আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২২- ওমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ১৬৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৬
১১১৮. হজ্জের পর উমরা আদায় করাতে কুরবানী ওয়াজিব হয় না।
১৬৭১। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন যিলহজ্জ মাস আগতপ্রায়, তখন আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে রওয়ানা দিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ যে ব্যক্তি উমরার ইহরাম বাঁধতে চায়, সে যেন উমরার ইহরাম বেঁধে নেয়। আর যে ব্যক্তি হজ্জের ইহরাম বাঁধতে চায় সে যেন হজ্জের ইহরাম বেঁধে নেয়। আমি যদি কুরবানীর জানোয়ার সঙ্গে না আনতাম তাহলে অবশ্যই আমি উমরার ইহরাম বাঁধতাম। তাই তাঁদের কেউ উমরার ইহরাম বাঁধলেন আর কেউ হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন। যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন, আমি তাদের মধ্যে একজন। এরপর মক্কা পৌঁছার আগেই আমার ঋতু দেখা দিল।
আরাফার দিবস চলে এল, আর আমি ঋতুবতী অবস্থায় ছিলাম। তারপর আমার এ অসুবিধার কথা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট বললাম। তিনি বললেনঃ উমরা ছেড়ে দাও। আর বেণী খুলে মাথা আঁচড়িয়ে নাও। তারপর হজ্জের ইহরাম বেঁধে নাও। আমি তাই করলাম। মুহাসসাবের রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার সাথে আব্দুর রহমানকে তানঈম পাঠালেন।
(রাবী বলেন) আব্দুর রহমান (রাযিঃ) তাঁকে সওয়ারীতে নিজের পেছনে বসিয়ে নিলেন। তারপর আয়িশা (রাযিঃ) আগের উমরার স্থলে নতুন উমরার ইহরাম বাঁধলেন। এমনিভাবেই আল্লাহ তাআলা তাঁর হজ্জ এবং উমরা উভয়টিই পুরা করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এর কোন ক্ষেত্রেই কুরবানী বা সাদ্কা দিতে কিংবা রোযা রাখতে হয়নি।
আরাফার দিবস চলে এল, আর আমি ঋতুবতী অবস্থায় ছিলাম। তারপর আমার এ অসুবিধার কথা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট বললাম। তিনি বললেনঃ উমরা ছেড়ে দাও। আর বেণী খুলে মাথা আঁচড়িয়ে নাও। তারপর হজ্জের ইহরাম বেঁধে নাও। আমি তাই করলাম। মুহাসসাবের রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার সাথে আব্দুর রহমানকে তানঈম পাঠালেন।
(রাবী বলেন) আব্দুর রহমান (রাযিঃ) তাঁকে সওয়ারীতে নিজের পেছনে বসিয়ে নিলেন। তারপর আয়িশা (রাযিঃ) আগের উমরার স্থলে নতুন উমরার ইহরাম বাঁধলেন। এমনিভাবেই আল্লাহ তাআলা তাঁর হজ্জ এবং উমরা উভয়টিই পুরা করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এর কোন ক্ষেত্রেই কুরবানী বা সাদ্কা দিতে কিংবা রোযা রাখতে হয়নি।
باب الاِعْتِمَارِ بَعْدَ الْحَجِّ بِغَيْرِ هَدْىٍ
1786 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبِي، قَالَ: أَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُوَافِينَ لِهِلاَلِ ذِي الحَجَّةِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُهِلَّ بِعُمْرَةٍ فَلْيُهِلَّ، وَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يُهِلَّ بِحَجَّةٍ فَلْيُهِلَّ، وَلَوْلاَ أَنِّي أَهْدَيْتُ لَأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ» ، فَمِنْهُمْ مَنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ، وَمِنْهُمْ مَنْ أَهَلَّ [ص:5] بِحَجَّةٍ، وَكُنْتُ مِمَّنْ أَهَلَّ بِعُمْرَةٍ، فَحِضْتُ قَبْلَ أَنْ أَدْخُلَ مَكَّةَ، فَأَدْرَكَنِي يَوْمُ عَرَفَةَ وَأَنَا حَائِضٌ، فَشَكَوْتُ ذَلِكَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «دَعِي عُمْرَتَكِ، وَانْقُضِي رَأْسَكِ وَامْتَشِطِي، وَأَهِلِّي بِالحَجِّ» ، فَفَعَلْتُ، فَلَمَّا كَانَتْ لَيْلَةُ الحَصْبَةِ، أَرْسَلَ مَعِي عَبْدَ الرَّحْمَنِ إِلَى التَّنْعِيمِ. فَأَرْدَفَهَا، فَأَهَلَّتْ بِعُمْرَةٍ مَكَانَ عُمْرَتِهَا، فَقَضَى اللَّهُ حَجَّهَا وَعُمْرَتَهَا، وَلَمْ يَكُنْ فِي شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ هَدْيٌ، وَلاَ صَدَقَةٌ، وَلاَ صَوْمٌ

তাহকীক: