আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

২১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১৫৮৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৯১ - ১৬৯২
১০৬৫. যে ব্যক্তি কুরবানীর জানোয়ার সঙ্গে নিয়ে যায়
১৫৮৫। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হজ্জের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জ ও উমরা একসাথে পালন করেছেন। তিনি হাদী পাঠান অর্থাৎ যুল হুলাইফা থেকে কুরবানীর জানোয়ার সাথে নিয়ে নেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) প্রথমে উমরার ইহরাম বাঁধেন, এরপর হজ্জের ইহরাম বাঁধেন। সাহাবীগণ তাঁর সঙ্গে উমরা ও হজ্জের নিয়াতে তামাত্তু করলেন। সাহাবীগণের কতেক হাদী সাথে নিয়ে চললেন, আর কেউ কেউ হাদী সাথে নেন নি। এরপর নবী (ﷺ) মক্কা পৌঁছে সাহাবীগণকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ তোমাদের মধ্যে যারা হাদী সাথে নিয়ে এসেছ, তাঁদের জন্য হজ্জ সমাপ্ত করা পর্যন্ত কোন নিষিদ্ধ জিনিস হালাল হবে না। আর তোমাদের মধ্যে যারা হাদী সাথে নিয়ে আসনি, তাঁরা বায়তুল্লাহর এবং সাফা-মারওয়ার তাওয়াফ করে চুল কেটে হালাল হয়ে যাবে। এরপর হজ্জের ইহরাম বাধবে। তবে যারা কুরবানী করতে পারবে না তাঁরা হজ্জের সময় তিনদিন এবং বাড়িতে ফিরে গিয়ে সাতদিন রোযা পালন করবে। নবী (ﷺ) মক্কা পৌঁছেই তাওয়াফ করলেন। প্রথমে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করলেন এবং তিন চক্কর রমল করে আর চার চক্কর স্বাভাবিকভাবে হেঁটে তাওয়াফ করলেন। বায়তুল্লাহর তাওয়াফ সম্পন্ন করে তিনি মাকামে ইবরাহীমের নিকট দু’ রাক’আত নামায আদায় করলেন, সালাম ফিরিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাফায় আসলেন এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে সাত চক্কর সা’ঈ করলেন। হজ্জ সমাধা করা পর্যন্ত তিনি যা কিছু হারাম ছিল তা থেকে হালাল হননি। তিনি কুরবানীর দিনে হাদী কুরবানী করলেন, সেখান থেকে এসে তিনি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করলেন। তারপর তাঁর উপর যা হারাম ছিল সে সবকিছু থেকে তিনি হালাল হয়ে গেলেন। সাহাবীগণের মধ্যে যারা হাদী সাথে নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা সেরূপ করলেন, যেরূপ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) করেছিলেন।
উরওয়া (রাহঃ) আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) হজ্জের সাথে উমরা পালন করেন এবং তাঁর সঙ্গে সাহাবীগণও তামাত্তু করেন, যেমনি বর্ণনা করেছেন সালিম (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে।
باب مَنْ سَاقَ الْبُدْنَ مَعَهُ
1691 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: تَمَتَّعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَجَّةِ الوَدَاعِ، بِالعُمْرَةِ إِلَى الحَجِّ وَأَهْدَى، فَسَاقَ مَعَهُ الهَدْيَ مِنْ ذِي الحُلَيْفَةِ [ص:168]، وَبَدَأَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَهَلَّ بِالعُمْرَةِ ثُمَّ أَهَلَّ بِالحَجِّ، فَتَمَتَّعَ النَّاسُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالعُمْرَةِ إِلَى الحَجِّ، فَكَانَ مِنَ النَّاسِ مَنْ أَهْدَى، فَسَاقَ الهَدْيَ وَمِنْهُمْ مَنْ لَمْ يُهْدِ، فَلَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ قَالَ: لِلنَّاسِ «مَنْ كَانَ مِنْكُمْ أَهْدَى، فَإِنَّهُ لاَ يَحِلُّ لِشَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ، حَتَّى يَقْضِيَ حَجَّهُ، وَمَنْ لَمْ يَكُنْ مِنْكُمْ أَهْدَى، فَلْيَطُفْ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالمَرْوَةِ، وَلْيُقَصِّرْ وَلْيَحْلِلْ، ثُمَّ لِيُهِلَّ بِالحَجِّ، فَمَنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا، فَلْيَصُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فِي الحَجِّ وَسَبْعَةً إِذَا رَجَعَ إِلَى أَهْلِهِ» . فَطَافَ حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ، وَاسْتَلَمَ الرُّكْنَ أَوَّلَ شَيْءٍ، ثُمَّ خَبَّ ثَلاَثَةَ أَطْوَافٍ وَمَشَى أَرْبَعًا، فَرَكَعَ حِينَ قَضَى طَوَافَهُ بِالْبَيْتِ عِنْدَ المَقَامِ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ سَلَّمَ فَانْصَرَفَ فَأَتَى الصَّفَا، فَطَافَ بِالصَّفَا وَالمَرْوَةِ سَبْعَةَ أَطْوَافٍ، ثُمَّ لَمْ يَحْلِلْ مِنْ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ حَتَّى قَضَى حَجَّهُ، وَنَحَرَ هَدْيَهُ يَوْمَ النَّحْرِ، وَأَفَاضَ فَطَافَ بِالْبَيْتِ، ثُمَّ حَلَّ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ حَرُمَ مِنْهُ، وَفَعَلَ مِثْلَ مَا فَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَهْدَى وَسَاقَ الهَدْيَ مِنَ النَّاسِ،
1692 - وَعَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَخْبَرَتْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي تَمَتُّعِهِ بِالعُمْرَةِ إِلَى الحَجِّ، فَتَمَتَّعَ النَّاسُ مَعَهُ بِمِثْلِ الَّذِي أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