আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

২- ইলমের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬১
আন্তর্জাতিক নং: ৬২
৪৮. হাদীস পড়া ও মুহাদ্দিসের কাছে পেশ করা।
হাসান (বসরী), সাওরী এবং মালিক (রাহঃ)-এর মতে মুহাদ্দিসের সামনে পাঠ করা জায়েয। কোন কোন মুহাদ্দিস উস্তাদের সামনে পাঠ করার স্বপক্ষে যিমাম ইবনে সা‘লাবা (রাযিঃ)-এর হাদীস পেশ করেন। তিনি আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে বলেছিলেন, আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করার ব্যাপারে আল্লাহ্ কি আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন?’ তিনি বললেনঃ ‘হ্যাঁ’। রাবী বলেন, এগুলো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে পাঠ করা। যিমাম (রাযিঃ) তাঁর গোত্রের নিকট এ নির্দেশগুলো জানান এবং তাঁরা তা গ্রহণ করেন।
ইমাম মালিক (রাহঃ) তাঁর মতের সমর্থনে লিখিত দলীলকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করেন, যা লোকদের সামনে পাঠ করা হলে তারা বলে, অমুক আমাদের সাক্ষী বানিয়েছেন। শিক্ষকের সামনে পাঠ করে পাঠক বলে, অমুক আমাকে পড়িয়েছেন।
৬১। মুহাম্মাদ ইবনে সালাম (রাহঃ) ......... হাসান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উস্তাদের সামনে শাগরিদের পাঠ করাতে কোন বাধা নেই।
উবাইদুল্লাহ্ ইবনে মুসা (রাহঃ) সুফিয়ান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন যখন মুহাদ্দিসের সামনে (কোন হাদীস) পাঠ করা হয় তখন حَدَّثَنِي (তিনি আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন) বলায় কোন আপত্তি নেই।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবু আসিমকে মালিক ও সুফিয়ান (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, উস্তাদের সামনে পাঠ করা এবং উস্তাদের নিজে পাঠ করা একই পর্যায়ের।
بَاب القِرَاءَةُ وَالعَرْضُ عَلَى المُحَدِّثِ وَرَأَى الحَسَنُ، وَالثَّوْرِيُّ، وَمَالِكٌ: «القِرَاءَةَ جَائِزَةً» وَاحْتَجَّ بَعْضُهُمْ فِي القِرَاءَةِ عَلَى العَالِمِ " بِحَدِيثِ ضِمَامِ بْنِ ثَعْلَبَةَ: قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تُصَلِّيَ الصَّلَوَاتِ قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: «فَهَذِهِ قِرَاءَةٌ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَ ضِمَامٌ قَوْمَهُ بِذَلِكَ فَأَجَازُوهُ» وَاحْتَجَّ مَالِكٌ: " بِالصَّكِّ يُقْرَأُ عَلَى القَوْمِ، فَيَقُولُونَ أَشْهَدَنَا فُلاَنٌ وَيُقْرَأُ ذَلِكَ قِرَاءَةً عَلَيْهِمْ وَيُقْرَأُ عَلَى المُقْرِئِ، فَيَقُولُ القَارِئُ: أَقْرَأَنِي فُلاَنٌ "
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الحَسَنِ الوَاسِطِيُّ، عَنْ عَوْفٍ، عَنِ الحَسَنِ، قَالَ: «لاَ بَأْسَ بِالقِرَاءَةِ عَلَى العَالِمِ»
وَأَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ الفَرَبْرِيُّ، وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى عَنْ سُفْيَانَ قَالَ إِذَا قُرِئَ عَلَى الْمُحَدِّثِ فَلاَ بَأْسَ أَنْ يَقُولَ حَدَّثَنِي قَالَ وَسَمِعْتُ أَبَا عَاصِمٍ يَقُولُ عَنْ مَالِكٍ وَسُفْيَانَ الْقِرَاءَةُ عَلَى الْعَالِمِ وَقِرَاءَتُهُ سَوَاءٌ.
