আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

২৯- জামিন হওয়া সম্পর্কিত অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২১৫০
আন্তর্জাতিক নং: ২২৯৭
১৪২৮. নবী (ﷺ)-এর যুগে আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) কর্তৃক (মুশরিকদের) নিরাপত্তা দান এবং তার চুক্তি সম্পাদন।
২১৫০। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ)....নবী (ﷺ) এর সহধর্মিণী ‘আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে দিন থেকে আমার জ্ঞান হয়েছে সে দিন থেকেই আমি আমার পিতা-মাতাকে দ্বীনের অনুসারী হিসাবেই পেয়েছি। আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, আবু সালিহ (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যেদিন থেকে আমার জ্ঞান হয়েছে সেদিন থেকেই আমি আমার পিতা, মাতাকে দ্বীন ইসলামের অনুসারী রূপে পেয়েছি এবং আমাদের এমন কোন দিন যায়নি, যে দিনের দু’ প্রান্ত সকাল-সন্ধ্যায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের নিকট আসেন নি। যখন মুসলিমগণ কঠিন বিপদের সম্মুখীন হলেন তখন আবু বকর (রাযিঃ) হাবশা (আবিসিনিয়া) অভিমুখে হিজরতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। যখন তিনি বারকূল গিমাদ নামক স্থানে এসে পৌঁছলেন তখন ইবনে দাগিনা তার সাথে সাক্ষাত করল। সে ছিল কা‘রা গোত্রের নেতা।
সে বলল, হে আবু বকর! আপনি কোথায় যেতে ইচ্ছা করেছেন? আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমার গোত্র আমাকে বের করে দিয়েছে, তাই আমি ইচ্ছা করেছি যে, দেশে দেশে ঘুরে বেড়াবো আর আমার প্রতিপালকের ইবাদত করব। ইবনে দাগিনা বলল, আপনার মত লোক বেরিয়ে যেতে পারে না এবং আপনার মত লোককে বহিষ্কার করাও চলে না। কেননা আপনি নিঃস্বকে সাহায্য করেন, আত্মীয়তার বন্ধনকে রক্ষা করেন, অক্ষমের বোঝা নিজে বহন করেন, মেহমানদারী করেন এবং দুর্যোগের সময় মানুষকে সাহায্য করেন। আমি আপনার আশ্রয়দাতা। কাজেই আপনি মক্কায় ফিরে চলুন এবং নিজ শহরে গিয়ে আপন প্রতিপালকের ইবাদত করুন।
তারপর ইবনে দাগিনা আবু বকর (রাযিঃ)-কে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এল। সে কাফির কুরাইশদের যারা নেতা তাদের সাথে সাক্ষাত করল এবং তাদেরকে বলল, আবু বকর (রাযিঃ)- এর মত লোক বেরিয়ে যেতে পারে না এবং তার মত লোককে বহিষ্কার করাও চলে না। আপনারা কি এমন একজন লোককে বহিষ্কার করতে চান, যে নিঃস্বকে সাহায্য করে, আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে, অক্ষমের বোঝা নিজে বহন করে, মেহমানের মেহমানদারী করে এবং দুর্যোগের সময় মানুষকে সাহায্য করে। আবু বকর (রাযিঃ)- কে ইবনে দাগিনার আশ্রয় প্রদান কুরাইশরা মেনে নিল এবং তারা আবু বকর (রাযিঃ)-কে নিরাপত্তা দিয়ে ইবনে দাগিনাকে বলল, আপনি আবু বকরকে বলে দিন, তিনি যেন নিজ বাড়ীতে তাঁর প্রতিপালকের ইবাদত করেন, সেখানে যেন নামায আদায় করেন এবং যা ইচ্ছা তা যেন পড়েন। এ ব্যাপারে তিনি যেন আমাদেরকে কোন কষ্ট না দেন এবং তিনি যেন প্রকাশ্যে নামায ও তিলাওয়াত না করেন। কেননা, আমরা আশঙ্কা করছি যে, তিনি (প্রকাশ্যে এ সব করে) আমাদের স্ত্রী-পুত্রদের ফিতনায় লিপ্ত না করেন।
ইবনে দাগিনা এসব কথা আবু বকর (রাযিঃ) কে বলল। আবু বকর (রাযিঃ) নিজ বাড়ীতেই তাঁর প্রতিপালকের ইবাদত করতে থাকেন, নিজ বাড়ী ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ্যে নামায আদায় এবং কুরআন তিলাওয়াত করতেন না। কিছুদিন পর আবু বকর (রাযিঃ) এর মনে অন্য এক খেয়াল উদয় হল। তিনি নিজ ঘরের আঙ্গিনায় একটি মসজিদ বানালেন এবং বেরিয়ে এসে সেখানে নামায আদায় ও কুরআন তিলাওয়াত করতে লাগলেন। ফলে মুশরিকদের স্ত্রী-পুত্ররা তাঁর কাছে ভিড় জমাতে লাগল। তাদের কাছে তা ভাল লাগত এবং তাঁর প্রতি তারা তাকিয়ে থাকত। আবু বকর (রাযিঃ) ছিলেন অতি ক্রন্দনশীল ব্যক্তি। যখন তিনি কুরআন তিলাওয়াত করতেন তখন অশ্রু সংবরণ করতে পারতেন না।
এতে কুরাইশদের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ঘাবড়িয়ে গেল। তারা ইবনে দাগিনাকে ডেকে পাঠাল। সে তাদের কাছে আসার পর তারা তাকে বলল, আমরা তো আবু বকর (রাযিঃ)-কে এই শর্তে আশ্রয় ও নিরাপত্তা দিয়েছিলাম যে, তিনি নিজ গৃহে তাঁর প্রতিপালকের ইবাদত করবেন। কিন্তু, তিনি তা লংঘন করে নিজ গৃহের আঙ্গিনায় মসজিদ বানিয়েছেন এবং (তাতে) প্রকাশ্যভাবে নামায আদায় ও কুরআন তিলাওয়াত করেছেন। এতে আমাদের ভয় হচ্ছে যে, তিনি আমাদের স্ত্রী-পুত্রদের ফিতনায় লিপ্ত করবেন। কাজেই আপনি তাঁকে গিয়ে বলুন, তিনি যদি নিজ গৃহে তাঁর প্রতিপালকে ইবাদত সীমাবদ্ধ রাখতে চান তবে তিনি তা করতে পারেন। আর যদি তিনি অস্বীকার করেন এবং প্রকাশ্যে এসব করতে চান তবে আপনি তাঁকে বলুন, তিনি যেন আপনার যিম্মাদারী ফিরিয়ে দেন। কেননা আমরা যেমন আপনার সাথে আমাদের অঙ্গীকার ভঙ্গ পছন্দ করি না, তেমনি আবু বকর (রাযিঃ) প্রকাশ্যে ইবাদাত করাটা মেনে নিতে পারি না।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, তারপর ইবনে দাগিনা আবু বকর (রাযিঃ) এর নিকট এসে বলল, যে শর্তে আমি আপনার যিম্মাদারী নিয়ে ছিলাম, তা আপনার জানা আছে। হয়ত আপনি সে শর্তের উপর সীমাবদ্ধ থাকুন, নয়ত আমার যিম্মাদারী আমাকে ফেরত দিন। কেননা, কোন ব্যক্তির সাথে আমি নিরাপত্তার চুক্তি করার পর আমার পক্ষ থেকে তা ভঙ্গ করা হয়েছে, এমন একটা কথা আরব জাতি শুনতে পাক তা আমি আদৌ পছন্দ করি না। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমি আপনার যিম্মাদারী ফেরত দিচ্ছি এবং আল্লাহর আশ্রয় লাভেই আমি সন্তুষ্ট। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কায় ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (মুসলিমগণকে) বললেন, আমাকে (স্বপ্নযোগে) তোমাদের হিজরতের স্থান দেখান হয়েছে। আমি খেজুর বৃক্ষে পরিপূর্ণ একটি কংকরময় স্থান দেখলাম, যা দু’টি প্রান্তরের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন এ কথা বললেন, তখন যারা হিজরত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাদের কেউ কেউ মদীনার দিকেই হিজরত করলেন। আর যারা আবিসিনিয়ায় হিজরত করছিলেন তাদের কেউ কেউ মদীনার দিকে ফিরে গেলেন। আবু বকর (রাযিঃ)-ও হিজরতের জন্য তৈরী হলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁকে বললেন, আপনি অপেক্ষা করুন। কেননা, আমি নিশ্চিতভাবে আশা করছি যে, আমাকেও হিজরতের অনুমতি দেয়া হবে। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমার পিতা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক, আপনি কি আশা করেন যে, আপনিও অনুমতি পাবেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন আবু বকর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গী হওয়ার উদ্দেশ্যে নিজেকে (আবিসিনিয়ায় হিজরত থেকে) বিরত রাখলেন এবং তাঁর নিকট যে দু’টি উট ছিল, তাদেরকে চার মাস ধরে বাবলা গাছের পাতা খাওয়াতে থাকলেন।
باب جِوَارِ أَبِي بَكْرٍ فِي عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَقْدِهِ
2297 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَأَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ لَمْ أَعْقِلْ أَبَوَيَّ قَطُّ إِلَّا وَهُمَا يَدِينَانِ الدِّينَ وَقَالَ أَبُو صَالِحٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ عَنْ يُونُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ لَمْ أَعْقِلْ أَبَوَيَّ قَطُّ إِلَّا وَهُمَا يَدِينَانِ الدِّينَ وَلَمْ يَمُرَّ عَلَيْنَا يَوْمٌ إِلَّا يَأْتِينَا فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ طَرَفَيْ النَّهَارِ بُكْرَةً وَعَشِيَّةً فَلَمَّا ابْتُلِيَ الْمُسْلِمُونَ خَرَجَ أَبُو بَكْرٍ مُهَاجِرًا قِبَلَ الْحَبَشَةِ حَتَّى إِذَا بَلَغَ بَرْكَ الْغِمَادِ لَقِيَهُ ابْنُ الدَّغِنَةِ وَهُوَ سَيِّدُ الْقَارَةِ فَقَالَ أَيْنَ تُرِيدُ يَا أَبَا بَكْرٍ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَخْرَجَنِي قَوْمِي فَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أَسِيحَ فِي الْأَرْضِ فَأَعْبُدَ رَبِّي قَالَ ابْنُ الدَّغِنَةِ إِنَّ مِثْلَكَ لَا يَخْرُجُ وَلَا يُخْرَجُ فَإِنَّكَ تَكْسِبُ الْمَعْدُومَ وَتَصِلُ الرَّحِمَ وَتَحْمِلُ الْكَلَّ وَتَقْرِي الضَّيْفَ وَتُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ وَأَنَا لَكَ جَارٌ فَارْجِعْ فَاعْبُدْ رَبَّكَ بِبِلَادِكَ فَارْتَحَلَ ابْنُ الدَّغِنَةِ فَرَجَعَ مَعَ أَبِي بَكْرٍ فَطَافَ فِي أَشْرَافِ كُفَّارِ قُرَيْشٍ فَقَالَ لَهُمْ إِنَّ أَبَا بَكْرٍ لَا يَخْرُجُ مِثْلُهُ وَلَا يُخْرَجُ أَتُخْرِجُونَ رَجُلًا يُكْسِبُ الْمَعْدُومَ وَيَصِلُ الرَّحِمَ وَيَحْمِلُ الْكَلَّ وَيَقْرِي الضَّيْفَ وَيُعِينُ عَلَى نَوَائِبِ الْحَقِّ فَأَنْفَذَتْ قُرَيْشٌ جِوَارَ ابْنِ الدَّغِنَةِ وَآمَنُوا أَبَا بَكْرٍ وَقَالُوا لِابْنِ الدَّغِنَةِ مُرْ أَبَا بَكْرٍ فَلْيَعْبُدْ رَبَّهُ فِي دَارِهِ فَلْيُصَلِّ وَلْيَقْرَأْ مَا شَاءَ وَلَا يُؤْذِينَا بِذَلِكَ وَلَا يَسْتَعْلِنْ بِهِ فَإِنَّا قَدْ خَشِينَا أَنْ يَفْتِنَ أَبْنَاءَنَا وَنِسَاءَنَا قَالَ ذَلِكَ ابْنُ الدَّغِنَةِ لِأَبِي بَكْرٍ فَطَفِقَ أَبُو بَكْرٍ يَعْبُدُ رَبَّهُ فِي دَارِهِ وَلَا يَسْتَعْلِنُ بِالصَّلَاةِ وَلَا الْقِرَاءَةِ فِي غَيْرِ دَارِهِ ثُمَّ بَدَا لِأَبِي بَكْرٍ فَابْتَنَى مَسْجِدًا بِفِنَاءِ دَارِهِ وَبَرَزَ فَكَانَ يُصَلِّي فِيهِ وَيَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَيَتَقَصَّفُ عَلَيْهِ نِسَاءُ الْمُشْرِكِينَ وَأَبْنَاؤُهُمْ يَعْجَبُونَ وَيَنْظُرُونَ إِلَيْهِ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رَجُلًا بَكَّاءً لَا يَمْلِكُ دَمْعَهُ حِينَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَأَفْزَعَ ذَلِكَ أَشْرَافَ قُرَيْشٍ مِنْ الْمُشْرِكِينَ فَأَرْسَلُوا إِلَى ابْنِ الدَّغِنَةِ فَقَدِمَ عَلَيْهِمْ فَقَالُوا لَهُ إِنَّا كُنَّا أَجَرْنَا أَبَا بَكْرٍ عَلَى أَنْ يَعْبُدَ رَبَّهُ فِي دَارِهِ وَإِنَّهُ جَاوَزَ ذَلِكَ فَابْتَنَى مَسْجِدًا بِفِنَاءِ دَارِهِ وَأَعْلَنَ الصَّلَاةَ وَالْقِرَاءَةَ وَقَدْ خَشِينَا أَنْ يَفْتِنَ أَبْنَاءَنَا وَنِسَاءَنَا فَأْتِهِ فَإِنْ أَحَبَّ أَنْ يَقْتَصِرَ عَلَى أَنْ يَعْبُدَ رَبَّهُ فِي دَارِهِ فَعَلَ وَإِنْ أَبَى إِلَّا أَنْ يُعْلِنَ ذَلِكَ فَسَلْهُ أَنْ يَرُدَّ إِلَيْكَ ذِمَّتَكَ فَإِنَّا كَرِهْنَا أَنْ نُخْفِرَكَ وَلَسْنَا مُقِرِّينَ لِأَبِي بَكْرٍ الِاسْتِعْلَانَ قَالَتْ عَائِشَةُ فَأَتَى ابْنُ الدَّغِنَةِ أَبَا بَكْرٍ فَقَالَ قَدْ عَلِمْتَ الَّذِي عَقَدْتُ لَكَ عَلَيْهِ فَإِمَّا أَنْ تَقْتَصِرَ عَلَى ذَلِكَ وَإِمَّا أَنْ تَرُدَّ إِلَيَّ ذِمَّتِي فَإِنِّي لَا أُحِبُّ أَنْ تَسْمَعَ الْعَرَبُ أَنِّي أُخْفِرْتُ فِي رَجُلٍ عَقَدْتُ لَهُ قَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنِّي أَرُدُّ إِلَيْكَ جِوَارَكَ وَأَرْضَى بِجِوَارِ اللَّهِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ بِمَكَّةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أُرِيتُ دَارَ هِجْرَتِكُمْ رَأَيْتُ سَبْخَةً ذَاتَ نَخْلٍ بَيْنَ لَابَتَيْنِ وَهُمَا الْحَرَّتَانِ فَهَاجَرَ مَنْ هَاجَرَ قِبَلَ الْمَدِينَةِ حِينَ ذَكَرَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ بَعْضُ مَنْ كَانَ هَاجَرَ إِلَى أَرْضِ الْحَبَشَةِ وَتَجَهَّزَ أَبُو بَكْرٍ مُهَاجِرًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رِسْلِكَ فَإِنِّي أَرْجُو أَنْ يُؤْذَنَ لِي قَالَ أَبُو بَكْرٍ هَلْ تَرْجُو ذَلِكَ بِأَبِي أَنْتَ قَالَ نَعَمْ فَحَبَسَ أَبُو بَكْرٍ نَفْسَهُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَصْحَبَهُ وَعَلَفَ رَاحِلَتَيْنِ كَانَتَا عِنْدَهُ وَرَقَ السَّمُرِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ
হাদীস নং: ২১৫১
আন্তর্জাতিক নং: ২২৯৮
১৪২৮. নবী (ﷺ)-এর যুগে আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) কর্তৃক (মুশরিকদের) নিরাপত্তা দান এবং তার চুক্তি সম্পাদন।
২১৫১। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট যখন কোন ঋণী ব্যক্তির জানাযা উপস্থিত করা হত তখন তিনি জিজ্ঞাসা করতেন, সে তার ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত মাল রেখে গেছে কি? যদি তাঁকে বলা হত যে, সে তার ঋণ পরিশোধের মত মাল রেখে গেছে তখন তার জানাযার নামায আদায় করতেন। নতুবা বলতেন, তোমাদের সাথীর জানাযা আদায় করে নাও। পরবর্তীতে যখন আল্লাহ তাঁর বিজয়ের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন, তখন তিনি বললেন, আমি মু’মিনদের জন্য তাদের নিজের চাইতেও অধিক নিকটবর্তী। তাই কোন মু’মিন ঋণ রেখে মারা গেলে সে ঋণ পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার। আর যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যায়, সে সম্পদ তার ওয়ারিসদের জন্য।
باب جِوَارِ أَبِي بَكْرٍ فِي عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَقْدِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُؤْتَى بِالرَّجُلِ الْمُتَوَفَّى عَلَيْهِ الدَّيْنُ فَيَسْأَلُ " هَلْ تَرَكَ لِدَيْنِهِ فَضْلاً ". فَإِنْ حُدِّثَ أَنَّهُ تَرَكَ لِدَيْنِهِ وَفَاءً صَلَّى، وَإِلاَّ قَالَ لِلْمُسْلِمِينَ " صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ ". فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْفُتُوحَ قَالَ " أَنَا أَوْلَى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنْفُسِهِمْ، فَمَنْ تُوُفِّيَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ فَتَرَكَ دَيْنًا فَعَلَىَّ قَضَاؤُهُ، وَمَنْ تَرَكَ مَالاً فَلِوَرَثَتِهِ ".