আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

২৬- ক্রয় - বিক্রয়ের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ২০৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ২১৯২
১৩৬০. আরিয়্যা এর ব্যাখ্যা। (ইমাম) মালিক (রাহঃ) বলেন, আরিয়্যা এর অর্থ-কোন একজন কর্তৃক কাউকে খেজুর গাছ (তার ফল খাওয়ার জন্য) দান করা। পরে ঐ ব্যক্তির বাগানে প্রবেশের কারণে সে বিরক্তিবোধ করে, ফলে তাকে অনুমতি দেওয়া হয় যে, সে শুকনা ফলের বিনিময়ে গাছগুলো (এর ফল) ঐ ব্যক্তির নিকট থেকে খরিদ করে নিবে।১ মুহাম্মাদ ইবনে ইদরীস (ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) বলেন শুকনা খেজুর এর বিক্রি নগদ নগদ এবং মাপের মাধ্যমে হবে, অনুমানে হবে না। (ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন) ইমাম শাফিঈ (রাহঃ) এর মতের সমর্থন পাওয়া যায় সাহল ইবনে আবু হাসমা (রাযিঃ) এর এ উক্তির দ্বারা بِالأَوْسُقِ الْمُوَسَّقَةِ সুনির্দিষ্ট মাপের মাধ্যমে। ইবনে ইসহাক (রাহঃ), নাফি’ (রাহঃ) এর সূত্রে ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, মালিক কর্তৃক তার বাগান থেকে একটি বা দু’টি খেজুর গাছ দান করাকে আরায়্যা বলা হয়। সুফিয়ান ইবনে হুসাইন (রাহঃ) ইয়াযীদ (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আরায়্যা হলো কিছু সংখ্যক খেজুর গাছ, গরীব-মিসকিনদের দান করা হত, কিন্তু তারা খেজুর পাকা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারত না বিধায় তাদের অনুমতি দেওয়া হত যে, তারা যে পরিমাণ খেজুরের ইচ্ছা, তা বিক্রি করে দিবে।
২০৫৪. মুহাম্মাদ ইবনে মুকাতিল (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আরায়্যার ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছেন যে, ওযন করা খেজুরের বদলে গাছের অনুমানকৃত খেজুর বিক্রি করা যেতে পারে। মুসা ইবনে উকবা (রাহঃ) বলেন, আরায়্যা বলা হয়, বাগানে এসে কতকগুলো নির্দিষ্ট গাছের খেজুর (শুকনা খেজুরের বদলে) খরিদ করে নেয়া।
باب تَفْسِيرِ الْعَرَايَا وَقَالَ مَالِكٌ الْعَرِيَّةُ أَنْ يُعْرِيَ الرَّجُلُ الرَّجُلَ النَّخْلَةَ، ثُمَّ يَتَأَذَّى بِدُخُولِهِ عَلَيْهِ، فَرُخِّصَ لَهُ أَنْ يَشْتَرِيَهَا مِنْهُ بِتَمْرٍ. وَقَالَ ابْنُ إِدْرِيسَ الْعَرِيَّةُ لاَ تَكُونُ إِلاَّ بِالْكَيْلِ مِنَ التَّمْرِ يَدًا بِيَدٍ، لاَ يَكُونُ بِالْجِزَافِ. وَمِمَّا يُقَوِّيهِ قَوْلُ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ بِالأَوْسُقِ الْمُوَسَّقَةِ. وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ فِي حَدِيثِهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا كَانَتِ الْعَرَايَا أَنْ يُعْرِيَ الرَّجُلُ فِي مَالِهِ النَّخْلَةَ وَالنَّخْلَتَيْنِ. وَقَالَ يَزِيدُ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ حُسَيْنٍ الْعَرَايَا نَخْلٌ كَانَتْ تُوهَبُ لِلْمَسَاكِينِ، فَلاَ يَسْتَطِيعُونَ أَنْ يَنْتَظِرُوا بِهَا، رُخِّصَ لَهُمْ أَنْ يَبِيعُوهَا بِمَا شَاءُوا مِنَ التَّمْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ ـ رضى الله عنهم ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَخَّصَ فِي الْعَرَايَا أَنْ تُبَاعَ بِخَرْصِهَا كَيْلاً. قَالَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ وَالْعَرَايَا نَخَلاَتٌ مَعْلُومَاتٌ تَأْتِيهَا فَتَشْتَرِيهَا.