আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ১৬৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫৭
১১০৫. তাওয়াফে যিয়ারতের পর যদি কোন মহিলার হায়েয আসে
১৬৪৬। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) এর সহধর্মিণী সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাযিঃ) হায়েযা হলেন এবং পরে এ কথাটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে অবগত করানো হয়। তখন তিনি বললেনঃ সে কি আমাদের আটকিয়ে রাখবে? তারা বললেন, তিনি তাওয়াফে যিয়ারত সমাধা করে নিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তাহলে তো আর বাধা নেই।
باب إِذَا حَاضَتِ الْمَرْأَةُ بَعْدَ مَا أَفَاضَتْ
1757 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ [ص:180]، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ القَاسِمِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ - زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَاضَتْ، فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: «أَحَابِسَتُنَا هِيَ» قَالُوا: إِنَّهَا قَدْ أَفَاضَتْ قَالَ: «فَلاَ إِذًا»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৪৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৫৮ - ১৭৫৯
১১০৫. তাওয়াফে যিয়ারতের পর যদি কোন মহিলার হায়েয আসে
১৬৪৭। আবু নু’মান (রাহঃ) ......... ইকরিমা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তাওয়াফে যিয়ারতের পর হায়য এসেছে এমন মহিলা সম্পর্কে মদীনাবাসী ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি তাদের বললেন, সে রওয়ানা হয়ে যাবে। তারা বললেন, আমরা আপনার কথা গ্রহণ করব না এবং যায়দের কথাও বর্জন করব না। তিনি বললেন, তোমরা মদীনায় ফিরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করে নেবে। তাঁরা মদীনায় এসে জিজ্ঞাসা করলেন। যাঁদের কাছে তাঁরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন তাঁদের মধ্যে উম্মে সুলাইম (রাযিঃ)-ও ছিলেন। তিনি তাঁদের সাফিয়্যা (উম্মুল মু’মিনীন) (রাযিঃ) এর ঘটনাটি বর্ণনা করলেন।
হাদীসটি খালিদ ও কাতাদা (রাহঃ) ইকরিমা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন।
হাদীসটি খালিদ ও কাতাদা (রাহঃ) ইকরিমা (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন।
باب إِذَا حَاضَتِ الْمَرْأَةُ بَعْدَ مَا أَفَاضَتْ
1758-59 - حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، أَنَّ أَهْلَ المَدِينَةِ سَأَلُوا ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنِ امْرَأَةٍ طَافَتْ ثُمَّ حَاضَتْ، قَالَ لَهُمْ: تَنْفِرُ، قَالُوا: لاَ نَأْخُذُ بِقَوْلِكَ وَنَدَعُ قَوْلَ زَيْدٍ قَالَ: إِذَا قَدِمْتُمُ المَدِينَةَ فَسَلُوا، فَقَدِمُوا المَدِينَةَ، فَسَأَلُوا، فَكَانَ فِيمَنْ سَأَلُوا أُمُّ سُلَيْمٍ، فَذَكَرَتْ حَدِيثَ صَفِيَّةَ رَوَاهُ خَالِدٌ، وَقَتَادَةُ، عَنْ عِكْرِمَةَ

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬০ - ১৭৬১
১১০৫. তাওয়াফে যিয়ারতের পর যদি কোন মহিলার হায়েয আসে
১৬৪৮। মুসলিম (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তাওয়াফে যিয়ারত আদায় করার পর ঋতুবতী মহিলাকে রওয়ানা হয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, সে মহিলা রওয়ানা হতে পারবে না। পরবর্তীতে তাঁকে এ কথাও বলতে শুনেছি যে নবী (ﷺ) তাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন।
বর্ণনাকারী বলেন, আমি ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, সে মহিলা রওয়ানা হতে পারবে না। পরবর্তীতে তাঁকে এ কথাও বলতে শুনেছি যে নবী (ﷺ) তাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন।
باب إِذَا حَاضَتِ الْمَرْأَةُ بَعْدَ مَا أَفَاضَتْ
1760 - حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «رُخِّصَ لِلْحَائِضِ أَنْ تَنْفِرَ إِذَا أَفَاضَتْ»
1761 - قَالَ: وَسَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ: إِنَّهَا لاَ تَنْفِرُ، ثُمَّ سَمِعْتُهُ يَقُولُ: بَعْدُ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «رَخَّصَ لَهُنَّ»
1761 - قَالَ: وَسَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ يَقُولُ: إِنَّهَا لاَ تَنْفِرُ، ثُمَّ سَمِعْتُهُ يَقُولُ: بَعْدُ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «رَخَّصَ لَهُنَّ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৬২
১১০৫. তাওয়াফে যিয়ারতের পর যদি কোন মহিলার হায়েয আসে
১৬৪৯। আবু নু’মান (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে বের হলাম। হজ্জই ছিল আমাদের উদ্দেশ্য। নবী (ﷺ) মক্কায় পৌছে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা ও মারওয়ার সা’য়ী করলেন। তবে ইহরাম ফেলেননি। তাঁর সঙ্গে কুরবানীর জানোয়ার ছিল। তাঁর সহধর্মিণী ও সাহাবীগণের মধ্যে যারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁরাও তাওয়াফ করলেন। তবে যাদের সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল না, তাঁরা হালাল হয়ে গেলেন। এরপর আয়িশা (রাযিঃ) ঋতুবতী হয়ে পড়লেও (বর্ণনাকারী বলেন) আমরা হজ্জের সমুদয় হুমুম-আহকাম আদায় করলাম। এরপর যখন লায়লাতুল-হাসবা অর্থাৎ রওয়ানা হওয়ার রাত হল, তখন তিনি বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি ব্যতীত আপনার সকল সাহাবী তো হজ্জ ও উমরা করে ফিরছেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমরা যে রাতে এসেছি সে রাতে তুমি কি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করনি? আমি বললাম, না। তারপর তিনি বললেনঃ তুমি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে তানঈম (নামক স্থানে) চলে যাও এবং সেখান থেকে উমরার ইহরাম বেঁধে নাও। আর অমুক অমুক স্থানে তোমার সঙ্গে সাক্ষাতের ওয়াদা থাকল। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি আব্দুর রহমান (রাযিঃ) এর সঙ্গে তানঈমের দিকে গেলাম এবং উমরার ইহরাম বাঁধলাম। আর সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাযিঃ)-এর ঋতু দেখা দিল। নবী (ﷺ) তা শুনে বিরক্ত হয়ে বলেনঃ তুমি তো আমাদেরকে আটকিয়ে ফেললে। তুমি কি কুরবানীর দিন তাওয়াফ করেছিলে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। নবী (ﷺ) বললেনঃ তাহলে কোন বাধা নেই, রওয়ানা হও।
[আয়িশা (রাযিঃ) বলেন] আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে মিলিত হলাম। এমতাবস্থায় যে, তিনি মক্কার উপরের দিকে উঠছিলেন, আর আমি নীচের দিকে নামছিলাম। অথবা আমি উঠছিলাম আর তিনি নামছিলেন। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) এর বর্ণনায় এ হাদীসে (হ্যাঁ) এর পরিবর্তে ‘লা’ (না) রয়েছে। রাবী জারীর (রাহঃ) মনসূর (রাহঃ) থেকে এ হাদীস বর্ণনায় মুসাদ্দাদ (রাহঃ) এর অনুরূপ ‘লা’ (না) বর্ণনা করেছেন।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ আমরা যে রাতে এসেছি সে রাতে তুমি কি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করনি? আমি বললাম, না। তারপর তিনি বললেনঃ তুমি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে তানঈম (নামক স্থানে) চলে যাও এবং সেখান থেকে উমরার ইহরাম বেঁধে নাও। আর অমুক অমুক স্থানে তোমার সঙ্গে সাক্ষাতের ওয়াদা থাকল। আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, এরপর আমি আব্দুর রহমান (রাযিঃ) এর সঙ্গে তানঈমের দিকে গেলাম এবং উমরার ইহরাম বাঁধলাম। আর সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাযিঃ)-এর ঋতু দেখা দিল। নবী (ﷺ) তা শুনে বিরক্ত হয়ে বলেনঃ তুমি তো আমাদেরকে আটকিয়ে ফেললে। তুমি কি কুরবানীর দিন তাওয়াফ করেছিলে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। নবী (ﷺ) বললেনঃ তাহলে কোন বাধা নেই, রওয়ানা হও।
[আয়িশা (রাযিঃ) বলেন] আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে মিলিত হলাম। এমতাবস্থায় যে, তিনি মক্কার উপরের দিকে উঠছিলেন, আর আমি নীচের দিকে নামছিলাম। অথবা আমি উঠছিলাম আর তিনি নামছিলেন। মুসাদ্দাদ (রাহঃ) এর বর্ণনায় এ হাদীসে (হ্যাঁ) এর পরিবর্তে ‘লা’ (না) রয়েছে। রাবী জারীর (রাহঃ) মনসূর (রাহঃ) থেকে এ হাদীস বর্ণনায় মুসাদ্দাদ (রাহঃ) এর অনুরূপ ‘লা’ (না) বর্ণনা করেছেন।
باب إِذَا حَاضَتِ الْمَرْأَةُ بَعْدَ مَا أَفَاضَتْ
1762 - حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلاَ نَرَى إِلَّا الحَجَّ، فَقَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَطَافَ بِالْبَيْتِ، وَبَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ وَلَمْ يَحِلَّ، وَكَانَ مَعَهُ الهَدْيُ، فَطَافَ مَنْ كَانَ مَعَهُ مِنْ نِسَائِهِ وَأَصْحَابِهِ، وَحَلَّ مِنْهُمْ مَنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ الهَدْيُ، فَحَاضَتْ هِيَ، فَنَسَكْنَا مَنَاسِكَنَا مِنْ حَجِّنَا، فَلَمَّا كَانَ لَيْلَةَ الحَصْبَةِ، لَيْلَةُ النَّفْرِ، قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كُلُّ أَصْحَابِكَ يَرْجِعُ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ غَيْرِي، قَالَ: «مَا كُنْتِ تَطُوفِينَ بِالْبَيْتِ لَيَالِيَ قَدِمْنَا» قُلْتُ: لاَ، قَالَ: «فَاخْرُجِي مَعَ أَخِيكِ إِلَى التَّنْعِيمِ، فَأَهِلِّي بِعُمْرَةٍ، وَمَوْعِدُكِ مَكَانَ كَذَا وَكَذَا» . فَخَرَجْتُ مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِلَى التَّنْعِيمِ، فَأَهْلَلْتُ بِعُمْرَةٍ، وَحَاضَتْ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَقْرَى حَلْقَى، إِنَّكِ لَحَابِسَتُنَا، أَمَا كُنْتِ طُفْتِ يَوْمَ النَّحْرِ؟» قَالَتْ: بَلَى، قَالَ: «فَلاَ بَأْسَ انْفِرِي» فَلَقِيتُهُ مُصْعِدًا عَلَى أَهْلِ مَكَّةَ، وَأَنَا مُنْهَبِطَةٌ، أَوْ أَنَا مُصْعِدَةٌ وَهُوَ مُنْهَبِطٌ، وَقَالَ مُسَدَّدٌ: قُلْتُ: لاَ، تَابَعَهُ جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ فِي قَوْلِهِ: لاَ

তাহকীক: