহঃ) বলেন, الاحصار من كل شئ يحبسه যা আটকিয়ে রাখে বা বাধা সৃষ্টি করে তাকে ইহসার বলে।
আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, حصورا - (হাসূর) মানে যিনি স্ত্রী সম্ভোগ করেন না।
পরিচ্ছেদঃ ১১৩৩. উমরা আদায়কারী ব্যক্তি যদি অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
১৬৯০। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... নাফি’ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, হাঙ্গামা চলাকালে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) উমরার নিয়ত করে মক্কায় রওয়ানা হওয়ার পর বললেন, বায়তুল্লাহর পথে বাধাগ্রস্ত হলে, তাই করব যা করেছিলাম আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে। তাই তিনি উমরার ইহরাম বাঁধলেন। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-ও হুদায়বিয়ার বছর উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন।
أَبْوَابُ المُحْصَرِ وَجَزَاءِ الصَّيْدِ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ، فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الهَدْيِ، وَلاَ تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الهَدْيُ مَحِلَّهُ} وَقَالَ عَطَاءٌ: «الإِحْصَارُ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يَحْبِسُهُ» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: {حَصُورًا} [آل عمران: 39] : «لاَ يَأْتِي النِّسَاءَ»
بَابُ إِذَا أُحْصِرَ المُعْتَمِرُ
1806 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، حِينَ خَرَجَ إِلَى مَكَّةَ مُعْتَمِرًا فِي الفِتْنَةِ، قَالَ: «إِنْ صُدِدْتُ عَنِ البَيْتِ صَنَعْتُ كَمَا صَنَعْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَهَلَّ بِعُمْرَةٍ، مِنْ أَجْلِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ عَامَ الحُدَيْبِيَةِ»
হাদীস নং: ১৬৯১
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৭
১১৩৩. উমরা আদায়কারী ব্যক্তি যদি অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
১৬৯১। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আসমা (রাহঃ) ......... নাফি’ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ও সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) উভয়ই তাঁকে সংবাদ দিয়েছেন, যে বছর হাজ্জাজ (ইবনে ইউসুফ) বাহিনী ইবনে যুবাইর (রাযিঃ) এর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, সে সময়ে তাঁরা উভয়ে কয়েকদিন পর্যন্ত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বুঝালেন। তাঁরা বললেন, এ বছর হজ্জ না করলে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। আমরা আশষ্কা করছি, আপনার ও বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। তিনি বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রওয়ানা হয়েছিলাম। কিন্তু বায়তুল্লাহর পথে কাফির কুরাইশরা আমাদের বাঁধা হয়ে দাঁড়াল। তাই নবী (ﷺ) কুরবানীর পশু যবেহ করে মাথা মুড়িয়ে নিয়েছিলেন। এখন আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আমার নিজের জন্য উমরা ওয়াজিব করে নিয়েছি। আল্লাহ চাহেন তো আমি এখন রওয়ানা হয়ে যাব।
যদি আমার এবং বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা না আসে তাহলে আমি তাওয়াফ করে নিব। কিন্তু যদি আমার ও বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে আমি তখনই সেরূপ করব যেরূপ নবী (ﷺ) করেছিলেন আর আমিও তাঁর সঙ্গে ছিলাম। তারপর তিনি যুল হুলাইফা থেকে উমরার ইহরাম বেধে কিছুক্ষণ চললেন, এরপরে বললেন, হজ্জ এবং উমরার ব্যাপার তো একই। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, নিশ্চয়ই আমি আমার উমরার সাথে হজ্জও নিজের জন্য ওয়াজিব করে নিলাম। তাই তিনি হজ্জ ও উমরা কোনটি থেকেই হালাল হননি। অবশেষে কুরবানীর দিন কুরবানী করলেন এবং হালাল হলেন। তিনি বলতেন, আমরা হালাল হব না যতক্ষণ পর্যন্ত না মক্কায় প্রবেশ করে একটি তাওয়াফ করে নিই।
أَبْوَابُ المُحْصَرِ وَجَزَاءِ الصَّيْدِ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ، فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الهَدْيِ، وَلاَ تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الهَدْيُ مَحِلَّهُ}
بَابُ إِذَا أُحْصِرَ المُعْتَمِرُ
1807 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، وَسَالِمَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، أَخْبَرَاهُ أَنَّهُمَا كَلَّمَا عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، لَيَالِيَ نَزَلَ الجَيْشُ بِابْنِ الزُّبَيْرِ، فَقَالاَ: لاَ يَضُرُّكَ أَنْ لاَ تَحُجَّ العَامَ، وَإِنَّا نَخَافُ أَنْ يُحَالَ بَيْنَكَ وَبَيْنَ البَيْتِ، فَقَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ [ص:9]، فَحَالَ كُفَّارُ قُرَيْشٍ دُونَ البَيْتِ، فَنَحَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَدْيَهُ وَحَلَقَ رَأْسَهُ، وَأُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ العُمْرَةَ إِنْ شَاءَ اللَّهُ، أَنْطَلِقُ، فَإِنْ خُلِّيَ بَيْنِي وَبَيْنَ البَيْتِ طُفْتُ، وَإِنْ حِيلَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ فَعَلْتُ كَمَا فَعَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا مَعَهُ» ، فَأَهَلَّ بِالعُمْرَةِ مِنْ ذِي الحُلَيْفَةِ، ثُمَّ سَارَ سَاعَةً، ثُمَّ قَالَ: إِنَّمَا شَأْنُهُمَا وَاحِدٌ، أُشْهِدُكُمْ أَنِّي قَدْ أَوْجَبْتُ حَجَّةً مَعَ عُمْرَتِي، فَلَمْ يَحِلَّ مِنْهُمَا حَتَّى حَلَّ يَوْمَ النَّحْرِ، وَأَهْدَى، وَكَانَ يَقُولُ: لاَ يَحِلُّ حَتَّى يَطُوفَ طَوَافًا وَاحِدًا يَوْمَ يَدْخُلُ مَكَّةَ،
হাদীস নং: ১৬৯২
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৮
১১৩৩. উমরা আদায়কারী ব্যক্তি যদি অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
১৬৯২। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... নাফি’ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-এর কোন এক ছেলে তাঁর পিতাকে বললেন, যদি আপনি এ বছর বাড়িতে অবস্থান করতেন (তাহলে আপনার জন্য কতই না কল্যাণকর হত)!
أَبْوَابُ المُحْصَرِ وَجَزَاءِ الصَّيْدِ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ، فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الهَدْيِ، وَلاَ تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الهَدْيُ مَحِلَّهُ}
بَابُ إِذَا أُحْصِرَ المُعْتَمِرُ
1808 - حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ بَعْضَ بَنِي عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: لَهُ لَوْ أَقَمْتَ بِهَذَا
হাদীস নং: ১৬৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৮০৯
১১৩৩. উমরা আদায়কারী ব্যক্তি যদি অবরুদ্ধ হয়ে যায়।
১৬৯৩। মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (হুদায়বিয়াতে) বাধাপ্রাপ্ত হন। তাই তিনি মাথা কামিয়ে নেন। স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হন এবং প্রেরিত জানোয়ার কুরবানী করেন। অবশেষে পরবর্তী বছর উমরা আদায় করেন।
أَبْوَابُ المُحْصَرِ وَجَزَاءِ الصَّيْدِ وَقَوْلِهِ تَعَالَى: {فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ، فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الهَدْيِ، وَلاَ تَحْلِقُوا رُءُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الهَدْيُ مَحِلَّهُ}
بَابُ إِذَا أُحْصِرَ المُعْتَمِرُ
1809 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ سَلَّامٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ: قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: «قَدْ أُحْصِرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَحَلَقَ رَأْسَهُ، وَجَامَعَ نِسَاءَهُ، وَنَحَرَ هَدْيَهُ، حَتَّى اعْتَمَرَ عَامًا قَابِلًا»