হাদীস নং: ৬২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৩
৪৮. হাদীস পড়া ও মুহাদ্দিসের কাছে পেশ করা।
৬২। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার আমরা রাসূল (ﷺ) এর সঙ্গে মসজিদে বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি সওয়ার অবস্থায় ঢুকল। মসজিদ (প্রাঙ্গণে) সে তার উটটি বসিয়ে বেঁধে রাখল। এরপর সাহাবীদের লক্ষ্য করে বলল, তোমাদের মধ্যে মুহাম্মাদ (ﷺ) কে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন তার সামনেই হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। আমরা বললাম, এই হেলান দিয়ে বসা ফর্সা রংের ব্যক্তিই হলেন তিনি।
তারপর লোকটি তাঁকে লক্ষ্য করে বলল, হে আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র! নবী করীম (ﷺ) তাকে বললেনঃ আমি তোমার জওয়াব দিচ্ছি। লোকটি বলল, আমি আপনাকে কিছু প্রশ্ন করব এবং সে প্রশ্ন করার ব্যাপারে কঠোর হব, এতে আপনি রাগ করবেন না। তিনি বললেন, তোমার যেমন ইচ্ছা প্রশ্ন কর। সে বলল, আমি আপনাকে আপনার রব ও আপনার পূর্ববর্তীদের রবের কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, আল্লাহ্ই কি আপনাকে সকল মানুষের প্রতি রাসূলরূপে পাঠিয়েছেন?’ তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ সাক্ষী, হ্যাঁ।
সে বলল, আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, আল্লাহ্ই কি আপনাকে দিনরাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ সাক্ষী, হ্যাঁ। সে বলল, আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, আল্লাহ্ই কি আপনাকে বছরের এ মাসে (রমযান) রোযা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ সাক্ষী, হ্যাঁ।
সে বলল, আমি আপনাকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, আল্লাহ্ই কি আপনাকে নির্দেশ দিয়েছেন, আমাদের ধনীদের থেকে সাদ্‌কা (যাকাত) উসূল করে গরীবদের মধ্যে ভাগ করে দিতে? নবী (ﷺ) বললেনঃ আল্লাহ্ সাক্ষী, হ্যাঁ। এরপর লোকটি বলল, আমি ঈমান আনলাম আপনি যা (যে শরীআত) এনেছেন তার ওপর। আর আমি আমার কওমের রেখে আসা লোকজনের পক্ষে প্রতিনিধি, আমার নাম যিমাম ইবনে সা’লাবা, বনী সা’দ ইবনে বকর গোত্রের একজন।

মুসা ও আলী ইবনে আব্দুল হামীদ (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) সূত্রেও এরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب القِرَاءَةُ وَالعَرْضُ عَلَى المُحَدِّثِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدٍ هُوَ المَقْبُرِيُّ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ: بَيْنَمَا نَحْنُ جُلُوسٌ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي المَسْجِدِ، دَخَلَ رَجُلٌ عَلَى جَمَلٍ، فَأَنَاخَهُ فِي المَسْجِدِ ثُمَّ عَقَلَهُ، ثُمَّ قَالَ لَهُمْ: أَيُّكُمْ مُحَمَّدٌ؟ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَّكِئٌ بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِمْ، فَقُلْنَا: هَذَا الرَّجُلُ الأَبْيَضُ المُتَّكِئُ. فَقَالَ لَهُ الرَّجُلُ: يَا ابْنَ عَبْدِ المُطَّلِبِ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قَدْ أَجَبْتُكَ» . فَقَالَ الرَّجُلُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنِّي سَائِلُكَ فَمُشَدِّدٌ عَلَيْكَ فِي المَسْأَلَةِ، فَلاَ تَجِدْ عَلَيَّ فِي نَفْسِكَ؟ فَقَالَ: «سَلْ عَمَّا بَدَا لَكَ» فَقَالَ: أَسْأَلُكَ بِرَبِّكَ وَرَبِّ مَنْ قَبْلَكَ، آللَّهُ أَرْسَلَكَ إِلَى النَّاسِ كُلِّهِمْ؟ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ» . قَالَ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ نُصَلِّيَ الصَّلَوَاتِ الخَمْسَ فِي اليَوْمِ وَاللَّيْلَةِ؟ قَالَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ» . قَالَ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ نَصُومَ هَذَا الشَّهْرَ مِنَ السَّنَةِ؟ قَالَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ» . قَالَ: أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ، آللَّهُ أَمَرَكَ أَنْ تَأْخُذَ هَذِهِ الصَّدَقَةَ مِنْ أَغْنِيَائِنَا فَتَقْسِمَهَا عَلَى فُقَرَائِنَا؟ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ نَعَمْ» . فَقَالَ الرَّجُلُ: آمَنْتُ بِمَا جِئْتَ بِهِ، وَأَنَا رَسُولُ مَنْ وَرَائِي مِنْ قَوْمِي، وَأَنَا ضِمَامُ بْنُ ثَعْلَبَةَ أَخُو بَنِي سَعْدِ بْنِ بَكْرٍ وَرَوَاهُ مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَعَلِيُّ بْنُ عَبْدِ الحَمِيدِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ المُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا