আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২৪- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৫ টি
হাদীস নং: ১৮৮২
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৮
১২৫২. রমযান মাসে রাতের ইবাদতের (তারাবী, কিয়ামুল লাইল ও তাহাজ্জুদ) ফযীলত
১৮৮২। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে রমযান সম্পর্কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব লাভের আশায় কিয়ামে রমযান অর্থ্যাৎ তারাবীহর নামায আদায় করবে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।
باب فَضْلِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ (نــــ كِتَابُ صَلاَةِ التَّرَاوِيحِ بَابُ فَضْلِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ*)
2008 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لِرَمَضَانَ: «مَنْ قَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»*
*قال في فتح الباري (4/ 250):
(كتاب صلاة التراويح) كذا في رواية المستملي وحده وسقط هو والبسملة من رواية غيره والتراويح جمع ترويحة وهي المرة الواحدة من الراحة كتسليمة من السلام سميت الصلاة في الجماعة في ليالي رمضان التراويح لأنهم أول ما اجتمعوا عليها كانوا يستريحون بين كل تسليمتين.
*قال في فتح الباري (4/ 250):
(كتاب صلاة التراويح) كذا في رواية المستملي وحده وسقط هو والبسملة من رواية غيره والتراويح جمع ترويحة وهي المرة الواحدة من الراحة كتسليمة من السلام سميت الصلاة في الجماعة في ليالي رمضان التراويح لأنهم أول ما اجتمعوا عليها كانوا يستريحون بين كل تسليمتين.
হাদীস নং: ১৮৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ২০০৯ - ২০১০
১২৫২. রমযান মাসে রাতের ইবাদতের (তারাবী, কিয়ামুল লাইল ও তাহাজ্জুদ) ফযীলত
১৮৮৩। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব লাভের আশায় তারাবীর নামাযে দাঁড়াবে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে।
হাদীসের রাবী ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তিকাল করেন এবং তারাবীর ব্যাপারটি এভাবেই চালু ছিল। এমনকি আবু বকর (রাযিঃ) এর খিলাফতকালে ও উমর (রাযিঃ) এর খিলাফতের প্রথম ভাগে এরূপই ছিল।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) সূত্রে আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল ক্বারী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রমযানের এক রাতে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) এর সঙ্গে মসজিদে নববীতে গিয়ে দেখতে পাই যে, লোকেরা বিক্ষিপ্ত জামাআতে বিভক্ত। কেউ একাকী নামায আদায় করছে আবার কোন ব্যক্তি নামায আদায় করছে এবং তার ইক্তিদা করে একদল লোক নামায আদায় করছে। উমর (রাযিঃ) বললেন, আমি মনে করি যে, এই লোকদের যদি আমি একজন ক্বারীর (ইমামের) পিছনে একত্রিত করে দেই, তবে তা উত্তম হবে। এরপর তিনি উবাই ইবনে কা‘ব (রাযিঃ) এর পিছনে সকলকে একত্রিত করে দিলেন। পরে আর এক রাতে আমি তাঁর [উমর (রাযিঃ)] সঙ্গে বের হই। তখন লোকেরা তাদের ইমামের সাথে নামায আদায় করছিল। উমর (রাযিঃ) বললেন, কত না সুন্দর এই নতুন ব্যবস্থা! তোমরা রাতের যে অংশে ঘুমিয়ে থাক, তা রাতের ঐ অংশ অপেক্ষা উত্তম যে অংশে তোমরা নামায আদায় কর, এর দ্বারা তিনি শেষ রাত বুঝিয়েছেন, কেননা তখন রাতের প্রথমভাগে লোকেরা নামায আদায় করত।
হাদীসের রাবী ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তিকাল করেন এবং তারাবীর ব্যাপারটি এভাবেই চালু ছিল। এমনকি আবু বকর (রাযিঃ) এর খিলাফতকালে ও উমর (রাযিঃ) এর খিলাফতের প্রথম ভাগে এরূপই ছিল।
ইবনে শিহাব (রাহঃ) উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) সূত্রে আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল ক্বারী (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রমযানের এক রাতে উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) এর সঙ্গে মসজিদে নববীতে গিয়ে দেখতে পাই যে, লোকেরা বিক্ষিপ্ত জামাআতে বিভক্ত। কেউ একাকী নামায আদায় করছে আবার কোন ব্যক্তি নামায আদায় করছে এবং তার ইক্তিদা করে একদল লোক নামায আদায় করছে। উমর (রাযিঃ) বললেন, আমি মনে করি যে, এই লোকদের যদি আমি একজন ক্বারীর (ইমামের) পিছনে একত্রিত করে দেই, তবে তা উত্তম হবে। এরপর তিনি উবাই ইবনে কা‘ব (রাযিঃ) এর পিছনে সকলকে একত্রিত করে দিলেন। পরে আর এক রাতে আমি তাঁর [উমর (রাযিঃ)] সঙ্গে বের হই। তখন লোকেরা তাদের ইমামের সাথে নামায আদায় করছিল। উমর (রাযিঃ) বললেন, কত না সুন্দর এই নতুন ব্যবস্থা! তোমরা রাতের যে অংশে ঘুমিয়ে থাক, তা রাতের ঐ অংশ অপেক্ষা উত্তম যে অংশে তোমরা নামায আদায় কর, এর দ্বারা তিনি শেষ রাত বুঝিয়েছেন, কেননা তখন রাতের প্রথমভাগে লোকেরা নামায আদায় করত।
