আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২১- হজ্জ্বের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ১৫৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৮২
১০৬০. মুযদালিফায় ফজরের নামায কোন সময় আদায় করবে?
১৫৭৭। আমর ইবনে হাফস ইবনে গিয়াস (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে দু’টি নামায ছাড়া কোন নামায তার নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত আদায় করতে দেখিনি। তিনি মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করেছেন এবং ফজরের নামায তার (নিয়মিত) ওয়াক্তের আগে আদায় করেছেন।
باب مَنْ يُصَلِّي الْفَجْرَ بِجَمْعٍ
1682 - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَارَةُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى صَلاَةً بِغَيْرِ مِيقَاتِهَا، إِلَّا صَلاَتَيْنِ: جَمَعَ بَيْنَ المَغْرِبِ وَالعِشَاءِ، وَصَلَّى الفَجْرَ قَبْلَ مِيقَاتِهَا "
হাদীস নং: ১৫৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৮৩
১০৬০. মুযদালিফায় ফজরের নামায কোন সময় আদায় করবে?
১৫৭৮। আব্দুল্লাহ ইবনে রাজা (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে ইয়াযীদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) এর সঙ্গে মক্কা রওয়ানা হলাম। এরপর আমরা মুযদালিফায় পৌঁছলাম। তখন তিনি পৃথক পৃথক আযান ও ইকামতের সাথে উভয় নামায (মাগরিব ও ইশা) আদায় করলেন এবং এই দু’ নামাযের মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিলেন। তারপর ফজর হতেই তিনি ফজরের নামায আদায় করলেন। কেউ কেউ বলছিল যে, ফজরের সময় হয়ে গেছে, আবার কেউ বলছিল যে, এখনো ফজরের সময় আসেনি। এরপর আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এ দু’ নামায অর্থাৎ মাগরিব ও ইশা এ স্থানে তাদের নিজ সময় থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই ইশার ওয়াক্তের আগে কেউ যেন মুযদালিফায় না আসে। আর ফজরের নামায এই মুহূর্তে। এরপর তিনি ফর্সা হওয়া পর্যন্ত সেখানে উকুফ করেন। এরপর বললেন, আমীরুল মু'মিনীন যদি এখন রওয়ানা হন তাহলে তিনি সুন্নত মুতাবিক কাজ করলেন। (রাবী বলেন) আমার জানা নেই, তাঁর কথা দ্রুত ছিল, না উসমান (রাযিঃ) এর রওয়ানা হওয়াটা। এরপর তিনি তালবিয়া পাঠ করতে থাকলেন, কুরবানীর দিন জামরায়ে আকাবাতে কংকর নিক্ষেপ করা পর্যন্ত।
باب مَنْ يُصَلِّي الْفَجْرَ بِجَمْعٍ
1683 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، إِلَى مَكَّةَ، ثُمَّ قَدِمْنَا جَمْعًا، فَصَلَّى الصَّلاَتَيْنِ كُلَّ صَلاَةٍ وَحْدَهَا بِأَذَانٍ وَإِقَامَةٍ، وَالعَشَاءُ بَيْنَهُمَا، ثُمَّ صَلَّى الفَجْرَ حِينَ طَلَعَ الفَجْرُ، قَائِلٌ يَقُولُ: طَلَعَ الفَجْرُ، وَقَائِلٌ يَقُولُ: لَمْ يَطْلُعِ الفَجْرُ، ثُمَّ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ هَاتَيْنِ الصَّلاَتَيْنِ حُوِّلَتَا عَنْ وَقْتِهِمَا، فِي هَذَا المَكَانِ، المَغْرِبَ وَالعِشَاءَ، فَلاَ يَقْدَمُ النَّاسُ جَمْعًا حَتَّى يُعْتِمُوا، وَصَلاَةَ الفَجْرِ هَذِهِ السَّاعَةَ» ، ثُمَّ وَقَفَ حَتَّى أَسْفَرَ، ثُمَّ قَالَ: لَوْ أَنَّ أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ أَفَاضَ الآنَ أَصَابَ السُّنَّةَ، فَمَا أَدْرِي: أَقَوْلُهُ كَانَ أَسْرَعَ أَمْ دَفْعُ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَلَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى رَمَى جَمْرَةَ العَقَبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