আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

২৪- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৮০৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩০
১২০৮. রোযা পালনকারীর গোসল করা।
রোযারত অবস্থায় ইবনে উমর (রাযিঃ) একটি কাপড় ভিজালেন, এরপর তা গায়ে দেওয়া হলো।
রোযারত অবস্থায় শা’বী (রাহঃ) গোসলখানায় প্রবেশ করেছেন।
ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, হাঁড়ি থেকে কিছু বা অন্য জিনিস চেটে স্বাদ দেখায় কোন দোষ নেই।
হাসান (রাহঃ) বলেন, রোযা পালনকারীর কুলি করা এবং ঠাণ্ডা লাগান দূষণীয় নয়।
ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, তোমাদের কেউ রোযা পালন করলে সে যেন সকালে তেল লাগায় এবং চুল আঁচড়িয়ে নেয়।
আনাস (রাযিঃ) বলেন, আমার একটি হাউজ আছে, আমি রোযাদার অবস্থায় তাতে প্রবেশ করি।
নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রোযাদার অবস্থায় মিসওয়াক করতেন।
ইবনে উমর (রাযিঃ) রোযাদার অবস্থায় দিনের প্রথমভাগে এবং শেষভাগে মিসওয়াক করতেন।
আতা (রাহঃ) বলেন, থুথু গিলে ফেললে রোযা ভঙ্গ হয়েছে বলা যায় না।
ইবনে সীরীন (রাহঃ) বলেন, কাঁচা মিসওয়াক ব্যবহারে কোন দোষ নেই। প্রশ্ন করা হল, কাঁচা মিসওয়াকের তো স্বাদ রয়েছে? তিনি বললেন, পানিরও তো স্বাদ রয়েছে, অথচ এ পানি দিয়েই তুমি কুলি কর।
আনাস (রাযিঃ), হাসান (রাহঃ) এবং ইবরাহীম (রাহঃ) রোযাদারের সুরমা ব্যবহারে কোন দোষ মনে করতেন না।
১৮০৭। আহমদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমজান মাসে নবী (ﷺ) এর ভোর হত ইহতিলাম ব্যতীত (জুনুবী অবস্থায়)। তখন তিনি গোসল করতেন এবং রোযা পালন করতেন।
بَابُ اغْتِسَالِ الصَّائِمِ وَبَلَّ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا ثَوْبًا، فَأَلْقَاهُ عَلَيْهِ وَهُوَ صَائِمٌ وَدَخَلَ الشَّعْبِيُّ الحَمَّامَ وَهُوَ صَائِمٌ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: " لاَ بَأْسَ أَنْ يَتَطَعَّمَ القِدْرَ أَوِ الشَّيْءَ وَقَالَ الحَسَنُ: " لاَ بَأْسَ بِالْمَضْمَضَةِ، وَالتَّبَرُّدِ لِلصَّائِمِ وَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: " إِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ، فَلْيُصْبِحْ دَهِينًا مُتَرَجِّلًا وَقَالَ أَنَسٌ: إِنَّ لِي أَبْزَنَ أَتَقَحَّمُ فِيهِ، وَأَنَا صَائِمٌ وَيُذْكَرُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ اسْتَاكَ وَهُوَ صَائِمٌ وَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: يَسْتَاكُ أَوَّلَ النَّهَارِ، وَآخِرَهُ، وَلاَ يَبْلَعُ رِيقَهُ وَقَالَ عَطَاءٌ: «إِنِ ازْدَرَدَ رِيقَهُ لاَ أَقُولُ يُفْطِرُ» [ص:31] وَقَالَ ابْنُ سِيرِينَ: «لاَ بَأْسَ بِالسِّوَاكِ الرَّطْبِ» قِيلَ: لَهُ طَعْمٌ؟ قَالَ: «وَالمَاءُ لَهُ طَعْمٌ وَأَنْتَ تُمَضْمِضُ بِهِ» وَلَمْ يَرَ أَنَسٌ، وَالحَسَنُ، وَإِبْرَاهِيمُ بِالكُحْلِ لِلصَّائِمِ بَأْسًا
1930 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ، وَأَبِي بَكْرٍ، قَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «يُدْرِكُهُ الفَجْرُ فِي رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ حُلْمٍ، فَيَغْتَسِلُ وَيَصُومُ»
হাদীস নং: ১৮০৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৩১ - ১৯৩২
১২০৮. রোযা পালনকারীর গোসল করা।
১৮০৮। ইসমা‘ঈল (রাহঃ) ......... আবু বকর ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সঙ্গে রওয়ানা হয়ে আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট পৌছলাম। তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি, তিনি ইহতিলাম ছাড়া স্ত্রী সহবাসের কারণে জুনুবী অবস্থায় সকাল পর্যন্ত থেকেছেন এবং এরপর রোযা পালন করেছেন। তারপর আমরা উম্মে সালামা (রাযিঃ) এর নিকট গেলাম। তিনিও অনুরূপ কথাই বললেন।
আবু জা‘ফর বলেন, আব্দুল্লাহ (রাহঃ) কে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোনো ব্যক্তি রোযা ভঙ্গ করলে সে কি স্ত্রী সহবাসকারীর মত কাফফারা আদায় করবে? তিনি বললেন, না; তুমি কি সে হাদীসগুলো সম্পর্কে জান না ?যাতে বর্ণিত আছে যে, যুগ যুগ ধরে রোযা পালন করলেও তার কাযা আদায় হবে না।
بَابُ اغْتِسَالِ الصَّائِمِ
1931 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ سُمَيٍّ، مَوْلَى أَبِي بَكْرِ بنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بنِ الحَارِثِ بْنِ هِشَامِ بْنِ المُغِيرَةِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، كُنْتُ أَنَا وَأَبِي فَذَهَبْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: «أَشْهَدُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ كَانَ لَيُصْبِحُ جُنُبًا مِنْ جِمَاعٍ غَيْرِ احْتِلاَمٍ، ثُمَّ يَصُومُهُ» ،
1932 - ثُمَّ دَخَلْنَا عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ: مِثْلَ ذَلِكَ