باب فَضْلِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ (نــــ كِتَابُ صَلاَةِ التَّرَاوِيحِ بَابُ فَضْلِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ*)
2009 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ» ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ كَانَ الأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ فِي خِلاَفَةِ أَبِي بَكْرٍ، وَصَدْرًا مِنْ [ص:45] خِلاَفَةِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا
2010 - وَعَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ القَارِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَيْلَةً فِي رَمَضَانَ إِلَى المَسْجِدِ، فَإِذَا النَّاسُ أَوْزَاعٌ مُتَفَرِّقُونَ، يُصَلِّي الرَّجُلُ لِنَفْسِهِ، وَيُصَلِّي الرَّجُلُ فَيُصَلِّي بِصَلاَتِهِ الرَّهْطُ، فَقَالَ عُمَرُ: «إِنِّي أَرَى لَوْ جَمَعْتُ هَؤُلاَءِ عَلَى قَارِئٍ وَاحِدٍ، لَكَانَ أَمْثَلَ» ثُمَّ عَزَمَ، فَجَمَعَهُمْ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، ثُمَّ خَرَجْتُ مَعَهُ لَيْلَةً أُخْرَى، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ قَارِئِهِمْ، قَالَ عُمَرُ: «نِعْمَ البِدْعَةُ هَذِهِ، وَالَّتِي يَنَامُونَ عَنْهَا أَفْضَلُ مِنَ الَّتِي يَقُومُونَ» يُرِيدُ آخِرَ اللَّيْلِ وَكَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ أَوَّلَهُ
2010 - وَعَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدٍ القَارِيِّ، أَنَّهُ قَالَ: خَرَجْتُ مَعَ عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، لَيْلَةً فِي رَمَضَانَ إِلَى المَسْجِدِ، فَإِذَا النَّاسُ أَوْزَاعٌ مُتَفَرِّقُونَ، يُصَلِّي الرَّجُلُ لِنَفْسِهِ، وَيُصَلِّي الرَّجُلُ فَيُصَلِّي بِصَلاَتِهِ الرَّهْطُ، فَقَالَ عُمَرُ: «إِنِّي أَرَى لَوْ جَمَعْتُ هَؤُلاَءِ عَلَى قَارِئٍ وَاحِدٍ، لَكَانَ أَمْثَلَ» ثُمَّ عَزَمَ، فَجَمَعَهُمْ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، ثُمَّ خَرَجْتُ مَعَهُ لَيْلَةً أُخْرَى، وَالنَّاسُ يُصَلُّونَ بِصَلاَةِ قَارِئِهِمْ، قَالَ عُمَرُ: «نِعْمَ البِدْعَةُ هَذِهِ، وَالَّتِي يَنَامُونَ عَنْهَا أَفْضَلُ مِنَ الَّتِي يَقُومُونَ» يُرِيدُ آخِرَ اللَّيْلِ وَكَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ أَوَّلَهُ
হাদীস নং: ১৮৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ২০১১
১২৫২. রমযান মাসে রাতের ইবাদতের (তারাবী, কিয়ামুল লাইল ও তাহাজ্জুদ) ফযীলত
১৮৮৪। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... নবী সহধর্মিণী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নামায আদায় করেন এবং তা ছিল রমযানে।
باب فَضْلِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ (نــــ كِتَابُ صَلاَةِ التَّرَاوِيحِ بَابُ فَضْلِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ*)
2011 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى وَذَلِكَ فِي رَمَضَانَ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ২০১২
১২৫২. রমযান মাসে রাতের ইবাদতের (তারাবী, কিয়ামুল লাইল ও তাহাজ্জুদ) ফযীলত
১৮৮৫। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গভীর রাতে বের হয়ে মসজিদে নামায আদায় করেন, কিছু সংখ্যক পুরুষ তাঁর পিছনে নামায আদায় করেন। সকালে তারা এ সম্পর্কে আলোচনা করেন, ফলে লোকেরা অধিক সংখ্যায় সমবেত হন। তিনি নামায আদায় করেন এবং লোকেরা তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করেন। সকালে তাঁরা এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। তৃতীয় রাতে মসজিদে মুসল্লীর সংখ্যা আরো বেড়ে যায়। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বের হয়ে নামায আদায় করেন ও লোকেরা তাঁর সঙ্গে নামায আদায় করেন। চতুর্থ রাতে মসজিদে মুসল্লীর সংকুলান হল না। কিন্তু তিনি রাতে আর বের না হয়ে ফজরের নামাযে বেরিয়ে আসলেন এবং নামায শেষে লোকদের দিকে ফিরে প্রথমে তাওহীদ ও রিসালাতের সাক্ষ্য দেওয়ার পর বললেনঃ শোন! তোমাদের (গতরাতের) অবস্থান আমার অজানা ছিল না, কিন্তু আমি এই নামায তোমাদের উপর ফরয হয়ে যাবার আশঙ্কা করছি (বিধায় বের হই নাই)। কেননা তোমরা তা আদায় করায় অপারগ হয়ে পড়তে। রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর ওফাত হল আর ব্যাপারটি এভাবেই থেকে যায়।
باب فَضْلِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ (نــــ كِتَابُ صَلاَةِ التَّرَاوِيحِ بَابُ فَضْلِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ*)
2012 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ، أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَخْبَرَتْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ لَيْلَةً مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ، فَصَلَّى فِي المَسْجِدِ، وَصَلَّى رِجَالٌ بِصَلاَتِهِ، فَأَصْبَحَ النَّاسُ فَتَحَدَّثُوا، فَاجْتَمَعَ أَكْثَرُ مِنْهُمْ فَصَلَّى فَصَلَّوْا مَعَهُ، فَأَصْبَحَ النَّاسُ فَتَحَدَّثُوا، فَكَثُرَ أَهْلُ المَسْجِدِ مِنَ اللَّيْلَةِ الثَّالِثَةِ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى فَصَلَّوْا بِصَلاَتِهِ، فَلَمَّا كَانَتِ اللَّيْلَةُ الرَّابِعَةُ عَجَزَ المَسْجِدُ عَنْ أَهْلِهِ، حَتَّى خَرَجَ لِصَلاَةِ الصُّبْحِ، فَلَمَّا قَضَى الفَجْرَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ، فَتَشَهَّدَ، ثُمَّ قَالَ: «أَمَّا بَعْدُ، فَإِنَّهُ لَمْ يَخْفَ عَلَيَّ مَكَانُكُمْ، وَلَكِنِّي خَشِيتُ أَنْ تُفْتَرَضَ عَلَيْكُمْ، فَتَعْجِزُوا عَنْهَا» ، فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ২০১৩
১২৫২. রমযান মাসে রাতের ইবাদতের (তারাবী, কিয়ামুল লাইল ও তাহাজ্জুদ) ফযীলত
১৮৮৬। ইসমা‘ঈল (রাহঃ) ......... আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি আায়িশা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন যে, রমযানে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায কিরূপ ছিল? তিনি বললেন, রমযান মাসে ও রমযান ছাড়া অন্য সময়ে (রাতে) তিনি এগারো রাকআত হতে বৃদ্ধি করতেন না। তিনি চার রাকআত নামায আদায় করতেন, সে চার রাকআতের সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য ছিল প্রশ্নাতীত। এরপর চার রাকআত নামায আদায় করতেন, সে চার রাকআতের সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য ছিল প্রশ্নাতীত। এরপর তিন রাকআত নামায আদায় করতেন।
আমি [আয়িশা (রাযিঃ)] বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি বিতর আদায়ের আগে ঘুমিয়ে যাবেন? তিনি বললেনঃ হে আয়িশা! আমার দু’চোখ ঘুমায় বটে কিন্তু আমার কলব নিদ্রাভিভূত হয় না।
আমি [আয়িশা (রাযিঃ)] বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি বিতর আদায়ের আগে ঘুমিয়ে যাবেন? তিনি বললেনঃ হে আয়িশা! আমার দু’চোখ ঘুমায় বটে কিন্তু আমার কলব নিদ্রাভিভূত হয় না।
باب فَضْلِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ (نــــ كِتَابُ صَلاَةِ التَّرَاوِيحِ بَابُ فَضْلِ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ*)
2013 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ سَعِيدٍ المَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي رَمَضَانَ؟ فَقَالَتْ: «مَا كَانَ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلاَ فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً، يُصَلِّي أَرْبَعًا، فَلاَ تَسَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي أَرْبَعًا، فَلاَ تَسَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُولِهِنَّ، ثُمَّ يُصَلِّي ثَلاَثًا»
فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ؟ قَالَ: «يَا عَائِشَةُ، إِنَّ عَيْنَيَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي»
فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَتَنَامُ قَبْلَ أَنْ تُوتِرَ؟ قَالَ: «يَا عَائِشَةُ، إِنَّ عَيْنَيَّ تَنَامَانِ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي»